আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে যে শহরের

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বসন্তের ছোয়া লেগেছে প্রকৃতিতে। শীতের হাত থেকে মুক্ত আকাশে পাখা মেলেছে পাখির দল। উড়ন্ত পাখিরা নির্ভয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে ফিরছে গাছের ডালে।

পাখ-পাখালির কথা উঠলেই চোখে ভেসে ওঠে সবুজে ঘেরা গ্রাম। শ্যামল-ছায়া আর সুনিবিড় সেই গ্রামজুড়ে থাকে পাখির কিচিরমিচির। তবে ইট-পাথরের শহরে কোলাহলের মাঝেও পাখিরা যে গলা ছেড়ে গাইতে পারে- তা চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না।

ঠাকুরগাঁও শহরের ব্যস্ততম এলাকা বাসস্ট্যান্ড তেমনই ব্যতিক্রমী একটি জায়গা। যেখানে পাখিরা খুঁজে পেয়েছে তাদের নিরাপদ আবাস। তাইতো ছোট দুই-তিনটি গাছেই প্রতিদিন বিকেল হলেই জড়ো হয় হাজার হাজার চড়ুই। সেই সঙ্গে সন্ধ্যা নামতেই কিচিরমিচির ছন্দে তাল মিলিয়ে মেতে ওঠে তারা। আবার ভোরের আলো ফুটতেই উড়াল দেয় অজানায়।

পশ্চিমে সূর্য ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুইপাখি আসে এই শহরের প্রাণকেন্দ্রে। আবার পূর্ব আকাশে ভোর হলেই বেরিয়ে পড়ে খাবারের সন্ধানে। এ যেন রোজকার রুটিন তাদের। শহরের যান্ত্রিকতা কিংবা কর্মব্যস্ত মানুষের ঘরে ফেরার শোরগোল ছাপিয়ে এই কলতান যেনো রঙ ছড়ায় পথের গল্পে, যা শুনে মুহূর্তের জন্য হলেও থমকে দাঁড়ায় পথিক। তাদের এমন ইতিউতি উড়াউড়ি আর খুঁনসুটি নাগরিক মন খুঁজে পায় গ্রামীন পরশ। হয়ে ওঠে ভীষণ রকম নস্টালজিক। যদিও গ্রামগঞ্জে দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে চড়ুই।

ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গোধূলি নামতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে গাছের দিকে পাখির দল। এরা গাছের এক ডাল থেকে আরেক ডালে ছোটাছুটি শুরু করে। কিচিরমিচির ডাকে মাতিয়ে তোলে পুরো শহর। সন্ধ্যা হলেই সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে যান পথচারীরা। যারা নতুন আসেন তারা দীর্ঘ সময় ধরে পাখির উড়াউড়ি দেখেন, মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন, তোলেন ছবিও।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক বছর ধরেই শহরের ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড চত্বরকে ঘিরে বিদ্যুতের তারে ও গাছের ডালে চড়ুই পাখির এমন বাড়ি দেখা যাচ্ছে। বিকেল হলেই এরা দলে দলে আসতে থাকে। শুরু হয় কিচিরমিচির, ওড়াউড়ি। রাত বাড়লে বিদ্যুতের খুঁটিকে ঘিরে ঘন হয়ে আসে। একসময় চুপ হয়ে যায়। হঠাৎ করে পাখি বলে মনেও হবে না। মনে হতে পারে, গোলাকার কোনো কিছু তারে তারে ঝুলে আছে। শীত, ঝড়-বৃষ্টি সব সময়ই এরা কমবেশি আছে। কোনো কারণে মানুষ বিরক্ত করলে মাঝেমাঝে তারা একটু-আধটু এদিক-ওদিক স্থান বদল করে। কিছুদিন পর আবার পুরোনো স্থানে ফিরে আসে।

ওয়াজেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেলে পাখিরা এখানে এসে আশ্রয় নেয়। সন্ধ্যায় পুরো এলাকা পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে। নির্বিঘ্নে রাত কাটায় আর ভোর হলেই উড়ে যায় এরা। দিনের শেষে আবার নীড়ে ফেরে।

পরিবেশ কর্মী এস.এম. মনিরুজ্জামান বলেন, আগে বাসা-বাড়িতে প্রচুর চড়ুই পাখি দেখা যেত। এখন পাকা ঘর হওয়ায় আর তেমন দেখা যায় না। শহরের বাসস্ট্যান্ড মৌড়ে অনেকগুলো চড়ুই পাখি। এরা বিদ্যুতের খুঁটি ও তারে রাত কাটায়। যান্ত্রিক শহরে একসঙ্গে এত পাখির চঞ্চলতা ভালোই লাগে।

ঠাকুরগাঁও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, গাছপালা, পশুপাখি প্রকৃতির ভারসাম্য ও বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। চড়ুই পাখিরা দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে ভালোবাসে। তাই এরা একসঙ্গে থাকে। শহরের বাসস্ট্যান্ড মোড়ে একটি গাছে হাজারো চড়ুই পাখি বসবাস করছে, এটি দারুণ ভালো লাগার বিষয়। এদেরকে আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর



সুন্দরবনে যাতে আর আগুন না লাগে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুন্দরবনের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেছেন তিনি। সোমবার (৬ মে) নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সন্তুষ্টির কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সুন্দরবনের আগুন লাগার বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়টি আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সচিব বলেন, বনের আগুন নেভানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না। এজন্য তারা এখন আগামী কয়েকদিন গভীর পর্যবেক্ষণে রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী অবহিত হওয়ার পর কার্যক্রমের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ কর্মী ফুলটাইম কাজ করেছেন। দেড়শয়েরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূর থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, গভীর জঙ্গলে রাতে কাজ করা যায়নি। দিনে কাজ করতে হয়েছে। ঝুঁকিও ছিল। সবগুলো মিলিয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং টাস্ক তারা কমপ্লিট করেছেন, এজন্য তারা (ফায়ার সার্ভিস) ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।


