আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

দূর্গাপূজার থাকবে চার স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা: সিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে চার স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে দামপাড়া পুলিশ লাইনস্থ মাল্টিপারপাস শেডে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় সভাপতিত্বে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

এসময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন কমিটি এবং সকল থানার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যবৃন্দের সাথে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৩ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে পূজা উদযাপনের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।  পূজা উদযাপনকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন পুলিশ কমিশনার।

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশিষ কুমার ভট্টাচার্য  বলেন, দূর্গাপূজাকে প্রাণবন্ত, সুন্দর ও নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে সম্পন্ন করতে সবধরনের প্রস্তুতি চলছে। সুন্দরভাবে মায়ের আগমনী ও পূজার অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করবো। এই বছর কিছু পূজা মন্ডপ বেড়েছে। গত সারা বাংলাদেশে প্রায় পূজা মন্ডপে হামলা ও আতংক সৃষ্টি হয়েছিল। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে একটা মহল অঘটন করার চেষ্টা চালাবে, এ ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসন সর্তক রয়েছে। তবুও আমাদের সকল থানা কমিটি নিয়ে একটা সমন্বয় করবো। চকবাজার শিব মন্দির নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের সাথে বৈঠকে বসবো। পতেঙ্গা বিচটা একটু নিরাপত্তা দরকার, কারণ এটা বিসজ্জন ও পর্যটন জন্য এলাকাটি আর্কষণীয়। পতেঙ্গায় প্রতিমা বিসজ্জন হিসাবে থাকার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চায়। সব পূজা মন্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও থাকবে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে।


চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, ধর্মীয় আচার অনুযায়ী পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। আমাদের চাওয়া মন্ডপে কোনো ধরনের ডিজে অনুষ্ঠান এবং মাইকে হিন্দি গান বাজানো চলবে না। বিসজ্জনের স্থান যাতে পরিবর্তন না হয়৷ পতেঙ্গা ও রানী রাসমনি ঘাট ঠিক থাকবে। থিম ও ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী পূজা হবে, ডিজে গান সম্পূর্ণ বন্ধ  থাকবে। এসব আমরা বিষযে কাউন্সিলিং করাবো। গাড়িতে সাউন্ড সিস্টেম বাজাতে না পারে, সেজন্য প্রশাসন এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেবেন।

সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ বলেন, আরতী করার পরে সময়টাকে নিরাপত্তা রাখা দরকার। এসময় স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশকে সর্তক থাকতে হবে। জেনারেটর ও পানির ব্যবস্থা রাখা দরকার, যাতে কোন ধরনের নিরাপত্তা ঘাটতি না থাকে। ষষ্ঠী থেকে সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সিএমপির কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, আমরা আগের অভিজ্ঞতা থেকে এই অপতৎপরতা প্রতিহত করবো। মহানগর এলাকায় দেড় হাজার ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে সহায়তা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এবার ২৯৩টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সেজন্য স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ, সোয়াত টিম, র‌্যাব, আনসার থাকবে। বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে অগ্নি সূত্রপাত যাতে সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে সর্তক থাকা প্রয়োজন।  কোন ধরনের ডিজি পার্টি হবে না, ধর্মীয় নিয়মে মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বিদ্যুৎ বিকল্প হিসেবে জেনারেটর থাকতে হবে। ট্রাফিক পুলিশকে সবসময় নির্দেশনা থাকবে, পূজা কমিটির কোন পরামর্শ থাকলে, সেটা তারা গ্রহণ করবে। বিসজ্জনের স্থানটি আর্কষণীয় ও ঐতিহ্যগতভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী আগমন নিয়ে সেসব নিরাপত্তা থাকা বাহিনীর সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কোন খারাপ পরিস্থিতি আভাস নেই।

পূজা মন্ডপের ধরন অনুযায়ী প্রতিবছরের ন্যায় এবারও চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও র‌্যাব সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। তাৎক্ষণিক অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিমা বিসর্জনের সময় ফায়ার ব্রিগেডের বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।

সভায় সিএমপির পক্ষ থেকে উপস্থিত পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি প্রতিটি পূজামন্ডপ কেন্দ্রিক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন ও টিমের সদস্যদেরকে সার্বক্ষণিক পালাক্রমে নিরাপত্তা ডিউটিতে মোতায়েন এবং তাদের পরিচিতি জন্য নির্ধারিত পোশাক, আইডি কার্ড, আর্ম-ব্যান্ড পরিধানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

