শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত কুমার নদ বাঁচলে শহর বাঁচবে। কুমার নদকে রক্ষা করতে যা করা দরকার সবই করা হবে। যত দূর যাওয়া যায় পর্যায়ক্রমে তত দূর যাব শহরবাসীকে সাথে করে। এমন চেতনা ও উদ্দীপনা নিয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন প্রধান ফরিদপুরে কুমার নদ রক্ষায় কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করেছেন।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ফরিদপুর জেলা পরিষদ, ফরিদপুর পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় শনিবার স্থানীয় বির্সজন ঘাটে ফরিদপুরের কুমার নদের কচুরিপানা অপসারণ কর্মসূচির উদ্ধোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
এসময় বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটসসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও সাধারণ জেলে সম্প্রদায় ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কচুরিপানা অপসারণের একাজে অংশ নেন। শহরের চরকমলাপুর থেকে শুরু করে আলীপুর ১০টি পয়েন্টে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত কুমার নদের কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করা হয়। ফরিদপুরের নদী দখল ও দূষণে মৃতপ্রায় কুমার নদের কচুরিপানা অপসারণে জেলা প্রশাসকের এ উদ্যোগ শহরবাসীর মাঝে এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান পিপিএম (সেবা) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক,সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ ইশতিয়াক আরিফ,ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর অসীম কুমার সাহা, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর বৃন্দ,বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাসিন এর নির্বাহী পরিচালক আসমা আক্তার মুক্তা। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়াছিন কবীরের
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন শহরের প্রাণ হচ্ছে কুমার নদ। এনদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে নদীর দূষণরোধ ও নদীর দুই পাড়ের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন। ফরিদপুর শহরকে নান্দনিক সাজে সজ্জিত করার লক্ষ্যে কুমার নদ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা অপরিহার্য উল্লেখ করে বর্তমান সরকারের আমলে ফরিদপুরের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ অন্যান্য খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুমার নদের কচুরিপানা অপসারণ করে মৎস্যচাষসহ নান্দনিক সাজে সজ্জিত করা হবে।
প্রসঙ্গত গত ১৪ জুন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী ফরিদপুরের জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমার নদের দখল ও দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনর্খননের পরেও কুমার নদে নাব্য না থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কুমার নদ খননের বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।