আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

এনবিআরের সব উদ্যোগ বন্দি খাতা-কলমে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বিদেশি কর্মীদের কাছ থেকে কর আদায়ে এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সব উদ্যোগই ব্যর্থ। বিমানবন্দরে আয়কর বুথ স্থাপন, বিদেশি নাগরিক কাজ করেন এমন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে টাস্কফোর্স গঠন এবং তথ্যভান্ডারের পরিকল্পনা এখন শুধুই খাতাকলমে বন্দি। বিদেশিরা প্রকৃত বেতনভাতা গোপন করে ওয়ার্ক পারমিট নেওয়ায় সরকার আয়কর হারাচ্ছে। অন্যদিকে হুন্ডিতে বাকি টাকা পরিশোধ করায় দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে বিদেশিদের বৈধভাবে কাজ করতে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমতি নিতে হয়। এছাড়াও এনজিও ব্যুরো ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) বিদেশিদের কাজের অনুমতি দিয়ে থাকে। বিদেশিদের হয়ে তাদের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অনুমতি নিয়ে থাকে।

ইমিগ্রেশন পুলিশের ডেটাবেজের তথ্যমতে, গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ২ লাখ ১২ হাজার ৬৭ জন বিদেশি অবস্থান করছেন। এর মধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৯ জনের। টুরিস্ট ক্যাটাগরিতে বেশি এসেছেন ভারতের নাগরিকরা, আর বিজনেস ক্যাটাগরিতে চীনের নাগরিক। দেশভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৬৮ হাজার ৩০৫ জন ভারতীয় নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তারা দেশে অবস্থান করছেন। এর পরের অবস্থানে আছেন চীনের নাগরিকরা। ভিসার শ্রেণি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অন অ্যারাইভাল ভিসায় বাংলাদেশে বেশি বিদেশি নাগরিক প্রবেশ করেছে। পুলিশের বিশেষ ব্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিদেশিদের কর নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করতে হয় বিধায় প্রকৃত বেতন আড়ালের মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ কম বেতন প্রদর্শন করে বিদেশিদের ওয়ার্ক পারমিট নেওয়া হয়ে থাকে। আফ্রিকানরা খেলোয়াড় কোটায় এসে পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে গার্মেন্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। সরকারি প্রকল্পে এ তিন শ্রেণির ভিসা নিয়ে অনেকে বেসরকারি কাজও করছেন। এতে সরকার সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা বঞ্চিত হচ্ছে। ওই প্রতিবেদনে বিদেশিদের কর ফাঁকি রোধে গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

অন্যদিকে এনবিআরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৬৫ জন বিদেশি করদাতা হিসাবে নিবন্ধিত আছেন। তারা করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি নিবন্ধিত আছে কর অঞ্চল-১১তে, ৩৭ হাজার ৬৭৭ জন। এর পরের অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-২। সব বিদেশির কর অঞ্চল-১১তে নিবন্ধন নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রের অধিক্ষেত্র অনুযায়ী নিবন্ধিত হওয়ায় ঠিক কত বিদেশি করদাতা নিয়মিত রিটার্ন জমা দেন, সে তথ্য এনবিআরের প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই। এছাড়াও বাংলাদেশে ৭৯২টি বিদেশি কোম্পানির লিয়াজোঁ অফিস এবং ৩৬৫টি ব্রাঞ্চ অফিস এনবিআরের আওতায় নিবন্ধিত আছে।

