আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

চাহিদা বেড়েছে কেরুর মদের

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
একটি কেসে ৭৫০ মিলিলিটারের ১২টি বোতল, ৪৬৫ মিলিলিটারের ২৪টি বোতল এবং ১৮০ মিলিলিটারের ৪৮টি মদের বোতল থাকে

দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির উৎপাদিত মদের চাহিদা বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তিন মাসে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির উৎপাদিত মদের বিক্রি প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

চলতি বছরের ২ জুলাই থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বেসরকারি কূটনৈতিক বন্ডেড ওয়্যারহাউজগুলোর মধ্যে শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধার অপব্যবহার রোধে তৈরি একটি সফটওয়্যার ব্যবহার নিয়ে রেষারেষির কারণে কমে গেছে বিদেশি মদের সরবরাহ। ফলে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির উৎপাদিত মদের চাহিদা বেড়েছে।

কারখানা সূত্র জানায়, অন্যান্য বছর প্রতি মাসে কেরু কোম্পানির উৎপাদিত মদ সাড়ে ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার কেস বিক্রি হতো। কিন্তু চলতি বছরের অক্টোবর মাসে এ সংখ্যা বেড়ে ১৮ হাজার ৫৭৯ কেস এবং নভেম্বর মাসে ১৯ হাজার ৪৪৬ কেস বিক্রি হয়েছে। ডিসেম্বরে ২০ হাজার কেস বিক্রি হবে বলে আশা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। একটি কেসে ৭৫০ মিলিলিটারের ১২টি বোতল, ৪৬৫ মিলিলিটারের ২৪টি বোতল এবং ১৮০ মিলিলিটারের ৪৮টি মদের বোতল থাকে।

জানতে চাইলে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মদের চাহিদা বেড়েছে। সারাদেশে ১৩টি ওয়্যারহাউজ ও তিনটি বিক্রয়কেন্দ্র থেকে এরই মধ্যে বাড়তি অর্ডার পেয়েছি। বিশেষ করে ঢাকা এবং শ্রীমঙ্গল ওয়্যারহাউজে চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া দেশের দুই পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় দুটি নতুন বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মাড়াই করা আখ থেকে উপজাত হিসেবে অ্যালকোহল উৎপাদনের জন্য ডিস্টিলারি প্ল্যান্টে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে।

ডিস্টিলারি ইউনিট দীর্ঘদিন ধরে কেরুর কোম্পানির আয়ের অন্যতম উৎস। দীর্ঘদিন ধরে চিনি উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোম্পানিকে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হয়। তবে মোটা অংকের লাভ হয় কেরুর উৎপাদিত মদ বিক্রি করে। ফলে চিনি উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে টাকা লোকসান হয় মদ বিক্রির লাভের টাকায় ওই লোকসান পুষিয়ে যায়।

কারখানা সূত্র জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে শুধু মদ বিক্রি করেই ১৯৫ কোটি টাকা আয় করেছে কেরু কোম্পানি। কোম্পানিটির প্রধান পণ্য হচ্ছে চিনি। তবে আখ থেকে চিনি আহরণের পর উপজাত হিসেবে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয়। এসব উপজাতের মধ্যে রয়েছে-দেশি মদ, বিদেশি মদ, ভিনেগার, স্পিরিট ও জৈব সার। এছাড়া কোম্পানি কান্ট্রি স্পিরিট, রেক্টিফায়েড স্পিরিট, ডিনেচারড স্পিরিট, মল্টেড ভিনেগার ও হোয়াইট ভিনেগার নামে দুধরনের ভিনেগার উৎপাদন করে থাকে।

কেরুর নয়টি ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ রয়েছে। এগুলো হলো-ইয়েলো লেভেল মল্টেড হুইস্কি, গোল্ড রিবন জিন, ফাইন ব্র্যান্ডি, শেরি ব্র্যান্ডি, ইম্পেরিয়াল হুইস্কি, সারিনা ভদকা, রোসা রাম ও ওল্ড রাম।

ম্যানুয়াল সিস্টেম ব্যবহার না করে অটোমেশনের মাধ্যমে মদের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন। এটি বাস্তবায়ন হলে উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।


আরও খবর



রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি: বিপুল রাজস্ব ফাঁকি সাদিক অ্যাগ্রোর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের ওপর গড়ে তোলা পশুর খামার সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

মো. ইমরান হোসেন, গবাদি পশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি। মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী। তাঁর খামারে বিভিন্ন প্রজাতির গরু-মহিষ-উটের দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করা হয় কোটি টাকা। তবে ছাগল ইস্যুতে ফার্মটি দেশজুড়ে বিপুল আলোচনায়।

অথচ কর দেওয়ার সময় কোটি টাকায় বিক্রি করা গরুর দাম দেখানো হয়েছে ১৪ হাজার টাকারও কম।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) প্রদর্শন করা হিসাব অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রোর বছরে আয় মাত্র ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা। সাদিক অ্যাগ্রোর প্রদর্শিত বার্ষিক আয় প্রতিষ্ঠানটির একটি গরু বিক্রির টাকার চেয়েও কম। এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিশ্লেষকরা।

ইমরান হোসেন কর অঞ্চল-৬-এর ১৩১ নম্বর সার্কেলে তাঁর কর রিটার্ন জমা দেন। তাঁর করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর ৫৬৫০৩৭৯১০৬৭০। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৭৩২৩৯৮৯২২১৫। ২০২২-২৩ করবর্ষের নথি সূত্রে জানা গেছে, সাদিক অ্যাগ্রো ছাড়াও তিনি ইমরান হোসেন ফিশ ফার্মের স্বত্বাধিকারী।

এ ছাড়া জালালাবাদ স্টিল লিমিটেড, জালালাবাদ স্টিল বিল্ডিং লিমিটেড, জালালাবাদ মেটাল লিমিটেড ও লাকি স্টিল করপোরেশনের পরিচালক। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বনানীর ১৩ নম্বর রোডের ই ব্লকের ১০৩ নম্বর বাসায় থাকেন। তবে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা : বাসা নম্বর-৮৬, কলাবাগান।

২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সাদিক অ্যাগ্রোর মোট বিক্রির পরিমাণ দুই কোটি আট লাখ ১৫ হাজার ২৩৬ টাকা। তবে এই সময়ে তিনি বাছুর কেনা বাবদ খরচ করেছেন ছয় লাখ ১২ হাজার ৪৭০ টাকা।

পশুখাদ্য কিনেছেন ৫১ লাখ সাত হাজার ৮১০ টাকার। ওষুধ কেনার খরচ আট লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৬ টাকা। কর্মীদের মজুরি দিয়েছেন ১২ লাখ ৭২ হাজার ৪২৫ টাকা। এভাবে রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং অন্যান্য খাতে সর্বমোট ব্যয় করেছেন ৮৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ টাকা। এর সঙ্গে অন্য সব খরচ বাদ দিয়ে তাঁর বাৎসরিক আয় ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা।

কিন্তু তাঁর এই হিসাবের সঙ্গে বাস্তবতার বিশাল ফারাক। শুধু কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করেই তাঁর দেড় হাজার পশু বিক্রি হয়। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাহমা, ইন্দো ব্রাজিল, হোলস্টাইন, দেশাল, শাহীওয়ালসহ বেশ কয়েকটি জাতের গরুর পাশাপাশি মহিষ ও ছাগল। এ ছাড়া তাঁর ফার্মে উটও বিক্রি করা হয়।

তাঁর ফার্মে বেশির ভাগই কোটি টাকা দামের গরু। বছরজুড়ে দেড় হাজার গরু বিক্রি করলেও সাদিক অ্যাগ্রোর বছরের আয়ের হিসাবের সঙ্গে করের হিসাব মেলানো দুষ্কর। ইমরানের বিক্রয়ের তথ্যানুযায়ী, দুই কোটি আট লাখ ১৫ হাজার ২৩৬ টাকায় তিনি দেড় হাজার গরু বিক্রি করেছেন। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি গরুর দাম পড়েছে ১৩ হাজার ৮৭৭ টাকা। বর্তমান বাজারে এই দামে একটি মাঝারি মানের ছাগলও কিনতে পাওয়া যায় না। তাঁর ফার্মের একটি ছাগল ১২ লাখ টাকায় বিক্রির ইস্যুতে পুরো দেশ এখন সরগরম।

অন্তত ১০ লাখ টাকা গড়ে প্রতিটি গরু বিক্রি করলেও দেড় হাজার গরুর দাম দাঁড়ায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে তিনি কর দিতে গিয়ে এই বিশাল অঙ্কের টাকার তথ্য গোপন করেছেন। এর আগেও এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইমরানের কর ফাঁকির বিষয়ে তদন্ত করেছিল। ওই অনুসন্ধানে কর ফাঁকির তথ্য প্রমাণিত হয়েছিল। তবে সিআইসি সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে আবার তদন্ত হতে পারে। আগের তদন্তের চেয়ে এখন তাঁর বিষয়ে অনেক বেশি তথ্য হাতে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাঁর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ইমরান খুবই চতুর ব্যক্তি। সাদিক অ্যাগ্রো কম্পানি হিসেবে ২০১৭ সালে নিবন্ধিত হলেও কম্পানির নামে কোনো রির্টান নেই। এ ছাড়া তিনি জটিলতা এড়িয়ে যেতে ব্যাংক হিসাবে খুব বেশি টাকা রাখেন না। সম্ভবত তিনি নিয়মিত বিভিন্ন কৌশলে টাকা পাচার করেন। অথবা আত্মীয়-স্বজনের নামে সম্পদ কিনে রাখেন।

সাদিক অ্যাগ্রোর বছরে ৮১ লাখ টাকা আয়কে অবাস্তব বলে মনে করেন কর অঞ্চল ৬-এর কমিশনার মো. লুত্ফুল আজিম। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি জানি না তাঁর ফাইলে তিনি কিভাবে হিসাব দেখিয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁর ফাইলটা আমার সামনে নেই, ফলে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ঢাকা শহরের ভেতরে এত বড় অ্যাগ্রো ফার্ম আছে সেটাও আমাদের জানা ছিল না। এখন বিষয়টা জানলাম। এখন আমরা অনুসন্ধানে যাব। তবে দুগ্ধখামারের ওপর করহার কম।

তিনি বলেন, সাদিক অ্যাগ্রোর বিষয়ে আগেও সিআইসি থেকে তদন্ত হয়েছিল। এরপর অ্যাসেসমেন্ট কী হয়েছে তা আমি জানি না।

ইমরানের দেখানো হিসাব অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রোর স্থায়ী ও চলতি সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার ৯২৪ টাকা। ইকুইটি ও দায়ের পরিমাণ ৯১ লাখ ৩২ হাজার ৩৮ টাকা। ব্যাংক দায় ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৬ টাকা। চলতি দায়ের পরিমাণ ১৫ লাখ ১২ হাজার ৩৪০ টাকা। সর্বমোট ইকুইটি ও দায়ের পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ৬৮ হাজার ৯২৪ টাকা।

ইমরানের সম্পত্তির বিবরণীতে দেখা গেছে, সাভারের জামুর মুচিপাড়া মৌজায় বিভিন্ন দলিল নম্বরে ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৫০ টাকার জমির মালিকানা রয়েছে তাঁর। একই এলাকার বিলামালিয়া মৌজায় ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ৫২৫ টাকার জমির মালিকানা রয়েছে। এ ছাড়া মালিকানা ও পরিচালক হিসেবে ছয় কোটি ২৬ লাখ ২৯ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে জালালাবাদ স্টিল বিল্ডিং লিমিটেডে তাঁর মালিকানামূল্য ৪০ লাখ টাকা, জালালাবাদ স্টিল লিমিটেডে এক কোটি পাঁচ লাখ চার হাজার টাকা, জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডে এক কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, সাদিক অ্যাগ্রোতে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এক বছরে ইমরান সম্মানি বাবদ পেয়েছেন ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৯৬০ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন সুবিধা যোগ করলে তাঁর আয়ের পরিমাণ ২৯ লাখ ২৯ হাজার ৭৬০ টাকা। বেতন বাবদ তাঁর করযোগ্য আয় দেখিয়েছেন ২৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬০ টাকা। এ ছাড়া কৃষি খাত থেকে আয় বাবদ (সাদিক অ্যাগ্রো) ৮১ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় করেছেন ৯ লাখ ৯ হাজার ৮৮৩ টাকা, ফার্মের লাভের অংশ হিসেবে পেয়েছেন ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৭০ টাকা, অন্যান্য খাত থেকে তাঁর আয় এক লাখ আট হাজার ৭৪৭ টাকা। বছর শেষে তাঁর মোট আয় এক কোটি ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ৩২৯ টাকা। এর বিপরীতে তাঁর প্রদেয় কর ১৭ লাখ ২২ হাজার ৮৯২ টাকা। সেই হিসাবে তাঁর কর দাঁড়ায় ১৮ লাখ চার হাজার ৩৬৬ টাকা। সব ধরনের মওকুফ বাদ দিয়ে তাঁর করের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬৬ টাকা। এই টাকা তিনি ইসলামী ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে চেকের মাধ্যমে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি পরিশোধ করেছেন। চেক নম্বর এমসিএইচ ০৬৮৮১৭৮।

এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, দৃশ্যত এটি যৌক্তিক বলে মনে হয় না। এখানে আয় লুকানোর একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা দরকার। একটা অবৈধ জায়গায় তারা ফার্ম করেছিল। বছরে ৮১ লাখ টাকা আয় প্রকৃতপক্ষে তাদের বাস্তব আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে সম্ভাব্য বড় কর ফাঁকির ঝুঁকি রয়েছে।

এসব বিষয়ে বক্তব্য নিতে সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরান হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


আরও খবর



ক্যাসপারস্কি সফটওয়্যার নিষিদ্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

রুশ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ক্যাসপারস্কি সফটওয়্যার নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো এমনটি জানান।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ক্যাসপারস্কি যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সফটওয়্যার বিক্রিসহ কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না, এমনকি ব্যবহৃত সফটওয়্যারগুলো আপডেটও করা যাবে না।

তবে এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালানোর ঘোষণা দিয়ে ক্যাসপারস্কি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়, এমন কোনো কার্যকলাপে তারা জড়িত নয়।

বাইডেন প্রশাসনের এই নিষেদ্ধের ঘোষণাটি কার্যকর হবে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে। ওইদিন থেকে ক্যাসপারস্কি সফটওয়্যার আপডেট, পুনরায় বিক্রি এবং লাইসেন্সিং বন্ধ হয়ে যাবে। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে নতুন ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারী বিক্রেতাদেরকে বাণিজ্য বিভাগের জরিমানার মুখ পড়তে হবে।

রুশ সামরিক গোয়েন্দাদের সহযোগিতার অভিযোগে ক্যাসপারস্কির আরো দুটি রুশ এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি ইউনিটের নামও নিষেধাজ্ঞার তালিকা যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনেকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারিতে আছে রাশিয়ার এই সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৭ সালে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি রুশ গোয়েন্দাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ফেডারেল নেটওয়ার্কগুলোতে ক্যাসপারস্কির ফ্ল্যাগশিপ অ্যান্টিভাইরাস নিষিদ্ধ করেছিল।

