আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

গোপনে কে আসে আপনার ফেসবুকে, জানবেন যেভাবে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ফেসবুকে আপনার সব আপডেট হয়তো অন্যের ওয়ালে নাও দেখাতে পারে। কিন্তু আপনি কি করছেন তার আপডেট তো জানার ইচ্ছা অন্যের থাকতেই পারে। সে জন্য অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী মাঝে মধ্যেই আপনার প্রোফাইল ভিজিট করেন।

তবে বন্ধু তালিকার বাইরের কেউ আপনার সর্বশেষ ছবি, স্ট্যাটাস কিংবা অ্যাকাউন্টে নজর রাখছে কিনা বুঝবেন কীভাবে?

কয়েকটি সাধারণ ধাপ অনুসরণ করলে তা সহজে বের করে নিতে পারবেন। যদিও কিছু অ্যাপের সাহায্যে এই কাজটি করা যায়। সে ক্ষেত্রে অনেক সময়ই ফলাফল ঠিক আসে না। তাছাড়া এসব অ্যাপ ব্যবহার করে ফলাফল বের করে আনতে গেলে আইডি হ্যাকের ঘটনাও ঘটতে পারে।

এসব অ্যাপের সাহায্য বাদ দিয়ে জেনে নিতে পারেন আপনার ফেসবুক প্রোফাইল কে কে দেখেছে-

১. ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ব্রাউজারে গিয়ে ফেসবুকে লগ-ইন করুন। এরপর হোম পেজের যে কোনো জায়গায় মাউসের ডান বাটন ক্লিক করলে View Page Source অপশনে ক্লিক করুন। এ পর্যায়ে নতুন ট্যাবে কোড ভর্তি পুরো একটি পেজ পাবেন যার কিছুই আপনি বুঝবেন না। তবে ভয়ের কিছু নেই।

২. নতুন উইনডোতে Ctrl + F চাপুন। এতে সার্চ অপশন আসবে। সেখানে BUDDY_ID লিখে সার্চ দিন। BUDDY_ID ট্যাগের ডান পাশে ১৫ অংকের কোড দেখা যাবে। একই ট্যাগের পাশে এরকম অনেকগুলো কোড দেখা যেতে পারে। এই কোডই হলো সেসব প্রোফাইল আইডি। যারা আপনার প্রোফাইল ভিজিট করেছেন।

৩. এখন আইডি বের করার জন্য facebook.com সাইটে গিয়ে ফেসবুক ডট কমের পাশে স্ল্যাশ (/) চিহ্ন দিয়ে ১৫ অঙ্কের কোডটি পেস্ট করে কী বোর্ডের এন্টার বাটন চাপুন। তখন দেখতে পাবেন আপনার প্রোফাইল ভিজিট করা ফেসবুকে প্রোফাইল।

সাধারণত যেসব আইডি থেকে সবচেয়ে বেশিবার আপনার প্রোফাইল ভিজিট করা হয় সেটিই সর্বপ্রথমে দেখাবে!


আরও খবর



আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন ৩ বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার তারা শপথ নেবেন বলে জানা গেছে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

এদিকে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে ৫ জন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন করে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ৮ জন।


আরও খবর



ন্যাশনাল ব্যাংক ১৮ কোটি জনগণের ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাংক নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানান।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আবারও পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংক খলিলুর রহমানকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমান দেশের অন্যতম ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরসিএমইএ) চেয়ারম্যান।

দীর্ঘ ব্যাবসায়িক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যাংকের হারানো গৌরব ফেরানোর কথা উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা জানি ব্যাংককে কিভাবে লাভজনক করতে হয়। ১৯৮৩ সালে আমরা এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি জানি, ব্যাংকের কোথায় কী আছে, কী কী সমস্যা আছে, কারণগুলো আমাদের জানা। এই ব্যাংক ২০১২ সাল পর্যন্ত এক নম্বর কাতারে ছিল। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ফার্স্ট জেনারেশনের ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক। তখন আমাদের যাঁরা পরিচালক ছিলেন সবাই ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁদের ব্যবসার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। ওই অভিজ্ঞতা দিয়ে আমরা ব্যাংকটি করেছিলাম।

নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা প্রকৃত ব্যবসা করেন, দেশে বিনিয়োগ করেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন তাঁদের যথেষ্ট সুযোগ দেব। এটি আমার ব্যাংক কখনো বলি না। আমরা বলি, ন্যাশনাল ব্যাংক জনগণের ব্যাংক, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ব্যাংক। তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতি আপনারা জানেন। ব্যাংক কার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিভাবে টাকা নিয়েছে তা সবাই সব জানেন।একসময়ের সফল একটি ব্যাংককে রক্ষা করতে, বাঁচাতে আমরা একত্র হয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি, আমরা একীভূত হব না। আমরা নিজেরা চালাব। আমরা কষ্ট করে চালাব। পরিশ্রম, সততা থাকলে, কষ্ট করলে এগিয়ে নিতে পারব। পাওনা উসুল করব। যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে তাদের বোঝাব, আইন প্রয়োগ করে টাকা ফেরত আনব। ডিপোজিট আনব। ডিপোজিট দিয়ে ব্যবসা করব। একসময় আমরা অনেক বেশি লভ্যাংশ দিয়েছি। ইচ্ছা করলে আমরা উন্নত করে এগিয়ে নিতে পারব। ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে পারব ইনশাআল্লাহ। এটি আমার বিশ্বাস। চার বছরে আমরা একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছতে পারব।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে আদায় করবই। আমরা খেলাপি ঋণ আদায়ের চেষ্টা করব। প্রকৃত ব্যবসায়ী ঋণ নিলে খেলাপি হতে পারেন না। অ্যাসেসমেন্ট করে ঋণ দেওয়া হয়নি। মনিটরিং করা হয়নি। বড় খেলাপিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা ভুল স্বীকার করেছেন, টাকা পরিশোধে ইচ্ছুক। বড় ব্যবসায়ীদের টাকা খেলাপি হবে না। ব্যবসা করে ক্ষতি পুষিয়ে নেব। যাঁরা ব্যবসায়ী না হয়ে ঋণ নিয়েছেন, তাঁরাই সমস্যা। অন্তত ৫০ শতাংশ আদায়ে আমরা আশাবাদী।

বর্তমান সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক এককভাবে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা রাখে কি না, জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যাংকটি একীভূত করার বিষয়ে চাপ থাকার বিষয়টি সত্যিকার অর্থে সঠিক নয়। আমরা যখন শুনি ব্যাংকটি একীভূত করার কথা চলছে, তখন আমরা আগের পর্ষদ সভা করে সিদ্ধান্ত দিই, যে ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে তার চেয়ে আমাদের ব্যাংকের ভিত্তি শক্ত বেশি। আমরা কেন একীভূত হব? আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা পর্ষদ থেকে সিদ্ধান্ত দিলাম, আমরা একীভূত হতে রাজি নই। আমাদের ব্যাংক আমরা চালাব। দরকার হলে নতুন পর্ষদ গঠন করব। অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে অনেক লোকের চাকরি হারানোর শঙ্কা ছিল। কারণ অনেক জায়গায় দুটি ব্যাংকেরই শাখা রয়েছে। সে বিষয়টিও আমরা ভেবেছি।

ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, আমরা যখন চার কোটি টাকায় এ ব্যাংকের উদ্যোগ নিয়েছিলাম তখন বেসরকারি ব্যাংক ছিল না। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে, বন্ধুবান্ধবকে ধরে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে এনেছি। ব্যাংকের পরিচালক হলে টাকা ফেরত পাবে কি না, তখন চিন্তা করত। আমি বলেছি, তুমি টাকা দাও, টাকা ফেরত না পেলে আমি দিয়ে দেব। এভাবে বলে রাজি করিয়েছি। এই শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, ব্যাংক ব্যবসা বুঝতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজার ব্যবসা বুঝলে ঋণ দিতে পারেন। যাঁকে ঋণ দেবেন, তাঁর বিনিয়োগ মনিটর করতে হবে। নিয়মিত পরিশোধ করছে কি না, দেখতে হবে। বড় ঋণ ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাসিক, বার্ষিক রিশিডিউল করা হবে। মনিটরিং থাকলে টাকা খেলাপি হয় না। খেলাপির কারণে বিশ্বাস কমে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। প্রকৃত ব্যবসায়ী ব্যাংকের টাকা মেরে খাবেন না। ব্যবসায়ীদের মুখের কথার দাম আছে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা ঋণ নিয়েছেন দরকার হলে জামানত হিসেবে দেওয়া বাড়ি, জমি বিক্রি করে দেব। দেশে আইন আছে, ব্যাংকের টাকা দিতে না পারলে মামলা করে সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া যায়। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটিতে তিন হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে। এই আমানত কার কাছ থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কদিন আগেও শেয়ারের দাম সাড়ে চার টাকা ছিল, এখন সাত টাকা হয়ে গেছে। ডিপোজিট দিন দিন বাড়ছে। এর জন্য বন্ধু, ব্যবসায়ীদের কাছে যাব। ডিপোজিট খাটিয়ে আমানতকারীকে লাভ দিতে হবে। আমাদের মালয়েশিয়ায় ১১টি, মালদ্বীপে তিনটি, সিঙ্গাপুরে দুটিসহ বিভিন্ন দেশে শাখা আছে। এসব শাখার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করব। আশা করি, চার বছরেই আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারব।


আরও খবর



সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল গতকাল মঙ্গলবার। তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে হুট করে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নবনির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাসের সভাপতি রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু।

মানববন্ধনে অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা। এর সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বো-কে সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তির দাবিও জানান।

বক্তরা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদেরকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

১০ জনের তদন্ত কমিটিতে আছেন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না।


আরও খবর



গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৯ বগি লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি জয়দেবপুর রেল স্টেশন পার হলে কাজীপাড়ায় আউটার সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়। আহতদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এতে ট্রেনের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রেল কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

জয়দেবপুরের স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর থেকে ওই রুটে কোনো ট্রেন চলছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার। তিনি বলেন, এখন ওই রুটে ট্রেন নেই। আর শুধু জয়দেবপুরে কোনো ট্রেন যাবে না। দুপুরের পরে ওই রুট দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।

এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. শফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ভুল সিগনালের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাত্রীশূন্য ট্রেনটি ঢাকায় ফিরছিল। অন্যদিকে তেলবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল রংপুরে। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনটি তেলবাহী ট্রেনের লাইনে ঢুকে পড়লে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে কর্মপরিধি বাড়াচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি ও সময়সীমা বাড়াচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ জন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা পদে ছয়জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।

এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত সবসময়ে (২৪ ঘন্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। ফলে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে যে-কেউ, যে-কোন সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোন চার্জ বা মাসুল বা ফি কাটা যাবে না।

এ সম্পর্কিত নথিতে গতকাল বুধবার অনুমোদন দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোড়গোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদেরকে নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে সারা দেশ থেকে আগত ফোন কল গ্রহণ করা, আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা, লিগ্যাল কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেয়া, আইনি পরামর্শ প্রদান করা, আদালতে মামলা দায়ের সংক্রান্তে প্রাথমিক তথ্য প্রদান করে সহায়তা করা, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজরের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা, গৃহীত ফোন কলের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা, অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।

আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে -কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে এল.এল.বি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রী এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীগণ এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।


আরও খবর