আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

চিকিৎসার অর্থ ব্যয় নিয়ে যা বললেন ইসি মাহবুব

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
নির্বাচন বিষয়ে আমার ভিন্নধর্মী অবস্থানের কারণে সিইসি তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য চিকিৎসার বিষয় উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।তিনি অবশ্য খরচের প্রকৃত হিসেব প্রদান করেননি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) এক প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সিইসির এই বক্তব্যের একদিন পর এ বিষয়ে মুখ খুললেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নির্বাচন বিষয়ে আমার ভিন্নধর্মী অবস্থানের কারণে সিইসি তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য চিকিৎসার বিষয় উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।তিনি অবশ্য খরচের প্রকৃত হিসেব প্রদান করেননি। তিনি আমাকে রোগাক্রান্ত ব্যক্তি উল্লেখ করে বলেছেন, আমি কখনো আইসিইউতে বা কখনো সিসিইউতে থাকি। কিন্তু ইচ্ছা করলেই কেউ আইসিইউ বা সিসিইউতে থাকতে পারে না। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে বিশদভাবে অবহিত করা প্রয়োজন বলে মনে করি।

মাহবুব তালুকদার বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমি নির্বাচন কমিশনার হওয়ার সময় থেকেই প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। ক্যানসার ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। আমি সিঙ্গাপুর ও ভারতের চেন্নাইয়ে এর চিকিৎসা করিয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালের চারজন চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দুই দফা শারীরিক পরীক্ষা করে সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনারদের চিকিৎসাবিধি অনুযায়ী আমার চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে। তবে গত দুই বছরে আমি চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে বিদেশে যাইনি। বরং এই দুই বছরে চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ নিজের খরচে আমি আমেরিকা গিয়েছি। বর্তমানে কর্মরত নির্বাচন কমিশনারগণ এবং অবসরপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ সকলেই প্রাপ্যতা ও বিধি অনুযায়ী কমিশন থেকে চিকিৎসার খরচ নিয়ে থাকেন। কে এম নূরুল হুদা নিজেও নির্বাচন কমিশন থেকে চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অসুখের যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া আমার মৌলিক অধিকার। চিকিৎসার কারণেই আমি এখন পর্যন্ত বেঁচে আছি। নির্বাচন বিষয়ে আমার ভিন্নধর্মী অবস্থানের কারণেই সিইসি তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য চিকিৎসার বিষয় উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছেন।


আরও খবর



আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতি, সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে ইসি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম। বুধবার (২৬ জুন) সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিশ্রুতির কথা বলেন।

ইসি সচিব বলেন, এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে। ওনারা প্রথমে কীভাবে ভোটার হয়েছিলেন, কোন কোন তথ্যগুলো এখানে এসেছে, আমরা একেবারে আদ্যোপান্তশুরু কীভাবে হলো, কোথায় উলট-পালট হলো, ডিটেইল তারা তদন্ত করেছে। তদন্ত কমিটি আমাদের কাছে আরও সময় চেয়েছে। আমি মনে করি যে, আরও সময় লাগতে পারে। আমরা আরও বিস্তারিত ও নিঁখুতভাবে তদন্তটা করতে চাই, যাতে কোনো ধরনের ফাঁক-ফোকর না থাকে। তদন্ত কমিটি ওপর আমাদের আস্থা আছে। তারা কাজ করছে। আপনাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। আরও দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে। কারণ ওনারা শুরু থেকে এই পর্যন্ত অনেকগুলো ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিলেন। সব ডকুমেন্ট যোগাড় করা, পরীক্ষা করা, সোর্সে গিয়ে এগুলো আবার ভেরিফাই করা, আমরা চাচ্ছি বৈজ্ঞানিকভাবে যাতে কোনো ধরনের কোথাও খুঁত না থাকে। আমরা চাই না, আবার আরেক ধরনের ভুল হোক।

সন্দেহের আওতায় ইসির কর্মকর্তারা বা তাদের যোগসাজশ আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যেই থাকুক কেউ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা সবাইকেই সন্দেহ করছি। আবার এটা তদন্তেই প্রমাণ করতে হবে। এতটুকু কথা দিতে পারি, বিন্দুমাত্র কারও যদি এখানে ইনভলমেন্ট থাকে, তার আইন অনুযায়ী যে সর্বোচ্চ শাস্তি সেটা আমরা এনশিউর করবো। 

জানা গেছে, আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন। হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান। আর জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। তাদের এনআইডির তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃতি খুনি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের সন্তানদের এনআইডিতে পিতার নাম পরিবর্তন করার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে বিভিন্ন নামে তিনি কিন্তু আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন নাম ধারণ করেছেন বলে আমাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। কোথায় কোথায় তিনি ছিলেন, কী কী কাজে সেই নামগুলো ব্যবহার করেছেন, তার আত্মীয়-স্বজনটা এটা কোথায় কোথায় ব্যবহার করেছেন; সমস্ত তথ্যগুলো নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত কমিটি এ নিয়ে রাত-দিন পরিশ্রম করছে। পুরোদমে একজন যুগ্ম-সচিবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।

শফিউল আজিম বলেন, এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। কোনো ধরনের ফাঁক-ফোকর যেন না থাকে আমরা সেটা নিশ্চিত করবো। আমরা নিখুঁত, পূর্ণাঙ্গ তদন্তত রিপোর্ট উত্থাপন কবো।