আরও খবর



ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনও তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লো মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।

তিনি বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।

তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।


আরও খবর



কাতারের আমির শেখ তামিম ঢাকায় আসছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। দুদিনের সফরে আজ তিনি বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা আসছেন। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকায় একটি সড়ক এবং একটি পার্কের নামাকরণ কাতারের আমিরের নামে করা হবে।

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে বাংলাদেশ গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে থাকে। তবে এবার ডলার সংকটের কারণে গ্যাসের দাম এক বছর পর্যন্ত বাকি রাখতে চায় বাংলাদেশ। এই প্রস্তাব কাতারের আমিরের সফরকালে দেওয়া হবে। তার সঙ্গে মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করবেন। এটি কাতারের আমিরের এশিয়া সফরের অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চতুর্থ মেয়াদের নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতার সফরটি রাজনৈতিকভাবেও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

সফরকালে যে ছয়টি চুক্তি সই হবে সেগুলো হলো-১. দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত ২. আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা ৩. সাগরপথে পরিবহণ ৪. উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ৫. দুই দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি এবং ৬. যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

এ ছাড়া যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে সেগুলো হলো-১. শ্রমশক্তি বিষয়ক ২. বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত ৩. উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা ৪. যুব ক্রীড়াক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক এবং ৫. কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এদিকে, ঢাকায় কালশি এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক এবং ইসিবি চত্বর থেকে কালশি উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানির নামে নামকারণ করা হবে। ২৩ এপ্রিল বিকালে কাতারের আমির নিজে উভয় স্থাপনার উদ্বোধন করবেন।

রাষ্টপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২২ ও ২৩ এপ্রিল ২০২৪ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি এই সফর করছেন। তিনি একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ হতে এটি প্রথম উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী। কাতার বঙ্গবন্ধুর সময়কালীন সময়ে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। গ্যাস আমদানির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব থেকে বাকিতে গ্যাস আমদানি করে বাংলাদেশ। কাতারের কাছ থেকেও বাকিতে গ্যাস আমদানির প্রস্তাব করা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের মার্চ ও মে মাসে দুইবার কাতার সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় অবস্থানে উপনীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করছেন।

সাম্প্রতিককালে কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি, বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে।

কাতারের আমির আজ বিকালে বিশেষ বিমানে ঢাকায় আগমন করবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার জানানো হবে।

আগামী ২৩ এপ্রিল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রথমে একান্ত বৈঠক এবং পরে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিন বঙ্গভবনে কাতারের আমিরের সৌজন্যে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।

কাতারের আমিরের এই সফর তার এশিয়া সফরের অংশ। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ কাতার সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। দেশটির শক্তিশালী অর্থনীতি, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও কূটনৈতিক তৎপরতা ও মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্রভাবশালী দেশ হিসাবে বিবেচিত।

কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, যেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিলের অধিকারী কাতার বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসাবে বিবেচিত। তদুপরি কাতার বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কাতারের আমিরের আসন্ন সফর তাই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্যে এক বিরাট মাইলফলক।


আরও খবর



ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১২টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ওমর আলী। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি তিনজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংশোধন পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন বলেন, আমার নামে যে মামলা ছিল তা আমার জানা ছিল না। এ ছাড়া আয় বিবরণীর হিসাব দেওয়া হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা তা খেয়াল করেননি। আপিল করার সুযোগ আছে। আমি আপিল করবো। আশা করি আমার মনোনয়ন বৈধ হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাই মন্ত্রী। স্বজন বলতে সন্তান-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আমার ভাই ওবায়দুল কাদের সাহেবও সেটা ক্লিয়ার করেছেন। আশা করি স্বজনের ভুল ব্যাখ্যা থেকে সবাই সরে আসবে।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন। একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাত হোসেন ছাড়া বাকি সবার মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।


আরও খবর



মুক্তিপণের বিষয়ে কথা না বলতে অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে : জাহাজের মালিকপক্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা উৎকণ্ঠার পর অবশেষে মুক্ত হয়েছেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

এদিকে উদ্ধারের পরপরই জাহাজ মুক্ত করতে দস্যুদের কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে এবং কীভাবে এসব টাকা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ওঠে। এ বিষয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় মালিকপক্ষকে।

এ বিষয়ে কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, আমি উদ্ধার প্রক্রিয়া হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মনোনীত প্রতিনিধি। আমাদের সঙ্গে ওদের কনফারেন্সিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। সেই অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু শেয়ার করতে পারব না। কারণ এটা আমি সই করেছি। উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আমরা আমেরিকান নিয়ম মেনেছি এবং ইউকে (যুক্তরাজ্য) ও সোমালিয়ার নিয়ম মেনেছি। ফাইনালি কেনিয়ার নিয়মও মেনেছি। সবার সঙ্গে আমাদের অ্যাগ্রিমেন্ট করা আছে এ বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। তবে আমি আবার বলি, আমরা সবকিছু আইন মেনে করেছি।

তবে এ বিষয়ে জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর উড়োজাহাজ থেকে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে ওঠে দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে তারা আশেপাশে কেউ আটক করছে কি না সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজটি থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর