আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

ফরিদপুরে বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন প্রভাবশালীরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত 'চিতারবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'র এক একর পঁচিশ শতাংশ জায়গার মধ্যে এক একর জায়গাই প্রভাবশালীদের বেদখলে। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বামীসহ অন্তত ৩৮ জন অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের সিংহভাগ জায়গাই জবরদখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আবেদন করেও গত পাঁচ বছরে কোন সুরাহা হয়নি। সম্ভব হয়নি বিদ্যালয়ের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার ১৪ নং চিতারবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাজিতপুর, মোবারকদিয়া মৌজার বিএস ২৩৩৮, ৬২০ খতিয়ানে নিজস্ব জমির পরিমাণ এক একর ২৫ শতাংশ। কিন্তু বিদ্যালয়ের বর্তমান দখলকৃত জমির পরিমাণ ২৫ শতাংশ। বিদ্যালয়ের অধিকাংশ জমি বাজারের মধ্যে অবস্থিত। অবৈধ দখলদাররা স্কুলের সম্পত্তিকে নিজস্ব মালিকানা হিসেবে দাবি করে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছে। ইতোপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি)-র নেতৃত্বে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সরেজমিনে পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করেন। কিন্তু অবৈধ দখলকারীগণ প্রভাব খাটিয়ে আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে নিজস্ব স্থাপনা নির্মাণ করছে। ওই বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা করার কোন মাঠ নেই।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্কুলের জমি তথা সরকারি জমি রক্ষার্থে উক্ত অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ করে স্কুলের সম্পত্তি দখলমুক্ত করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বারবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেও গত পাঁচ বছরে কোন সুরাহা হয়নি।

আরও পড়ুন >> আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন মতিউর রহমান

উপজেলার সাতৈর 'ক' ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আয়ূব আলী মোল্যা ২০১৮ সালের ১০মে তৎকালীন ইউএনওর নির্দেশ মোতাবেক বোয়ালমারী ইউএনও বরাবর একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, 'চিতারবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ডীয় ৭৬ নং বাজিতপুর মৌজার ২ নং বিএস খতিয়ানের ১, ২, ৩১, ৩২, ৩৫ নং দাগের ৯৬ শতাংশ এবং ৭০ নং মোবারকদিয়া মৌজার বিএস ৬২০ খতিয়ানের ৪২৫ দাগের ৮ শতাংশ জমির মোট ৪ শতাংশসহ মোট ১০২ শতাংশ জমি ইউএনওর ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিলের এক নির্দেশ মোতাবেক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল বিদ্যালয়ের জমি পরিমাপ করে সরেজমিনে দখল বুঝে দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি পরিমাপের সময় বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কোন জমির মালিকগণই কোন প্রকার আপত্তি জানান নাই।'

এদিকে বিদ্যালয়ের জমি অবৈধভাবে যারা দখল করে রেখেছেন তাদের মধ্যে বিদ্যালয়ের সভাপতি হীরামন পারভীনের স্বামী মোবারকদিয়া গ্রামের মো. শাকিল মোল্যা, দেবর রাজু মোল্যাও রয়েছেন। মো. শাকিল মোল্যা ৭৬ নং মৌজার ২৩৩৮ নং খতিয়ানের ৩৫ নং দাগে আধা শতাংশ জমি দখল করে রেখেছেন। এছাড়া দাদপুর গ্রামের মজিদ শেখের ছেলে মো. আবুল খায়ের দশমিক ৬০ শতাংশ, বাজিতপুর গ্রামের বিশাই শেখের ছেলে মো. আলমগীর পৌনে এক শতাংশ, একই গ্রামের কোহিনূর পৌনে এক শতাংশসহ অন্তত ৩৮ জন ব্যক্তি ওই বিদ্যালয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা বসতবাড়ি গড়ে তুলেছেন। সম্প্রতি দাদপুর গ্রামের সিরাজুল বিশ্বাসের ছেলে ইসরাইল বিশ্বাস দখল করে রাখা বিদ্যালয়ের এক শতাংশ জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন। খবর পেয়ে প্রশাসন ওই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে রাখা মুদি দোকানদার আবুল খায়ের বলেন, 'আমি যেখানে ব্যবসা করি সেটা স্কুলের জায়গা। আমি ছাড়াও আরো অনেকেই স্কুলের জায়গা দখল করে ব্যবসা করে আসছে, আমিও সেইভাবে ব্যবসা করছি।'

অপর অবৈধ দখলদার কোহিনুর বলেন, 'আমি সামচুল হক বিশ্বাসের নিকট থেকে সোয়া এক শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। কিছু দিন আগে বিদ্যালয় থেকে মাপার পর দেখছি আমার অর্ধেক জায়গা বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয় দেয়াল তুললে আমি বিদ্যালয়ের জায়গা ছেড়ে দেব।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চিতারবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চ.দা) রতœা রানী দে বলেন, 'প্রায় ২৫/৩০ বছর আগে থেকে স্কুলের ওই জায়গা স্থানীয়রা অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। বিদ্যালয়ের মোট ১২৫ শতাংশ জায়গার মধ্যে ২৫ শতাংশ বিদ্যালয়ের দখলে আছে। অবৈধ দখলকারীদের হাত থেকে স্কুলের জমি উদ্ধারের জন্য আমি চলতি মাসেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ আট জায়গায় আবেদন করেছি। জায়গা উদ্ধারের ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি আমাকে কোন সহযোগিতা করছেন না। এমনকি কোন কাগজেও তিনি স্বাক্ষর করছেন না। কারণ তারাও বিদ্যালয়ের জায়গা অবৈধ দখলে রেখেছেন।'

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হীরামন পারভীন বলেন, 'আমি কয়েক মাস হলো সভাপতি হয়েছি, এজন্য আমি বিদ্যালয়ের জায়গার অবৈধ দখল সম্বন্ধে ভালো বলতে পারবো না। আর আমার স্বামীর বিদ্যালয়ের জায়গায় কোন স্থায়ী দোকান নেই, অস্থায়ী একটি কাঁচা বাজারের দোকান আছে।'
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহাদ বলেন, 'দাদপুর গ্রামের সিরাজুল বিশ্বাসের ছেলে ইসরাইল বিশ্বাস তার দখলে রাখা বিদ্যালয়ের এক শতাংশ জমিতে সম্প্রতি পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছিলেন। বিষয়টি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে জানানো মাত্র আমি ইউএনও স্যারকে অবহিত করি। পরে ইউএনও স্যার আর আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং ইউএনও স্যার ওই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।'

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন বলেন, 'প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর আমাদেরকে জানিয়েছে স্কুলের জায়গা দখল করে একাধিক ব্যক্তি দোকানঘর উত্তোলন করে ব্যবসা করছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি উপজেলা শিক্ষা কমিটি, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ
এবং চিতারবাজার বণিক সমিতি একসঙ্গে বসে দখলদারদের কাছে জানতে চাইবো, তারা কিভাবে বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে দোকানঘর করেছে। পুরো বিষয়টি জানার পর পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিবো কিভাবে জায়গাটি দখলমুক্ত করা যায়।

নিউজ ট্যাগ: ফরিদপুর

আরও খবর



ফের জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।

পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি করে হলো? এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।


আরও খবর



ভোজ্যতেলের তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

খোলা সয়াবিনের তেলের দাম প্রতি লিটারে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বোতলজাত তেলের দাম প্রতি লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৪ টাকা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১৮ টাকা। আগে এটির দাম ছিল ৮০০ টাকা। আর পাম ওয়েল সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা।

তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে সয়াবিন তেলের যৌক্তিক মূল্য ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৩ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিলে শেষ হচ্ছে। তাই আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়।


আরও খবর



৯ মাসে শতাধিক অটোরিকশা ছিনতাই করে চক্রটি : হায়াতুল ইসলাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে চালককে অজ্ঞান করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালক নিহতের ঘটনায় একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রামপুরা থানা পুলিশ।

গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে আপডাউন যাতায়াতের কথা বলে চালক শাহ আলম মিয়ার রিকশা ভাড়া করে চক্রটি। পরে মাঝপথে কৌশলে রিকশা ছিনতাই করে নিয়ে নেয় চক্রটি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ছিনতাই চক্রের হোতা মো. শরীফুল ইসলাম (৩২) ও তার অন্যতম সহযোগী চান্দু (৪০) এবং চোরাই রিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া (৫৯) ও মো. আল আমিন (৩৮)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭টি চোরাই রিকশা উদ্ধার করা হয়। গত ৪ মে রাজধানীর মুগদা মানিক নগর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম।

হায়াতুল ইসলাম বলেন, ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে চক্রের হোতা শরীফুল ইসলাম। সে পেশায় কাভার্ডভ্যান চালক। ৯ মাস আগে তিনি যে কাভার্ডভ্যান চালাতেন সেটি মালিক বিক্রি করে দেওয়ায় বেকার হয়ে যায়। এরপর একজনের মাধ্যমে অটোরিকশা চুরি শেখে। তারা প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪টি রিকশা ছিনতাই করত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে অটোরিকশা চালক শাহা আলমের (নিহত) রিকশায় দুজন যাত্রী ওঠে। পরে পথে তাকে অজ্ঞান করে রিকশাটি নিয়ে যায় চক্রটির সদস্যরা।

শাহা আলমকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ এপ্রিল মারা যায় সে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে বনশ্রী ও খিলগাঁও এলাকার শতাধিক সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এ বিশ্লেষণ করে অজ্ঞান পার্টির হোতা শরীফুল ইসলাম ও তার সহযোগী চান্দু, শাহাবুদ্দিনকে শনাক্ত করা হয়। পরে শনিবার (৪ মে) রাতে মুগদা থানার মানিক নগর এলাকা অভিযান চালিয়ে শরীফুল ও চান্দুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩২টি চেতনানাশক ট্যাবলেট ও একটি অটো রিকশা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই অটোরিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া ও আল আমিনকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৭টি চোরাই অটো রিকশা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার শরীফুল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, সে গত ৯ মাসে শতাধিক রিকশা চুরি করেছে। এমন কি শাহা আলমের রিকশা ছিনতাই করার পরেও অন্তত ৯টি অটো রিকশা ছিনতাই করেছে। এই সকল রিকশা তারা ফুল মিয়া ও অপর একটি চক্রের কাছে বিক্রি করত।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

অব্যাহত অতি তীব্র তাপদাহে স্বস্তি নেই চুয়াডাঙ্গায়। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।

চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভূট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজও ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৫৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান নবম।

পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২০৬, ১৯১ ও ১৭৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর