আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

চৌকি বিছিয়ে ব্যবসার সুযোগ দিতে প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গবাজার : ডিএসসিসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থল। সেখানে বালি ফেলে ইট বিছানো হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদের তত্ত্বাবধানে, করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ডস্থল ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন: বঙ্গবাজারেরআগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ঢাকা ফায়ারের সব ইউনিট

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রস্তুতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, বঙ্গবাজারের ১ দশমিক ৭৯ একর জায়গা জুড়ে বালি ও ইট বিছানো হবে। ইতোমধ্যে সেখানে ৪০ গাড়ি বালি ফেলা এবং প্রায় ৯০ হাজার ইট বিছানো হয়েছে। পুরো এলাকায় প্রায় আড়াই লাখ ইট বিছানো এবং প্রায় ১৫০ গাড়ি বালি ফেলা হবে জানা গেছে। আজকের মধ্যে পুরো এলাকায় বালি ফেলা ও ইট বিছানোর লক্ষে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।

আরো পড়ুন: বঙ্গবাজারেআগুনের ঘটনায় সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

এছাড়াও গতকাল সকাল থেকে অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. হায়দর আলীর নেতৃত্ব এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এখনও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


আরও খবর



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ২০ দিনের যে ছুটি চলছে, তা কমিয়ে আনা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৬ জুন খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে এবার ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হয়েছে ১৩ জুন, যা চলার কথা ২ জুলাই পর্যন্ত।

এর আগে মাধ্যমিক-১ শাখার একজন উপসচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বছরের শুরুতে তীব্র শীত ও মাঝামাঝি সময়ে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। নতুন কারিকুলামে জুলাই মাসে যে ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন হবে, তার প্রস্তুতি ভালো হয়নি। আমাদের কাছে খবর আছে, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সিলেবাস শেষ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ জুলাই পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৩ জুন পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে। অর্থাৎ, ২৪ জুন থেকে তারা ক্লাস নেবেন। ওইদিন অথবা একদিন আগে বা পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা আসতে পারে। এ নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে অফিস খুললে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া শনিবার পুনরায় ছুটি দেওয়া হতে পারে।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল ইসলাম চৌধুরীও সেরকম ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ঈদুল আজহার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এখন পর্যন্ত শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। আমরা চেষ্টা করছি, শনিবার যে বন্ধ পূর্বে ছিল, সেটা যাতে করে বলবৎ রাখতে পারি। ইতোমধ্যে আমরা (শিক্ষাবর্ষের) ক্যালেন্ডারের হিসাব নিয়েছি।

বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে স্কুল এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সূচি জানানো হয়। এটি শিক্ষাপঞ্জি নামে পরিচিত।


আরও খবর



কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন হলেন সোনিয়া গান্ধী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবারও কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক এবং দেশটির প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

দলীয় সংসদ সদসদ্যদের সর্বসম্মতিক্রমে এই পদে নির্বাচিত হন তিনি। রোববার (৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী শনিবার কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন হিসাবে সর্বসম্মতিক্রমে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বলে দলটির নেতারা জানিয়েছেন।

শনিবার সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে কংগ্রেস চেয়ারপারসন হিসেবে সোনিয়া গান্ধীর নাম ঘোষণা করেন দলটির সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এরপর সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানান বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেস সংসদ সদস্যরা। মূলত দলীয় সংসদ সদস্যদের সর্বসম্মতিতেই এই পদে পুনর্নির্বাচিত হলেন সোনিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ১৯৯৯ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এরপর থেকে টানা ২৫ বছর লোকসভার সংসদ সদস্য হওয়ার পর এই প্রথমবার রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে সংসদে গেছেন তিনি।

শনিবার চেয়ারপারসন হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, সোনিয়া গান্ধীজি পুনরায় সংসদীয় কমিটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়া আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের।

উল্লেখ্য, এদিন সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সোনিয়ার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, কে সি বেণুগোপাল, কার্তি চিদম্বরম, রাজীব শুক্লা, রণদীপ সুরজেওয়ালা, অজয় মাকেন, শশী থারুর, অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেসের সকল সংসদ সদস্যরা।

এদিকে শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করে প্রস্তাব পাস হয়েছে। বিরোধী দলনেতার পদ পেতে হলে লোকসভায় মোট আসনের ১০ শতাংশ পেতে হয়। অর্থাৎ ৫৫ জন সংসদ সদস্য প্রয়োজন পড়ে।

২০১৪ সালে এবং ২০১৯ সালে ন্যূনতম সেই সংখ্যাও জোগাড় করতে পারেনি কংগ্রেস। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার কংগ্রেসের হাতে ৯৯ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। ফলে ১০ বছর পর বিরোধী দলনেতা পাচ্ছে কংগ্রেস। অবশ্য সেই পদে রাহুলের নাম প্রস্তাব করা হলেও তিনি আদৌ এই দায়িত্ব নেবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।


আরও খবর



সংসদ নেতা হচ্ছেন মোদি, রাহুলের খবর কী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিজেপি বিরোধীদের নিয়ে ইনডিয়া জোট গঠন করেও ভারতে সরকার গঠন করতে পারছে না কংগ্রেস। তবে দেশটির প্রধান বিরোধীর আসনে কংগ্রেসই। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

আর এই বিষয়ে পাল্লা ভারী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধীর দিকেই। ভারত জোড়ো যাত্রা থেকেই রাহুলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে। আর সেটির প্রভাবই সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ভোটবাক্সে দেখা গেছে বলে কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি।

এই নির্বাচনে রায়বরেলি ও ওয়েনাড়- দুটি আসন থেকেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। স্বাভাবিকভাবেই এবার দেশটির সংসদেও রাহুল গান্ধী সামনে থেকে দলকে পরিচালনা করবেন; এমনটিই চান কংগ্রেস শিবিরের অনেকেই।

বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদের দায়িত্ব রাহুল গান্ধীকে নিতে কংগ্রেস সংসদ সদস্যরা দাবি জানাতে চলেছেন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে খুব দ্রুত কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকা হচ্ছে। আর সেই বৈঠকেই বিরোধী দলনেতার নাম চূড়ান্ত হবে।

প্রসঙ্গত, ভারতের সদ্য সমাপ্ত ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। কিন্তু সবার নজরে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের ফলাফল। বিশেষ করে নজর কেড়েছে কংগ্রেসের ফলাফল।

ভারতের এক সময়ের সবচেয়ে বড় এই দলটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে বসেছিল, তারাই আবার ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ১০০ আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। শেষবার এই দলটি আসনের নিরিখে তিন সংখ্যা পার করেছিল ২০০৯ সালে। সেই বছর ২০৬ আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। দ্বিতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছিলেন মনমোহন সিং।

মূলত ২০১৪ সালে ও ২০১৯ সালের নির্বাচনে যে হিন্দি বলয় থেকে ভোট হারিয়েছিল কংগ্রেস, ২০২৪ সালের নির্বাচনে সেখানেই আবার ধীরে ধীরে উত্থান হয়েছে দলটির। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে। তেলঙ্গানা ও কর্নাটকে শাসক দল হওয়ার সুবিধাও কিছুটা হলেও পেয়েছে কংগ্রেস। এছাড়া মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটেও আসন ছিনিয়ে নিতে পেরেছে কংগ্রেস। এর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ ও পাঞ্জাবেও তুলনামূলকভাবে ভালো ফল করেছে দলটি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন প্রথম এনডিএ সরকারে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেবার রাহুল গান্ধীকে এই পদ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি গ্রহণ করেননি।

এরপর মোদির নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় এনডিএ সরকারেও লোকসভার বিরোধী দলনেতার পদ গ্রহণ করেননি রাহুল। পরে এই পদে বসেন পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বর্তমানে মল্লিকার্জুন খাড়গে কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বপালন করছেন এবং রাজ্যসভায় প্রতিনিধিত্ব করছেন। আর অধীর চৌধুরী এবারের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।

ফলে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদে রাহুল গান্ধীর নামই জোরালো হচ্ছে। যদিও রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



বয়ফ্রেন্ডের ক্যামেরায় জাহ্নবী কাপুরের ছবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে অনেকদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্কে আছেন বলিউড অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে বেশ ঢাকঢোলও পিটিয়েছেন এই অভিনেত্রী। কারণ, শিখর পাহাড়িয়াকেই যে তিনি ভালোবাসেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিজের কিছু খোলামেলা ছবি প্রকাশ করে উষ্ণতা ছড়িয়েছেন জাহ্নবী। সেসব ছবিতে প্রেমিককে কৃতজ্ঞতা জানান এই বলিউড অভিনেত্রী। বিষয়টি অন্তত পরিষ্কার, এখন জাহ্নবী যেখানেই যান না কেন, সঙ্গে বয়ফ্রেন্ডকে নিয়েই যান। এ সময় জাহ্নবীকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন তার প্রেমিক; বয়ফ্রেন্ডের ক্যামেরার সামনে দিয়েছেন আদুরে পোজ। সরাসরি নাম না উল্লেখ করলেও যা পরোক্ষভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন এই অভিনেত্রী।

সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা ওই ছবিতে জাহ্নবী লিখেছেন, এটাই আমার সেরা ছুটি। এই মধুর স্মৃতিটা আমাকে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, এই মুহূর্তে বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে সঙ্গে বিলেতে পাড়ি দিয়েছেন শ্রীদেবী কন্যা। সেখানেই খোলামেলা পোশাকে বয়ফ্রেন্ডের কাছে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি শিখরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন জাহ্নবী। তিনি বলেন, আমি আমার প্রেমিকের ফোনে নিয়মিত নজর রাখি। কার সঙ্গে কথা বলছে, কী করছে, সব দেখি। জানি এগুলো করা ঠিক না, তাও করি।

