আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

একটা স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে এমনটা করেন: শাকিব খান

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

১৯৯৯ সালের ২৮ মে যখন তার সিনেমায় পথচলা শুরু হয় তখন জানতেন না যে, তিনি হবেন শীর্ষ নায়ক। তবে চেষ্টা করেছেন। ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূরণ হওয়ার মুহূর্তে ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান জানালেন, সবাইকে খুশি করে চলা পৃথিবীর কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব না। সম্প্রতি ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন শাকিব।

আরও পড়ুন<< স্বর্ণপাম জিতলেন ফ্রান্সের নির্মাতা জাস্টিন ত্রিয়েত

তিনি বলেন, অনেক বছর ধরে দেখেছি একটা স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে এমনটা করেন। তাদের কথায় কান দিলে অনেক আগেই থেমে যেতে হতো। দশ জন আমার খারাপ চাইলেও কোটি মানুষ আমার জন্য ভালো চায়, আমার জন্য দোয়া করে। তাদের ভালোবাসার শক্তিতে আমি দ্বিগুণ এগিয়ে যাই। সবাইকে খুশি করে চলা পৃথিবীর কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব না। সবসময় আমার কাজটা করেছি এবং যতদিন বেঁচে থাকবো করে যাব।

বিগত কয়েকবছর ধরে শোনা যাচ্ছে শাকিবের ক্যারিয়ার শেষ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন কথা গত ১৬ বছর ধরে শুনে আসছি। যেদিন থেকে সিনেমায় আমার একটা জায়গা তৈরি হয়েছে সেদিন থেকে। যতবার আমাকে আটকানোর চেষ্টা হয়েছে মানুষের অন্তহীন ভালোবাসায় দ্বিগুণ এগিয়ে গেছি। মানুষ আমাকে ভালোবাসে সেই ভালোবাসা আমাকে দর্শকদের কাছে নিয়ে যায়। যে দু-চারজন মানুষ এমন কথা বলে তাদের কথা গায়ে মাখি না। এটা থাকবেই ভালো কাজ দিয়ে সেটা মোকাবিলা করতে হবে।

আরও পড়ুন<< আলাদা হয়ে গেলো সারা-শুভমনের পথ

বর্তমানে শাকিব ব্যস্ত আছেন প্রিয়তমা সিনেমার কাজে। এ ছবিতে তার বিপরীতে আছেন কলকাতার ইধিকা পাল। ছবিটি পরিচালনা করছেন হিমেল আশরাফ। সিনেমার কাহিনি লিখেছেন প্রয়াত ফারুক হোসেন। যৌথভাবে চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন ফারুক হোসেন ও হিমেল আশরাফ।


আরও খবর



বিচ্ছেদের প্রশ্নে যা জানালেন জয়া

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। ভারতীয় গণমাধ্যমের ওই সাক্ষাৎকারে তার অভিনয়ে আসা, অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা, নাটক ছেড়ে বড় পর্দায় নাম লেখানো, দুই বাংলায় বিভিন্ন চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। এ সময় তাকে বিচ্ছেদ নিয়েও প্রশ্ন করা হয়।

ফিল্মফেয়ারের ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। গত বছর তিনি কড়ক সিং’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে বলিউডে নাম লিখিয়েছেন। তিনি নারী চরিত্রটিকে অনন্য এক মর্যাদায় নিয়ে গিয়েছেন। তার অভিনয়দক্ষতা হিন্দি সিনেমার দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।’

এতে আরও বলা হয়, তিনি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার, ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক বিদেশি পুরস্কার যেমন ঝুলিতে ভরেছেন, তেমনি ছয়বার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।’

সাক্ষাৎকারের শুরুতেই জয়াকে প্রশ্ন করা হয়, এর আগেও বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কি? জয়া জানান, বেশ কিছু কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কড়ক সিং’ দিয়ে শুরু করা তার কাছে উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে। ছোট হলেও চরিত্রটির নানা স্তর তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।

অভিনয় শুরুর দিকে জয়ার তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তবে সৃষ্টিশীল মাধ্যমে কাজ করার অদম্য ইচ্ছা ছিল।

