আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম
পর্যটন কেন্দ্রের অপার সম্ভাবনা

দেশি বিদেশি পর্যটকে মুখরিত কুড়িয়ানার পেয়ারা বাগান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

দেশি বিদেশি পর্যটকে মুখরিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির আটঘর-কুড়িয়ানার পেয়ারা বাগান এলাকা। উপজেলা সদর থেকে মাত্র প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত ওই ইউনিয়নে বাংলার আপেল খ্যাত এ জাতের পেয়ারার বাণিজ্যিকভাবে আবাদ চলছে শত বছর পূর্ব থেকে। ওই এলাকার সরু সরু খালের দুপাড়ের দৃষ্টি নন্দন সারি সারি পেয়ারা বাগান দেখে পর্যটকদের মন জুড়িয়ে যায়।

প্রতিবছর পেয়ারার এই মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের ভ্রমন পিপাসু দর্শনার্থীরা লঞ্চ, বাস ও মাইক্রোবাস সহ বিভিন্ন বাহনে করে এই এলাকায় ঘুরতে আসছেন। এখানে এসে পেয়ারার বাগান ও হাট ঘুরে দেখার জন্য ইঞ্জিন চালিত ট্রলার বা নৌকা ভাড়া করে তাতে চড়ে ঘুরে বেড়ান তারা। পেয়ারা এ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও নানা বয়সী ভ্রমণ পিপাসু অসংখ্য দর্শনার্থীরা ভিড় জমান ওই এলাকায়।

সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের ভিড় বেশি হয়। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও আসছেন এ পেয়ারা বাগানে। গত ৫ বছরে পেয়ারার এ মৌসুমে এই এলাকায় মার্কিন, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় হাইকমিশনার এই এলাকায় সফরে এসেছিলেন। গ্রামীণ জনপদে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পেয়ারা বাগান দিন দিন পরিনত হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রে।

এখানে আগত পর্যটকদের জন্য নেই সেই রকম কোন বিশ্রামাগার, নেই ভালো কোন মানসম্মত খাবার দোকান ও শৌচাঘর। পার্কগুলোতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য বাগানে ঘুরে পেয়ারা পেড়ে খাবার ব্যবস্থা, চা-কফি সপ, শিশুদের জন্য রাইড, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ফ্লোটিং পেয়ারা পার্ক ও পিকনিক স্পটে ৩০০ ফুট দীর্ঘ কাঠের দ্বিতল উড়াল সেতু ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। আর পার্কে জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ৩০ টাকা। ওই এলাকার কিছু শিক্ষিত বেকার যুবক পেয়ারা পার্ক নামে ৩টি মিনি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলেছেন।

ফ্লোটিং পেয়ারা পার্ক ও পিকনিক স্পটের মালিক প্রনয় মজুমদার ও অতনু হালদার তনু জানান, পেয়ারা বাগানে আসা পর্যটকদের বিনোদন ও বিশ্রাম দেয়ার পাশাপাশি নিজেদের বেকারত্ব দূর করার লক্ষে তারা ওই পর্যটনকেন্দ্রগুলো গড়ে তুলেছেন। এখানে আগত পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা বিধানে তারা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রেখেছেন।

পার্কে ঘুরতে আসা পর্যটক মুনিয়া শরীফ মুনা জানান, এখানকার পরিবেশটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা। একই এলাকার মধ্যে নানা ধরনের আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে এখানে। মনোমুগ্ধকর এই এলাকায় ঘুরতে এসে যে কারো মন ভালো হয়ে যায়।

তবে এক প্রকার উশৃঙ্খল পর্যটকদের উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে এলাকায় শব্দদূষণ ও বাগানে ঢুকে পেয়ারা গাছের ঢাল ভাংঙ্গাসহ নানা ধরনের অশোভন আচরণে অনেকটাই বিরক্ত এখানকার লোকজন। তাই এখানে আগত পর্যটকদের জন্য উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজানো নিষেধ সহ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্বরূপকাঠি উপজেলায় বাংলার আপেল খ্যাত এ জাতের পেয়ারার বাণিজ্যিকভাবে আবাদ চলছে শত বছর পূর্ব থেকে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পাওয়া তথ্যমতে উপজেলার ২৫ টি গ্রামের ১ হাজার ৯ শত ৩৫ টি বাগানের ৬ শত ৭ হেক্টর জমিতে ২ হাজার ৭০ টি পরিবার এই পেয়ারা চাষের সাথে জড়িত। আর পেয়ারার চাষাবাদ ও বিপণন ব্যবস্থার সাথে ঐ সমস্ত এলাকার প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার শ্রমজীবী মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময় হতে ভাদ্র মাসের মাসামাঝি সময় এই দুই মাসকে পেয়ারার মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এবছর প্রতি হেক্টরে ১০ টন করে ফলন হয়েছে।

উপজেলার কুড়িয়ানা, আটঘর, আদমকাঠি, জিন্দাকাঠি, ধলহার, আতা, মাদ্রাসহ ছোট বড় মিলিয়ে অন্তত ১০ টি খালে প্রতিদিনই পেয়ারার ভাসমান হাট বসে। দেখতে অনেকটা ইতালীর ভেনিস শহরের মত তাইতো এই এলাকাটিকে বাংলাদেশের ভেনিস শহরও বলে থাকেন কেউ কেউ। বর্তমানে হাটে পেয়ারা পাইকারিভাবে মন প্রতি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিবছর পেয়ারার এ মৌসুমে ঢাকা, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের এক শ্রেণির পাইকাররা এখান থেকে সরাসরি হাজার হাজার মন পেয়ারা ক্রয় করে লঞ্চ, ট্রাক ও পিকআপ যোগে নিয়ে যায়। অপরপক্ষে স্থানীয় পর্যায়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরাও প্রতিদিন শত শত মন পেয়ারা এখান থেকে লঞ্চ, ট্রলার ও ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান দেয়।

পেয়ারার পাশাপাশি এই এলাকায় আমড়া, কলা, লেবু, গাব, নারিকেল, পান ও সুপারী সহ অন্যান্য কৃষিজাতপন্যের ব্যাপক চাষাবাদ হয়।

পর্যটক ও স্থানীয়দের মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পেয়ারা বাগান এলাকায় গড়ে উঠতে পারে অপার সম্ভাবনাময় পর্যটনকেন্দ্র এবং এর মাধ্যমে সরকারের আয় হতে পারে বিপুল পরিমান রাজস্ব।

আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার জানান, এই এলাকার পেয়ারা চাষীদের জন্য সরকারিভাবে যদি একটি কোল্ডষ্টোরেজ ও পেয়ারা দিয়ে উৎপাদিত কোন পন্যের কারখানা তৈরি করা হয় তবে এখানকার চাষীরা অনেক লাভবান হবে।

এ ব্যাপারে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদার জানান, এখানে আসা পর্যটকদের জন্য সরকারিভাবে একটি রেষ্ট হাউজ এবং একটি পার্ক তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও এখানকার পেয়ার চাষীদের জন্য যদি কোন উদ্যোক্তা কোল্ড ষ্টোরেজ বা কোন কারখানা তৈরি করতে চান তাহলে তাকে জমি ও ঋণ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।


আরও খবর



দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এ ঘটনায় দেশে দেশে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। চাপ বাড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর।

শনিবার ফিলিপাইনের শিক্ষামন্ত্রণালয় সরকারি স্কুল দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। কারণ দেশটিতে তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতা বেড়েছে। বিশেষে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিনে ফিলিপাইনের আবহাওয়া পৌঁছাতে পারে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ নাগরিকদের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে।

২২ এপ্রিল উত্তরের শহর লাম্পাং-এ তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এই তাপপ্রবাহ এই সপ্তাহে অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। উত্তর ও মধ্য ভিয়েতনামের বিভিন্ন অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ৪০ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। বুধবার পর্যন্ত এমন তাপপ্রবাহ থাকবে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।

মালয়েশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ রোববার ১৬টি অঞ্চলের জন্য গরম আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। এসব এলকায় গত তিন দিন ধরে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরের তাপমাত্রা গত বছরের চেয়ে বেশি হতে পারে।

অন্যদিকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ৪৮ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের কথা জানিয়েছে, যা এপ্রিলে তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।


আরও খবর



ডিএসইসির নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) নবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানায় শিশু কল্যাণ পরিষদে বিদায়ী কমিটির সভাপতি মামুন ফরাজির সভাপতিত্বে দুই কমিটির যৌথ সভা শেষে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। সভায় বিদায়ী কমিটি নতুন কমিটির সদস্যদের বরণ করে নেন।

নবনির্বাচিত সভাপতি মুক্তাদির অনিক ও সাধারণ সম্পদক জাওহার ইকবাল খানের কাছে সংগঠনের ফাইলপত্র বুঝিয়ে দেন বিদায়ী সভাপতি। লাবিন রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএফইউজে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ডিএসইসির সাবেক সভাপতি মীর মোস্তাফিজুর রহমান, কায়কোবাদ মিলন, মো. আল মামুন, আশরাফুল ইসলাম, জাকির হোসেন ইমন এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মাসুম বিল্লাহ, শাহজাহান মিয়া, কেএম ওবায়দুর রহমান, সংগঠনের সদস্য ও বাংলাদেশের আলোর সম্পাদক মফিজুর রহমান খান বাবু, ডেইলি বাংলাদেশ এর সম্পাদক রনি রেজা, সিনিয়র সাংবাদিক মজিবুর রহমান, তরুণ তপন চক্রবর্তী, কাজী তানভির আলাদিন, আনোয়ার সাদাত সবুজ, সাইখুল ইসলাম উজ্জ্বল প্রমুখ।

নবনির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি মুক্তাদির অনিক ও সাধারণ সম্পদক জাওহার ইকবাল খান, সহ-সভাপতি আলী ইমাম সুমন, যুগ্ম সম্পাদক মনির আহমাদ জারিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ রানা, কোষাধ্যক্ষ নাজিম উদ-দৌলা সাদি, দফতর সম্পাদক জাফরুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আরিফ আহমেদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক তারেক হোসেন বাপ্পি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাহিদ হাসান, কল্যাণ সম্পাদক মো. সাফায়েত হোসেন, নারী বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা নাজনীন (ফ্লোরা)। কার্যনির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেতু, আনজুমান আরা শিল্পী, আনজুমান আরা মুন, জেসমিন জাহান, তানজিমুল নয়ন, মাশরেকা জাহান ও মোহাম্মদ আবু ইউসুফ।


আরও খবর



দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি।

যশোরে মঙ্গলবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। আর চুয়াডাঙ্গায় ছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এতদিন দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। মঙ্গলবার তা ভেঙে যায়।

আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। টানা ৩২ দিন ধরে চলা এই দাবদাহ আরো কয়েক দিন কিছু এলাকায় স্থায়ী হলেও বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির আভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বুধবার অধিদপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে অনেক জায়গার তাপমাত্রা কমে আসার সম্ভাবনা আছে৷ ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ, ঢাকা বিভাগ এবং কুমিল্লা অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি শুরু হবে বৃহস্পতিবার৷ তবে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমের জেলাগুলোর তাপমাত্রা শুক্রবার পর্যন্ত আগের মতই থাকবে।

যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী এসব এলাকায় আরও দুয়েকদিন পর বৃষ্টি হবে৷ ৩/৪ তারিখের পর সারাদেশেই বৃষ্টি হবে৷ তবে জলীয়বাষ্পের কারণে অস্বস্তি ভাবটা থেকে যাবে। তারপরও সহনশীলতায় চলে আসবে।

৫/৬ দিনের বৃষ্টিপাতের পর দেশের তাপমাত্রা আবার বাড়তির দিকে যাবে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

এর আগে ২০১৪ সালে ৫ থেকে ৩০ এপ্রিল টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০১৬ সালে ৬-৩০ এপ্রিল টানা ২৫ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালে ১৩ এপ্রিল থেকে ৫ মে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।


আরও খবর



বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার জেলার কেওক্রাডং পাহাড় সংলগ্ন দুর্গম দার্জিলিং পাড়ায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৩টি একে ২২ রাইফেল, একটি শটগানসহ বিপুল গোলবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাইপাড়া এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ এর সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজার অপহরণ, রুমায় মসজিদে ও থানচি বাজারে হামলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধে সাঁড়াশি অভিযানে চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, আর্মস পুলিশসহ যৌথ বাহিনী। জেলার রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগে, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযানে এ পর্যন্ত সশস্ত্র কেএনএফ এর সদস্যসহ ১৭ জন নিহত হয়। আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক এবং অপহরণের শিকার হয় অন্তত ৩০ জন।

নিউজ ট্যাগ: বান্দরবান

আরও খবর



গাজার আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ আগ্রাসন চালাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। টানা সাত মাসের বেশি সময় ধরে ওই ভূখণ্ডে বর্বরতা ও নৃশংসতা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর সর্বশেষ প্রমাণ মিলল গাজার আল-শিফা হাসপাতালে। সেখানে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই গণকবর থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি মেডিকেল দলগুলো গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান পেয়েছে বলে বুধবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে।

মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৯ জনের লাশ গণকবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে এবং আরও লাশের খোঁজে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।’

জানা গেছে, এ নিয়ে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে সাতটি গণকবর পাওয়া গেছে।

গাজার মিডিয়া অফিস বিবৃতিতে জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে তিনটি গণকবর, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে তিনটি এবং উত্তর গাজার কামেল আদওয়ান হাসপাতালে একটি গণকবর পাওয়া গেছে।

এতে আরও বলা হয়, সাতটি গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ওই উপত্যকায় ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতায় নিহত হয়েছে ৩৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে আরও ৭৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ।


আরও খবর