আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

ড. ইউনূসকে ৫ বছরের ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১১ সাল থেকে পরবর্তী ৫ পাঁচ বছরের জন্য তাকে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।

কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে গত বছরের জুনে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে কর বকেয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে নিজের অবস্থান পরিস্কার করা হয়।

ইউনূস সেন্টার বলছে, প্রফেসর ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের অর্জিত টাকা। তার উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রি লব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি বা শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ২টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করেছেন।

একটি ট্রাস্ট করলেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট এবং অল্প কিছু টাকা দিয়ে (মোট টাকার ৬ শতাংশ) উত্তরসূরীদের কল্যাণের জন্য করলেন ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট। ফ্যামিলি ট্রাস্টের মূল দলিলে এই রূপ বিধান রেখে দিলেন যে তার পরবর্তী এক প্রজন্ম পরে এই ট্রাস্টের অবশিষ্ট টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল ট্রাস্টে ফিরে যাবে। তিনি এটা করলেন যাতে তার বর্তমানে ও অবর্তমানে টাকাটা ট্রাস্টিদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে থাকে এবং তারা ট্রাস্ট ২টির লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৎপর থাকে।

দানকর দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের নিজের টাকা নিজের কাছে রেখে দিলে তাকে কম ট্যাক্স দিতে হতো। কারণ ব্যক্তিগত করের হার প্রতিষ্ঠানিক করের হারের চেয়ে কম। দানকরের প্রসঙ্গটি তুলেছেন তার আইনজীবী। আইনপরামর্শক বলেন, ট্রাস্ট গঠনের কারণে তাকে দানকর দিতে হবে না। কারণ বড় ট্রাস্টটি জনকল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত। ফ্যামিলি ট্রাস্টের ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দিলেন যে, এরকম ক্ষেত্রে (অর্থাৎ প্রফেসর ইউনূসের অবর্তমানে তার সম্পদের কী হবে, সে চিন্তায় যদি তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে) তাকে কোনো কর দিতে হবে না। কারণ এটা হবে তার অর্জিত টাকার একটি সুব্যবস্থা করে যাওয়া।

আইনজীবীর পরামর্শের ভিত্তিতে টাকা স্থানান্তর করার সময় প্রফেসর ইউনূস কোনো কর দেননি। কিন্তু তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করার পর কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানালেন যে, এক্ষেত্রে তাকে কর দিতে হবে। রিটার্নের যেখানে তিনি দানের তথ্যটি উল্লেখ করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা তার ওপর দানকর ধার্য করে দিলেন। তিনি টাকার অঙ্কটা রিটার্নসে উল্লেখ করায় কর কর্মকর্তা তা দেখে কর আরোপ করেছেন। আইন পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রফেসর ইউনূস এ ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত চাইলেন। আদালত কর দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।

এখানে তার কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কর দিতে হবে কি না, এ ব্যাপারে তার পক্ষ থেকেই আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়েছিল। আদালতে সরকার যায়নি, প্রফেসর ইউনূস গিয়েছেন। কর বিভাগ কোনো পর্যায়ে বলেনি যে প্রফেসর ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন। এখানে কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্ন উঠেনি। প্রশ্ন ছিল আইনের প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে। এখন প্রফেসর ইউনূস বিবেচনা করবেন তিনি কর পরিশোধ করবেন নাকি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত চাইবেন। করের আইন যদি এক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য না হয়, প্রফেসর ইউনূস তাহলে সে টাকাটা জনহিতকর কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এই হলো কর নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার পেছনে তার উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে প্রফেসর ইউনূস ট্রাস্টের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করেন। বিষয়টি মোটেই সত্য নয়। তার বিদেশ ভ্রমণের সব ব্যয় আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। শুধু তাই নয়, প্রতি ভ্রমণে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তিকে সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ব্যয়ও আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। প্রফেসর ইউনূসের বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যয় তার কোনো ট্রাস্টকে বা তাকে বহন করতে হয় না। কখনো কখনো তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট উড়োজাহাজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে টাকা খরচের চিন্তা তাকে কখনো করতে হয় না।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বায়েজিদ বস্তিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে বায়েজিদের শ্যামল ছায়া এলাকায় এ আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করেছে। এরইমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে আগ্রাবাদ কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ শ্যামল ছায়া এলাকার ওই বস্তিতে প্রায় ১৫টি কাঁচা বসতঘর ছিল। দুপুরে ওই বস্তিতে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন বলেন,  রোববার ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এ মুহুর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই বস্তিতে ১৪-১৫টি এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘর রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।


আরও খবর



গরম কমাতে কী কী করেছেন, জানালেন চিফ হিট অফিসার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গরমের তীব্রতা বাড়ায় শনিবার থেকে সারা দেশে চলছে তিন দিনের হিট অ্যালার্টের সতর্কতা। সোমবার সেটি আরও ৭২ ঘণ্টার জন্য বাড়ানো হয়েছে। তীব্র গরমে রাজধানী ঢাকাসহ গোটা দেশের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে, কী করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন?

এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়া বুশরা দেশের একটি টিভি চ্যানেলের মুখোমুখি হয়ে নিজের কাজ ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সবাইকে একসাথে নিয়ে হিট মোকাবিলা করবো, এটাই আমার কাজ। তবে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করছি না, আমাকে সিটি করপোরেশনের অধীনে কাজ করতে হচ্ছে। উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে প্রায় ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষের বসবাস, শহর খুব দ্রুত বড়ো হচ্ছে। পরিস্থিতিও খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, হিট নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে এখানে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন।

অনুন্নত এলাকায় গরমের প্রকোপ বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর আমরা শহরের অনুন্নত অন্তত ১৫টি এলাকায় সবুজায়ন প্রোগ্রাম করেছি। যেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে সবুজায়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আমরা বুঝিয়েছি, নিজে ও পরিবারের সদস্যদের কীভাবে তীব্র গরম থেকে বাঁচাতে পারবো।

গত বছর হিট মওসুমে নিয়োগ হওয়ায় তখন বেশি কাজ করতে পারেননি জানিয়ে বুশরা বলেন, কাজ শুরু করলে রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। আস্তে আস্তে এই পরিবর্তনের ফল পাওয়া যাবে। তবে পরিকল্পনা তিনি নিজে বাস্তবায়ন করতে না পারায় সময় বেশি লাগছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ পেলেও টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করতে বেশি সময় লেগে যায়। এছাড়া আমলাতন্ত্রও কাজের ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে জানান বুশরা।

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন তীব্র গরম থেকে বাঁচতে জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি চাইলেও একরাতে সব পরিবর্তন করে দিতে পারবো না। গরমে বেশি বেশি পানি পান ও শরীরের প্রতি নজর রাখতে হবে। যেহেতু এমন গরম আগে বাংলাদেশে ইতিহাসে হয়নি, তাই এই পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে আগের অভ্যাস বাদ দিতে হবে।

মানুষকে সচেতন করতে একটি সহজ ভাষায় ছবি সম্বলিত বুকলেট প্রকাশের কাজ চলছে বলে জানান এই চিফ হিট অফিসার। তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হবে, এমন প্রত্যাশা করা উচিত হবে না। আমি মনে করি, সব আলোচনাই ইতিবাচক। সমালোচনার দিকে নজর না দিয়ে কাজ করেই সময় পার করছেন বলেও জানান বুশরা আফরিন।

নিউজ ট্যাগ: বুশরা আফরিন

আরও খবর



স্কুল-কলেজের সভাপতি হতে লাগবে এইচএসসি পাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক ও কলেজগুলোর ম্যানেজিং কমিটির নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে গেজেট জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধন করা হয়েছে বর্তমান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালাও।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তুরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪ জারি করা হয়।

এতদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সভাপতি ও সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারিত না থাকলেও নতুন নিয়মে হতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পাস। এছাড়া একইসঙ্গে এক ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবিধানমালা-২০২৪ এর তৃতীয় অধ্যায়ে ম্যানেজিং কমিটি বিষয়ে বলা হয়েছে, নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব একটি ম্যানেজিং কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে।

১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন হবে।

(ক) একজন সভাপতি।

(খ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত ২ জন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

(গ) নিম্নমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষকের ভোটে নির্বাচিত ২ জন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি।

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি এবং প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভোটে একজন সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

(ঘ) মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, মাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি। তবে শর্ত থাকে যে, মাধ্যমিক স্তরের কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকলে, মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি উভয় স্তরের মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।

(ঙ) নিম্নমাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, নিম্নমাধ্যমিক স্তরের কেবল মহিলা শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি থাকবে।

ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ হবে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ২ বছর।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কোনো ব্যক্তি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহ পুড়ছে সারাদেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও দাবি করছে দপ্তরটি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন (৩৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত জাকির হোসেন দামুড়হুদার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী ছিলেন।

তাছাড়া আজ শনিবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন একজন। শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনার শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিএনপি: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর