আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

এবারের বইমেলায় বিক্রি ৬০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গেল বছরের তুলনায় এ বছর অমর একুশে বইমেলায় অন্তত ১৩ কোটি টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে। মেলায় মোট ৬০ কোটির টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে। গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৪৭ কোটি টাকা। এ বছর বই প্রকাশিত হয়েছে ৩ হাজার ৭৫১টি। গত বছর প্রকাশিত হয় ৩ হাজার ৭৩০টি বই।

শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে অমর একুশে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক শাহেদ মমতাজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, গেল ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধনী আয়োজনে এসেছিলাম। জীবনে চিন্তাও করিনি বইমেলার সমাপনী আয়োজনে আমি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে হাজির হবো। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমি কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। কোনো প্রমিজে বিশ্বাস করি না, কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। প্রতিশ্রুতি তো ভঙ্গ হয়ে যায়। আমরা সবাই মিলে যদি একটি টিমওয়ার্ক করতে পারি, তাহলে কাজটি ভালো হবে।

বইমেলা স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা এখন ঐতিহ্য হয়ে গেছে। এই বইমেলা সরানোর বিষয়ে কথা উঠেছে। আমরা কোনো না কোনো ব্যবস্থা করে বইমেলা এখানে রাখার ব্যবস্থা করবো।


আরও খবর



দুর্নীতি মুক্ত ভিসি নিয়োগের দাবিতে ইবিতে মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্নীতিমুক্ত, ক্লিন ইমেজ ও সংস্কারমনা ভিসি নিয়োগের দাবিতে মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্র সমাবেশ করেন তারা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে এসে মিলিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা যে ১৩জন উপাচার্য পেয়েছি তারা কোনো না কোনোভাবে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। এতে দেখা যায় তারা অনিয়ম-দুর্নীতির মহা সুযোগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করেছে। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত ভিসির পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা এমন ভিসি চাই না যার অডিও ফাঁস হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করে, রাতে মেয়েদের হলের সামনে গিয়ে মাতলামি করে, দিনে সুশীল সেজে রাতে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকে। এছাড়া নির্দিষ্ট দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কোন শিক্ষককে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে। আমরা নিরপেক্ষ, সংস্কারমনা, শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য নিয়োগের জোরালো দাবি জানাই।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা পূর্বে দেখেছি ভিসি নিয়োগের পর তারা বাণিজ্যিক ক্যাম্পাস উপহার দিয়েছিল। ক্যাম্পাস বাণিজ্যের কোন কারখানা নয়, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান চর্চার জায়গা। আমরা এমন একজন ভিসি চাই যিনি হবেন শিক্ষার্থীবান্ধব। শিক্ষার্থীদের হৃৎস্পন্দন বুঝে তিনি কাজ করবেন। কোন দুর্নীতির সঙ্গে তার নূন্যতম কোন যোগসূত্র থাকবে না। যিনি হবেন ক্লিন ইমেজের অধিকারী এবং সর্বমহলে স্বীকৃত।

প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগের দৌড়ে এগিয়ে থাকা ৭ জন শিক্ষকের নাম গণমাধ্যমে এসেছে। এদের মধ্যে বেশকয়েকজনের বিষয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম ও নারী কেলেঙ্কারীসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। ফলে যাচাই বাছাই করে ক্লিন ইমেজ, সংস্কারমনা, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে ভিসি নিয়োগদানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

আরও খবর



কারামুক্ত হলেন ঈশ্বরদী বিএনপির ১২ নেতাকর্মী

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলি করা মামলার রায়ে পাঁচ বছর আগে ফাঁসি, যাবজ্জীবন ও ১০ বছর মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ২৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিজয়-৭১-এর ১১ আদালতের বিচারক এ এস এম আব্দুল মবিন ও বিচারক মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের যৌথ বেঞ্চ কারাবন্দি ঈশ্বরদী বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর মধ্যে ৩০ জনকে জামিনের আদেশ দেন। এই আদেশের প্রেক্ষিতে রবিবার ( ৮ সেপ্টেম্বর) পাবনা কারগার থেকে মুক্তিলাভ করেন ১২ নেতা-কর্মী। অন্য ১৮ জন রাজশাহী কারাগারে থাকায় সোমবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) মুক্তি পাবেন বলে জানা গেছে।

রবিবার কারামুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বিশ্বাস, ইসলাম হোসেন জুয়েল, আনোয়ার হোসেন জনি, উঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন, মোহাম্মদ বরকত, হাফিজুর রহমান মুকুল, আবুল কাশেম, লিটন মাল, আহম্মেদ ফয়সাল রিয়াজি রনো, এনাম, সিমুয়া শামসুর রহমান, আজাদ হোসেন খোকন।

সহস্রাধিক বিএনপির নেতা-কর্মী শোভাযাত্রা করে কারামুক্তদের নিয়ে আসেন পাবনা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে। সেখানে জেলা বিএনপির আহব্বায়ক ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ জেলার নেতারা কারামুক্তদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ। পরে কারামুক্ত নেতাদের নিয়ে ঈশ্বরদীতে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। দীর্ঘদিন পর কারামুক্ত নেতাকর্মীদের একনজর দেখার জন্য বিভিন্ন মোড় সরগরম হয়ে উঠে। কারামুক্তদের পরিবারে আনন্দের বণ্যা বয়ে যায়।

সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জামিল আক্তার এলাহী জানান, ত্রিশ বছর আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত ফরমায়েশি রায় দেন পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক রস্তম আলী। ফরমায়েশি এই রায়ে স্থানীয় বিএনপির মোট ৫২ জন নেতাকর্মীর মধ্যে ৯ জনকে ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। বিচার চলাকালীন ৪ জন এবং রায়ের পর কারাগারে মারা গেছেন ৩ জন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২ জন জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত ১২ জন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৮ জনকে জামিন দেন আদালত। মামলা চলাকালীন ও কারাগারে বন্দি অবস্থায় মৃত্যু বরণকারীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এখনও ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত ৯ জন নেতা কারা অন্তরীণ রয়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ মামলাটির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদেরও জামিনের বিষয়টি আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অচিরেই তারা কারামুক্ত হবেন।


আরও খবর



চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি পদত্যাগ দাবিতে কার্যালয় ঘেরাও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

পূর্বঘোষিত ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামেও চট্টগ্রাম ওয়াসা এমডি ফজলুল্লাহ পদত্যাগ না করায় লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ওয়াসা ভবন ঘেরাও করা হয়। শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচিতে ওয়াসা এমডি ফজলুল্লাহর লেলিয়ে দেয়া কর্মচারীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করে।

ওয়াসা ভবনের সামনে গলায় আইডি কার্ড গলায় ঝুলানো ২০-৩০ একটি দল এসে আন্দোলনকারীদের উপর হামলায় অংশ নেন। এসময় তারা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধির উপর হামলার অভিযোগ করেন। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির অনেক দুর্নীতি-অনিয়ম আছে। তিনি প্রত্যেকটা প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। নিজের পরিবারের ২০ জনকে অবৈধভাবে ওয়াসাতে চাকরি দিয়েছেন। নিজের ভাগিনের মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজ করছেন। সাবেক সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশের টাকা পাচার করেছেন। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কর্মচারীদের লেলিয়ে দিয়ে হামলা করেছেন। আবার নিজের মুখেই বিএনপির নেতাকে ম্যানেজ করার কথা বলছেন। আমরা তার পদত্যাগ ও শাস্তি দাবি করছি। আমাদের আন্দোলন লাগাতার চলবে।

আন্দোলনে অংশ নেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, ওয়াসা এমডির নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে অনেক নিউজ হয়েছে। ওনার পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। দ্রুত আমরা সেটা দেখতে পাবো।

আন্দোলনকারীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া এম এ হানিফ নোমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওয়াসায় যে অনিয়ম চলছে তার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি। এমডির অনিয়মে বিরুদ্ধে কথা বলায় তিনি তার সমর্থক নামে কিছু সন্ত্রাসীদের আমাদের উপর লেলিয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক গ্লোগান দিয়ে এমডি অফিসের সামনে আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা। সে জালিম হাসিনা সরকারের দোসর। আগের স্টাইলে তিনি ওয়াসা দখল করে রাখতে চাইছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালে জন্ম নেওয়া এ কে এম ফজলুল্লাহ চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে অবসর নেন ২০০০ সালে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ৬ জুলাই প্রথমবার চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে এক বছরের জন্য নিয়োগ পান। এরপর আরও এক বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে ঢাকা ওয়াসার আদলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ তৈরি করা হয়। ওয়াসা বোর্ডও পুনর্গঠন করা হয়। তখন এমডি পদে নিয়োগ পান তৎকালীন চেয়ারম্যান ফজলুল্লাহ। সেই থেকে ১৫ বছর ধরে এমডি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।


আরও খবর



ভারতে পালাতে চাওয়া ১১ বাংলাদেশিকে সুন্দরবনে রেখে পালিয়েছে দালাল

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে অস্থিরতার মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দলীয়প্রধান দেশ ছাড়ার পর আত্মোগোপনে চলে গেছেন আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী। অনেকে গোপনে দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়েরও পরিকল্পনা করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে সুন্দরবনে আশ্রয় নেন পাঁচ শিশুসহ ১১ বাংলাদেশি। পরে বন বিভাগের কর্মীদের হাতে ধরা পড়েন তারা। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।

ঠিক সেভাবে ভারতে পালানোর জন্য দালালের সঙ্গে চুক্তি করেন একদল বাংলাদেশি। তবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে না দিয়ে শেষ পর্যন্ত সুন্দরবনে ফেলে রেখে পালিয়েছে দালাল। গত শনিবার (৩১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকাল বাংলাদেশের এক প্রতিবেদনে এ জানানো হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বন বিভাগের হাতে আটক হওয়া সবার বাড়ি খুলনা। শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর অস্থিরতার মুখে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন তারা।

তাদের দাবি, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তারা পালাতে বাধ্য হন। এ জন্য ভারতে আসতে চেয়ে এক দালালের শরণাপন্ন হন তারা।

গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি মহিলার অভিযোগ, ভারতে পালাতে দালালের সঙ্গে তাদের ৪৫ হাজার টাকার চুক্তি হয়। তবে ওপারে নিয়ে জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।

জানা গেছে, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের টহলের সময় তাদের নজরে আসেন তারা। পরে তাদের সুন্দরবন কোস্টাল থানা হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ রয়েছেন। তাদেত হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ।


আরও খবর



সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এলো ৫৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চলতি বছরের এপ্রিল, মে ও জুন মাসে টানা দুই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। জুনে তা কমে ফের দুই বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। জুলাই মাসে রেমিট্যান্সের গতি আরও কমে। তখন ১৯১ কোটি মার্কিন ডলারের নিচে নেমে আসে। যদিও এর পেছনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর ঘোষণা দেয়।

তবে শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তনের পরপরই বাড়তে থাকে রেমিট্যান্সের গতি। নতুন সরকারের শুরুতে আগস্টে ফের রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া লাগে যার গতিতে দুই বিলিয়ন (২২২ কোটি ডলার) ডলার ছাড়িয়ে যায়।

সেই ধারাবাহিকতায় রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে দেশ। চলতি মাস সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। গত বৃহস্পতিবার একদিনেই এসেছে প্রায় ১৩ কোটি (১২.৮০) ডলার। যা দেশের জন্য এক নতুন রেকর্ড গড়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয় চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ডলার আসে। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

উল্লেখ্য, ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর পরেই সব কিছুতে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। বাদ যায়নি অর্থনীতিতেও।


আরও খবর
কোনো রকমে বাড়লো সূচক, কমেছে লেনদেন

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