২০১৬ সালে এনবিআরে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিদেশিদের কাছ থেকে কর আদায়ে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই টাস্কফোর্সে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পুলিশের বিশেষ ব্রাঞ্চ (এসবি), ডিজিএফআই, এনএসআই, বাংলাদেশ ব্যাংক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেপজা, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, এনজিও ব্যুরো ও এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে কাজের সুবিধার্থে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলভিত্তিক টাস্কফোর্সকে ভাগ করা হয়। এ টাস্কফোর্সের কাজ ছিল প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে কর ফাঁকিবাজ বিদেশিদের চিহ্নিত এবং কর্মরত বিদেশিদের ডেটাবেজ তৈরি করা। শুরুর দিকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান হলেও পরে ঝিমিয়ে পড়ে। এখন কার্যক্রম বন্ধ আছে। ওই টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও একটি স্থলবন্দরে আয়কর বুথ চালু করা হয়। ঢাকার হযরত শাহজালাল, চট্টগ্রামের শাহ আমানত, সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরে আয়কর বুথে সহকারী কর কমিশনার পদমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এসব বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগের আগে বিদেশিদের আয়কর প্রত্যয়নপত্র দেখানোর নিয়ম চালু করা হয়। এখন সেই বুথগুলোও বন্ধ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বিদেশি কর্মীদের নিয়ে বাংলাদেশে অনেকগুলো সংস্থা কাজ করে। কোনো সংস্থা কাজের অনুমতি দেয়, আবার কোনো সংস্থা কর্মীদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। সব সংস্থার সমন্বয়ে ডেটাবেজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্ত ডেটাবেজ তৈরির কাজ এগোয়নি। তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরে আয়কর বুথ থাকার কথা। সেগুলো কী অবস্থায় আছে, তা জেনে জানাতে হবে। আর টাস্কফোর্সের কার্যক্রম বন্ধ আছে।

জানা যায়, অধিকাংশ বিদেশি কর্মী বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসা ব্যবহার করেন। এরপর বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছেন। এনজিও, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রকৌশল, চিকিৎসা, গার্মেন্ট, মার্চেন্ডাইজিং, পরামর্শকসহ নানা পেশায় তারা কাজ করছেন। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশিদের বেতনভাতা গোপন রাখা হচ্ছে। কারণ বিদেশিদের আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ আয়কর ধার্য আছে। মূলত কর ফাঁকি দিতেই এ কৌশল অবলম্বন করছে দেশীয় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি গোপন চুক্তি অনুযায়ী বেতনভাতা পরিশোধ করতে মানি লন্ডারিংয়ের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণ মুদ্রা পাচার হচ্ছে।

বেতনভাতা কম দেখানোর মাধ্যমে বিদেশিদের কর ফাঁকি নিয়ে বিডার ৩৩৭তম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আলোচনা হয়। সভায় যেসব প্রতিষ্ঠানে বিদেশি কর্মী কর্মরত আছেন, সেসব প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্টে ওয়ার্ক পারমিট অনুসারে বিদেশিদের বেতনভাতা পরিশোধ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয় অডিট রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্ট তৈরিতে হিসাববিদদের সংগঠন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশকে (আইসিএবি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইসিএবির সভাপতি মনিরুজ্জামান বলেন, অডিট রিপোর্টে বিদেশিদের বেতনভাতা আলাদা উল্লেখ করার সিদ্ধান্ত নিলে চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টরা সে অনুযায়ী রিপোর্ট করবে। বিডা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলে হবে না, এ সিদ্ধান্ত ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলকে (এফআরসি) দিতে হবে।

আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, অবৈধভাবে বিদেশীদের নিয়োগ দিলে জেল-জরিমানার বিধান আছে। কোনো ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদেশিদের নিয়োগ দিলে নিয়োগদাতা হিসাবে ওই ব্যক্তিকে সর্বনিন্ম তিন মাস থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।


আরও খবর



বিশ্বকাপে পাকিস্তানি উগ্রবাদীদের সন্ত্রাসী হামলার হুমকি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসও বাকি নেই। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। বিশ্বকাপ চলাকালীন জঙ্গি হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে বিশ্বকাপ চলাকালে হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন।

বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এনিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তাদের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই হুমকি দিয়েছে উত্তর পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন প্রো-ইসলামিক স্টেট (দাইশ)।

পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন নাশকতা করা হবে। যে গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে মূলত সেটি ইসলামিক স্টেট সংগঠন মালিকানাধীন।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রো-ইসলামিক স্টেট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রকাশ করছে। বিভিন্ন সময়ে খেলার মাঠে ঘটে যাওয়া সব নাশকতার ভিডিও সেগুলো।

এ ধরনের ভিডিও প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের তাদের লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি। এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

ক্যারিবিয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, এ বিষয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে মাঠগুলোতে বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ও টিম হোটেলে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সব দেশকে জানানো হচ্ছে যে, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা তাদের প্রধান লক্ষ্য।

চলতি বছর জুনের শুরুতে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আয়োজন করছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের নবম আসর। প্রথমবারের মতো আইসিসির বৈশ্বিক আসরে অংশ নেবে ২০টি দল।


আরও খবর



আমিরাতে পৌঁছাতে এক সপ্তাহ লাগতে পারে এমভি আবদুল্লাহর

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে গতকাল ভোরে মুক্তি পেয়ে এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পেরেছে।

এখনো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ নৌ সীমানার মধ্যে থাকায় জাহাজটির জন্য সতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল আছে। ইতালির নৌ-বাহিনীর একটি ফ্রিগেট জাহাজটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জাহাজটি এখনো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জাহাজের রেলিংয়ে কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে, ডেকে উচ্চ চাপের ফায়ার হোস, সিটাডেল, জরুরি ফায়ার পাম্প, সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত আছে। এছাড়া, নাবিকদের থাকার জায়গা এবং ইঞ্জিন রুমের দরজা ও ঢোকার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

জাহাজের সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবে সিটাডেল প্রস্তুত করা হয়। এর মোটা স্টিলের পাত ভেদ করে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। নাবিকরা এর ভেতরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিজেদের সুরক্ষিত করে রাখতে পারেন। জাহাজটি বর্তমানে প্রতি ঘণ্টায় ৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলছে।

মেহেরুল করিম বলেন, আমিরাতের আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছাতে জাহাজটির আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে কয়লা পরিবহন করে জাহাজটি আমিরাত যাচ্ছিল। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর রবিবার ভোরে ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ।


আরও খবর



ঢাকার মঞ্চ মাতালেন আতিফ আসলাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের দর্শক মাতাতে তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় আসলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম।

রাজধানীর বসুন্ধরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মঞ্চে উঠেন তিনি। ভক্তদের গেয়ে শোনান তেরা হোনে লাগা হু, দুরিআদাতের মতো তার জনপ্রিয় কিছু গান।

কনসার্টটি আয়োজন করেছে ব্লুজ কমিউনিকেশন। এর আগে ২৮ মার্চ আতিফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে ঢাকায় আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এ গায়ক নিজেই।

ওই দিন বিকেলে ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আতিফ। যেখানে তার ছবি, মিউজিকের সঙ্গে লেখা ছিল- বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।

২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে জন্ম নেয়া উপমহাদেশের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে, জাল ব্যান্ডের মাধ্যমে। মূলত উর্দু ভাষায় গাইলেও তিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, বাংলা, পশতুসহ অনেক ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। জেহের সিনেমার ওহ লামহে ওহ বাতে গান দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। তারমধ্যে উল্লেখ্য পেহলি নাজার ম্যায়, বাখুদা তুমহি হো, তু জানে না, দুরি, ম্যায় রং শরবতো কা, দিল দিয়া গাল্লা সহ প্রায় শতাধিক গান।


আরও খবর



বজ্রপাতে বসতঘরে আগুন, মা-ছেলে পুড়ে অঙ্গার

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে বজ্রপাতে বসতঘরে আগুন লেগে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৫ মে) ভোর ৫টায় এই ঘটনা ঘটে।

দীঘিনালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃতরা হলেন- হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮)।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, বজ্রপাতে বসতঘরটিতে আগুন লেগে ঘরে থাকা মা ও ছেলে পুড়ে মারা গেছেন। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের গাড়িচালক স্বামী ছাদেক আলী বাড়িতে ছিলেন না।

ওসি মো. নুরুল হক বলেন, দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ দুটি আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে সিলেট নগরীতে।

স্থায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুহুর্তের মধ্যে সকালেই যেন রাত নেমে আসে। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বজ্রসহ কালবৈশাখী ঝড়। এছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় কাচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এর আগে রোববার (৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর, ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম, ৮নং ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়ন ও ৯নং রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে প্রচুর গাছপালা ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে ফসলের ও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা উপচে পড়ার কারণে কানাইঘাট গাজী বোরহান উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

একইদিন সন্ধ্যায় ৭২ ঘণ্টায় সিলেটসহ সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার বিষয়ও জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। শক্তিশালী ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক দীলিপ বৈষ্ণব বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ৬টার পর সিলেটে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৮মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর