আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম

গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৩০

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়ে একটি আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল। বিধ্বস্ত ভবন থেকে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন।

রোববার (২২ অক্টোবর) গভীর রাতে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের আল-শুহাদা এলাকার ওই ভবনটিতে হামলা চালানো হয়।

উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান পরিচালক জানিয়েছেন, আমরা ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকটে ভুগছি।

গাজা উপত্যকার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর একটি হলো জাবালিয়া শরণার্থীশিবির। এখানে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের বসবাস। এছাড়া রোববার রাতে গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা বাড়িয়েছে ইসরাইয়েলের বিমানবাহিনী।

এছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলের বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের হাসপাতাল সূত্রগুলো এই কথা জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েইল। সে সময় অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আল জাজিরা এই তথ্য জানায়। গত ৯ অক্টোবর একই শরণার্থীশিবিরে বোমা হামলা চালায় দখলদার বাহিনী।

সূত্র: আলজাজিরা


আরও খবর



সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এ ধরনের সব সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই এবং জানাবো। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‌গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

বৈঠকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, আজকে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। এর জন্য প্রধানত দায়ী উন্নত বিশ্ব। এর প্রধান ভুক্তভোগী যারা হতে যাচ্ছে এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি লিডারশিপ রোল নিয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষে। কাজেই এখানে আমাদের সরকারিভাবে যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে, সেখানে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য যে সাংবাদিকতা সেই সাংবাদিকতাকে আমরা প্রণোদনা, উৎসাহ, সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে চাই। এখানে কোনো বিরোধের জায়গা আমি দেখি না। তবে হ্যাঁ, ক্ষেত্রবিশেষে তৃণমূলে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সেই ব্যত্যয়গুলোকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তুলে ধরবেন। সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।

তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের সুরক্ষা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সেই বিষয়েও আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, তেমন তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্মৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও আমরা অপসাংবাদিকতা আমরা দেখি। এটি শুধু আমি বলছি না, আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন। সব সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেন।

মফস্বলের সাংবাদিকতা একটু কঠিন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় তো বিভিন্ন ধরনের প্রটেকশন পাওয়া যায়। এই কঠিনটা যাতে সহজতর হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নেব। আবার এটাও সত্যি, মফস্বলে অপসাংবাদিকতার চর্চা অনেক হয়। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা যায়। এই অপসাংবাদিকতার চর্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে পেশাদার সাংবাদিকদের। তারা (সাংবাদিক সংগঠন) নিজেরাই এই কথা বলছেন। তারা বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আমরা (সরকার) বলছি না। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনসহ এ ধরনের কিছু পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়েও বিশাল দাবি আছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন গত সংসদে পাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষের দিকে এসে এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়েছিল। আমি সেই গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে আবার কাজ শুরু করছি। যতগুলো সাংবাদিক সংগঠন আছে সবাইকে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য। তাদের সঙ্গে বসে গণমাধ্যমকর্মী আইনটি পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করে আমরা দ্রুততম সময়ে সংসদে পাশ করার ব্যবস্থা করব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। এখানে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ও আইনকানুন নেই। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন, এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার। তবে আমরা প্রচণ্ডভাবে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তার স্বাধীনতা যত চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যত তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। এবং আমি মনে করি, সরকারের মধ্যে সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাও তৈরি হবে। আমরা (সরকার) মনে করি, গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আমাদের বন্ধু। তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কারণ যেসব সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে না, সেটি তারা দেখিয়ে দেন এবং আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো। একইসঙ্গে বলতে চাই যেগুলো সংবেদনশীল তথ্য, যেগুলো প্রাইভেসি অ্যাক্টের মধ্যে পড়ে, এগুলো যদি কেউ চুরি করে প্রকাশ করার চেষ্টা করে, সে চোর। তার কোনো পেশা আমরা দেখবো না। এই ধরনের সেনসেটিভ অ্যান্ড সিক্রেট ইনফরমেশন প্রটেকশনের আইন সবদেশে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে যেগুলো মানুষের জানার অধিকার আছে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য গোপন রাখবে। কাজেই একটি সিস্টেম করতে হবে যাতে সব তথ্য তারা অবহিত করতে পারে, আবার সংবেদনশীল তথ্য প্রটেকশনটাও রাখা জরুরি। আমরা এটি ঘেটে দেখছি, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলো কীভাবে অপারেট করে। সাংবাদিকদের এক্সেস কতটুকু আছে? আন্তর্জাতিক যে স্ট্যান্ডার্ড আছে, তার মধ্যে আমরা সবকিছু রাখার চেষ্টা করবো।

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও বণিকবার্তা সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ হানিফের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পিনাকী রায়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক মোস্তফা মামুন, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান।


আরও খবর



এসএসসিতে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে ডিজিটালি আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে, সকাল ১০টার দিকে বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। তবে পাসের হার বাড়লেও এবার জিপিএ-৫ কমেছে। এ বছর ১১টি বোর্ডে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। সেই হিসেবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ১ হাজার ৪২৬ জন।

এদিকে, ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড, আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে। এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীকাল (আজ) সকালে ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে।’

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকালে ব্যাংকক পৌঁছান। তাকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড সফরকে প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।


আরও খবর



স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সুজানগরে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

রোববার (১৯ মে) সকালে সুজানগর সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকায় ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবি জানিয়ে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে ভাটপাড়া এলাকার সাবিনা খাতুন বলেন, ক'দিন হলো দেখছি এলাকায় বখাটেদের উৎপাত খুব বেড়ে গেছে, বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর থেকে শুরু করে এখন ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এ ধরনের ঘটনায় এলাকার মেয়েরা খুব আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

একই এলাকার রানা ও নাড়ুহাঁটি গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, স্কুল শিক্ষার্থী যে মেয়েটির সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে মেয়েটির মা স্বামী পরিত্যক্তা, মামার বাড়ি থেকে মেয়েটি পড়াশোনা করে। শুক্রবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় ওত পেতে থাকা বখাটেরা তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তারা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় অনেক ভুক্তভোগী নারী ন্যায়বিচার পায় না। যার কারণে অপরাধীরা এ ধরণের ঘটনা ঘটানোর সাহস পায়। ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্তদের অতিবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।

এদিকে নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর নানীর দাবি, ৩২ বছর ধরে তারা ভাটপাড়ার বাসিন্দা হলেও এমন পরিস্থিতি আগে কখনো হয়নি। গত ৮ মে উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকে শাহীনুজ্জামানকে ভোট দেয়ায় তাদের উপর এই অমানবিক নির্যাতন চলছে বলে জানান তিনি।

রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

উল্লেখ্য: গত শুক্রবার রাতে ভাটপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে বারেক, সাজিদ ও ইমন নামের তিন বখাটে ওই শিক্ষার্থীকে মুখ চেপে ধরে পাশের নির্মানাধীন ভবনে নিয়ে যায়। পরে সাব্বির ও তুহিন নামের আরও দুজন যোগ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নানি বারেককে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নামে সুজানগর থানায় মামলা দায়ের করলেও এখনো কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।


আরও খবর



সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আদালতের সময় নষ্ট করায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তার প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেলিম প্রধান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তিনি ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধান এবার উপজেলা নির্বাচনে গণসংযোগ করেছেন এবং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। 

জানা গেছে, সেলিম প্রধান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছর সাজা খেটেছেন। তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। দুদক বলছে, অনুসন্ধানের সময় রাজধানীর ধানমন্ডি, গুলশান, উত্তরা ও বনানীসহ একাধিক জায়গায় তার বাড়ি ও ফ্ল্যাট আছে, যার বাজারমূল্য শতাধিক কোটি টাকা, যা তার আয়কর নথিতে প্রদর্শন করা হয়নি।

২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডগামী বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাকে নিয়ে তার অফিস ও বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক, ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইনে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা হয়।


আরও খবর