জয়া আরও জানান, তিনি পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিলেন। পাশাপাশি গান ও ছবি আঁকায় আলাদা মনোযোগ ছিল। আবার শৈশব থেকে অভিনয়ও তাকে টানত। কিন্তু তার পরিবারের কারও সঙ্গে মিডিয়ার কোনও যোগসূত্র ছিল না। অভিনয়ের স্কুলেও তার পড়া হয়নি। নিজের মতো করেই একটু একটু করে অভিনয়ের পথে পা বাড়ান। যদিও তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা এ এস মাসুদ চাইতেন, মেয়ে ফরেন সার্ভিসে যোগদান করুক। কিন্তু সেদিকে জয়ার আগ্রহ ছিল না।

ক্যারিয়ার নিয়ে নানা প্রসঙ্গে উঠে আসে ওই সাক্ষাৎকারে। পরবর্তী সময়ে তার বিবাহবিচ্ছেদ এবং পরে কাজের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গও উঠে আসে। এ সময় জয়া আহসান বলেন, উত্থান-পতন প্রত্যেক মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা যুদ্ধের মতো। সেই সময়ে আমার মানসিক ধারণাটাই পরিবর্তন হয়ে গেল। আমি পুরোপুরিভাবে কাজের দিকে দৃষ্টি ঘোরাই। সাধারণত সেই সময়ে মেয়েরা অনেক কিছু থেকেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে। এমনকি ফোকাস থেকেও সরে যায়। কিন্তু আমার কাজ আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। যে কারণে আমি কাজকেই ভালোবেসেছি। আমি কখনওই কাজ থেকে দূরে সরিনি। আমি আমার এই যাত্রাকে ভালোবাসি। এর মধ্য দিয়েই মানুষ আমার প্রশংসা করেন, আমি কাজকেই সম্মান করি।’


আরও খবর



বিএসএমএমইউয়ের নতুন উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ডা. দীন মোহাম্মদ বলেন, কিছুক্ষণ আগেই আমি জানতে পেরেছি। এটা প্রধানমন্ত্রী বিরাট আশা নিয়ে আমাকে দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের মধ্যে একটা বেস্ট ইনস্টিটিউট করার লক্ষ্যে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সেই চেষ্টাটাই করব।

তিনি আরও বলেন, উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিলে আমব চাইব... যাতে করে প্রতিষ্ঠানটি মানব সেবায় বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠতম অবদান রাখতে পারে। এমনকি বিশ্বের দরবারে যেন প্রতিষ্ঠানটি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। আমরা সবাই যেন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, বাংলাদেশের এ রকম একটা প্রতিষ্ঠান আছে।

নিউজ ট্যাগ: বিএসএমএমইউ

আরও খবর



মেঘনায় ট্রলার থেকে ৩ হাজার কেজি জাটকা জব্দ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার কেজি জাটকা জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড।

সোমবার (১৮ মার্চ ) বিকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১৮ মার্চ সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক স্টেশন কমান্ডার লেঃ কাজী আকিব আরাফাত এর নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর বুরোচর সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বুরোচর হতে মোহনপুরগামী ৩টি কাঠের ট্রলার তল্লাশী করে ৩০০০ কেজি (৭৫ মণ) জাটকা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯ লক্ষ টাকা।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে চাঁদপুর সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফনী ভূষণ দেব এর উপস্থিতিতে জব্দকৃত জাটকা স্থানীয় এতিমখানা, মাদ্রাসা, গরীব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে মৃত্যু : ক্ষতিপূরণের রিটে আদেশ আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

তারে আটকে থাকা টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বেচ্ছাসেবী আতিফ ইসলামের (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে মায়ের দায়ের করা রিট আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ আজ।

রিটকারীর আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের বিষয়ে বুধবার (১৩মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও মোহাম্মদ আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। তারপর আদেশ দেওয়ার জন্য আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

আদালতে ওইদিন শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া আতিফ ইসলামের মা তানজিনা রহমান টুম্পা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধন ছাড়াই রবিনহুড-দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার এবং ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘‘টিয়া পাখি উদ্ধারে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আতিফ ইসলাম। তার মায়ের দাবি, কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ না থাকার পরও জোর করে আতিফকে সেদিন পাখি উদ্ধার করতে বলা হয়েছিল সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, বিদ্যুতের তারে আটকে পড়েছিল টিয়া পাখি। সেই টিয়া পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রবিনহুড-দ্য অ্যানিমেল রেসকিউয়ার এর তিন স্বেচ্ছাসেবী। পরে তাদের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় ২১ ডিসেম্বর বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবী আতিফ ইসলাম (৩০) ওই রাত ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তার বাসা লালবাগ এলাকায়। তার বাবার নাম বাবলা ইসলাম। এ ঘটনায় শফিকুর রহমানের (৪৫) শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়। আরেক স্বেচ্ছাসেবক রুপ (২৫) সামান্য আহত হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টিয়া পাখিটি বিদ্যুতের তারে আটকে থাকার খবর পেয়ে রবিনহুডের স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধার করতে যান। পাখিটি তারের সঙ্গে লেগে থাকা ঘুড়ির সুতায় জড়িয়ে ছিল। যেখানে টিয়া পাখিটি আটকে ছিল, সেখানে গিয়ে একটি তিনতলা ভবনের ছাদে যান স্বেচ্ছাসেবীরা। ছাদ থেকে একটি পাইপ দিয়ে সুতা ছিঁড়ে টিয়া পাখিটি ছাড়ানোর চেষ্টা করেন আতিফ। তখন আতিফ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সঙ্গে থাকা গাড়িচালক শফিকুরও দগ্ধ হন। তারা দুজন রুপকের ওপর পড়লে তিনি সামান্য আহত হন।


আরও খবর



বৈশ্বিক অস্ত্র ব্যবসায় শীর্ষে আমেরিকা, পিছিয়েছে রাশিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব কেবল বিশ্ব অর্থনীতির ওপরই নয় বরং পরিবর্তন এনেছে বৈশ্বিক অস্ত্র বাণিজ্যেও। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে ইউরোপে অস্ত্র আমদানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আর বিশ্ব বাজারে সবচেয়ে বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় পিছিয়ে গেছে রাশিয়া, এগিয়ে গেছে ফ্রান্স। অন্যদিকে, অস্ত্র রপ্তানিতে বিশ্বব্যাপী আধিপত্য জোরদার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে বিশ্ব বাজারে অস্ত্রের আমদানি-রপ্তানিতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। গত পাঁচ বছরে বিশ্বজুড়ে অস্ত্র আমদানি-রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)। 

এতে দেখা গেছে, ২০১৪-১৮ সালের তুলনায় ২০১৯-২৩ সালে সামগ্রিক বৈশ্বিক অস্ত্র স্থানান্তর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে ইউরোপে গত পাঁচ বছরে অস্ত্র আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৪ শতাংশ। দেশগুলোতে প্রায় ৫৫ শতাংশ অস্ত্র রপ্তানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা ২০১৪-১৮ সালের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।

এসআইপিআরআই-এর তথ্যমতে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে লাভবান হয়েছে মার্কিন অস্ত্র নির্মাতারা। সংঘাত শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক অস্ত্র রপ্তানি ১৭ শতাংশ বেড়েছে। গত ৫ বছরে ১০৭টি দেশে অস্ত্র সরবরাহ করায় মোট বৈশ্বিক অস্ত্র রপ্তানির ৪২ শতাংশ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ঝুলিতে। 

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর অস্ত্র রপ্তানি ৪৭ শতাংশ বাড়িয়েছে ফ্রান্স। অন্যদিকে, যুদ্ধের কারণে অস্ত্র রপ্তানি ৫৩ শতাংশ কমিয়েছে রাশিয়া। ২০১৯ সালে ৩১টি দেশে মস্কো অস্ত্র রফতানি করলেও, গত বছর তা নেমে আসে ১২ টি দেশে। ফলে প্রথমবারের মতো রাশিয়াকে পেছনে ফেলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ফ্রান্স। 

এদিকে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশের তালিকায় ভারত, সৌদি আরব ও কাতারের পর চতুর্থ অবস্থান দখল করেছে ইউক্রেন। ২০১৯-২৩ সালে দেশটির অস্ত্র আমদানি ৬ হাজার ৬০০ শতাংশ বেড়েছে।


আরও খবর