এ নিয়ে মার্কিন রুশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পায়নি রয়টার্স। এর আগে রুশ কোম্পানি ক্যাসপারস্কি জানিয়েছিল যে, তারা বেসরকারি কোম্পানি এবং তাদের সঙ্গে রুশ সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

নিউজ ট্যাগ: ক্যাসপারস্কি

আরও খবর



ছুটির সকালে রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সকাল থেকে ঢাকার আকাশ ছিল মেঘলা। এতে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। ভোরের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও আবার তা কিছুটা সময় থেমে থাকে। এরপর ৭টার দিকে আবারও বৃষ্টি ঝরতে শুরু করে। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষই বাসায়। এরমধ্যেও যারা বের হয়েছেন তারা ছাতা মাথায় না হয় ভিজে ভিজে গন্তব্যে যান।

বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশের সব বিভাগেই শুক্রবার (২৮ জুন) রয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। কোথাও কোথাও হতে পারে ভারী বর্ষণও।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় পথে মানুষজন কম। অধিকাংশ সড়কেই নেই যানবাহনের চাপ। হঠাৎ করে বৃষ্টি নামায় বিপাকে পড়েন পথচারীরা। বৃষ্টি নামার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার পাশে বিভিন্ন দোকানগুলোতে আশ্রয় নেন তারা। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে অনেককে মেট্রোরেলের পিলারে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তার পানি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী এলাকা সিকিম। সেখানে গত বছরের ভারী বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির স্মৃতি এখনো ফিকে হয়নি। সিকিমের সেই ভয়াবহ বৃষ্টির জন্য পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন জেলায় বর্ষার পানিতে ভেসে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল।

পুরোনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে ফের সিকিমে ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর পানির স্তর বাড়লো। ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। এতে আতঙ্কে তিস্তা নদীর পারে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা। চলতি বর্ষা মৌসুমে যেভাবে তিস্তা ফুঁসছে তাতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

নদীর পানি বইছে প্রবল বেগে। ভাঙছে পাড়। ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চল কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।

লাগাতার বৃষ্টির জন্য বিপর্যয়ের ভ্রুকুটি উত্তরবঙ্গের জেলাজুড়েই। আর গোটা দক্ষিণবঙ্গ অর্থাৎ কলকাতাসহ নদিয়া, দুই চব্বিশ পরগনা, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, জেলাগুলো ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এরই মধ্যে এই সব জেলাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

চরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ার দাপট চলবে হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমানসহ বেশ কিছু জেলায়।

তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৪ জুন) দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ও রোববার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস ঘোরাফেরা করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস থাকবে।


আরও খবর



কোস্টারিকার বিপক্ষে হোঁচট খেলো ব্রাজিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেয়েছে ব্রাজিল। কোস্টারিকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রতে পয়েন্ট খুইয়েছে দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) লস অ্যাঞ্জেলেসের সোফাই স্টেডিয়ামে ম্যাচে পুরোটা সময় রাজত্ব করেছে ব্রাজিল। ৭৩ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে সেলেসাওরা। তবে কাজের কাজ গোলটা করতে পারেননি ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ব্রাজিল। বেশ কিছু আক্রমণ করে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে সেই আক্রমণ রুখে দেন কোস্টারিকা গোলরক্ষক।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। তবে ভিএআরে বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। বিরতি পর ডি বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট নেন লুকাস পাকুয়েতা। তবে তা বারে লাগে।

শেষ পর্যন্ত কোনো গোল না হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। এই ড্রয়ের ফলে ডি গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় ১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করেছে ব্রাজিল। প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে ৩ পয়েন্টে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করেছে কলম্বিয়া। ১ পয়েন্ট নিয়ে কোস্টারিকা তিনে ও কোনো পয়েন্ট ছাড়াই চারে অবস্থান প্যারাগুয়ের।


আরও খবর