আরও খবর



সংসদ সদস্যের গাড়ি ব্যবহার করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশীদ হাওলাদার একটি প্রাডো গাড়িতে চড়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন যা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কালো রংয়ের ঢাকা মেট্রো-ঘ (১৩-৪৩১২) নম্বরের প্রাডো গাড়িটি এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদারকে ব্যবহার করতে দেখেছেন এলাকাবাসী।

বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী, গাড়িটি নীলফামারীর সাবেক প্রয়াত সংসদ সদস্য কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) এ এ মারুফ সাকলানের নামে রেজিস্ট্রেশন থাকায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। প্রয়াত মারুফ সাকলান ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী ৪ আসনে মহাজোট থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৩ সালের সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগিতে এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টির এই নেতাকে এই আসনটি ছেড়ে দেয়া হয়। তখন স্থানীয় অনেক আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এলাকার সাথে জনবিচ্ছিন্ন রুহুল আমিন হাওলাদারকে মেনে নিতে না চাইলেও এই দু:সময়ে পাশে দাড়াঁন বর্তমানের প্রার্থী হারুন অর রশীদ হাওলাদার।

এর প্রতিদানে একাধিক মতবিনিময় সভায় পটুয়াখালী ১ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার দুমকি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন হাওলাদারের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। এমনকি সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ কাজী আলমগীর বলেন হারুন হাওলাদারকে ভোট না দিলে সরকারি বরাদ্দ না দেয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন যা একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এলাকায় আসা কমিয়ে দেন সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

শুধু তাই নয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য দুমকী উপজেলা নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রার্থী ও তার দু:সময়ের সাথী হারুন অর রশীদ হাওলাদারের পক্ষে বিভিন্নভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি স্থানীয় প্রশাসনকেও নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে চলেছেন বলে অভিযোগ একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর।


আরও খবর



সিলেট সেনানিবাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও সিলেট সেনানিবাসে ১৭ পদাধিক ডিভিশন ও সিলেট এরিয়ার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে যা আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

রবিবার (৯ জুন) দুপুরে বর্ণাঢ্য র‍্যালি শেষে কর্মসূচির উদ্ভোধন করেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও এরিয়া কমান্ডারের পক্ষে সিলেট সেনানিবাসের ১১ পদাধিক ব্রিগেড কমান্ডার ফারুক আহমদ এ এফ ডব্লিউ সি, পিএসসি।

বৃক্ষরোপন কর্মসূচি ২০২৪ উদ্বোধনের সাথেই সাথেই সিলেট ও জালালাাদ সেনানিবাসের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ, ঔষধি ও সৌন্দর্য বর্ধনমূলক গাছ রোপণ করা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৬ হাজার গাছ রোপণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট ও জালালাবাদ সেনানিবাসের সকল কমান্ডার, এরিয়া সদর দপ্তর সিলেট ও ডিভিশন সদর দপ্তরের গ্রেড-১ অফিসার এবং সিলেট এরিয়ার সকল ইউনিটের জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার এবং অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে সিলেট সেনানিবাসে ১৭ পদাধিক ডিভিশন ও সিলেট এরিয়ার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়।


আরও খবর



ঈদের পর ফের বিস্ফোরণ মিয়ানমারে, কাঁপছে টেকনাফ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে বাংলাদেশ যেন আক্রান্ত না হয় সেজন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল আটটার পর থেকে সন্ধ্যা অবধি থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা। তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছয়টি ও রাত সাড়ে ১২টার দিকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। রোববার ও সোমবার আর কোন শব্দ শোনা যায়নি। মঙ্গলবার সকাল আটটার পর থেকে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে ওপার থেকে। এতে ভয়ানকভাবে কেঁপে উঠছে টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বেশ কয়েকটি অংশ।

ঈদের আগের দিন ও ঈদের দিন ওপার থেকে গোলাগুলি কিংবা বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে না এলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল সীমান্তে। এ অবস্থায় ঈদের দিন পার হতেই ফের ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসায় দ্বিগুণ হয়েছে এপারের বাসিন্দাদের আতঙ্ক। স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্ত ঘেঁষে ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণের কয়েকটিতে ভূমিকম্পের মতো কম্পন সৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে।

পরিস্থিতির বর্ণনায় সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে। যেভাবে বাড়িঘর কেঁপেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদের পরদিন সকাল আটটার পর থেকে মিয়ানমারের ওপারের বিস্ফোরণে এপারের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়পাড়া, পল্লানপাড়া, কুলালপাড়া, খানকার ডেইলসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম কেঁপে ওঠে।

এদিকে রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জলসীমায় বেশ কয়েকটি জলযান এসেছে বলে খবর পেয়েছি।

মিয়ানমারের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। যেকোন ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি আর কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি, সবজির দাম চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। একদিনের ব্যবধানেই কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আজ শুক্রবার (১৪ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, মতিঝিল, মুগদা, রামপুরা এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। ভারতীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি করে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজি আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুমুখি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দোকানিরা জানান, কোরবানির ঈদের আগে সবজির সরবরাহ রাজধানীতে কমেছে। রাস্তায় যানজট এবং বেশিরভাগ পণ্যবাহী গাড়ি পশু বহন করার কারণে সবজির সবরাহ কম। তবে ঈদের পরপর দাম কমতে পারে।


আরও খবর