আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করল সরকার

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ডেঙ্গু পরীক্ষায় এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৩০০ টাকা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।আজ রোববার দুপুরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সভাকক্ষে কমিউনিটি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে পর্যালোচনা শীর্ষক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য এনএস-১ অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকা ফি নেওয়ার বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। একইসঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালে ৩০০ টাকা নিতে বলা হয়েছে। এটিই এখন থেকে বলবৎ থাকবে।

এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে সে সময় বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা সেবা চালু করা হয়। তবে এখন থেকে এনএস-১ পরীক্ষার জন্য ১০০ টাকা, সিবিসি পরীক্ষায় ২৫০ টাকা এবং আইজিএমের জন্য ২৫০ টাকা করে নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে জানা যায়, নভেম্বর মাসের প্রথম ৬ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ৩ নভেম্বর একদিনে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ গেছে ১৬৭ জনের।


আরও খবর



নওগাঁয় ৪০০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁর বদলগাছীতে পৃথক অভিযানে ৪০০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট এর চৌকস আভিযানিক দল। শনিবার সকালে র‌্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-৫।

চকবনমলী এলাকা হতে ২৮০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ চকবাড়িয়া গ্রামের নওগাঁ সদর উপজেলার মোঃ গফুরের মেয়ে মোছাঃ মাহফুজা বেগম (৪৬), চকরামচন্দ গ্রামের নওগাঁ সদর উপজেলার মোঃ গফিরের মেয়ে মোছাঃ নাহার বেগম (৪০) কে গ্রেফতার করা হয় এবং মথুরাপুর এলাকা হতে ১২০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ গয়েশপুর গ্রামের নওগাঁ বদলগাছী উপজেলার মোঃ দেলোয়ার হোনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রুবেল হোসেন (৩১)কে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা সকলেই চিহ্নিত মাদক কারবারী। তারা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। গতকাল শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীদেরকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় পৃথক অভিযানে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন চকবনমালী ও মথুরাপুর এলাকা থেকে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল আটক করে। পরবর্তীতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে উক্ত আসামীদেরকে তল্লাশি করলে তাদের নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৪০০ পিচ ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার করা হয়।

মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ ধরনের সব সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই এবং জানাবো। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সেই সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সেই ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সেই বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, তেমন তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও আমরা অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। এই কঠিনটা যাতে সহজতর হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্যি, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। এই অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এই কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়েও বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুততম সময়ে সংসদে পাশ করার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও আইনকানুন নেই। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। তবে আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতা যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। এবং আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে। আমরা (সরকার) মনে করি, গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কারণ যেসব সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটি তারা দেখিয়ে দেন এবং আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখবো না। এই ধরনের সেনসেটিভ অ্যান্ড সিক্রেট ইনফরমেশন প্রটেকশনের আইন সবদেশে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে যেগুলো মানুষের জানার অধিকার আছে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখবে। কাজেই একটি সিস্টেম করতে হবে যাতে সব তথ্য তারা অবহিত করতে পারে, আবার সংবেদনশীল তথ্য প্রটেকশনটাও রাখা জরুরি। আমরা এটি ঘেটে দেখছি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট করে। সাংবাদিকদের এক্সেস কতটুকু আছে? আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার মধ্যে আমরা সবকিছু রাখার চেষ্টা করবো।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হানিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


আরও খবর



নির্বাচনের পর সংকট আরও বেড়েছে: ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সরকার মনে করেছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট উতরে যায়নি, আরও গভীর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে নিজের স্বাস্থ্যের অবস্থা তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের পূর্বে বহু নেতাকর্মীকে একতরফা সাজা দিয়েছে আদালত। এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে বিএনপি। বিনা শুনানিতেও সাজা দিয়েছে সরকার। এখনো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কারাগারে রয়েছেন। চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে সাজা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণ করতে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন না থাকে। মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসার স্থল হচ্ছে কোর্ট, কিন্তু সেখানেও কেউ কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।

৫২৭টি ভারতীয় পণ্যে বিষাক্ত উপাদান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিটি দেশেরই উচিত, নিজ নিজ দেশে আমদানি পণ্য পৌঁছার পর পণ্যের নিরাপত্তা মান পরীক্ষা করা। আমদানি করা পণ্য সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছানো মাত্রই জনগণের ক্রয়ের জন্য বাজারে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত নয়। কারণ, এর আগেও ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ১২১টি ভারতীয় পণ্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপরও পণ্যের উৎস দেশটি এই পণ্যগুলো ত্রুটিমুক্ত করার জন্য জন্য কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

মির্জা ফখরুল, হংকং এবং সিঙ্গাপুর তাদের দেশে ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসের গুঁড়া মসলা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সিঙ্গাপুরও দেশটির বাজার থেকে এভারেস্টের গুঁড়া মসলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে। হংকং ভারতীয় দুই কোম্পানির গুঁড়া মসলায় ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক ইথিলিন অক্সাইড শনাক্ত হওয়ার পর দেশ দুটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে সভা মনে করে, জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশেরও উচিত দেশে আমদানি করা প্রতিটি পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা পণ্যের মান যাচাই করে নেওয়া। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্য বাজারে ছাড়া উচিত নয়।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ একটি ব্যর্থরাষ্ট্র। সরকার পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। একটি রাষ্ট্র ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে যায়, রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। গোটা রাষ্ট্র একটি নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঘুস ছাড়া চাকরি হয় না। তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের ছাড়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা টাকা পাচার করে সেটি বিনিয়োগ করেছে বিদেশে। অথচ বাংলাদশের মানুষের অবস্থা খারাপ।

বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এটি বললে আওয়ামী লীগের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। কিন্তু এটি সত্য। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। সার্বক্ষণিক মেডিকেল পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

মার্কিন সহকারি মন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কে এলো তাতে ইন্টারেস্ট নেই। জনগণই বিএনপির শক্তি। সরকার মনে করছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে।


আরও খবর



২০২৭ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।

আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম চূড়ান্ত হতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তারা। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার আশা, সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।

শুক্রবার ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।

এর নেপথ্য কারণ, টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের সম্ভাব্যতা, বাণিজ্যিক বিষয়াদি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সুযোগসুবিধা ও আবাসনের মতো বিষয়। এ ছাড়া ২০১৪ পুরুষ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ব্রাজিল।

ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে আয়োজন হয়ে আসছে ফিফা নারী বিশ্বকাপ। সর্বশেষ গত বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে মঞ্চস্থ হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। এ ছাড়া সর্বোচ্চ চারবার বিশ্বকাপ জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে লাতিন কোনো দেশ এখনো পর্যন্ত একবারও শিরোপার স্বাদ পায়নি। এবার বড় সুযোগ তাদের সামনে।


আরও খবর



তানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১৫৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আর এই কারণে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তানজানিয়ার সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মাজালিওয়া বলেন, ১৫৫ জন নিহত ছাড়াও ২৩৬ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

উত্তর তানজানিয়ার সিহা জেলার একজন বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেন, তার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার কিছুই অবশিষ্ট নেই, সবকিছু ভেসে গেছে।’

অন্যদিকে কেনিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো সেনাবাহিনীকে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত এই দেশটিতেও ভারী বৃষ্টিপাত রাজধানী নাইরোবিসহ দেশের বড় অংশে আঘাত হেনেছে এবং কিছু বস্তি এলাকার বাড়িঘর, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য জিনিসপত্রসহ বহু জিনিস পানিতে ভেসে গেছে।

এই সপ্তাহে কেনিয়ায় ১০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আর গত মার্চ মাস থেকে দেশটিতে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রেড ক্রস জানিয়েছে।

এছাড়া বুরুন্ডিতে, ভারী বর্ষণে প্রায় ১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


আরও খবর