আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদনের প্রথম পর্যায়ে ফল প্রকাশ করেছে ‌আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। রবিবার‌‌ (২৩ জুন) রাত ৮টার পর ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি করা ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, রাত ৮টার পর ওয়েবসাইটে xiclassadmission.gov.bd একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর‌পর আবেদনের সময় দেয়া মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে ফলাফল জানিয়ে দেয়া হয়েছে।‌

এদিকে রোববার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আগামীকাল সোমবার থেকে মোবাইল ব্যাংকিং চার্জ বাদে রেজিস্ট্রেশন ফি ২২৮ টাকা (ওয়েবসাইটে উল্লেখিত অপারেটর-এর মাধ্যমে) জমা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে। তবে পরবর্তীতে মাইগ্রেশন হলে শিক্ষার্থীকে নতুন করে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে না অর্থাৎ কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না।

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ফল প্রকাশের পর নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন করতে হবে। তাদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলে শূন্য আসনে ৩০ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে, যা চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর টানা চার দিন চলবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া।

৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেয়া হবে, যার ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ৩০ জুলাই সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

এর আগে, গত ২৬ মে শুরু হয়ে ১৩ জুন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়।


আরও খবর



সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: ১৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় একদিনের ব্যবধানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বাড়ছে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা। সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে এরই মধ্যে ১৬ লাখের অধিক মানুষ বন্যা আক্রান্ত হয়েছেন। যত সময় গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে বন্যা দুর্গত মানুষের সংখ্যা।

বুধবার (১৯ জুন) বিকেল পর্যন্ত সিলেট নগরসহ জেলার ১৩ উপজেলায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়ে সোয়া ৮ লাখে পৌঁছেছে। আগের দিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে এই সংখ্যা ছিল পৌনে ৪ লাখে। এর কয়েক ঘণ্টার পর রাতে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা পৌনে সাত লাখে পৌঁছায়। আর ২৮ ঘণ্টার ব্যবধানে বন্যা আক্রান্ত ৮ লাখ ছাড়িয়ে যায়। আর সুনামগঞ্জে উপদ্রুত এলাকায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে ২৯ মে অকাল বন্যায় সিলেটে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬২ জন। এছাড়া মৌলভীবাজার সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত তিন লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন বলে জানা গেছে। এবার অবিরাম হালকা ও ভারী বর্ষণ এবং ভারতের মেঘালয়া থেকে নেমে আসা ঢলে আবারও ফের বন্যাকবলিত হয়ে সিলেট নগরসহ ১৩ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বুধবার পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় ৪১ লাখ ১১হাজার ৮৩৫ জনের জনসংখ্যার ৮ লাখ ২৫ হাজার ২৫৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। প্লাবিত হয়েছে সিসিকের ৪২টি ওয়ার্ড। পাঁচটি পৌরসভা ও ১৩টি উপজেলার ১৫৩ ইউনিয়নের মধ্যে ১২৯টির এক হাজার ৫৪৮টি গ্রাম। আশ্রয়কেন্দ্র ৬১৯টি থেকে বাড়ানো হয়েছে ৬৫৬টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৯ হাজার ৯৪৯ জন আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৯২৪ জন।

জেলা প্রশাসন সূত্র আরও জানায়, জেলা প্রশাসনে একটি এবং প্রতিটি উপজেলা একটি করে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে উপদ্রুত এলাকা খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা ও উদ্ধার কাজে ভলেন্টিয়ার টিম কাজ করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতে আগামী তিনদিন ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই কারণে সংশ্লিষ্টদের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শেখ রাসেল হাসান।

এদিকে সিলেটের তিনটি নদীর পানি পাঁচটি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত জেলার সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারি-গোয়াইন নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপরে, সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে, অমলসীদ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপরে এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১শ সেন্টিমিটার ও শেরপুরে ২১ সেন্টিমিটার ওপরে, সারি নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহমান ছিল।

বিশেষ করে সিলেট নগর এলাকা, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পৃথকভাবে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। নগরের তালতলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পানি ওঠার আগেই সংশ্লিষ্টরা জরুরি জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছেন।

তবে বন্যা আক্রান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের তথ্য মতে, উপজেলাগুলোর গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষি জমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

