আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের চলামান পরিস্থিতির কারণে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রোববার (৪ আগস্ট) থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

এর আগে, কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই রাতে দেশের সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে, সে সময় সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু ছিল।

এরপর গত ২৪ জুলাই সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু গত ৩১ জুলাই সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪ আগস্ট থেকে খুলছে। তবে ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদীর পৌর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এখনই খোলা হচ্ছে না।


আরও খবর
রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর)  বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া শুনানি করেন।

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।

মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন। এই রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।

রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া বলেন, রিটের বিষয়গুলোতে রুল ও আদেশ চাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



এক মাসে কী অর্জন, সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ অন্তর্বর্তী সরকারের

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক মাস পূর্ণ হলো আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর)। দিনের হিসাবে মাত্র ৩০ দিন। কিন্তু এই মাসে রাষ্ট্রনীতিতে কী কী সংস্কার আনতে পরলো ছাত্র-জনতার সরকার? সরকারের সামনে জরুরি চ্যালেঞ্জগুলোই বা কী কী?

অহিংস কোটা সংস্কার আন্দোলনকে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের দিকে নিয়ে যায় বিগত সরকার। গোটা দেশে ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরিয়ে গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

মুক্তির মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে তিন দিন পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ছাত্র-জনতার মূল দাবি, রাষ্ট্র সংস্কারই হয়ে ওঠে সরকারের লক্ষ্য।

দায়িত্ব গ্রহণের আগের তিন দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না। অচল হয়ে পড়ে মনোবল ভেঙে যাওয়া পুলিশ বাহিনী। ফলে বেড়ে যায় ছিনতাই-ডাকাতি। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দেয় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা। নতুন সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল এই নৈরাজ্য ঠেকানো। সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর ১১ আগস্ট থানায় ফেরা শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা। বিগত সরকারের আইজিপি থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠিয়ে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়েও শুরু হয় ব্যাপক রদবদল। স্বৈরাচারী সরকারের নিয়োগকৃত চুক্তিভিত্তিক সব সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় ড. ইউনূসের সরকার। সংস্কারের উদ্যোগ হিসেবে বেশিরভাগ মন্ত্রণালয়, দফতর ও অধিদফতরের দায়িত্বে আসে নতুন মুখ।

১০ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। আগের নিয়োগ বাতিল করে সারা দেশে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে ২২৭ জন আইনজীবীকে নতুন নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে গত এক মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ শীর্ষ পদের ব্যক্তিরা দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খালি রয়েছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ।

কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও পাল্টেছে অবস্থান। এখন যেন একটু ফ্রন্ট ফুটে বাংলাদেশ। বিএসএফের গুলিতে মৌলভীবাজারে স্বর্ণা দাস নামে এক কিশোরী হত্যায় দিল্লিকে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। ফেনীর আকস্মিক বন্যার কারণও জানতে চাওয়া হয় ভারতের রাষ্ট্রদূতের কাছে। এছাড়া জাতিসংঘের গুমবিরোধী যে সনদে শেখ হাসিনা সরকার দীর্ঘদিন স্বাক্ষর করেনি তাতে সই করে অন্তর্বর্তী সরকার। আর জুলাই আন্দোলনের সময় বিক্ষোভ করে আরব আমিরাতে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশিকে মুক্তির বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে ক্ষমার ব্যবস্থা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা নতুন সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে বেশিরভাগ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সরিয়ে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভোক্তাদের কষ্ট কমাতে নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে সরকার।

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, খেলাপি ঋণের ব্যাপারে অ্যাকশন নেয়া হচ্ছে। যেসব ব্যাংকে সমস্যা আছে, সেগুলো পুনর্গঠন করা হচ্ছে। তারল্য সংকট সমাধান করা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই বলে দিয়েছি, অর্থ আনার জন্য একটা টাস্কফোর্স হবে। তারপরে সংস্কারের ব্যাপারে কথা বলছি।

সারা দেশের স্থানীয় জনপ্রতিধিদের সরিয়ে বসানো হয়েছে নতুন প্রশাসক। সরকারের উপদেষ্টারা বলছেন, দীর্ঘদিনের অচলায়তন কাটাতে কিছুটা সময় লাগবে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, জনগণ আমাদেরকে দিয়ে কোন কোন সংস্কার করাতে চায়, সেই জায়গা থেকেই সময়টা নির্ধারণ হবে। এর জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন, ততটুকু সময় আমরা নেব।

আন্দোলনের ফলস্বরূপ গঠিত নতুন সরকার নিজেরা গত মাসে অনেকগুলো আন্দোলনের মুখোমুখি হয়েছে। সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আন্দোলন, এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল, পোশাক শ্রমিক আন্দোলন, রিকশাওয়ালা ও ডাক্তাররা নানা দাবিতে নেমেছিল আন্দোলনে। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সেগুলো সুরাহা হয়। তবে বেগতিক দিকে মোড় নেয় আনসার আন্দোলন। শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি হয়ে সে আন্দোলন প্রতিহত করে। তবে আন্দোলনের মাঠ থেকে উপদেষ্টা হওয়া আসিফ মাহমুদ বলছেন, আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে ছিল। কেউ কোনো কথা বলতে পারেনি। এখন একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে; জনগণের সরকার গঠন হয়েছে। তাই মানুষ তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং বঞ্চনার জায়গা থেকে কথা বলছেন। সেটাকে আমরা অবশ্যই সাধুবাদ জানাই। সরকারের সব সময় প্রথম অগ্রাধিকার হবে আলোচনা করা। সংবিধান থেকে শুরু করে প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের কাজ করা হবে।

সামনের দিনে সংবিধান সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে এই সরকারের কাছে। অচিরেই রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা দেয়া হবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে।


আরও খবর



নবম শ্রেণি থেকে আবারও আলাদা বিভাগ থাকবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নবম শ্রেণি থেকে আবারও বিষয়ভিত্তিক অর্থাৎ মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগ আলাদা থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

১৯৫৯ সালে নবম শ্রেণি থেকে বিভাগ বিভাজন চালু হয়েছিল। ৬৫ বছর ধরে এ নিয়মে চলেছে শিক্ষা পদ্ধতি। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর দফায় দফায় শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হলেও এ প্রথা কখনো ভাঙা হয়নি। অবশেষে চলতি বছর তা পরিবর্তন করা হয়। ৬৫ বছর পর চলতি শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সবাই একই বিষয় পড়ছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার বিভাজন নেই। সবার এক বইয়ে লেখাপড়া করছে।

নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর পক্ষে বিপক্ষে মত দেন অনেকে। অনেকে বিভাগ বিভাজনের বিপক্ষে মত দিলেও আবার কেউ কেউ একমুখী পদ্ধতিকে ভালো বলছেন।

বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, নবম শ্রেণি থেকে আবারও বিষয়ভিত্তিক বিভাগ আলাদা থাকবে।

এবার বই ছাপাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি হবে না জানিয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে যেসব বই ছাপার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, তা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার বই ছাপার মান ও কাগজের মান ভালো হবে। কারণ, এবার দুর্নীতি হবে না।

ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তকের মলাটসহ ভেতরের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করা হবে। শিক্ষাক্রম সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে। যতটুকু সময় পাওয়া যায় আমরা এই শিক্ষাক্রম সংস্কারে পদক্ষেপ নেব।

অনভিপ্রেত ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, একটা অনভিপ্রেত ঘটনার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এখনও সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পারিনি। টেস্ট, প্রিটেস্টের মূল্যায়নপত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হবে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও জানান, দেশের সবগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। সবার গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে ভিসি নিয়োগ করা হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।


আরও খবর
রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিশ্ব চিঠি দিবস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস আজ। একসময় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল চিঠি। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিঠি লেখার মাধ্যমেরও পরিবর্তন হয়েছে।

বহু আগে ইংরেজ কথাকার সমারসেট মম যা বলেছিলেন, বর্তমানের বাস্তবতায় সেটাই সত্যি। চিঠি লেখা আসলেই এক হারিয়ে যাওয়া শিল্প।

ভালো আছি ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো, এই গানের বোল বাঁধতে গিয়ে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ কি কোনো দিন ভেবেছিলেন যে মানুষ একসময় শুধুই আকাশের ঠিকানায় অর্থাৎ অন্তর্জালে (ই-মেইলে) চিঠি লিখবে!

শেষ কবে চিঠি লিখেছেন বা পেয়েছেন? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো অনেকেই দিতে পারবে না। প্রযুক্তির কল্যাণেই চিঠি লেখার শিল্প প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

ঘোড়ার ডাক প্রচলনের আগে কীভাবে চিঠি আদান-প্রদান হতো, তা নিয়ে দ্বিমত থাকলেও আজকাল দাপ্তরিক কাজের নথি বা আবেদনপত্র ছাড়া কেউ ডাকঘরে যে যায় না, সেটা সবারই জানা।

অথচ অনেক দশক আগেও দূরে থাকা আপনজনের সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যমই ছিল চিঠি। শুধু দূরে নয়, খুব কাছের মানুষকেও মুখে বলতে না পারা কথাগুলোও সযত্নে সাজিয়ে জানাতেন চিঠিতে। এক একটি চিঠিতে নানান গল্প ও ইতিহাস বহন করত।

তবে বর্তমানে ই-মেইলে আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খুদে বার্তার ভিড়ে কাগজের চিঠি হারিয়ে গেছে। ছোট ছোট বাক্যে, কাটছাঁটকৃত শব্দে বিন্যস্ত এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ভাষাবিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন টেক্সটস্পিক। কারও সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন হলেই, চট করে বাংলা-ইংরেজি মিশিয়ে ইনবক্সে পাঠানো যায়।

আবেগ এখন আর শব্দে প্রকাশ পায় না। আবেগ বোঝাতে মেসেঞ্জার বা হোয়াটস্যাপে ইমোজি পাঠানো হয়। তবে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) না হয় চিঠি দিবসকে কেন্দ্র করে কাগজ-কলমে আপনজনকে মনের কথাগুলো চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন।

প্রতিবছর আজকের এই দিনে পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস। এই দিবসের শুরু ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রিচার্ড সিম্পকিনের হাত ধরে। নব্বই দশকের শেষের দিকে তিনি দেশের বড় ব্যক্তিত্বদের চিঠি পাঠাতেন। তবে বেশিরভাগ সময় তিনি সেসব চিঠির উত্তর পেতেন না। আর যখন কোনো চিঠির উত্তর পেতেন, তখন তার আনন্দের সীমা থাকত না। সেই ভালোবাসা থেকে সিম্পকিন ২০১৪ সালে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেন। কারণ, তিনি চেয়েছিলেন চিঠি লেখার চর্চা আবার ফিরে আসুক।


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকো স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা অবস্থায় প্রায় এক দশক আগে মারা যান। তারপর থেকে শর্মিলা রহমান সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে থাকছেন। সেখানে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সপরিবারে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি সবশেষ ঢাকায় এসেছিলেন শর্মিলা রহমান সিঁথি।


আরও খবর