আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকাসহ দেশের ২০ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ২০ জুলাই ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ জুলাই ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় রয়েছে। তাই বেড়েছে ঝড় বৃষ্টির প্রবণতা। আভাস রয়েছে ঢাকাসহ ২০টি অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ের। বুধবার (২০) জুলাই এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে রাজধানীসহ দেশের অধিকাংস স্থানে বৃষ্টিপাতের দেখা মেলায় জনজীবনে মিলেছে স্বস্তি। তবে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে অনেককে ভোগান্তিতেও পড়তে হচ্ছে।

বর্তমানে মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এই অবস্থায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর এবং নীলফামারী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে।

বেলা ১১টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ফেনীতে, ৮০ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২ মিলিমিটার, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



কাতারের আমির শেখ তামিম ঢাকায় আসছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। দুদিনের সফরে আজ তিনি বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা আসছেন। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকায় একটি সড়ক এবং একটি পার্কের নামাকরণ কাতারের আমিরের নামে করা হবে।

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে বাংলাদেশ গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে থাকে। তবে এবার ডলার সংকটের কারণে গ্যাসের দাম এক বছর পর্যন্ত বাকি রাখতে চায় বাংলাদেশ। এই প্রস্তাব কাতারের আমিরের সফরকালে দেওয়া হবে। তার সঙ্গে মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করবেন। এটি কাতারের আমিরের এশিয়া সফরের অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চতুর্থ মেয়াদের নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতার সফরটি রাজনৈতিকভাবেও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

সফরকালে যে ছয়টি চুক্তি সই হবে সেগুলো হলো-১. দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত ২. আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা ৩. সাগরপথে পরিবহণ ৪. উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ৫. দুই দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি এবং ৬. যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

এ ছাড়া যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে সেগুলো হলো-১. শ্রমশক্তি বিষয়ক ২. বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত ৩. উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা ৪. যুব ক্রীড়াক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক এবং ৫. কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এদিকে, ঢাকায় কালশি এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক এবং ইসিবি চত্বর থেকে কালশি উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানির নামে নামকারণ করা হবে। ২৩ এপ্রিল বিকালে কাতারের আমির নিজে উভয় স্থাপনার উদ্বোধন করবেন।

রাষ্টপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২২ ও ২৩ এপ্রিল ২০২৪ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি এই সফর করছেন। তিনি একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ হতে এটি প্রথম উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী। কাতার বঙ্গবন্ধুর সময়কালীন সময়ে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। গ্যাস আমদানির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব থেকে বাকিতে গ্যাস আমদানি করে বাংলাদেশ। কাতারের কাছ থেকেও বাকিতে গ্যাস আমদানির প্রস্তাব করা হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের মার্চ ও মে মাসে দুইবার কাতার সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় অবস্থানে উপনীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করছেন।

সাম্প্রতিককালে কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে কূটনৈতিক যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি, বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে।

কাতারের আমির আজ বিকালে বিশেষ বিমানে ঢাকায় আগমন করবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার জানানো হবে।

আগামী ২৩ এপ্রিল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রথমে একান্ত বৈঠক এবং পরে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিন বঙ্গভবনে কাতারের আমিরের সৌজন্যে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।

কাতারের আমিরের এই সফর তার এশিয়া সফরের অংশ। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ কাতার সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। দেশটির শক্তিশালী অর্থনীতি, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও কূটনৈতিক তৎপরতা ও মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্রভাবশালী দেশ হিসাবে বিবেচিত।

কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, যেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিলের অধিকারী কাতার বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসাবে বিবেচিত। তদুপরি কাতার বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কাতারের আমিরের আসন্ন সফর তাই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্যে এক বিরাট মাইলফলক।


আরও খবর



সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে তারা যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর এবং নিজেরা পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ, শাসন এবং অত্যাচার করতো। আর বর্তমান চিত্র, বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে- এ উন্নয়ন দেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ অবস্থা।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা আখাউড়া উপজেলায় বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এর আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক ওই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে ঢাকা-আখাউড়া রেল স্টেশনে পৌঁছলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল (১৭ মে) বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন দেখার দিন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের আজকের ১৭ মে বাংলাদেশের ফিরে এসে মানুষ যে স্বপ্ন দেখত মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছে শেখ হাসিনা মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এইজন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।

এ সময় আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ঋণ খেলাপির তালিকা বিএনপির আমলে সবচেয়ে বেশি ছিল।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা ফখরুল

আরও খবর



ন্যাশনাল ব্যাংক ১৮ কোটি জনগণের ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাংক নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানান।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আবারও পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংক খলিলুর রহমানকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমান দেশের অন্যতম ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরসিএমইএ) চেয়ারম্যান।

দীর্ঘ ব্যাবসায়িক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যাংকের হারানো গৌরব ফেরানোর কথা উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা জানি ব্যাংককে কিভাবে লাভজনক করতে হয়। ১৯৮৩ সালে আমরা এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি জানি, ব্যাংকের কোথায় কী আছে, কী কী সমস্যা আছে, কারণগুলো আমাদের জানা। এই ব্যাংক ২০১২ সাল পর্যন্ত এক নম্বর কাতারে ছিল। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ফার্স্ট জেনারেশনের ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক। তখন আমাদের যাঁরা পরিচালক ছিলেন সবাই ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁদের ব্যবসার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। ওই অভিজ্ঞতা দিয়ে আমরা ব্যাংকটি করেছিলাম।

নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা প্রকৃত ব্যবসা করেন, দেশে বিনিয়োগ করেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন তাঁদের যথেষ্ট সুযোগ দেব। এটি আমার ব্যাংক কখনো বলি না। আমরা বলি, ন্যাশনাল ব্যাংক জনগণের ব্যাংক, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ব্যাংক। তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতি আপনারা জানেন। ব্যাংক কার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিভাবে টাকা নিয়েছে তা সবাই সব জানেন।একসময়ের সফল একটি ব্যাংককে রক্ষা করতে, বাঁচাতে আমরা একত্র হয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি, আমরা একীভূত হব না। আমরা নিজেরা চালাব। আমরা কষ্ট করে চালাব। পরিশ্রম, সততা থাকলে, কষ্ট করলে এগিয়ে নিতে পারব। পাওনা উসুল করব। যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে তাদের বোঝাব, আইন প্রয়োগ করে টাকা ফেরত আনব। ডিপোজিট আনব। ডিপোজিট দিয়ে ব্যবসা করব। একসময় আমরা অনেক বেশি লভ্যাংশ দিয়েছি। ইচ্ছা করলে আমরা উন্নত করে এগিয়ে নিতে পারব। ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে পারব ইনশাআল্লাহ। এটি আমার বিশ্বাস। চার বছরে আমরা একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছতে পারব।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে আদায় করবই। আমরা খেলাপি ঋণ আদায়ের চেষ্টা করব। প্রকৃত ব্যবসায়ী ঋণ নিলে খেলাপি হতে পারেন না। অ্যাসেসমেন্ট করে ঋণ দেওয়া হয়নি। মনিটরিং করা হয়নি। বড় খেলাপিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা ভুল স্বীকার করেছেন, টাকা পরিশোধে ইচ্ছুক। বড় ব্যবসায়ীদের টাকা খেলাপি হবে না। ব্যবসা করে ক্ষতি পুষিয়ে নেব। যাঁরা ব্যবসায়ী না হয়ে ঋণ নিয়েছেন, তাঁরাই সমস্যা। অন্তত ৫০ শতাংশ আদায়ে আমরা আশাবাদী।

বর্তমান সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক এককভাবে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা রাখে কি না, জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যাংকটি একীভূত করার বিষয়ে চাপ থাকার বিষয়টি সত্যিকার অর্থে সঠিক নয়। আমরা যখন শুনি ব্যাংকটি একীভূত করার কথা চলছে, তখন আমরা আগের পর্ষদ সভা করে সিদ্ধান্ত দিই, যে ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে তার চেয়ে আমাদের ব্যাংকের ভিত্তি শক্ত বেশি। আমরা কেন একীভূত হব? আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা পর্ষদ থেকে সিদ্ধান্ত দিলাম, আমরা একীভূত হতে রাজি নই। আমাদের ব্যাংক আমরা চালাব। দরকার হলে নতুন পর্ষদ গঠন করব। অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে অনেক লোকের চাকরি হারানোর শঙ্কা ছিল। কারণ অনেক জায়গায় দুটি ব্যাংকেরই শাখা রয়েছে। সে বিষয়টিও আমরা ভেবেছি।

ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, আমরা যখন চার কোটি টাকায় এ ব্যাংকের উদ্যোগ নিয়েছিলাম তখন বেসরকারি ব্যাংক ছিল না। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে, বন্ধুবান্ধবকে ধরে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে এনেছি। ব্যাংকের পরিচালক হলে টাকা ফেরত পাবে কি না, তখন চিন্তা করত। আমি বলেছি, তুমি টাকা দাও, টাকা ফেরত না পেলে আমি দিয়ে দেব। এভাবে বলে রাজি করিয়েছি। এই শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, ব্যাংক ব্যবসা বুঝতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজার ব্যবসা বুঝলে ঋণ দিতে পারেন। যাঁকে ঋণ দেবেন, তাঁর বিনিয়োগ মনিটর করতে হবে। নিয়মিত পরিশোধ করছে কি না, দেখতে হবে। বড় ঋণ ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাসিক, বার্ষিক রিশিডিউল করা হবে। মনিটরিং থাকলে টাকা খেলাপি হয় না। খেলাপির কারণে বিশ্বাস কমে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। প্রকৃত ব্যবসায়ী ব্যাংকের টাকা মেরে খাবেন না। ব্যবসায়ীদের মুখের কথার দাম আছে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা ঋণ নিয়েছেন দরকার হলে জামানত হিসেবে দেওয়া বাড়ি, জমি বিক্রি করে দেব। দেশে আইন আছে, ব্যাংকের টাকা দিতে না পারলে মামলা করে সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া যায়। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটিতে তিন হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে। এই আমানত কার কাছ থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কদিন আগেও শেয়ারের দাম সাড়ে চার টাকা ছিল, এখন সাত টাকা হয়ে গেছে। ডিপোজিট দিন দিন বাড়ছে। এর জন্য বন্ধু, ব্যবসায়ীদের কাছে যাব। ডিপোজিট খাটিয়ে আমানতকারীকে লাভ দিতে হবে। আমাদের মালয়েশিয়ায় ১১টি, মালদ্বীপে তিনটি, সিঙ্গাপুরে দুটিসহ বিভিন্ন দেশে শাখা আছে। এসব শাখার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করব। আশা করি, চার বছরেই আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারব।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো: আব্দুর রহমান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো। নতুন প্রজন্ম যেভাবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এগিয়ে আসছে, তা খুবই আশাপ্রদ। শিক্ষিত তরুণরা যেন কেবল চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে ও দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠে, তার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে এই খামার।

রবিবার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেটস্থ মেয়র গলিতে অবস্থিত গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তাকে বরণ করে নেন এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন। তিনি এগ্রোর সবদিকে ঘুরিয়ে দেখান।  এগ্রোতে থাকা প্রাণীসমূহের পরিচর্যায় ব্যবহৃত খাবার ও অন্যান্য সামগ্রীগুলোর মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মৎস্য মন্ত্রী। পরে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রোর দুগ্ধজাত নানান পদের খাবারও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের অন্যতম খ্যাতনামা পরিবারের সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ইংল্যান্ড থেকে পড়াশোনা করেন। দেশে বড় বড় শিল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি খামারী হয়ে উঠেছেন, তার জ্ঞান ও মেধাকে কৃষি ও পশুপালন ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করছেন। পশুদের প্রতি তার প্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার এ দৃষ্টান্ত দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। এতে দেশ উপকৃত হবে।

এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে তরুণরা বর্তমানে কৃষি ও পশুপালনে এগিয়ে আসছে। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় দেশবাসী ও খামারীরা এর সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না। গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো এক্ষেত্রে সচেষ্ট। আমাদের খামার একইসাথে পশু মোটাতাজাকরণ এবং পুষ্টিগুণ ও মানসম্মত দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিতে সমান গুরুত্ব আরোপ করেছে। চট্টগ্রামের নানান এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে দুধ বিতরণ করছি আমরা।


আরও খবর



এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহ করবে বসুন্ধরা গ্রুপ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অবশিষ্ট অংশ নির্মাণে ২ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্ট সরবরাহ করবে দেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বাধুনিক ভিআরএম প্রযুক্তিতে তৈরি বসুন্ধরা সিমেন্ট।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় বসুন্ধরা সিমেন্ট এবং চাইনিজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান শানডং হাইস্পিড গ্রুপ এবং শিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড এর জয়েন্ট ভেঞ্চার এসডিআরবি- শিনোহাইড্রো জেভি এর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং জয়েন্ট ভেঞ্চারের ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজার বাই পেই লং চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তির মাধ্যমে বসুন্ধরা সিমেন্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বাকি অংশ নির্মাণে শতভাগ সিমেন্ট সরবরাহ করবে৷

বসুন্ধরা সিমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে.এম জাহিদ উদ্দিন জানান, বসুন্ধরা সিমেন্ট ফ্যাক্টরির উৎপাদন ক্ষমতা, সরবরাহ ব্যবস্থা ও সর্বোপরি গুণগত মানের নিশ্চয়তা যাচাই সাপেক্ষেই চুক্তিটি সম্পাদিত হয়েছে।

পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্যান্য মেগাপ্রকল্পের মতো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবে বসুন্ধরা সিমেন্ট৷

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহান, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ বসুন্ধরা গ্রুপ এবং সিমেন্ট সেক্টরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর