মৌলভীবাজারের
শ্রীমঙ্গলে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে
গেছে, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ
মৌলভীবাজার জেলা দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। এতে জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায়
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান,
মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে বয়ে যায় আধা ঘণ্টার কালবৈশাখী ঝড়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর
দিয়ে যাওয়া আখাউড়া-সিলেট রেলপথের একাধিক স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে
গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা।
কমলগঞ্জের ভানুগাছ
রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার কবির আহমেদ বলেন, ঝড়ে সিলেট-শ্রীমঙ্গলের মাঝে রেললাইনের ওপর কয়েকটি
গাছ ভেঙে পড়ে। এতে বিকেল থেকে সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন,
শ্রীমঙ্গল স্টেশনে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে আটকে আছে ও ঢাকাগামী
পারাবত এক্সপ্রেস ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে ৫টা ৩৭ মিনিট থেকে আটকে আছে। গাছ অপসারণের
কাজ চলছে। শিগগিরই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
সরেজমিনে দেখা
গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাঁশ ঘরের ওপরে পড়েছে। বিশেষ
করে শ্রীমঙ্গল শহরে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন দোকানের চাল উড়ে গেছে।
উপড়ে গেছে অসংখ্য বড় বড় গাছ।
উল্লেখ্য, সিলেট
অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে রাত ১ টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ
৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর
সাড়ে ৩টা থেকে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়ার
পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের
উপ-পরিচালকের পক্ষে আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,
বিকেল ৩টা থেকে দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলেরে উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম
দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে
পারে।