তবে শিখর যদি তার ফোন দেখতে চায়, তাহলে এতে ঘোর আপত্তি থাকে শ্রীদেবী কন্যার।

শিখর পাহাড়িয়া মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধের নাতি। এর আগে কফি উইথ করণে মুখ ফসকে জাহ্নবী বলেই ফেলেন, শিখরকে আদর করে শিখু বলেই ডাকেন এই অভিনেত্রী। যদিও একসময় শিখরের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল জাহ্নবীর। এর কয়েক বছর পরে আবার তাদের সেই সম্পর্ক জোড়া লাগে। শিখরকে পারিবারিক বন্ধু বলেই পরিচয় দেন জাহ্নবী। জাহ্নবীর বাবা বনি কাপুরও শিখরকে খুব পছন্দ করেন।

বলিউডের নতুন সিনেমা মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি চলচ্চিত্রের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহ্নবী। গত ৩১ মে মুক্তি পায় চলচ্চিত্রটি। আর তা থেকেই নতুন করে আলোচনায় এই অভিনেত্রী।

নিউজ ট্যাগ: জাহ্নবী কাপুর

আরও খবর



নীলফামারীতে অতিরিক্ত গবাদী পশুর সংখ্যা এক লাখ ৩৩ হাজার ৯২টি

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী

Image

নীলফামারীর ছয় উপজেলায় দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি গবাদী পশু আসন্ন কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে প্রস্তত করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৫১ হাজার ৭২৮, সৈয়দপুরে ৪০ হাজার ২৫৫, ডোমারে ৪২ হাজার ৮০৬টি, ডিমলায় ৪৩ হাজার ৫০১, জলঢাকায় ৫২ হাজার ২২৮ ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৪৫ হাজার ৬৮৩টি গবাদী পশু রয়েছে। জেলার ছয় উপজেলায় ৩০ হাজার ৯৭২ খামারীসহ কৃষকের বাড়ীতে এসব পশু লালন পালন করা হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবার নীলফামারীতে গবাদী পশুর সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১ টি। অপরদিকে, জেলায় কোরবানীর ঈদে পশুর চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ১০৯ টি। চাহিদার চেয়ে এবার এক লাখ ৩৩ হাজার ৯২টি পশু অতিরিক্ত (বেশী) রয়েছে।

সুত্র জানায়, খড়, ঘাস, খৈল, চালের কুড়া ও ভূষি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন খামারীসহ কৃষকরা। প্রস্ততকৃত গবাদী পশু সর্বক্ষনিক দেখা শুনা করছেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ওষুধের অপব্যবহার, রাশায়নিক খাবার বর্জনসহ খামারীদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এছাড়াও কোরবানীর অনুপযোগি পশু ক্রয় বিক্রয় না করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি করে যাচাই টিম গঠন করা হয়েছে।

জেলা শহরের হাজি মহসিন সড়ক সংলগ্ন মোস্তাফিজার রহমান মুক্তি জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৩০টি গরু দেশীয় পদ্ধাতিতে খড়-ঘাস খাইয়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে। এবারে আমাদের দেশীয় গরু দিয়ে কোরবানীর হাট পরিপূর্ণ হবে। প্রচুর গরু রয়েছে কৃষক ও খামারীদের কাছে। আশা করি, এসব পশু ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে বেচাকেনা হবে।

রামনগর ইউনিয়নের বাহলীপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, এবার কোরবানীর জন্য দেশী জাতের ১২ টি গরু পালন করেছি। তবে খাদ্যের চড়া দাম (খড়, ঘাস, ভূষি) ও খামারে কাজের লোকের হাজিরা বেশী (প্রতিদিন ৭০০টাকা হাজিরা)। একটি গরুর পিছনে যে টাকা ব্যয় হয় তা পুশিয়ে নিতে কৃষক ও খামারীদের হিমশিম খেতে হবে।

ওই ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী মো. অলিয়র রহমান, হামিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর চেয়ে এবার গরুর দাম অনেক বেশী হবে। বাজারে এমনিতেই ৭০০ টাকা মাংসের কেজি। ফের খাওয়ার খরচ নিয়ে টানাটানি। তারপরেও গত বারের চেয়ে এবার দ্বিগুন দামে বিক্রিসহ প্রচুর গরু কেনা বেচা হবে। এতে কৃষক, খামারী, ব্যবসায়ী, ছোট ব্যবসায়ী (ফরিয়া দালাল) উভয় লাভবান হবে।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুল মালেক জানান, এবার সদরে প্রস্ততকৃত গবাদী পশুর সংখ্যা ৫১ হাজার ৭২৮টি। আশা করি, এই ঈদে গবাদী পশুর সংকট পড়বেনা। এতে খামারী ও ব্যবসায়ী উভয় লাভবান হবেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক বলেন, এবার কোরবানীর ঈদে দেশীয় পদ্ধাতিতে খৈইল, ঘাস ভূষি ও চালের কুড়া খাইয়ে গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করা হয়েছে। জেলার ছয় উপজেলায় দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি গরু প্রস্তত করা হয়েছে। চাহিদার তুলনায় একলাখ ৩৩ হাজার ৯২টি গবাদী পশু অতিরিক্ত রয়েছে। আশা করি ঈদুল আজহায় কোরবানীর পশুর ঘাটতি হবেনা।

নিউজ ট্যাগ: নীলফামারী

আরও খবর