আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৯৫০

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত একদিনে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ডেঙ্গুতে এ বছর ৯৫৮ জনের মৃত্যু হলো।

এদিকে গত এক দিনে নতুন করে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯৫০ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭২৬ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২২৪ জন।

বুধবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ৯৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৫৩৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮১ হাজার ২১৬ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৬১৫ জন।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর করতে সবাইকে কাজ করতে হবে’

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর করতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে হাছান মাহমুদ নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) এ নির্বাচন প্রস্তুতি উপলক্ষে দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, সবাই যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় তার জন্য ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে। প্রত্যেক ভোটারের কাছে ভোটার কার্ড পাঠাতে হবে। ভোটাররা যেনো ভোট কেন্দ্রে এসে উৎসবের আমেজে ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় হাছান মাহমুদ নিজ আসনের এই কমিটির সদস্যদের বলেন, কোনো ভোটকে হালকাভাবে নিতে নেই। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন, ভোটের আগেই জিতে যাওয়া জেতা নয়। তাই ভোটের আগে দয়া করে কেউ জিতে যাবেন না। কারণ পিঁপড়ার শক্তিও কিন্তু শক্তি। নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতেও তাই কাউকে বাদ দিতে নাই, সবাইকে রাখতে হবে। সেভাবেই সবাইকে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন>> নিষেধাজ্ঞা এলে বিএনপির ওপর আসা উচিত : কাদের

নির্বাচনকে উৎসবমূখর করতে উঠান বৈঠক, পাড়া বৈঠক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে ভোটের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি করতে হবে, না হয় মানুষ ভোট দিতে উৎসাহবোধ করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমজনতাকে ভোটের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইনশাল্লাহ আমরা একটা উৎসবমুখর ভোট করবো। মানুষ লাইন ধরে একেবারে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দেবে। ভোটার উপস্থিতির ক্ষেত্রেও যেন রেকর্ড করতে পারি, সে জন্য ভোটারদের উৎসাহ দিতে হবে। বাংলাদেশ যাতে রেকর্ড করে আমরা সেরকম একটা রেজাল্ট করতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে সবাইকে।

সভায় আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খাঁন, ইফতেখার হোসেন বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ মাহমুদ, মাস্টার আসলাম খান ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।


আরও খবর



নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত বছর জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে টেস্টে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। কিউইদের ঘরের মাঠে টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব দেখালেও নিজেদের ঘরের মাঠে কৃতিত্বটা এবারই প্রথম অর্জন করার পথে দাঁড়িয়েছিলো টাইগাররা। ঐতিহাসিক সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় চতুর্থ দিন শেষ করেছিলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। পঞ্চম দিন প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩ উইকেট।

আজ সকালে সিলেটের লাক্কাতুরায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসতে খুব বেশি সময় লাগলো না। প্রথমে বড় বাধা হয়ে থাকা ড্যারিল মিচেলকে ফেরালেন নাইম হাসান। এরপর টিম সাউদিকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূরণ করেন তাইজুল ইসলাম। শেষ উইকেট হিসেবে ইশ সোধিকে ফিরিয়ে দিয়ে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানের ব্যবধানে হারানোর ঐতিহাসিক ক্ষণের জন্ম দিলো বাংলাদেশ।

২০১৬ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে টেস্টে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর বড় দলকে হারানোর অভিজ্ঞতা হয়েছিলো গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে। ঘরের মাঠে ২০১৭ সালের পর এই প্রথম বড় কোনো দলের বিপক্ষে টেস্টে জয় পেলো বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ইনিংস শেষে নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। স্পিনারদের তোপের মু্খে খেই হারিয়ে ১৮১ রানেই গুটিয়ে গেছে কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংস। তাইজুল ইসলাম শিকার করেছেন ৬ উইকেট। ফলে ১৫০ রানের জয় পেয়েছে টাইগাররা।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩১০ রান করেছিল বাংলাদেশ। ওই ইনিংসে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক করেন ৩৭ রান করে। শেষ দিকে উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান খেলেছেন ২৯ রানের ইনিংস।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ থেকে ৭ রান এগিয়ে ৩১৭ রানে গিয়ে থামে সফরকারীদের প্রথম ইনিংস। ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন কেন উইলিয়ামসন। ড্যারিল মিচেল করেছেন ৪১ রান। গ্লেন ফিলিপস খেলেছেন ৪২ রানের ইনিংস। শেষদিকে নেমে কিউইদের স্কোরবোর্ডে ৩৫ রান যোগ করেন টিম সাউদি।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৩৩৮ রান করে বাংলাদেশ। শান্ত করেছেন ১৯৮ বলে ১০৫ রান। মুশফিকুর রহিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ হাঁকিয়েছেন ফিফটি। ১১৬ বলে ৬৭ রান করেছেন মুশফিক। ৫০ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। এছাড়া অভিজ্ঞ মুমিনুল হক খেলেছেন ৪০ রানের ইনিংস।

৩৩২ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় খেলতে নেমে ১৮১ রানের অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে একমাত্র ফিফটি হাঁকান ড্যারিল মিচেল। ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন এই কিউই ব্যাটার। শেষ দিকে ৩৪ রান করেন টিম সাউদি। ডেভন কনওয়ে ও ইশ সোধি করেছেন ২২ রান করে।

দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের মোট রান হয়েছে ৬৪৮ রান। অপরদিকে দুই ইনিংসে কিউইরা করেছে ৪৯৮ রান। ফলে ১৫০ রানে জয় পায় টাইগাররা।

বাংলাদেশের হয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট (৪+৬) শিকার করেছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হক তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট পাননি। মিরাজ মোট পেয়েছেন ২ উইকেট (১+১)। নাইম হাসান মোট ৩ উইকেট (১+২) ও শরিফুল মোট ২ উইকেট (১+১) পেয়েছেন।

কিউইদের হয়ে অ্যাজাজ প্যাটেল ৬ উইকেট (২+৪) শিকার করেছেন। গ্লেন ফিলিপস ৫ উইকেট (৪+১), ইশ সোধি মোট ৩ (২+১), টিম সাউদি মোট ২ (১+১) ও কাইল জেমিসন মোট ২ (২+০) উইকেট শিকার করেছেন।


আরও খবর
তীরে এসে তরি ডোবাল বাংলাদেশ

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




‘আমরা আশা করছি দ্রুতই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে’

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার সদস্যপদ স্থগিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে দুর্নীতির অভিযোগ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপ নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল।

শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে শ্রীলংকার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। ১৯৮১ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পেয়েছিল শ্রীলংকা।

আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিসি বোর্ড আজ সভায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলংকা ক্রিকেট সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে ক্রিকেট প্রশাসনকে সরকারি হস্তক্ষেপের বাইরে থাকার প্রয়োজন ছিল। সময়মতো এই স্থগিতাদেশের শর্তগুলো জানিয়ে দেবে আইসিসি বোর্ড।

বিশ্বকাপে এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী কমিটির পদত্যাগ দাবি করেছিলেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান ফার্নান্দো। এক বিবৃতিতে ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, শ্রীলংকার ক্রিকেট অফিসিয়ালদের পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিত।

শ্রীলংকার ক্রীড়া আইন অনুযায়ী অন্য খেলার মতো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থাকবে এসএলসি। কিন্তু আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডে সরকারি কোনো হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না। যে কারণে চাইলেও খুব একটা প্রভাব দেখাতে পারে না মন্ত্রণালয়। ২০১৪ সালে নির্বাচিত বোর্ড ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন এক কমিটি গড়েছিল শ্রীলংকা সরকার। তখন আইসিসি শ্রীলংকার প্রাপ্য অর্থ প্রদান স্থগিত করেছিল।

আইসিসি নিষেধাজ্ঞা দিলেও সেই নিষেধাজ্ঞা খুব দ্রুতই উঠে যাবে এমন আশা ব্যক্ত করেছে শ্রীলংকার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি দ্রুতই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এতে করে আমরা আবার অনুশীলন শুরু করতে পারবো। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারাটাও আমাদের জন্য বিশেষ কিছু হবে।


আরও খবর
তীরে এসে তরি ডোবাল বাংলাদেশ

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩




বঙ্গবন্ধু টানেলে একমাসে পাড়ি দিল পৌনে দুই লাখ গাড়ি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে সর্বসাধারণের গাড়ি চলাচলের একমাস হয়ে গেল। ২৯ অক্টোবর ভোর ৬টায় এই টানেল দিয়ে প্রথমবারের মতো গাড়ি চলাচল শুরু হয়।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ছয়টা পর্যন্ত, ৩০ দিনে এই টানেল হয়ে চলাচল করেছে এক লাখ ৭৫ হাজার ১৯৭টি যানবাহন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা জানিয়েছেন, এসব যানবাহনের কাছ থেকে টানেল ব্যবহারের বিপরীতে একমাসে চার কোটি ১২ লাখ ২১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবর টানেলটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিন ভোর ছয়টা থেকে শুরু হয় সর্বসাধারণের গাড়ি চলাচল।

টানেল চালু হওয়ার পর থেকে এটি দেখতে প্রতিদিনই মানুষের ভিড় বাড়ছে। সেজন্য টানেলে চলাচল করা বেশিরভাগ গাড়িই ছিল পর্যটকদের। পাশাপাশি বিমানবন্দরগামী দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিপুল গাড়িও টানেলে চলাচল করেছে। ঢাকা-কক্সবাজারগামী কিছু দূরপাল্লার যানবাহনও টানেল দিয়ে পারাপার করেছে। তবে সেটি সংখ্যায় কম। সামনের দিনগুলোতে দূরপাল্লার বাসের চলাচলও বাড়বে মনে করা হচ্ছে।

টানেল চালুর পর প্রথমদিকে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর বেশ কয়েকটি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।

তবে এখন গাড়ি চলাচলে শৃঙ্খলা বেড়েছে বলে জনিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা। তিনি বলেন, টানেল দিয়ে দিনে দিনে যানবাহন চলার সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে বেড়েছে গাড়ির শৃঙ্খলা। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বেড়েছে।


আরও খবর



জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ মালিক আর নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক আর নেই। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) শাহাজাদী সুলতানা ডলি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক স্যার আর নেই। বার্ধক্যজনিত কারণে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের অভিভাবককে হারিয়েছি। দেশ তার কী অমূল্য সম্পদ হারিয়েছে সেটা বলে বুঝানো সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি করবে।

ডা. আব্দুল মালিক ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পুরস্কার ও ২০০৬ সালে জাতীয় অধ্যাপক হিসবে নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, হৃদরোগ চিকিৎসার এই পথিকৃৎ ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি ১৯৪৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৫৪ সালে নভেম্বর মাসে উত্তীর্ণ হন।  ১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন।

১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠায়। এর পর ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাশ করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

আব্দুল মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নেসা খাতুন। তিনি ২ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক ছিলেন। তার মেয়ে ডাক্তার ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট, ঢাকার কার্ডিলজি বিভাগের অধ্যাপক। তার ছেলে মো. মাসুদ মালিক একজন ব্যবসায়ী এবং অপর ছেলে মো. মনজুর মালিক বর্তমানে কানাডায় কর্মরত।


আরও খবর