আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

দুই শিক্ষক নেতার কর্মকাণ্ডে বারবার অস্থিতিশীল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির পদে থাকা অবস্থাতেই বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অভিযোগ অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে। পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হয়েই উপাচার্যের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন তারা।

সম্প্রতি ১৯ ফেব্রুয়ারি কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে জয়ের পরই ঐদিন বিকালে উপাচার্যকে ঘেরাও করে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরেন তারা। এছাড়া উপাচার্যকে নব্য আলী জিন্নাহ বলেন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান। ৬ মার্চ উপাচার্যকে সবার সামনে পদত্যাগ করতে বলেন ও ডাস্টবিন বলেও সম্বোধন করেন।

এর আগেও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের সময়ে ২০১৭ সালের ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সিন্ডিকেট সভায় যোগ দিতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। এ সময় সিন্ডিকেট সভাস্থল ভিসি বাংলোর মূলফটকে গাড়িসহ প্রবেশে চেয়ারম্যানকে বাধা দেওয়া এবং সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে জড়িত ছিলেন তিনি। এতে তৎকালীন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসানসহ তৎকালীন শিক্ষক সমিতির আরো সাত সদস্যকে ইউজিসির চিঠির প্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

একই বছরের শেষে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম এনে ইউজিসি বরাবর চিঠি দেয় তৎকালীন শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম, দুর্নীতির বিচারসহ ১৪ দফা দাবিতে ১৫ অক্টোবর উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেয় শিক্ষক সমিতি।

নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উপাচার্য ওই দাবি পূরণ করেননি অভিযোগ এনে পরদিনই (১৬ অক্টোবর) উপাচার্যের দপ্তরে তালা দেন তারা। প্রায় তিন সপ্তাহ উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসায় অস্থিতিশীলতা শুরু হয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে। এছাড়া একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ও একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করার ঘটনাও রয়েছে তার কর্মজীবনে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সিমেন্ট কোম্পানি থেকে আয়ের এক-চতুর্থাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা দেয়ার কথা বললেও এখন পর্যন্ত তিনি জমা দেননি।

সর্বশেষ ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশীপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে এক বছরে নির্ধারিত সংখ্যক কোর্স শেষ করতে না পারায় বাতিল করা হয় মেহেদী হাসানের ফেলোশিপ। সম্প্রতি বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলে জানা যায়, তিনি দেড় বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রথমে দুই বছরের ছুটি ভোগ করেন। পরবর্তীতে বিনা বেতনে এক বছরের ছুটি ভোগ করেন। সর্বশেষ ১০ মাস ২৬ দিনের অসাধারণ ছুটি কাটান তিনি। পরবর্তীতে তিনি আরও ছুটি চাইলে কুবির সিন্ডিকেট সভায় তা নাকচ হয়। এরপর থেকেই ছুটি ভাগিয়ে নিতে উঠেপড়ে লাগেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, শিক্ষক সমিতিকে বারবার উপাচার্য পতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় সাধারণ শিক্ষকদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। নানা কাজে বিতর্কিতরা এবার সবাই এক ছাদের নিচে এসেছে। মেহেদী হাসানকে যদি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় তিনি আর শিক্ষক সমিতি নিয়র ভাববেন না। তখন আর আন্দোলন, সংগ্রাম হবে না। সবাই সবার ব্যক্তিস্বার্থ উদ্বারের জন্য এক হয়েছে।

এ বিষয়ে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন জানান, আমরা মাস্টার্সের জন্য দুই বছর শিক্ষা ছুটি দিয়ে থাকি। তারপরও তার সমস্যার কথা বিবেচনা করে আরও প্রায় দুই বছর ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন উনি আরও যে ছুটি চাচ্ছেন তা নিয়মানুযায়ী দেয়া যায় না বলেই আমি সিন্ডিকেটে পেশ করি। সিন্ডিকেট তা বাতিল করে দিলে আমার এখানে কিছু করার থাকে না। এজন্য সে এখন আমার নামে আজেবাজে কথা বলে বেড়ায়।

এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় এক বছর পর শিক্ষক সমিতি গঠনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক সাধারণ সভায় মেহেদী হাসান উপাচার্যকে নব্য জিন্নাহ সম্বোধনে বক্তব্য দেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের এক শিক্ষক জানান, উপাচার্য থেকে অযাচিত ছুটি বাগিয়ে নিতে না পারায় এখন কিছু শিক্ষকদের সাথে একত্রিত হয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন তিনি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের নামেও আছে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ ও বিতর্ক।

২০১১ সালে ৪৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮ দশমিক ৪ কিলোওয়াটের একটি সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন তৎকালীন রেজিস্ট্রার ড. তাহের। ঐ বছরই সোলার প্যানেলটি অকেজো হয়ে পড়লেও ড. আবু তাহের তাদের দিয়ে তা মেরামত না করিয়ে বাকি অর্থ দিয়ে দেয়। তখনই বাংলাদেশ অল্টারনেটিভ এনার্জি সিস্টেম লিমিটেড নামে নিম্নমানের একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়ে এ প্রকল্পের সিংহভাগ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরেজমিন অভিযানেও প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে ২০২৩ সালে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

এছাড়াও ২০২২ সালের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে ১১ মার্চ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারে সেনাবাহিনীর পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করার কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানের। কিন্তু দুর্নীতি করার সুবিধার্থে কোষাধ্যক্ষকে এই প্রকল্পের বাইরে রাখার অংশ হিসেবে রেজিস্ট্রার নিজেই আইনবহির্ভূতভাবে এ স্বাক্ষর করেন বলে তখন অভিযোগ করছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানান, প্রায় ১ হাজার ৭ শত কোটি টাকার এই প্রকল্পকে ঘিরে উপাচার্য ড. এমরান কবির চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের দুর্নীতির সুবিধার্থে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাজে নিজের গ্রুপের ঘনিষ্ঠ লোকজনকে যুক্ত করেছেন। এর অংশ হিসেবেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বেআইনীভাবে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন রেজিস্ট্রার। এছাড়া রেজিস্ট্রার থাকাকালীন অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার ঘটনা সামনে আসে।

এছাড়া পছন্দের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিজ কোরামের শিক্ষকদের পদোন্নতি দ্রুত দিলেও অপছন্দের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতিতে গড়িমসি করতেন। এছাড়াও ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ড. আবু তাহের ইউনিট কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। সে বছর ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।

এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, সে সময় ঐ উপাচার্য যেসব ভবনগুলো প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় শুরু করেছিলেন তা তো ৬-৭ বছরেও হস্তান্তর হচ্ছে না। তখন সেগুলো নিয়েই তো কথা বলেছিলাম। এদিকে ঐদিন (৬ মার্চ) উপাচার্য সবার সামনে শিক্ষকদের বলেন তারা রিসার্চ করতে পারেন না। এটা তো শিক্ষকদের জন্য চূড়ান্ত অপমান। এসব করলে তো দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন করছেন। আর ২০১৭ সালে ও এবারের কমিটিতে হতে পারে আমি ও তাহের স্যার কমিটিতে আছি, সেটা তো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছি। পূর্বের ঘটনা আর এবারের ঘটনা আলাদা বিষয়। আগের বারও আমি আর তাহের স্যার ছিলাম এটা হতেই পারে।

অভিযোগের বিষয়ে সভাপতি ড. মো. আবু তাহের বলেন, আগের ঘটনার সাথে এ ঘটনা মিলালে তো হবে না। উপাচার্য অনিয়ম, দুর্নীতি করলে আমরা সচেতন শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ তো জানাবোই। আমরা সাধারণ শিক্ষকদের ম্যান্ডেট নিয়েই এসেছি। এক বছর কমিটি না থাকায় তাদের দাবি-দাওয়া যে তারা বলতে পারছেন না সেটা তারা এখন আমাদের মাধ্যমে জানাচ্ছেন। এখন উপাচার্য যদি এসব অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করেন তাহলে আমরা তার সাথে থাকবো।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: শর্ত মানলে কারাভোগ করতে হবে না তিথির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (সাময়িক বহিষ্কৃত) তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এ মামলায় আসামি ২১ মাস কারাভোগ করেছেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাঁচ বছরের সাজা থেকে আসামির ২১ মাসের কারাভোগের সময় বাদ যাবে। অর্থাৎ এই ২১ মাস সময়কে পাঁচ বছরের সাজা আওতায় ধরা হবে।

এদিকে, রায়ের পর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিথিকে সংশোধন হতে এবং তার বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করাসহ আট শর্তে তাকে এক বছরের প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এ সময়ে তিনি প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। আদালত জানিয়েছেন, আসামি তিথি প্রবেশনের শর্তসমূহ যথাযথভাবে পূরণ করলে তাকে আর সাজা না-ও খাটতে হতে পারে।

আসামি তিথি সরকারকে অপরাধী প্রবেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬০ সালের ৪৫ নম্বর অধ্যাদেশ) এর ৫ ধারা মোতাবেক, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়কালের জন্য প্রবেশন আদেশের নিম্নোক্ত শর্তাবলিযুক্ত মুচলেকা সই করার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি আট শর্তে মুচলেকায় সই করে মুক্তি পান।

শর্তসমূহ হলো-

১. আসামি-প্রবেশনার আগামী এক বছর সময়ের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং ওই কর্মকর্তার নিদের্শনাসমূহ মেনে চলবেন।

২. ওই সময়সহ আসামি-প্রবেশনার ভবিষ্যতেও আর কোনো অপরাধে জড়াবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন ও সদাচরণ করবেন।

