আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

দেশব্যাপী ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু ২০ মে

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ২০ মে থেকে দেশব্যাপী ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে। তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজার কর্তৃক যাচাই কার্যক্রম ২০ মে থেকে পরবর্তী ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত অথবা শুরুর তারিখের পরবর্তী ৩ সপ্তাহ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

ইসি সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ছবি তোলা ও ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম চলবে।

অবশিষ্ট উপজেলা সমূহের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।

এবার ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের এবং বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদেরও নিবন্ধনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান বাসসকে বলেন, বয়স ১৮ না হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হবে। যাদের বয়স ১৮ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় তাদের নাম যুক্ত হয়ে যাবে।

সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে আগামী ২০ মে। এসব উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এরপর ১০ জুন থেকে শুরু হবে তাদের নিবন্ধন কার্যক্রম। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে এই ধাপের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে।

এরপর ধাপে ধাপে দেশের বাকি উপজেলাগুলোতেও ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কার্যক্রম চলবে এ বছরের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।

ইসি সূত্র জানায়, এবার নির্বাচন কমিশন নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারের তথ্য নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ ও ছবি তুলে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। এই কর্মসূচিতে ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম কেটে দেয়া হবে এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের বিষয়েও কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর



দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাটারি প্ল্যান্টে ভয়াবহ আগুন, নিহত ২০

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি ব্যাটারি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আজ সোমবার এক প্রতিবদেনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দেশটির দমলকর্মীরা জানান, একটি লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদন কারখানায় আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের পর কারখানার ভেতরে প্রায় ২০টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

রাজধানী সিউলের দক্ষিণে হোয়াসিয়ংয়ে ব্যাটারি প্রস্তুতকারক অ্যারিসেল পরিচালিত একটি কারখানায় সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। তবে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে আগুন।

স্থানীয় দমকল কর্মকর্তা কিম জিন-ইয়ং বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার ইউনিটের একটি গুদামের ভেতরে ব্যাটারি সেলের সিরিজ বিস্ফোরণের পর আগুনের সূত্রপাত হয়।


আরও খবর



দেশের চার অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের চার অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমনটি জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এলাকার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে আগামী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং যেসব এলাকায় তাপপ্রবাহ চলছে তাও প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


আরও খবর



সংসদ সদস্যের গাড়ি ব্যবহার করে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচারণা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশীদ হাওলাদার একটি প্রাডো গাড়িতে চড়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন যা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কালো রংয়ের ঢাকা মেট্রো-ঘ (১৩-৪৩১২) নম্বরের প্রাডো গাড়িটি এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদারকে ব্যবহার করতে দেখেছেন এলাকাবাসী।

বিআরটিএর তথ্যানুযায়ী, গাড়িটি নীলফামারীর সাবেক প্রয়াত সংসদ সদস্য কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) এ এ মারুফ সাকলানের নামে রেজিস্ট্রেশন থাকায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। প্রয়াত মারুফ সাকলান ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী ৪ আসনে মহাজোট থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৩ সালের সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগিতে এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টির এই নেতাকে এই আসনটি ছেড়ে দেয়া হয়। তখন স্থানীয় অনেক আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এলাকার সাথে জনবিচ্ছিন্ন রুহুল আমিন হাওলাদারকে মেনে নিতে না চাইলেও এই দু:সময়ে পাশে দাড়াঁন বর্তমানের প্রার্থী হারুন অর রশীদ হাওলাদার।

এর প্রতিদানে একাধিক মতবিনিময় সভায় পটুয়াখালী ১ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার দুমকি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন হাওলাদারের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। এমনকি সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ কাজী আলমগীর বলেন হারুন হাওলাদারকে ভোট না দিলে সরকারি বরাদ্দ না দেয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন যা একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এলাকায় আসা কমিয়ে দেন সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

শুধু তাই নয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য দুমকী উপজেলা নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রার্থী ও তার দু:সময়ের সাথী হারুন অর রশীদ হাওলাদারের পক্ষে বিভিন্নভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি স্থানীয় প্রশাসনকেও নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে চলেছেন বলে অভিযোগ একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীর।


আরও খবর



গ্রাম্য মাতব্বরদের চাপে দুই শিশুকে বস্তায় ভরে ভাসিয়ে দেওয়া হলো নদীতে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কথায় বলে, মানব ধর্মই মহাধর্ম। কিন্তু এ যেন অমানবিকতার শেষ পর্যায়। শেষকৃত্যের জন্য একটু মাটি জুটলো না পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুই শিশুর জন্য। গ্রাম্য মাতব্বরদের বাধায় শ্মশ্মানে সমাধি দিতে না পেরে বস্তায় ভরে ভাসিয়ে দেওয়া হলো নদীতে।

এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে।

গেল শনিবার ফুটবল খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে নেমে মারা যায় ওই গ্রামের দুই শিশু প্রলয় দাস (৭) ও সুর্য দাস (৬)। সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী মরদেহ দাহ করা হয়। তবে শিশুদের বেলায় তা দাহ না করে সমাধি দেওয়ার রীতি রয়েছে।

রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে শিশু প্রলয় দাসের মরদেহ শ্মশ্মানে সমাধি দেয় তার পরিবার। বিষয়টি গ্রামের মাতব্বররা জানার পর শিশুটির বাবা গোবিন্দ দাসকে ডেকে এনে শ্মশ্মানে মরদেহ না রাখার নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে সমাধি দেওয়া মরদেহ তুলে পানিতে ফেলে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সন্তানের মরদেহ শ্মশ্মানে রাখতে বাবার শত অনুরোধ আর পায়ে ধরে কান্নাও মন গলাতে পারেনি মাতব্বরদের। এক পর্যায়ে গ্রাম্য মাতব্বরদের চাপের মুখে সন্তানের মরদেহ সমাধি থেকে তুলতে বাধ্য হন হতভাগা বাবা। পরে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় কালনী নদীতে।

প্রলয়ের এমন পরিণতি দেখে অপর শিশু সূর্য দাসের পরিবারও তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে নদীতে ফেলে দেয়।

শিশু প্রলয় দাসের বাবা গোবিন্দ দাস বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আমি আমার ছেলেকে পাহাড়পুর মহাশশ্মানের দেয়াল সংলগ্ন মাটিতে সমাধি দিই। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেশ দাস ও কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকারসহ পঞ্চায়েতের লোকেরা আমাকে ডেকে লাশ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দিতে বলেন৷ আমি লাশ না তোলার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ উপস্থিত সবার হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলেও তারা আমার কথা শুনেননি। অবশেষে পঞ্চায়েত কমিটির চাপে বাধ্য হয়ে সন্ধ্যায় আমি ছেলের লাশ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দেই।

অপর শিশুর বাবা রুবেল দাস বলেন, শশ্মানে গোবিন্দ দাসের ছেলের লাশ সমাধিতে বাঁধার বিষয়টি জানার পর বাধ্য হয়ে আমার ছেলে সূর্যের লাশ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিয়েছি।

গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেশ সরকার বলেন, এটি আমার একার সিদ্ধান্ত না। গ্রাম কমিটির সবার সিদ্ধান্ত ছিল।

পঞ্চায়েতের কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকার বলেন, গ্রামের কমিটির সিদ্ধান্ত হলো শশ্মানের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার জন্য পাশে কোনো সমাধি করা যাবে না। এই সিদ্ধান্ত এলাকার সবার জন্য সমান।

বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরীর বলেন, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। ঘটনাটি অমানবিক৷ শ্মশ্মানতো মানুষের সৎকারের জন্যই। এখানে সমাধিত করা হলে শ্মশ্মানের পরিচ্ছন্নতার বিষয় কেন আসবে?

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: আরও দুজনের নাম পেয়েছে ডিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার খুনের ঘটনায় আরও দুজনের নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন— তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজি এবং মো. জামাল হোসেন। গ্রেপ্তার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, দুজনের বাড়িই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে। আনোয়ারুল খুনের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের বাড়িও একই এলাকায়। তাজ ও জামাল দুজনেই আক্তারুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

এদিকে আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার তিন এবং ওই দুজনসহ পলাতক সাতজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) প্রধানকে এ নির্দেশ দেন।

এমপি আনার অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

যে ১০ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন—শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, সিয়াম হোসেন, আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজি, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া ও জামাল হোসেন।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আনোয়ারুল আজিম আনারকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে ও গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা তাকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে মৃতদেহের হাড় ও মাংস আলাদা করে মাংসপিণ্ড টয়লেটের কমোডে ফেলে দেয় এবং হাড়গুলো গারবেজ–পলিতে ভরে ট্রলি ব্যাগে করে আশপাশের বর্জ্য খালে ফেলে দেয়।

আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল। তারা পরিকল্পনা করে, কীভাবে অপহরণ করবে ও টাকাপয়সা আদায় করবে এবং টাকাপয়সা নেওয়ার পর কীভাবে হত্যা ও লাশ গুম করবে। এ ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য পলাতক আসামিদের নাম–ঠিকানা সংগ্রহ ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্তমানে পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে তিন আসামি।

মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ আসামির এনআইডি ও পাসপোর্ট নম্বরের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কয়টি অ্যাকাউন্ট আছে, সেগুলোর তথ্য সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর আদেশ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।


আরও খবর