আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় নানী ও নাতনি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ট্রাকচাপায় রিকশাভ্যান যাত্রী নানী ও নাতনি নিহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের দুবলাগাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী শেফালী বেগম (৪৭) ও তার নাতনি মাইশা (৩)। মাইশা একই ইউনিয়নের আন্দুয়া গ্রামের মাহামুদ মিয়ার মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রীবাহী একটি রিক্সাভ্যানে নানী ও নাতনী পলাশবাড়ী থেকে কোমরপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিল। পথে দুবলাগাড়ী এলাকায় রিক্সা-ভ্যানটি একপাশের চাকা নির্মাণাধীন ফোরলেন সড়কের খাদে পড়ে যায়। এতে নানী ও নাতনি রিক্সা-ভ্যান থেকে মহাসড়কে ছিটকে পড়েন। এসময় পিছন থেকে দ্রুতগতির একটি ট্রাক দুজনকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

পলাশবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম জানান, চালক-সহকারী পালিয়ে গেলেও ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ তাদের স্বজনরা নিয়ে গেছেন।

নিউজ ট্যাগ: ট্রাকচাপায় নিহত

আরও খবর



হজের ভিসায় নতুন বিধি-নিষেধ সৌদির

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রত্যেক বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মুসলিম নারী-পুরুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যান। এ সময় হজের পাশাপাশি সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর ও ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা ঘুরে দেখেন তারা। পাশাপাশি অনেকেই খণ্ডকালীন কাজেও নিযুক্ত হন দেশটিতে। কিন্তু এ বছর আর সেই সুযোগ থাকছে না।

সম্প্রতি হজযাত্রীদের ভিসার ক্ষেত্রে নতুন বিধি-নিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি। দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, হজের ভিসায় জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণের অনুমতি পাবেন হজযাত্রীরা।

সৌদির এই মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০২৪ সালের হজ ভিসা কেবল হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া তীর্থযাত্রীদের সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি হিসাবে কাজ করবে। সৌদি আরবে কোনও কাজে নিযুক্ত হওয়া, বসবাস কিংবা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা বৈধ নয়।

নতুন বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারীরা ভবিষ্যতে সৌদিতে হজে অংশগ্রহণের অনুমতি পাবেন না বলেও সতর্ক করে দিয়েছে দেশটি। এমনিক হজ ভিসার শর্ত অমান্যকারীদের সৌদি থেকে প্রত্যাবাসনও করা হতে পারে।

উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সদস্য দেশগুলোর হজযাত্রীরা ছাড়া অন্যান্য দেশের আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের মধ্যে যারা হজ করতে চান তাদের অবশ্যই হজের ভিসা নিতে হবে।

নতুন বিধি-নিষেধ অনুযায়ী, সৌদি আরবের সরকারের ইস্যু করা হজের ভিসা কেবল হজ মৌসুমের জন্য বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসাধারীদের ওমরাহ পালন অথবা যেকোন ধরনের বৈতনিক বা অবৈতনিক কর্মসংস্থানে যুক্ত হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদনকারীরা আগামী ৭ জিলহজের মধ্যে অথবা হজযাত্রী কোটা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভিসার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

নিউজ ট্যাগ: সৌদি আরব

আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে নয়: রায় স্থগিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না’ হাইকোর্টের এই রায় ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

বুধবার (১৫ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

গতকাল (১৪ মে) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে ১৩ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারীরা হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



ইসরায়েলকে গাজায় অভিযানের ‘অজুহাত’ দিয়েছে হামাস : মাহমুদ আব্বাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম সামরিক অভিযানের জন্য ইসরায়েলের পাশাপাশি হামাসকেও দায়ী করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেছেন, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলা ইসরায়েলকে গাজায় সামরিক অভিযান চালানোর অজুহাত দিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের আরব অঞ্চলের দেশগুলোর জোট আরব লীগের ৩৩তম সম্মেলন শুরু হয়েছে বাহরাইনের রাজধানী মানামায়। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টও সেই সম্মেলনে গিয়েছেন। সম্মেলনে দেওয়া এক বক্তব্যে মাহমুদ আব্বাস বলেন, হামাস সম্পূর্ণ একক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল, সেটিই আসলে ইসরায়েলকে গাজায় এই দীর্ঘ সামরিক অভিযানের অজুহাত তুলে দিয়েছে। এবং শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানকে সমর্থন করেছে। তাদের কাছে এই অভিযান ন্যায্য এবং এই ন্যায্যতার ভিত্তিও হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলা।

জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম তিন ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ক্ষমতাসীন রয়েছে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ সরকার, যেটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি-পিএ) নামে পরিচিত। ফিলিস্তিনের বৈধ শাসক হিসেবে পিএকেই স্বীকৃত দেয় বহির্বিশ্ব।

একসময় গাজায় উপত্যকায়ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকার ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু ২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই সরকারকে উচ্ছেদ করে কট্টর ইসলামপন্থি সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস।

ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যকার সম্পর্ক চরম বৈরী। এর প্রধান কারণ ফাতাহ নিয়নতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলন চালিয়ে নিতে বিশ্বাসী। অন্যদিকে হামাস বিশ্বাস করে, সশস্ত্র পন্থা অনুসরণের মাধ্যমে ইসরায়েলকে ধ্বংসের ভিত্তিতেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনও চলছে। ইতোমধ্যে এ অভিযানে নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে আর্থিক সহায়তা প্রদান কমিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ফলে গত কয়েক মাস ধরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ব্যাপক আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহমুদ আব্বাস।

ধনী আরব রাষ্ট্রগুলোকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের সহায়তা প্রয়োজন। আরব অঞ্চলের নিরাপত্তা, ফিলিস্তিনের স্থিতিশীলতা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে তাদের সরকারি দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার জন্য এখন সহায়তা জরুরি।  আমি আরব লীগকে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করছি।'


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুই জন মারা গেছেন। হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও চার জন। হিট স্ট্রোকে যে দুজন মারা গেছেন তারা হলেন- ওমর আলী (৬৫) ও আব্দুল বাতেন মাঝি (৬০)। তাদের দুই জনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায়।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওমর আলীকে আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এবং আব্দুল বাতেন মাঝিকে সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।

ওমর আলী চরকিশোরগঞ্জের বাবু হাজারীর ছেলে এবং আব্দুল বাতেন মাঝি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মানিকপুরের ওলিউল্লা মাস্টারের ছেলে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, সকালে ওমর আলী মাঠে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর আব্দুল বাতেন মাঝি বাজার এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের দুজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ ছিল।

তিনি আরও বলেন, আরও চার জনকে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং একজনকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।'


আরও খবর



চাকরির বয়স ৩৫ নিয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার জন্য সুপারিশ জানিয়ে গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠান।

রোববার (৫ মে) এর জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরির বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী তার পাঠানো চিঠিতে বলেন, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।


আরও খবর