সুরমার পানি নগর সংলগ্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় সিলেট নগরের উপশহর, তেরোরতন, সোনারপাড়া, লামাপাড়া, শিবগঞ্জ, মেজরটিলা, কেওয়াপাড়া, তালতলা, জামতলা, সোবহানীঘাট, যতরপুর, মাছিমপুর, পাঠানটুলা, দরগামহল্লা, পায়রাসহ অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকায় বাসা ও দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার ৬টা পর্যন্ত) সিলেটে ১শ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১১০ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে সুনামগঞ্জের ৬৯টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার প্রায় চার লাখের অধিক মানুষ বন্যাকবলিত। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার ৪৩৯ জন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক। ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক, দোয়ারাবাজার-ছাতক সড়ক, জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় পাঁচ হাজার জন, বিশ্বম্ভরপুরে ২২ হাজার, শান্তিগঞ্জে ১৫ হাজার, তাহিরপুরে ১ লাখ ৪০ হাজার, জামালগঞ্জে ১২ হাজার ৬৭০, জগন্নাথপুরে ৩৭ হাজার ৩১০, দিরাইয়ে ৭৮ হাজার ২৫০, শাল্লায় ১১৭, ছাতকে ২ লাখ ও দোয়ারা বাজার উপজেলায় ৫০ হাজার লোক বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ৫৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৪৩৯ জন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে বুধবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে, উজানের পাহাড়ি ঢল ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলাজুড়ে ৪৭৪টি গ্রাম প্লাবিত, আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৯২০ জন মানুষ। তবে রাতে এই সংখ্যা তিন লাখ ছাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন এক হাজার ৫১৩টি পরিবার। মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৭০টি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেটে বন্যা

আরও খবর



এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা আজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দাম নির্ধারণের ঘোষণা হবে আজ সোমবার (৩ জুন)। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।

রোববার বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সচিব ড. দিদারুল আলমের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত জুন (২০২৪) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এ মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা সোমবার বিকাল ৩টায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে, গত ২ মে ভোক্তা পর্যায়ে মে মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এপ্রিল মাসের তুলনায় ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয়েছিল এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

একই সঙ্গে গত মে ও এপ্রিলে অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছিল বিইআরসি। মে ও এপ্রিলে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৩.৯২ টাকা ও ৬৬.২১ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি। আর মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৮.০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে যা মূসকসহ নির্ধারণ করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭.৬৮ টাকা ও ৬৫.৬৭ টাকা।

নিউজ ট্যাগ: এলপিজি বিইআরসি

আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: আরও দুজনের নাম পেয়েছে ডিবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার খুনের ঘটনায় আরও দুজনের নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন— তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজি এবং মো. জামাল হোসেন। গ্রেপ্তার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের নাম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, দুজনের বাড়িই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে। আনোয়ারুল খুনের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের বাড়িও একই এলাকায়। তাজ ও জামাল দুজনেই আক্তারুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

এদিকে আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার তিন এবং ওই দুজনসহ পলাতক সাতজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) প্রধানকে এ নির্দেশ দেন।

এমপি আনার অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

যে ১০ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন—শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, সিয়াম হোসেন, আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজি, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া ও জামাল হোসেন।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আনোয়ারুল আজিম আনারকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে ও গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা তাকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে মৃতদেহের হাড় ও মাংস আলাদা করে মাংসপিণ্ড টয়লেটের কমোডে ফেলে দেয় এবং হাড়গুলো গারবেজ–পলিতে ভরে ট্রলি ব্যাগে করে আশপাশের বর্জ্য খালে ফেলে দেয়।

আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল। তারা পরিকল্পনা করে, কীভাবে অপহরণ করবে ও টাকাপয়সা আদায় করবে এবং টাকাপয়সা নেওয়ার পর কীভাবে হত্যা ও লাশ গুম করবে। এ ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য পলাতক আসামিদের নাম–ঠিকানা সংগ্রহ ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্তমানে পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে তিন আসামি।

মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ আসামির এনআইডি ও পাসপোর্ট নম্বরের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কয়টি অ্যাকাউন্ট আছে, সেগুলোর তথ্য সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর আদেশ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।


আরও খবর



ঈদুল আজহায় ১৩ দিনে সড়কে প্রাণ গেছে ২৩০ জনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের ঈদুল আজহায় ১৩ দিনে সারা দেশে ২৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৩০১ জন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন। গত ১১ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত সংগঠিত দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঈদ পূর্ববর্তী ১১ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ৬ দিনে সারা দেশে ১১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৯ জন নিহত ও ১২৩ জন আহত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৯টি দুর্ঘটনায় প্রায় ১৮ জন নিহত ও প্রায় ২১ জন আহত হয়। আর ঈদ পরবর্তী ১৮ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ৭ দিনে সারা দেশে ১২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত ও ১৭৪জন আহত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সারা দেশে মোট ৩ হাজার ৭৩৯টি মামলায় ৮৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়।

ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মানবিক বিবেচনায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে আগে যেমন প্রধান সড়কে রিকশা চলত না, এখনো তেমন চলবে না।

সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যুর তুলনায় আহতের সংখ্যা কেন কম হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, আসলে বড় যানবাহনের সঙ্গে ছোট যানের দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি। এসব দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা কম থাকে। ছোট যানবাহনের যাত্রীরা ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই মারা যান। একটা সিএনজি বা ইজিবাইকের দুর্ঘটনা হলে ৫-৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত থাকে না বললেই চলে।


আরও খবর



ফ্রিজ ছাড়াই মাংস সংরক্ষণ করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

এ বছর ঈদুল আজহায় সারা দেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি পশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর কোরবানির এ সংখ্যা ছিল এক কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি। গত বছরের তুলনায় এবার তিন লাখ ৬৭ হাজার ১০৬টি পশু বেশি কোরবানি হয়েছে।

কোরবানির ঈদে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে মাংস বাসায় চলে আসে। অনেকের ফ্রিজ থাকে না বা ফ্রিজেও জায়গার অভাব দেখা দেয়। সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায় মাংস। এ রকম পরিস্থিতিতে ফ্রিজ ছাড়াই মাংস সংরক্ষণের উপায় জেনে নিন।

১. মাংস লম্বা ফালি করে কেটে নিন। চর্বি বাদ দিন। লবণ ও হলুদ মাখিয়ে কড়া রোদে শুকান। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে এয়ারটাইট বক্সে ভরে রেখে দিন। ব্যবহার করার আগপর্যন্ত বাটি খুলবেন না। মাঝে মাঝে বাটিটা রোদে দিতে পারেন। এভাবে মাংস অনেক দিন ভালো থাকবে। রান্নার আগে মাংস কুসুম গরম পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে তারপর রাঁধুন।

২. মাংস ভালোভাবে ধুয়ে নিন। পরিমাণমতো হলুদ ও লবণ মাখিয়ে পানি দিয়ে জ্বাল দিন। সেদ্ধ হলে জ্বাল বন্ধ করুন। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে এ রকম স্থানে মাংসের হাঁড়িটা রাখুন। অবশ্যই ঢাকনা দিয়ে রাখবেন। এই মাংস দিনে অন্তত দুবার জ্বাল দিলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে।

৩. মাংসের বড় টুকরা নিন। পানি ঝরিয়ে ফেলুন। চর্বিজাতীয় অংশ বাদ দিন। এবার সেটা লবণ ও লেবুর রস মাখিয়ে কয়েক ঘণ্টা রাখুন। মাংসের মধ্যে লেবুর রস ভালোভাবে ঢুকেছে কি না, খেয়াল করুন। মাংসগুলো এয়ারটাইট বক্সে ভরে সংরক্ষণ করুন। এভাবে বেশ কয়েক দিন ভালো থাকবে।

৪. ফালি করে মাংস কেটে নিন। আদা, রসুন এবং পেঁয়াজবাটা দিয়ে মাংসগুলো ম্যারিনেট করে রাখুন। ডুবো তেলে মাংসগুলো ভেজে ফেলুন। ভাজা মাংস থেকে তেল সরিয়ে নিন। ঢাকনা যুক্ত বাটিতে ভরে মাংস সংরক্ষণ করুন। এই মাংস এক দিন পর পর গরম করতে হবে। এভাবে মাংস ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

৫. চর্বিতে মাংস সংরক্ষণ করা যায়। মাংস মাঝারি সাইজে কেটে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি পাত্রে বেশি পরিমাণে চর্বি দিয়ে তাতে মাংস দিন। চর্বি দেওয়ার সময় মনে রাখবেন মাংস যেন চর্বির অন্তত আধা ইঞ্চি নিচে ডুবে থাকে।


আরও খবর