আজঃ শনিবার ০১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুলাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩০ জুলাই শুরু হচ্ছে। সোমবার (৩০ মে) রাতে ভার্চুয়ালি আয়োজিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতবারের মতো এবার ভর্তিচ্ছুদের দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করতে হবে না। ভর্তি কার্যক্রমসহ সব কিছু কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হবে।

এবার ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা ছিল। শিক্ষার্থীদের শুধু একবার ফি পরিশোধ করলেই হবে। ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আগামী ৩০ জুলাই ইউনিট, ১৩ আগস্ট ইউনিট ও ২০ আগস্ট (সম্ভাব্য তারিখ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।  আবেদন ফি বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকুল আরেফিন বলেন, গতবারের চেয়ে এবার ৩০০ টাকা বাড়িয়ে আবেদন ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের এক সভায় ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ক ইউনিট (বিজ্ঞান বিভাগ) ৩ সেপ্টেম্বর, ইউনিট (মানবিক) ১০ সেপ্টেম্বর ও ইউনিট (বাণিজ্য) ১৭ সেপ্টেম্বর নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কমিটির আজকের সভায় পরিবর্তন করা হলো। 


আরও খবর



বিশ্ব স্বীকৃতি পেলো বিএসএমএমইউ জার্নাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জার্নালের এই স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমন চিকিৎসা সেবা, উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য গবেষণার জন্যও এটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

এদিকে বিশ্ব স্বীকৃতি মেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা। শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের মাঝে বইছে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কোপাস বিশ্বব্যাপী একটি মানসম্মত জার্নাল ইনডেক্সিং কর্তৃপক্ষ, যা এলসেভিয়ার (Elsevier) নেদারল্যান্ড দ্বারা পরিচালিত। আন্তর্জাতিক স্কোপাস স্বতন্ত্র রিভিউ কমিটি ১৪টি মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে বিএসএমএমইউ জার্নাল পর্যালোচনা করে গত ১৯ মে অনুমোদন দিয়েছে।

এই মানদণ্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো প্রকাশিত পেপারের মান, পেপারের বৈচিত্র্যতা, সম্পাদকীয় বোর্ড মেম্বারদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বৈচিত্র্যতা, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল রিভিউ প্রক্রিয়া এবং প্রকাশিত ম্যানুস্ক্রিপ্টের সাইটেশন ইত্যাদি।

এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইনস্টিটিশনাল রিভিউ বোর্ড (আইআরবি) আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণসহ বিএসএমএমইউ জার্নালের উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের আমলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় বিশ্বমানের গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করা ও বিশ্বমানের জার্নাল প্রকাশ করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ডব্লিউএইচও কস্ট সেন্টার চালু করা হয়েছে।

এমনকি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গবেষক ডা. মঞ্জু রাণী বিএসএমএমইউয়ে এসে ফ্যাকাল্টিদের গবেষণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেছেন।

এসব কার্যক্রমের কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় জার্নালের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কোপাস ইনডেক্সের স্বীকৃতি লাভের এই অর্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমগ্র দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরব, গর্ব ও সম্মানের, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

এদিকে জার্নালের বিশ্ব স্বীকৃতি মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিএসএমএমইউ জার্নালের মুখ্য সম্পাদক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশেষ করে ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের বুকে সুনাম ও মর্যাদার সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করতে, এমনকি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ইতোমধ্যে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর গবেষণাসহ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ, গুরুত্ব ও অব্যাহত উৎসাহ প্রদান ও সহযোগিতার ফলে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, স্কোপাসের এই স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার প্রতি আগ্রহ রয়েছে এমন গুণী শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। এই স্বীকৃতি শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের বিশ্বমানের গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বড় ধরণের অবদান রাখবে।

উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে। আরও উন্নত মানের চিকিৎসাসেবা প্রদানে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখবে।

এই স্বীকৃতি শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের মাঝে নবজাগরণের সৃষ্টি করবে, চিকিৎসাসেবা, উচ্চতর শিক্ষা প্রদান ও স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে হৃদয়ে সৃষ্টি হবে নতুন অনুরণন। ফলে চিকিৎসাসেবাসহ দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্যখাতে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

দীন নূরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে, দেশের রোগীরা চিকিৎসার জন্য বাইরে যাবে না, বিশ্বমানের গবেষণা হবে।