৩. বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করতে হবে।

৪. আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে আসামি-প্রবেশনার যথাসময়ে হাজির হবেন।

৫. শহর এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ আইনবহির্ভূতভাবে রাস্তা পারাপার করা যাবে না, সামাজিক নিয়ম-কানুন, প্রথা, রীতিনীতি প্রভৃতি মেনে চলবেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করবেন না; প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত নিজস্ব কর্মস্থল বা বাসস্থান ত্যাগ করবেন না; এবং প্রবেশন কর্মকর্তার যে কোনো সময় আসামির গৃহ পরিদর্শন করতে আসামি-প্রবেশনার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

৬. আসামি-প্রবেশনার অযথা রাতের বেলা ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না; মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিশেষত মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সরবরাহ করা হয় এমন স্থানে যাতায়াত করবেন না; ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন; এবং জুয়া, অনলাইন জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন।

৭. আসামি-প্রবেশনার প্রবেশনকালীন কোনো ধরনের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না; প্রয়োজন হলে নন-স্মার্ট মোবাইল ফোন বা বাটন ফোন ব্যবহার করবেন। তবে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আবশ্যকতা দেখা দিলে আসামি-প্রবেশনার তার মা-বাবা অথবা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়, অথবা ক্ষেত্রমতে শিক্ষকের উপস্থিতিতে শুধু স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

৮. উপর্যুক্ত যে কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি-প্রবেশনার নিজেকে সংশোধন না করলে আসামির প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং প্রমাণিত অপরাধের দায়ে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৮ (২) ধারায় পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম জানান, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিথির আইনজীবী প্রবেশন চেয়ে আবেদন করলে আদালত এক বছরের জন্য কিছু শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দেন। এই এক বছরে তাকে শর্তসমূহ মেনে চলতে হবে। শর্ত মানলে আদালত বিবেচনা করবেন তাকে আর সাজা খাটতে হবে কি না। আর শর্ত না মানলে তাকে সাজা খাটতে হবে।

আইন অনুযায়ী, প্রবেশন হলো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে এবং কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেওয়া। প্রবেশন আইনে প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে থাকেন।

তবে প্রবেশনের মেয়াদ শেষে প্রবেশন কর্মকর্তা যদি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির আচরণ সন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে আসামির কারাদণ্ড মওকুফ হবে। আর যদি আসামির আচরণ অসন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে প্রবেশন বাতিল ও আদালতের দেওয়া দণ্ড আসামিকে ভোগ করতে হবে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩১ অক্টোবর সিআইডির সাইবার মনিটরিং টিম দেখতে পায়, সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। এটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় পল্লবীর নিজ বাসা থেকে থানার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন তিথি সরকার। এরপর ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এরপর তার পরিবার থেকে অভিযোগ আসে তিথি নিখোঁজ।


আরও খবর



কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, রেললাইন অবরোধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার রসুলপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর প্রায় এক ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করে রাখে স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১টার দিকে রসুলপুর স্টেশনের অদূরে মাজার গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। অবরোধের কারণে রসুলপুর স্টেশনে আটকে যায় চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন।  নিহত শিক্ষার্থী মিম আক্তার রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুলে যাওয়ার সময় মাজার গেট দিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল শিক্ষার্থী মিম। ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ও কক্সবাজারগামী পর্যটন এক্সপ্রেস একসঙ্গে ক্রস করছিল। ওই শিক্ষার্থী একপাশের ট্রেন দেখলেও অপরপাশের ট্রেন না দেখায় কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ঘটনার পরপর রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তফা কামাল বলেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ ভাঙা হয়েছে। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



ফরিদপুরে দুজনকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতদের অচিরেই গ্রেফতার: র‌্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের স্থানীয় প্রশাসন শনাক্ত করেছে, তাদের অচিরেই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত পরিচয় পর্ব ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।

তাদের গ্রেফতারে এলিট ফোর্স র‌্যাব কী ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। দেশের যেকোনো জায়গায় যেকোনো প্রান্তে যেকোনো ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করে। অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে র‌্যাব এ ঘটনায় কাজ করছে। অচিরেই এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে সাইবার জগতে। যারা অপচেষ্টা করছেন তাদের শনাক্ত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা অপরাধ সংঘটনের পর অপচেষ্টা বা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। অপরাধী গ্রেফতার হলেই সব বেরিয়ে আসবে।

উপজেলা নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন ঘিরে অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়। এক্ষেত্রে র‌্যাব কী ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে জানতে চাইলে কমান্ডার আরাফাত বলেন, সমগ্র দেশে চার পর্বে উপজেলা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। সাদা পোশাকেও র‌্যাব সদস্যরা কাজ করছেন।

কোন বিষয়টি কাজ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন যে ঘটনাগুলো ঘটে থাকে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি। আমার পূর্বের যে কর্মকর্তারা কাজ করে গেছেন। ঊর্ধ্বতনরা যে লিগ্যাসি রেখে গেছেন সেটাই আমি বহন করবো। র‌্যাবের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবো।

গত দুই বছর ক্রসফায়ার নেই৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি খুব ভালো হয়ে গেলো যে র‌্যাবের সঙ্গে কোনো ক্রসফায়ার নেই। নাকি অন্য কোনো চাপে ক্রসফায়ার হচ্ছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এই পর্যায়ে কথা বলার কিছু নেই৷ র‌্যাব কেন আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। ক্রসফায়ার শব্দটি আমি ব্যবহার করতে চাই না। আমরা সবসময় চাই বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটুক। যদিও বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে ভিন্নখাতে আলোচনা হয়।

কিশোর গ্যাং ও অস্ত্র-মাদক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা কাজ করছি। অনেক কিশোর গ্যাং সদস্যকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এদের আশ্রয়প্রশ্রয় ও মদদদাতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত করে এটা খুঁজে বের করা হবে। কিশোর গ্যাং চক্রকে আমরা সমূলে উৎখাত করবো ইনশাআল্লাহ। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।

কুকি-চিনের তৎপরতা নির্মূলে র‌্যাব ও যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যৌথ বাহিনী কাজ করছে। র‌্যাব যৌথ বাহিনীর অংশ। এটা নিয়ে কিছু বিষয় গোপনীয়তা রয়েছে অভিযানের স্বার্থে। এতটুকু বলতে পারি, র‌্যাব এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে।

নিউজ ট্যাগ: র‌্যাব ফরিদপুর

আরও খবর



এবার ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যর্থতার দায় মেনে নিয়ে এবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রধান হারজি হালেভি পদত্যাগ করতে পারেন। ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টুয়েলভ- এর বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল), দেশটির সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভার পদত্যাগ করেন।

গত সাত মাস ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এরপরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী।

সেই সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে ইসরায়েলি সামরিক ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগের বিরুদ্ধে। ইসরায়েলি নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় আড়াই'শ নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া এবং তাদের উদ্ধারে তেল আবিবের ব্যর্থতা সেনাবাহিনী ও সরকার বিরোধী ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হার্জি হালেভি কিছুদিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শনিবার একথা জানিয়েছে।

ইসরায়েলের বেসরকারি সম্প্রচারকারী চ্যানেল টুয়েলভ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভার পদত্যাগের পর এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী সব কর্মকর্তাকে ঘরে ফিরে যেতে হবে, চিফ অব স্টাফ থেকে শুরু করে সবাইকে।

এর আগে, ২২ এপ্রিল ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।


আরও খবর



শ্রীলঙ্কায় রেসিং কারের ধাক্কায় নিহত ৭

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শ্রীলঙ্কায় কার রেসিং ইভেন্টে রেসিং কারের চাপায় দর্শকসারিতে থাকা ৭ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছে। ইভেন্ট চলাকালীন একটি রেসিং কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে দর্শকদের মধ্যে ঢুকে পড়লে ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়। দেশটির ফক্স হিল অঞ্চলের সামরিক এলাকা দিয়াতলাওয়ায় রবিবার (২১ এপ্রিল) কার রেস ইভেন্টে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি।

নিহতদের মধ্যে চারজন রেসার ছিলেন। তবে ঘটনার দিন তারা দর্শক হিসেবে ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে চার বছরের শিশু এজিনও ছিল।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ট্র্যাকে দুর্ঘটনার বিষয়ে পরিপূর্ণ পুলিশ তদন্ত চলছে।

পুলিশের মুখপাত্র নিহাল তালডুয়া বলেন, গাড়িটি চলমান লেন থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আরেকটি গাড়ি ট্র্যাকে উল্টে যাওয়ার পর পরই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়।

কর্মকর্তারা হলুদ বাতি জ্বালিয়ে দর্শক সারির কাছাকাছি চলে আসা গাড়ির গতি কমানোর চেষ্টা করেন। তাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গাড়িগুলো দ্রুত গতিতে চলতে থাকলে একটি লাল গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্র্যাকের পাশে দর্শক সারিতে ঢুকে পড়ে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পর অনেকে চিৎকার করছেন এবং ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যাচ্ছেন।

গাড়ি চাপায় ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যান। বাকি দুজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীলঙ্কা অটোমোবাইল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা পরিচালিত ইভেন্টটি ১৯৯৩ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট এবং কভিডকালীন বিধিনিষেধের কারণে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটিই ছিল প্রথম রেস।

ইভেন্ট শুরুর আগে আয়োজকরা দর্শকদের জন্য অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রায় ১ লাখ লোক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর