আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ, সেনা সদস্যসহ আহত ১৫

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা করেছে। এ ঘটনায় সেনাসদস্য, সংবাদকর্মী ও স্থানীয়সহ মোট ১৫ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ রয়েছে।

শনিবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপিনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও গ্রামবাসী জড়ো হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। সেনা সদস্যরা সড়ক অবরোধ তুলে নিতে বললে দলটির নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটায়।

গোপালগঞ্জ ক্যাম্পের লেফটেনেন্ট কর্নেল মাকসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার কথা বলায় বিক্ষোভকারীরা প্রথমে  ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি করে। একপর্যায়ে তারা সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাংচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।

লেফটেনেন্ট কর্নেল মাকসুদুর রহমান বলেন, ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ সদর উপজেলার গোপিনাথপুর এলাকায় জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে। তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাংচুরসহ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ৪ সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।


আরও খবর



চট্টগ্রাম নগরে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান-জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ও থানাগুলো পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়ার সুযোগে কিছু দুষ্কৃতিকারী চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকায় রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা শুরু করেছে। চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকা সেগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর আকবর শাহ এলাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টিম পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শন ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে।

পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মোঃ হাসান হাছিবুর রহমানসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে পাহাড় কাটা অবস্থায় দুজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হাতে কোদাল ও কাস্তে পাওয়া যায়।

 জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জায়গার মালিকের নির্দেশে সবজি চাষ করার জন্য তারা পাহাড়ের মাটি কাটছে। এসময় মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষন আইনের আওতায় অপরাধী দুজনকে জরিমানা করা হয়। এদের একজনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং অন্যজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

 সচেতনতামূলক বক্তৃতায় অতিরিক্ত সচিব বলেন, পাহাড় কাটা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করলে ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও বিশ্বের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ো-ডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক এর আওতায় পানি ও জমির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করার জন্য আইন পাশ করা হয়েছে। এসব বিবেচনা করে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কোন ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোন পাহাড় ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না।

যারা এতদিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন তাদের আগামী সাতদিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যাওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



আমার ডাক্তার ভাইদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: সারজিস

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎমকের ওপর হামলা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের উপরে যে বা যারা হাত তুলেছে তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, আমার ডাক্তার ভাইদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের উপরে যে বা যারা হাত তুলেছে তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে। যদি কোনো পেশেন্টের মৃত্যুর জন্য হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বা কোনো ডাক্তার দায়ী থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে তারও বিচার হতে হবে। কিন্তু আমার মনে হলো আর আমি কারো গায়ে হাত তুলে ফেললাম, এই স্পর্ধা কখনো মেনে নেওয়া যায়না। সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা সোচ্চার আছে।

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘোষণা দেন তারা।

চিকিৎসকরা জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ দুটি দাবিই মানতে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। দুই দফা দাবি না মানায় এর সঙ্গে আরও ৬ দফা দাবি যুক্ত করেন তারা।

কর্মসূচি নিয়ে দুপুর ২টার পর ব্রিফ করা হবে বলে জানান চিকিৎসকরা। এর আগে, সকাল থেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে ও হামলার বিচার চেয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

গতকাল (৩১ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধর করে অজ্ঞাত কিছু তরুণ। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।

তবে আল্টিমেটামের সময় শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান চিকিৎসকরা।


আরও খবর



আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গত ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও নারায়ণগঞ্জ জেলায় অন্তত ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে রয়েছে অন্তত আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, যা তারা জমা দেননি। এসব অস্ত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৭৩৭টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা চার মেয়াদে মোট ৩২১টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে দেওয়া ১৯১টি অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে ১০২টি শটগান ও বন্দুক, ৬৭টি পিস্তল, ১৪টি রাইফেল ও আটটি রিভলভার। এই সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৩৬টি অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এখনো ৫৫টি অস্ত্র জমা পড়েনি।

অস্ত্র জমা না দেওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন শামীম ওসমান, তার ভাই সেলিম ওসমান, ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন ও শ্যালক তানভীর আহম্মেদ টিটু। অস্ত্র জমা না দেওয়ার তালিকায় নাম রয়েছে এই আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরীরও।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৮ অক্টোবর শামীম ওসমানের নামে পয়েন্ট ২২ বোরের একটি রাইফেলের লাইসেন্স দেওয়া হয়। তিনি এই রাইফেলের লাইসেন্স একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর নবায়নও করেছেন। গত বছরের ২৬ অক্টোবর একটি এনপিবি পিস্তলের লাইসেন্স নেন তিনি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণার পর বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি অস্ত্র দুটি জমা দেননি। সেই কারণে তার অস্ত্র দুটি অবৈধ হিসেবে বর্তমানে জেলা প্রশাসনের তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়েছে।

তার ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানও তার আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি। ২০২০ সালের ১ মার্চ তার নামে একটি পিস্তল ইস্যু করা হয়। তার নামে ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আরেকটি পিস্তলের লাইসেন্সও দেওয়া হয়। সেটিও তিনি জমা দেননি। শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন এখনো তার শটগানটি জমা দেননি।

তার শ্যালক ও বিসিবির সাবেক পরিচালক তানভীর আহম্মেদ টিটুর নামে ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর পয়েন্ট ২২ বোরের একটি রাইফেলের লাইসেন্স দেওয়া হয়। গত বছরের ৫ নভেম্বর পয়েন্ট ২২ বোরের একটি এনপিবি পিস্তলেরও লাইসেন্স পান তিনি। অস্ত্র দুটি তিনি এখনো জমা দেননি।

নারায়ণগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি, তাদের ওই অস্ত্রগুলো অবৈধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলছে।


আরও খবর



রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনা সরকারের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ডিবি হেফাজতে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন আনিসুল হক।

ডিএমপি নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া হকার (পাপশ বিক্রেতা) শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে। পুলিশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মামলা তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের অপরাধ শুধু পুলিশ কেইসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শেয়ারবাজারসহ অনেক অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সালমান এফ রহমান। সরকারের অনেক অপকর্মকে আইনি বৈধতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছেন আনিসুল হক। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে হত্যা মামলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও আইনগত বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই রিমান্ডে হত্যা মামলার পাশাপাশি বিগত সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা দিচ্ছেন অজানা অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তারা এখন ডিবি হেফাজতে আছেন। রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে তারা দেশে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরির জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ওপর।

জিজ্ঞাসাবাদে আনিসুল হক বলেন, দেশে ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর আমি একটি সমাধানের দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। আন্দোলন দমনে তারা খুবই এগ্রেসিভ ছিলেন। এছাড়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বাস্তবতা বোঝানো যাচ্ছিল না। এ কারণে আন্দোলন এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ডিবির এক কর্মকর্তা দুজনের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই দেশের এই অবস্থা। এ সময় তারা ছিলেন নির্বিকার।

বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। তারা বিশ্বাসই করতে চাচ্ছেন না যে এত তাড়াতাড়ি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে।

এদিকে যে মামলায় সালমান-আনিসুল হককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, সেই মামলায় আসামি হিসাবে তাদের নাম নেই। যাদের অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে এজাহাদের তাদের বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লোক বলা হয়েছে। তাহলে কী সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হক বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট?

এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, মামলা হলো ফাস্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট। তদন্তের পরই প্রকৃত সত্য উঠে আসবে। যিনি এফআইআর করেন তিনি তার মতো করে ঘটনা বর্ণনা করেন। ওনি যা জানেন তাই প্রাথমিকভাবে উল্লেখ করেন। এজন্যই সেটির নাম প্রাথমিক তথ্য বিবরণী। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা উঠে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো এমনিতেই হয়নি। কী কারণে ঘটেছে, কেন ঘটেছে সবই তদন্তে উঠে আসবে।


আরও খবর



পুলিশে আবারও বড় রদবদল, ২৪ জেলায় নতুন এসপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের কর্মকর্তা পদে আবারও বড় রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি জেলায় নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর এসব জেলার বর্তমান পুলিশ সুপারদের বিভিন্ন কর্মস্থলে বদলি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন পুলিশ সুপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে ঢাকা, রংপুর, গাজীপুর, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, গাইবান্ধা, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, মুন্সিগঞ্জ, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, কিশোরগঞ্জ, ঝিনাইদহ, মাগুরা, টাঙ্গাইল, যশোর ও নরসিংদী জেলায়।


আরও খবর