বিশ্বমানের উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা অর্জন করে এখানের শিক্ষার্থীরা দেশে বিদেশে মর্যাদার আসনে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ও বিএসএমএমইউ জার্নালের অতিরিক্ত মুখ্য সম্পাদক (অ্যাডিশনাল এডিটর ইন চিফ) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, বিএসএমএমইউ জার্নালে দেশি বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা কর্ম নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।

বিভিন্ন রোগ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, রোগ প্রতিরোধের উপায়সমূহ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, ওষুধ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি, নিত্যনতুন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এর ফলে মানুষের রোগ মুক্তি লাভ ও স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন তরান্বিত হচ্ছে।

বিএসএমএমইউ জার্নাল স্কোপাসের স্বীকৃতি লাভ করায় তরুণ চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবিষ্যৎ রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীসহ শিক্ষকদেরকে তাদের চিকিৎসাসেবা, অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা ও গবেষণায় বেশি করে মনোনিবেশ ও আত্মনিয়োগে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করবে।


আরও খবর



পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আটক ১২

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালায়। এ সময় ১২জন বালু উত্তোলনকারীসহ একটি স্কেভেটর ও ৫টি ড্রাম্পট্রাক আটক করেছে পাবনা র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদা দাদাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, ঈশ্বরদী উপজেলার বিলকেদা গ্রামের মৃত: তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিকের ছেলে জামিরুল ইসলাম (৪২), একই গ্রামের কামিরুল প্রামানিকের ছেলে রুমন হোসেন (১৯), বাবলু মালিথার ছেলে বাধন হোসেন (১৯), ঈশ্বরদী ভেলুপাড়ার মো. নাজমুল হোসেনের ছেলে ইমন ইসলাম (১৯), নতুন রুপপুর গ্রামের মৃত নান্নু মালিথার ছেলে ইমরান মালিথা (২৯), ফতেপুরের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল হোসেন (৩২), সাহাপুরের  মৃত: আব্দুস সামাদের ছেলে শুভ (২৪), চর রুপপুর জিগাতলার মো. খায়রুল মোল্লার ছেলে মোহন মোল্লা (২৯), আলহাজ্ব মোড় এলাকার মো. লিয়াকত আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন (১৯), আটঘরিয়া উপজেলার নাগদাহ স্কুলপাড়ার মো. ইব্রাহিমের ছেলে মাসুম আলী (৩০), একই গ্রামের মো. আকব্বর এর ছেলে সাগর (১৯), মির্জাপুরের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছেলে রজমান (২০)।

পাবনা র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিলকেদার দাদাপুর এলাকায় পদ্মার শাখা নদী হতে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ক্রয়-বিক্রয় করছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি স্কেভেটর ও ৫ টি ট্রাকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মানদী তীরবর্তী এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ ভাবে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলন করে আসছিল।


আরও খবর



টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হবে মেট্রোরেলের লাইন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী সবচেয়ে দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেল বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী আনা-নেওয়া করছে। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আপাতত টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের ওই লাইন।

আজ শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।

তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেওয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এই যুক্ত করা হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।


আরও খবর



কলাপাড়ায় মুরগি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক চক্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

হাজার টাকা দিলেই মিলবে হাইব্রীড জাতের ১৬টি মুরগি। আর ১শ টাকা কিস্তি দিলে পাওয়া যাবে ১টি করে মুরগি পালনের দোতালা কাঠের ঘর। এমনকি গ্রুপের দায়িত্বে থাকা নারী নেত্রী পাবেন প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা। ঠিক এমনই মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে লাখ লাখ টাকা হারিয়েছেন শতাধিক গ্রামীণ গৃহবধূরা।

তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ঠিক কত টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে চক্রটি তা এখনো নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পল্লীগ্রাম মুরগি ফার্ম এন্ড হ্যাচারী নামের একটি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়েছে শাতাধিক নারী উদ্যোক্তারা। মাত্র এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যে উপজেলার লতাচাপলী ইউপির একাধিক গ্রাম থেকেই কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি। চক্রটির কোম্পানীর লিফলেটে দেওয়া ঠিকানায় নাম লেখা রয়েছে ঝালকাঠির সালমা খাতুনের পল্লীগ্রাম হ্যাচারী। তবে সরেজমিনে অনুসন্ধ্যান করে নিবন্ধনহীন এই পল্লীগ্রাম হ্যাচারীর কোন অস্তিত্ব মেলেনি।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, নাম পরিচয়হীন দুজন মাঠকর্মী পল্লীগ্রামের লিফলেট আর একটি মাত্র ভিজিডিং কার্ড দিয়েই নিয়ে গেছে গ্রামীণ জেলেবধূদের কষ্টার্জিত রসদ। মিষ্টি কথায় মন গলিয়ে মুরগি দেওয়ার নামে মোবাইল ফোনে দুই দফা সময় বেঁধে দিলেও এখন বন্ধ রয়েছে ফোন নম্বরসহ সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা।

আর ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবী, মুরগি দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ঠিক কত লাখ টাকা হাতিয়েছে হায় হায় কোম্পানি তা সবারই অজানা। তবে পরিসংখ্যাান বলছে, কেবল লাতাচাপলীর ৬ গ্রাম থেকেই প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

লাতাচাপলী ইউপির মম্বিপাড়া গ্রামের জেলেবধূ তানিয়া বলেন, ভিআইপি পোশাক পরিহিত দুই ব্যক্তি প্রথমে আমাদের গ্রামে এসে আমাকে মুরগি দেওয়ার কথা বলে একটি গ্রুপ সৃষ্টি করে। আর সেই গ্রুপের সভানেত্রীর দায়িত্বও আমাকে দেন তারা। কথা ছিল নেত্রী হিসেবে প্রতি মাসে ৫ হাজার করে বেতন দেবে আমাকে। পরে আমার গ্রুপের ৪০ জনের কাছ থেকে ৫শ করে টাকা তুলে দিতে বলে প্রথম ধাপে মুরগি এবং ঘরের জন্য। কিন্তু বুজতে পারিনি যে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে এই প্রতারকরা।

হুইসেন পাড়ার বাসীন্দা জাকির হোসেন বলেন, একই ভাবে মাহাফুজাকে সভানেত্রী করে তার এলাকা থেকেও নেওয়া হয়েছে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা। একই চিত্র তাহেরপুর, কচ্ছপখালী এলাকার। অপরদিকে জেলে নাসীরের অভিযোগ, চাকামইয়া তার শশুরবাড়ি এলাকা থেকেও বিপুল অর্থ হাতিয়েছে চক্রটি।

এদিকে কলাপাড়া পৌর শহরে অবস্থিত প্রাণিসম্পদ কার্য়ালয়ের সামনে অস্তিত্বহীন নাম সর্বস্ব এই হ্যাচারীর অস্থায়ী ভাড়া অফিসে গিয়েও মেলেনি প্রতারক চক্রের সন্ধ্যান। সেখানে এখন পল্লীগ্রাম স্টিকার সংযুক্ত সাইনবোর্ড সাটানো অফিসে ঝুলছে তালা।

স্থানীয়রা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের ভাড়াবাসাটি তালাবদ্ধ রয়েছে। অনেক ভুক্তভোগীরাই এখানে এসে তাদের খোঁজ করছেন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এই প্রতারক চক্রটির বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে প্রতারক চক্রটি ঠিক কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। প্রতারকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



আবারও বিশ্বরেকর্ড রোনালদোর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আরো একটি বিশ্বরেকর্ড করলেন। সোমবার সৌদি প্রো লিগের মৌসুমের শেষ ম্যাচে আল ইত্তিহাদকে ৪-২ গোলে হারায় আল নাসর। জোড়া গোল করেন রোনালদো। এতেই ক্লাব প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বাধিক গোলদাতা হওয়ার রেকর্ড করেন পর্তুগালের এই তারকা।

এই ২০২৩-২৪ মৌসুমে আল নাসরের হয়ে ৩৫টি গোল করেন রোনালদো। এর আগে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ক্লাব প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৪ গোলের রেকর্ড করেছিলেন আবদুররাজ্জাক হামদাল্লাহ। আল নাসরের হয়েই এসব গোল করেছিলেন মরক্কোর এই তারকা ফুটবলার। গতকাল হামদাল্লাহর সেই রেকর্ড ভেঙে দেন রোনালদো।

শুধু সৌদি ক্লাব নয়। এর আগে লা লিগা, ইতালিয়ান সিরিআঁ ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার রেকর্ড করেছিলেন রোনালদো। বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে চারটি ভিন্ন ক্লাব প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার রেকর্ড করেন তিনি।


আরও খবর
নতুন কোচ নিয়োগ দিলো বিসিবি

বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