আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

এক মিশনে ৪১ কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাল চীন

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে রেকর্ড গড়েছে চীন, কক্ষপথে স্থাপনের জন্য একটি রকেটে পাঠানো হলো ৪১টি স্যাটালাইট। বৃহস্পতিবার লং মার্চ ২ ডি নামে একটি রকেট ব্যবহার করে এসব উপগ্রহ কক্ষপথে পাঠানো হয়।

লং মার্চ সিরিজের রকেট এই প্রথম মহাকাশে গেল, এমটা নয়; এর আগে ৪৭৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এই সিরিজের রকেট দিয়ে।

এর আগে এতগুলো কৃত্রিম উপগ্রহ এক মিশনে পাঠানো হয়নি; এটা চীনের জন্য নতুন রেকর্ড। পৃথিবীর বাইরেও যে চীনের আধিপত্য বাড়ছে, মহাকাশে একের পর এক স্যাটেলাইট পাঠিয়ে সেই বার্তাই দিচ্ছে শি জিনপিং প্রশাসন।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে মিউজিক ফেস্টিভ্যালের পাশে গোলাগুলি, নিহত ২

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে চীনের শানজির প্রদেশের তাইওয়া স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। নতুন করে পাঠানো এসব উপগ্রহের মধ্যে ৩৬টি জিলিন-১ সিরিজের বলে জানানো হয়। মূলত বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হবে এসব কৃত্রিম উপগ্রহ।

এই উপগ্রহগুলোগুলোকে বলা হয়, রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট। মূলত কোনো সুনির্দিষ্ট এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য এ উপগ্রহ ব্যবহার করা হয়। এই সিরিজের কৃত্রিম উপগ্রহগুলো চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি।

আরও পড়ুন: তাপমাত্রা বাড়লে কুকুর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে : গবেষণা

লং মার্চ ২ ডি রকেট টাইপের প্রধান ডিজাইনার লি জিয়ানকিয়াং চায়না ডেইলিকে বলেন, সবশেষ মিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রকৌশলীদের নিশ্চিত করা যে, স্যাটেলাইটগুলি রকেটের পেলোড ফেয়ারিংয়ের ভিতরে নিরাপদে সাজানো হয়েছে এবং বাইরের মহাকাশে প্রবেশ করার পরেই তাদের নির্ধারিত কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে।

চীন ২০১৫ সালে জিলিন-১ সিরিজের প্রথম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল। সেই সময় এর ওজন ছিল ৪২০ কেজি। প্রযুক্তির উন্নয়নে এই সিরিজের কৃত্রিম উপগ্রহ আরও আধুনিক হয়েছে। এখন চীন বলছে, তাদের এই সিরিজের কৃত্রিম উপগ্রহের ওজন মাত্র ২২ কেজি।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় নিহত ১

চীনের মহাকাশ পরিকল্পনা শুধু মহাকাশ কেন্দ্র তৈরিতে সীমাবদ্ধ নেই। চীন পৃথিবী পৃষ্ঠের কাছ থেকে গ্রহাণুর বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করতে চায়। চীনের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে তারা নভোচারী পাঠাবে এবং মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহ থেকে নমুনা আনার জন্য তারা অনুসন্ধানী প্রোব মহাকাশ যান পাঠাবে।

মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে চীন বিশ্বের তৃতীয় দেশ যারা মহাকাশে নভোচারী পাঠিয়েছে এবং একই সঙ্গে মহাকাশে স্পেস স্টেশন বা মহাকাশ কেন্দ্র তৈরি করছে। এর আগে যে দুই দেশ এই দুটি উদ্যোগ নিয়েছিল তারা হল রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর



মাল‌য়ে‌শিয়ার শ্রমবাজার বন্ধই থাক‌ছে: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের দেশটিতে প্রবেশের বিষয়ে কোনো সুখবর দেননি ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম। তিনি বলেছেন, মালয়েশিয়া সরকার বেঁধে দেওয়া সময়ের বিষয়ে কঠোর।

বুধবার (৫ জুন) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন হাইকমিশনার।

হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছি। একটা নির্দিষ্ট ডেটলাইনের মধ্যে বিষয়টি বেঁধে দিয়েছিলাম, যা ৩১ মে ছিল। কারণ, আমরা ১৫টি উৎস দেশের জন্য এ সময়সীমা প্রয়োগের বিষয়ে অভিন্নতা নিশ্চিত করতে চাই। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, ১৫টি উৎস দেশের জন্য প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, আমাদের নতুন করে পুনর্বিবেচনা করতে গেলে ১৫টি উৎস দেশের জন্য এটা করতে হবে। এটার পাশাপাশি ত্রুটিগুলো সমাধান করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করেছেন। আমি এ বার্তা কুয়ালালামপুরে পৌঁছে দেব।

মালয়েশিয়া সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের পরও গত ২ জুন কর্মীদের নামে ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাইকমিশনার বলেন, এ তথ্য সঠিক নয়। মালয়েশিয়া সরকার সময়সীমার ব্যাপারে কঠোর।

মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীরা কাজ না পাওয়ার বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি মালয়েশিয়া সরকার দেখবে। এর বেশি কিছু আমি বলতে চাই না।


আরও খবর



ব্যবসায়ীর কোটি টাকা নিয়ে ভারতে পালিয়েছে কর্মচারী, উদ্ধার ৯৭ লাখ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার ফলমন্ডি এলাকায় একটি দোকান থেকে এক কোটি ৮ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় আব্দুল কাদের নামে এক কর্মচারী। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে নেমে ৯৬ লাখ টাকা ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

থানা সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুন ফলমন্ডির মেসার্স তৈয়্যবিয়া ফার্মের মালিক মো. আলী হোসেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন কোতোয়ালী থানায়।

সোমবার আনোয়ারার গহিরা দোভাষী বাজার বেড়িবাধ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ম্যানেজারের খালাতো ভাই ও সহযোগী মাসুদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার বাড়ি থেকে ৪৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ২৯ তারিখ বাকলিয়া এলাকা থেকে আরও ৫০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক জানান, ব্যবসায়ীর কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারি আসামি ভারতে পালিয়েছে। পরে ফোনে যোগাযোগের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে সহযোগী মাসুদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দুই জায়গা থেকে প্রায় ৯৭ লাখ টাকার মতো উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



সিন্ডিকেটের ফাঁদে কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারও সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে চামড়ার দাম। সরকার নির্ধারিত ন্যায্য দাম পাননি কেউ। হাতেগোনা কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা সামান্য লাভের মুখ দেখলেও কোরবানির চামড়ায় দায় সারা দরে কিনতে সব আয়োজন করেছেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা।

ফলে গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৭ টাকা বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (১৯ জুন) সরেজমিনে চামড়া কেনাবেচার স্থানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত লবণযুক্ত চামড়ার দামের অর্ধেক দামেও চামড়া বিক্রি করতে না পেরে লোকসানে হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর এ রকম সিন্ডিকেটের ফাঁদে রংপুরে একদিকে কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার আমদানি। অন্যদিকে ন্যায্য দাম না পেয়ে চামড়া মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

এদিকে, সরকারের বেঁধে দেওয়া চামড়া দাম নির্ধারণ শুধুই কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকায় সিন্ডিকেট বলয় এবারও ভাঙতে পারেননি সাধারণ ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা।

রংপুর নগরীর চামড়া কেনাবেচার সবচেয়ে বৃহৎ এলাকা চামড়াপট্টিতে দেখা গেছে, পুরো চামড়ার বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে নেন আড়তদারসহ বড় বড় ব্যবসায়ীরা। তারা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে তাদের বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে চামড়া বিক্রি হয়নি।

এদিকে সাধারণ মানুষ এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চামড়ার জন্য প্রসিদ্ধ রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর টার্মিনাল রোডের চামড়াপট্টি এলাকার ব্যবসায়ীরাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে এবারও সস্তায় চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। গরুর চামড়ায় দাম মিললেও ছাগলের চামড়া ফ্রি-তে দিতে হয়েছে। চামড়ার দাম কম দিতে নানা অজুহাতের ফাঁদ গল্প শুনতে হয়েছে তাদের।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, এবার প্রতি পিস গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫ থেকে ১০ টাকায়। মৌসুমি চামড়া বিক্রেতারা জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া কিনে আনার পর আড়তদারদের কাছে চামড়ার ন্যায্য দাম পাওয়া যায়নি। এতে করে হতাশ তারা।

রাশেদুন্নবী জুয়েল নামের একজন জানান, তাদের গরুর দাম ছিল ১ লাখ বিশ হাজার টাকা। কিন্তু সেই গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ৪০০ টাকায়। প্রায় চার ঘণ্টা ছিলাম। কোনো ক্রেতাই এর থেকে দাম বেশি বলেনি। উপায় না থাকায় কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। এতে করে আমার ক্ষতি না হলেও সাধারণ গরীব-মিসকিনেরতো ঠিকই ক্ষতি হচ্ছে। কারণ কোরবানির পশুর চামড়ার টাকায় তো তাদের হক রয়েছে।

চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমি ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জানান, প্রতি বর্গফুট মাঝারি গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ৮০০ এবং বড় গরুর চামড়া এক হাজার থেকে বারোশ দাম হওয়ার কথা। তিনি ওই হিসেবে গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। গাড়ি ভাড়া আনুষঙ্গিক খরচসহ সাড়ে ৬০০ টাকা পড়েছে প্রতি পিস চামড়া কিনতে। কিন্তু আড়তদাররা ৫০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে রাজি না হওয়ায় তাকে মোটা অঙ্কের লোকসান মেনে নিতে হয়েছে।

একই কথা জানিয়েছেন নগরীর সিও বাজার এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী সোলায়মান আলী। তিনিও গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনে এনে সস্তা দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। তবে আড়তদারদের দাবি, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা টাকা তুলতে না পারা, পুঁজি সংকটসহ লবণের দাম বৃদ্ধি ও বিভিন্ন কারণে সরকার নির্ধারিত দামে তারা চামড়া কিনতে পারেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর ১৫-২০ জন ফড়িয়া ও অর্ধশত মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং হাতেগোনা ৬-১০ জন ব্যবসায়ী চামড়া কিনলেও এ বছর বেশির ভাগকেই চামড়া কেনাবেচায় দেখা যায়নি। সবমিলিয়ে চার-পাঁচজন ছাড়া চামড়া কেনার মতো বড় কোনো ব্যবসায়ী ও আড়তদার ছিল না এ এলাকায়। অথচ এক সময় চামড়াপট্টি এলাকায় শতাধিকের বেশি চামড়ার গুদাম ছিল।

রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, সিন্ডিকেট করে কী লাভ? এমনিতেই চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। ট্যানারি ছাড়া স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণের বিকল্প কোনো উপায় নেই। এখন আমদানিও কম। লবণের দাম তো বেড়েই চলেছে। এত কিছুর মাঝেও ট্যানারি মালিকেরা সরকারের কাছ থেকে ঋণ পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর ধরে ঋণ সুবিধার বাইরে রয়েছি। আমাদের ঋণ দেওয়া হয় না। অথচ বড় বড় ট্যানারি মালিকেরা চামড়া ব্যবসার নামে ঋণ নিয়ে তা অন্যখাতে বিনিয়োগ করছে।

তিনি আরও বলেন, চামড়া কিনে কোথায় বিক্রি করা হবে, এ নিয়েই চিন্তিত বড় ব্যবসায়ীরা। এখন চামড়ার দাম নেই। তার মধ্যে আর্থিকভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।


আরও খবর



কুয়েতে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন, নিহত অন্তত ৩৯

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মানগাফ শহরে এই অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। বুধবার (১২ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। অবশ্য রয়টার্সের পৃথক প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৫ বলে জানানো হয়েছে।

আনাদোলু বলছে, কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলে আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৯ জনে পৌঁছেছে। অগ্নিকাণ্ডের পর প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ৩০ জনের বেশি বলে জানানো হলেও পরে সেই সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়।

পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্স বলছে, দক্ষিণ কুয়েতের মানগাফ শহরে একটি ভবনে আগুন লেগে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম কুয়েত টাইমস বলছে, কুয়েতের দক্ষিণ আহমদী গভর্নরেটের মানগাফ এলাকায় একটি ভবনে আগুন লেগে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আহত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য মেডিকেল দলগুলো তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও মন্ত্রণালয় আশ্বস্ত করেছে।

অন্যদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি নিউজ বলছে, অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে চারজন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় অন্তত চার ভারতীয়ও নিহত হয়েছেন বলে কুয়েতি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।


আরও খবর



হলি আর্টিজানে হামলা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের অপেক্ষা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০১৬ সালের ১ জুলাই (শুক্রবার) রাত ৮টা ৪৫ মিনিট। রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা গোটা দেশকে স্তম্ভিত করেছিল। সশস্ত্র হামলাকারীরা ২২ জনকে হত্যা করে। এর মধ্যে ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিক ছিলেন। পরে সেনা, নৌ, পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির যৌথ অভিযোগে ভয়াবহ এই ঘটনার অবসান ঘটে। অভিযানে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ আট জঙ্গি নিহত হয়।

ভয়াবহ এই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।

দণ্ডিতরা হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। পরে গত বছরের ৩০ অক্টোবর ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। তবে এই মামলায় হাইকোর্টের রায় এখনও প্রকাশ হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ উভয়ই এ মামলা আপিলে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের রায় প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, রায়ের অনুলিপি পেলে বুঝতে পারব কোন যুক্তিতে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিমুল এহসান জুবায়ের জানান, হাইকোর্টের অনুলিপি আমরা এখনও পাইনি। রায় প্রকাশের পর আসামিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

যেদিন কী ঘটেছিল

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন গুলশান থানার রোড নম্বর-৭১ থেকে ৯২ এবং এর আশপাশ এলাকায় পেট্রোল ডিউটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ওয়্যারলেসে ভেসে আসে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে গুলির খবর। খবর পেয়েই ফোর্সসহ রাত আনুমানিক ৮টা ৫০ মিনিটে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসআই রিপন। হলি আর্টিজানের কাছে উপস্থিত হয়ে তারা দেখতে পান, রেস্টুরেন্টের ভেতরে কতিপয় সন্ত্রাসীরা আল্লাহ্ আকবর ধ্বনি দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করছে।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ ও এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের নিক্ষিপ্ত গুলি ও গ্রেনেডের আঘাতে এসআই ফারুক হোসেন ও কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস ও আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং এসআই রিপন কুমার দাস বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। এরপর পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হলি আর্টিজানের বেকারির চারপাশে কর্ডন করে ফেলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে অনবরত গ্রেনেড ও গুলি করতে থাকে।

এ অবস্থায় রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসীরা হলি আর্টিজানের বেকারির পশ্চিম দিকের বাড়ির সামনে অবস্থানরত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে অন্তত ৩০-৩৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আহত হন, কেউ কেউ মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়। সে সময় চারদিকে ঘিরে থাকা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-পুলিশসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা দৌড়ে নিরাপদ দূরত্বে যান। আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টা ২০ মিনিটে বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন খান মৃত্যুবরণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল করিমের মৃত্যু হয়।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে রাতেই সিদ্ধান্ত হয় পরের দিন ২ জুলাই অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনা করা হবে। এ অভিযানের মধ্য দিয়েই জিম্মিদশার অবসান ঘটান সেনা, নৌ, পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ কমান্ডো দল। নিহত হয় আট জঙ্গি, আহত অবস্থায় ধরা পড়ে একজন।

রাত দেড়টায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করে ২০ জন নিহত হওয়ায় কথা জানায়। আইএসের পক্ষ থেকেও হামলাকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের সৈনিক বলে দাবি করে।


আরও খবর