এছাড়াও পূজা মন্ডপে দর্শণার্থী প্রবেশের সুবিধার্থে মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদা প্রবেশ ও বহির্গমন পথের ব্যবস্থাকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় নিরাপত্তার স্বার্থে বড় বড় প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, মেটাল ডিটেক্টর, ফায়ার এক্সটিংগুইশার ও জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখার জন্য নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। তদুপরি আজান ও নামাজের সময় মন্ডপের সাউন্ড সিস্টেম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হয়। শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনকালীন সমগ্র মহানগরীতে মন্ডপ কেন্দ্রীক মাদক, ছিনতাই এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশি অভিযান কার্যক্রম জোরদার, টহল বৃদ্ধি, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি এবং উর্ধ্বতন অফিসার কর্তৃক নিয়মিতভাবে প্রতিটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শনের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কমিশনার মহোদয় সকলকে আশ্বস্ত করেন। তাছাড়াও পূজা মন্ডবের আশেপাশে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং, মেলা, রাস্তার উপর দোকান-পাট না বসানোর জন্য নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন এবং জরুরি সেবা পেতে ৯৯৯ যোগাযোগ করার জন্য আহবান জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম-সেবা; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ, মহানগর পূজা থানা কমিটি নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সভা শেষে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না।

তিনি জানান, প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে ও ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে।

সচিব বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) দায়িত্ব পালন করবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।


আরও খবর



হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের হুরগাও গ্রামের হারুন মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২১ বছর পর এ মামলার রায় এলো।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১-এর বিচারক মো: আজিজুল হক মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জালাল মিয়া, রুহুল আমিন, কুতুব আলী, ফজল মিয়া, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন।

আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ছায়েদ মিয়া, মিজান মিয়া, আব্দুল মতলিব, কালা মিয়া, জিয়াউল হক, আয়াত আলী, ইছাক মিয়া, কুতুব আলী, জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া।

২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হুরগাও গ্রামে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে হারুন মিয়াকে হত্যা করা হয়। একই দিন তার চাচাতো ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২১ বছরে রাষ্ট্রপক্ষ ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে। আসামিদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন সময় স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করায় তাদেরকে হত্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় একজন ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৪ এর দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে রবিবার (৫ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের ও চবি উপ-উপাচার্যবৃন্দ।

এসময় চবি শিক্ষক সমিতির বিদায়ী সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক, চবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৪ এর নব নির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এ. বি. এম. আবু নোমান, যুগ্ম-সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, চবি শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ এবং সমিতির বিদায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ দল), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর আহবায়ক প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে চবি শিক্ষক সমিতির নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ নেতৃবৃন্দকে শিক্ষক সমিতির বিদায়ী নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে বরণ করেন।

চবি শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণের পরে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহেরকে সাথে নিয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে, স্বাধীনতার স্মৃতি স্তম্ভে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে চবি শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ চবি উপাচার্যের অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত নেতৃবৃন্দরা মেধা, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে চবি উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চবি শিক্ষক সমিতির নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় চবি উপাচার্যকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ নির্বাচিতরা হলেন- সভাপতি পদে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি পদে নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ পদে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক পদে আইন বিভাগের প্রফেসর এ. বি. এম. আবু নোমান, যুগ্ম-সম্পাদক পদে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, এবং সদস্য পদে যথাক্রমে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল আলম, ফিশারিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ রাশেদ-উন-নবী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম শাহাদাত আল সাজীব, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. রেজাউর রহমান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. এ এস এম বোরহান উদ্দীন নির্বাচিত হয়েছেন।


আরও খবর



ভারতের নির্বাচনি প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি।

বিজেপির নির্বাচনি প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সাথে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনি প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবেন। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।


আরও খবর



ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৩৯, নিখোঁজ ৭০

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। এ বন্যায় কমপক্ষে ৩৯ জন মারা গেছেন এবং ৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের

আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে গত সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া অনেক জায়গায় ভূমিধস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যে রাজ্যটিতে এবারের ঝড় ও বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যজুড়ে নদনদীর পানি এখনো বাড়ছে, বহু এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে।

এদিকে দুর্যোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটি পরিদর্শনে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সেখান গিয়ে তিনি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আলাপ করেন।


আরও খবর