আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ড. ইউনূসের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৩ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন হাইকোর্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬ মাসের সাজা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিলের রায় প্রকাশ করেছেন। রায়ে আদালত বলেছেন, সাজা কখনো স্থগিত হয় না।

গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দেয় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৩ মে ড. ইউনূসের জামিন ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩ (৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে পঁচিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।


আরও খবর



বেনজীরের পুকুরে চুরির সময় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জে জব্দ হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট থেকে চুরি করার সময় প্রায় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

শুক্রবার (৮ জুন) রাতে এসব মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা জমা দেয়া হয়েছে।

গত ২৭ মে বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি জব্দ (ক্রোক) এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাঁদের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। এর মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক রয়েছে। এরপর ২৬ মে একই আদালত বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ের স্থাবর সম্পদ ক্রোক, তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, উক্ত সম্পদের রিসিভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে সাভানা ইকো রিসোর্টে অবস্থিত পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ চুরি হচ্ছে বলে দুদক কর্মকর্তারা খবর পান। বিষয়টি দুদকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেন। এরপর দুদকের একটি টিম শুক্রবার সাভানা ইকো রিসোর্টে যান। এ সময় রিসোর্টের ভেতরে ২০ একরের একটি পুকুরে মাছ ধরতে দেখেন তারা। দুদক টিম আসার খবর পেয়ে আসামিসহ অন্যরা পালিয়ে যান। এ সময় ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া ও ৩৭.৫০ কেজি কাতলা মাছ জব্দ করা হয়। পরে তা নিলামে তুলে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকায় বিক্রি করা হয়।

মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরছেন। বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গোপালগঞ্জে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল সদর থানায় মামলা করেন। এতে রিসোর্টের মৎস হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়।

সার্ভার জটিলতার কথা বলে গত ৩ জুন থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধের ঘোষণা করে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকার সময়ে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সুস্থ মানুষ দরকার: আতিক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সুস্থ মানুষ দরকার বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

শুক্রবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর হাতিরঝিলে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাব আয়োজিত জয় বাংলা ম্যারাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখতে এই আয়োজন সবার মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে মেধাবী ও সুস্থ মানুষ দরকার। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধুলা ও শরীর চর্চা আবশ্যক।

এ সময় তিনি দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির বিকাশে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ডিএনসিসি মেয়র ম্যারাথনে নিজে অংশ নিয়ে প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করেন। তিনি দীর্ঘ ৭ কিলোমিটার পুরো হাতিরঝিল এক রাউন্ড দৌড়ান।

ম্যারাথন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

ঢাকা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ অ্যাথলেটিক্স অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি অ্যাডিশনাল আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।


আরও খবর



ফের আদালতে ধাক্কা খেলেন কেজরিওয়াল, জামিন স্থগিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির হাইকোর্ট তার জামিনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এতে করে নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েও আপাতত জেল থেকে বের হওয়া হচ্ছে না তার। শুক্রবার (২১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মদ নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দেয়। শুক্রবার দিল্লির তিহাড় জেল থেকে তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু তার আগেই জামিনের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর সেখানেই আপাতত নিম্ন আদালতের জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, নিম্ন আদালতে কেজরিওয়ালের জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন ও বিচারপতি রবীন্দর দুদেজার ভ্য়াকেশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে ট্রায়াল কোর্টের জামিনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলার শুনানি না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই রায়ে (জামিন) স্থগিতাদেশ থাকবে।

হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত আদালতের কাছে রিলিজ অর্ডার এসে পৌঁছয়নি। কোন শর্তে কেজরিওয়াল জামিন পেয়েছেন, তাও জানা নেই।

এদিকে ইডির পক্ষ থেরকও এদিন আদালতে দাবি করা হয়েছে, রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে শুনানির সময় ইডির আইনজীবী বা সলিসিটর জেনারেলকে গতকাল বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ইডির পক্ষ থেকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে দাবি করা হয়েছিল, অন্তত ৪৮ ঘণ্টার জন্য জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। তবে সেই আবেদন মানেনি আদালত।

অন্যদিকে কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির দাবি, এর আগে এই মামলার শুনানি হয়েছে। ৭ ঘণ্টা ধরে শুনানি চলেছে। তখন বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন ইডির আইনজীবীরা। তবে যাই হোক, দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কেজরিওয়ালের জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। ফলে নিম্ন আদালতে জামিন পেলেও, জেল থেকে আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে দিল্লির সরকার একটি মদ নীতি গ্রহণ করে। এরমাধ্যমে শহরটিতে মদ বিক্রি আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে অভিযোগ উঠে এই নীতি ব্যবহার করে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর এই অভিযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কিন্তু লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ১০ মে কেজরিওয়ালকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়। ওই সময় জেল থেকে বেরিয়ে তিনি দিল্লিতে দলের জন্য নির্বাচনী প্রচারণা চালান। তবে লোকসভায় তার দলের কোনও প্রার্থীই জয় পাননি।


আরও খবর



নারীর জীবনমাত্রার মান হ্রাস পায় এন্ডোমেট্রিওসিস রোগে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে সামাজিক, জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক অবস্থাও প্রভাবিত হয়। এ রোগের কারণে একজন নারীর গুরুতর ব্যথা, ক্লান্তি, বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও বন্ধ্যাত্বের কারণে জীবনযাত্রার মান হ্রাস হতে পারে। এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত কিছু নারী প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন যার কারণে তাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে তারা স্কুলেও যেতে পারে না। এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে সহবাসের সময় অসহ্য ব্যথা অনুভূত হয়। যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের সঙ্গীদের যৌন স্বাস্থ্যও প্রভাবিত হয়।

এখনো অনেক দেশের সাধারণ জনগণ এ রোগ সম্পর্কে অবগত নয়। সেসব দেশের সামনে সারিতে থাকা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরাও এ রোগ সম্পর্কে জানে না। মাসিকের সময় প্রচণ্ড ব্যথা হলেও তা নিয়ে সতর্ক থাকে না তারা । যার কারণে অনেকের সঠিক সময়ে ডায়াগনস্টিকের অভাবে এ রোগ ধরা পড়ে না।

প্রাথমিক অবস্থায় সচেতনতা তৈরি করলে অনেকেই এ ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে পারে। ডায়াগনস্টিক দেরিতে হওয়ার কারণে নন-স্টেরয়েডাল ব্যথানাশক (ব্যথানাশক), মৌখিক গর্ভনিরোধক এবং প্রজেস্টেরন-ভিত্তিক গর্ভনিরোধকসহ উপলব্ধ চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে আক্রান্তরা অবগত থাকে না। অনেক দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সীমিত ক্ষমতার কারণে, যাদের প্রয়োজন তাদের জন্য বিশেষ অস্ত্রোপচারের সুবিধাও থাকে না। এছাড়া বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় এন্ডোমেট্রিওসিসের প্রাথমিক অবস্থা নির্ণয় ও কার্যকর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সরঞ্জামগুলোর অভাব রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এন্ডোমেট্রিওসিসের গুরুত্ব এবং মানুষের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, জীবনের মান এবং সামগ্রিক সুস্থতার ওপর এর প্রভাব নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে। ডব্লিউএইচওর মূল লক্ষ্য এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলোর সমাধান করা।

বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয়, এন্ডোমেট্রিওসিস মোকাবেলায় কার্যকর নীতি ও হস্তক্ষেপের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে এবং সমর্থন করতে বেশকিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ডব্লিউএইচও। এ লক্ষ্য অর্জনে  ডব্লিউএইচওর একাধিক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে। যার মধ্যে রয়েছে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংস্থা। জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয়ভাবে এন্ডোমেট্রিওসিস প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও যত্নের কার্যকর মডেল শনাক্ত করতে বিভিন্ন গবেষণায় জড়িত রয়েছে। ডব্লিউএইচও এন্ডোমেট্রিওসিসের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, নীতি ও পরিষেবার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। এ বিষয়ে সুশীল সমাজ ও এন্ডোমেট্রিওসিস রোগীর সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করে। ডব্লিউএইচও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দেশ ও অঞ্চল-নির্দিষ্ট এন্ডোমেট্রিওসিস প্রাদুর্ভাব ডাটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের সুবিধার্থে এবং সমর্থন করার জন্য প্রাসঙ্গিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করছে।


আরও খবর



কলকাতার বাগজোলা খাল থেকে এমপি আনারের হাড় উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে কলকাতার কৃষ্ণমাটি সেতু সংলগ্ন এলাকার বাগজোলা খাল থেকে কিছু হাড় উদ্ধার করেছে কলকাতার সিআইডি। সঙ্গে ছিল পুলিশ ও নৌবাহিনীর ডিএমজি টিম। তবে হাড়গুলো এমপি আনারের কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। রোববার সকালে এ অভিযান চালানো হয়।

শুক্রবার (৭ জুন) এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়ামকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। পরদিন শনিবার তাকে ১৪ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালত।

শনিবার সারারাত ধরে সিয়াম হোসেনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালান সিআইডির কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম হোসেন সিআইডিকে বেশ কিছু তথ্য জানান। রোববার সকালে সিয়াম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বাগজোলা খালে আসেন সিআইডি কর্মকর্তারা। যে স্থানে এমপি আনারের দেহাংশ ফেলা হয় সেই স্থানটি দেখিয়ে দেন সিয়াম হোসেন। তারপর সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর তিন সদস্যের দল ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে তল্লাশি অভিযান চালান।

তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করা হয়। হাড়গুলো উদ্ধার করে ফরেনসিক টেস্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে সিআইডি। তবে সেই হাড়গুলো মানুষের না অন্য কিছুর তা জানা যাবে, ফরেনসিক পরীক্ষার পর।

সিয়ামের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা।), ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট) এবং ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা)- এই চার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয় সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে গত ২৮ মে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। তবে সেগুলো এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ কি না সেটা এখনো নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ।


আরও খবর