আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ছাত্রসমাজ বিজয়ের অমর একটি ইতিহাস রচনা করেছেন: তারেক রহমান

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে স্বাধীন হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এর জন্য অনেক প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। গণতন্ত্রের বিজয়ের ইতিহাসে এ মানুষগুলো অমর হয়ে থাকবেন।

বুধবার বিকাল ৪টার পর বিএনপির সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বক্তব্য দেন তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, ৫২-৭১ কিংবা ৯০ এর মতো দেশের ছাত্রসমাজ বিজয়ের অমর একটি ইতিহাস রচনা করেছেন। ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে নতুন বিজয়। এ জন্য গণতন্ত্রকামী সব দলগুলোর পক্ষ দল-মত নির্বিশেষে দেশের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। 

দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট করতে একটি চক্র কাজ করছে দাবি করে তারেক রহমান বলেন, প্রশাসনের প্রতি আহ্বান আইনশৃংখলা পরিস্থিতি শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করুণ। কারো প্রতি যেন অবিচার না হয়। কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে সবার আগে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। ষড়যন্ত্রের কারণে আমরা আমাদের এত বড় অর্জন বিনষ্ট হতে দিতে পারি না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপিসহ দেশের গণতন্ত্রকামী সব দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান- ষড়যন্ত্রকারীদের নৈরাজ্যের কাছে আমরা হার মানতে পারি না।  গির্জা, মন্দির, প্যাগোডার নিরাপত্তা দিন। ধর্ম-বর্ণ-বিশ্বাস দিয়ে মানুষকে মাপা যাবে না। একজন ব্যক্তির পরিচয় তিনি মানুষ। আপনার পাড়া-প্রতিবেশী যেখানেই কেউ এমন কিছু করার চেষ্টা করবে বন্ধু হিসেবে তার নিরাপত্তায় আপনি ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসবাসকারী সবার একটিই পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। 

পুলিশ জনগণের শত্রু নয় উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন,  শেখ হাসিনা বিনাভোটে থাকার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।  আমি বিশ্বাস করি- পুলিশের ভেতর একটি চক্র ছাড়া অধিকাংশ পুলিশ সদস্য চাকরিবিধি মেনে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছেন। হাসিনার পালানোর পর একটি চক্র দেশের পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। এই মুহূর্ত থেকে পুলিশ কিংবা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধ করুন। 

তারেক রহমান বলেন, দেশবাসীর প্রতি আহ্বান কেউ আইন নিজ হাতে তুলে নেবেন না। বিচারের ভার নিজের হাতে তুলে নেবেন না। মনে রাখবের নৈরাজ্যের বদলে নৈরাজ্য কোনো সমাধান নয়। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দেশকে আমদানি নির্ভর কিংবা বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা থেকে বের করতে হবে। রফতানির আওতা যেকোনো মূল্যে বাড়াতে হবে। দক্ষ ও মেধাবী প্রজন্ম তৈরি করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারেক রহমান।

নিউজ ট্যাগ: তারেক রহমান

আরও খবর



এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত ব্যবসায়ী এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের আয়কর বিভাগের রাজধানীর কর অঞ্চল-১৫ থেকে আজ বৃহস্পতিবার এসংক্রান্ত চিঠি সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

এস আলম শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে। সদ্য বিদায়ী সরকারের আমলে সুবিধাভোগী অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী ছিল এস আলম গ্রুপ।

কর অঞ্চল-১৫ সূত্রে জানা গেছে, এস আলমের (সাইফুল আলম) স্ত্রী ফারজানা পারভীন, মা চেমন আরা বেগম এবং ভাই আবদুল্লাহ হাসানের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের পিতা-মাতা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে বা বোনের যৌথ নামে অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে। এর মানে, এস আলমসহ তার পুরো পরিবারের সদস্যদের যাবতীয় ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে এনবিআর।

এ ছাড়া তাদের নামে থাকা ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে থাকা হিসাবের তথ্য চেয়েছে কর অঞ্চল-১৫।

এস আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ভাই আবদুল্লাহ হাসান হলেন এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ সার্ভিস, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল লিমিটেডের পরিচালক। আর এস আলমের মা চেমন আরা বেগম এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ সার্ভিসের পরিচালক।

এস আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গত এক দশকে ব্যাংক দখল, অর্থ পাচারসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে তিনি এসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর কর্মকর্তা জানান, এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের কর নথির সঙ্গে বাস্তব সম্পদের তথ্য যাচাইবাছাই করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




২০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৫৩ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স আসা থমকে গেলেও, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এর গতি বেড়েছে। আগস্টের প্রথম ২০ দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যে বলা হয়েছে, চলতি আগস্টের প্রথম ২০ দিনেই দেশে আসা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে ৪০৬ মিলিয়ন ডলার বা ৩৬ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও বলছে, গত ৪ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং ১১ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার।

এ ছাড়া গত ২০ আগস্ট এক দিনেই প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১০৯ মিলিয়ন ডলার।

গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যায়। ওই সময় দেশে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করেন অনেক প্রবাসী। যার প্রভাব পড়েছিল প্রবাসী আয়ে।


আরও খবর
ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




গাইবান্ধায় একরাতে ৬ কবর থেকে মরদেহ চুরি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের পল্লীতে একরাতে দুটি কবরস্থানের ছয়টি কবর খুঁড়ে মরদেহ চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। একেবারে নতুন বা পুরনো কবর নয়, কেবল তিন থেকে চার মাস আগে মারা যাওয়া বয়স্ক মানুষদের দেওয়া কবর থেকেই এ মৃতদেহগুলো চুরি হয়েছে।

গত সপ্তাহের কোনো এক রাতে উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর ছয়ঘরিয়া গ্রামের একটি পরিবারের দুটি কবরস্থানে এ চুরির ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি স্বজনদের নজরে আসে গত শুক্রবার বিকালে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর ছয়ঘরিয়া গ্রামের আকন্দ পরিবারের দুটি কবরস্থানে সম্প্রতি রাতের আঁধারে কে বা কারা ছয়টি কবর খুঁড়ে মরদেহগুলো চুরি করে নিয়ে যায়।

গত শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাঁশঝাড়ের মধ্যে দেওয়া চার মাস আগে মৃত শুকুর আলী আকন্দ নামের এক বৃদ্ধের কবর খোঁড়া অবস্থায় প্রথম দেখতে পান তার স্বজনরা। তারপর একে একে এফাজ আকন্দ ও তার স্ত্রী নেছারন, জামিলা বেগম, নইতন নেছা ও হাজরা বেগম নামের পাঁচ মৃত ব্যক্তির কবর খুঁড়ে মরদেহ বের করে নেওয়ার আলামত দেখতে পান তারা।

ছয়ঘরিয়া আকন্দপাড়ার বাসিন্দা মৃত জামিলা বেগমের ছেলে আব্দুল লতিফ আকন্দ বলেন, তার মাসহ ছয়জনই তিন থেকে চার মাস আগে মারা গেছেন। সেখানে আরও পুরনো এবং সাম্প্রতিক বেশ কিছু কবর থাকলেও সেগুলো খোঁড়া হয়নি বা মৃতদেহ চুরি করা হয়নি। চুরির পর মাটি দিয়ে ঢেকে রাখলেও আমরা পুনরায় সম্পূর্ণ কবর খুঁড়ে মরদেহ চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।

ঘটনার শিকার মৃত শুকুর আকন্দের ছেলে মাওলানা আব্দুল আউয়াল জানান, এ ঘটনায় শঙ্কিত থাকলেও তারা এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।

এ ঘটনায় আশপাশের অন্যান্য কবরস্থানেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন।

মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান কবর খুঁড়ে মরদেহ চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



হু হু করে বাড়ছে পদ্মার পানি, পাউবো জানাল আতঙ্কের কিছু নেই

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিহার ও ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেট খুলে দেয়ায় পদ্মা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। তবে এখনও তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। এতে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়াসহ নদী তীরবর্তী বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চলে প্লাবনের আশঙ্কা করছেন নদী তীরের বাসিন্দারা।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, পানি কিছুটা বাড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সংকট মোকাবিলায় নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলাগুলোতে পদ্মার পানি বিপদসীমার এক থেকে দুই মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বাড়ায় বেশ কয়েকটি বাসাবাড়িতে বিষাক্ত সাপ ও পোকামাকড় ঢুকে পড়ছে। এ সময় স্থানীয়দের মোবাইল ফোনে সাপের ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়।

জানা যায়, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয়া হয়। ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে অতি বৃষ্টির কারণে এবারও খুলে দেয়া হয়েছে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট। এতে হু হু করে পানি বাড়ছে নদীতে।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়াসহ বেশ কয়েকটি জেলার নিচু এলাকায় বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।

নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, ঘরে ছোট সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে থাকি। কখন জানি আগ্রাসী পদ্মা আমাদের বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পানি আরও আসছে। কোনো বাঁধ না থাকায় অনেক কষ্ট হয়। এ ছাড়া বাড়িতে বিষাক্ত সাপ ও পোকামাকড়ও ঢুকে পড়ছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় বিহার ও ঝাড়খণ্ডে। এ কারণে ফারাক্কার গেট খুলে দিয়েছে ভারত। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যদি বন্যার সৃষ্টি হয়, এ নিয়ে আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে।

রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানির বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫ মিটার। মঙ্গলবার পানির উচ্চতা পাওয়া গেছে ১৬ দশমিক ৩০ মিটার।


আরও খবর



বন্যায় ব্যাহত মোবাইল নেটওয়ার্ক, ১২ জেলায় ২০২৫ টাওয়ার অচল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১৫টির অধিক জেলা। যার প্রভাব পড়েছে টেলিযোগাযোগ খাতে। ১২টি জেলায় বন্যার পানিতে অচল হয়ে গেছে ৫টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির প্রায় ২ হাজার ২৫টি টাওয়ার। ফলে এসব এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিভাগটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বিকের ৫টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্যের ভিত্তিতে জানান, বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হচ্ছে, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ এবং রাঙ্গামাটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুমিল্লা এলাকার মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ার। এখানে প্রায় ৬০৯টি টাওয়ার অচল হয়ে গেছে।

এছাড়া নোয়াখালী জেলায় ৩৪৪টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৮৪টি, ফেনী জেলায় ৪৬৬টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৩২টি, চাঁদপুরে ১২১টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১৯৪টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ৯৪টি, হবিগঞ্জ জেলায় ৬টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৪২টি, সুনামগঞ্জ জেলায় ২৪টি এবং রাঙ্গামাটি জেলায় ৯টি টাওয়ার অচল হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ টাওয়ার অচল হয়েছে। ১২ হাজার ১৭৯টি টাওয়ারের মধ্যে এখনও সচল রয়েছে ১০ হাজার ১৫৪টি।

অপরদিকে, বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর এরই মধ্যে ৫টি ভি-স্যাট ফেনীতে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারমধ্যে ৫টি ভি-স্যাট ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর