আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

গুজব মোকাবিলায় প্রশিক্ষক তৈরিতে আওয়ামী লীগের 'দ্য ড্রিল' কর্মশালা

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, আমার সামনে যারা বসে আছো তারা হাজার বছরের বাঙ্গালী জাতির পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসে রক্তের সাক্ষ্য বহন করছো।

তিনি বলেন, আত্মত্যাগ কিভাবে করতে হয় এটা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার দেখিয়ে দিয়েছে। এই জাতির জন্য পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হারাবার পরও ৪০-৪২ বছর ধরে চেষ্টা করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অসংখ্যবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি আজকে দেশকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। জাতির পিতা যেমন ৬ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নিয়ে এসেছিলেন 'দিন বদলের সনদ'। জাতির জন্য তিনি একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন যা এর আগে আমাদের ছিলো না। শুধু লক্ষ্য নির্ধারণ নয়, সময় বেধে দিলেন এবং ২০২১ সালে মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশের অবস্থানে নিয়ে এসেছেন তিনি। আমাদের মাধ্যমেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠিত যার সুবিধা ভোগ করছে, অপব্যবহার করছে আমাদের বিরোধী জোটগুলো।

বর্তমান প্রজন্মকে ত্যাগের মনন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে কবির বিন আনোয়ার বলেন, এটা মাত্র শুরু। নির্বাচনের আগে এই প্রশিক্ষকেরা জেলা এবং উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। নির্বাচনের পর এটি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাবো আমরা। আগামী ৫ বছর এই কার্যক্রম চলবে যার পথপ্রদর্শক হবে তোমরা। তাই এটা মনে করার কোন কারণ নেই, এটা ছোট বিষয়। আমি যদি বেঁচে থাকি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন তাহলে আগামী ৫ বছর এটি নিয়ে কাজ করে যাবো। যারা রাস্তা প্রথম তৈরি করে তাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু তোমরা যেই রাস্তা তৈরি করে দিয়ে যাবে, সেই পথেই হাঁটবে পরবর্তী প্রজন্ম। তোমাদের দিয়েই এই যাত্রার শুরু।

ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন প্রফেসর মোহাম্মাদ আলী আরাফাত বলেন, রিয়েল ওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি যখন ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড গড়ে ওঠা শুরু করলো তখন আমাদের যুদ্ধ সেখানে অনেকটা শিফট হয়ে গেছে। সেখানে আমাদের বিরোধী পক্ষ গুলো এতটাই সংগঠিতভাবে গুজব ও মিথ্যাচার প্রচার করা শুরু করেছে যে সত্যটা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই অনেকটা বেগ পেতে হয়। আমি মনে করি এই কর্মশালার মাধ্যমে বাস্তবিক দুনিয়াতে আমরা মাঠে-ঘাটে ময়দানে যেভাবে যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে, সাইবার দুনিয়াতেও আমরা সেভাবেই যুদ্ধ চালিয়ে যাবো আরও সুসংহত ও প্রশিক্ষিত হয়ে।

তিনি বলেন, আসলে আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন, সরকার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য খাত, দুর্যোগ সবকিছু মোকাবিলা করে সাইবার দুনিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এই শক্তির গুজব মোকাবিলা করে। আর একটি গবেষণা এসেছে গুজব সত্য তথ্য থেকে ৬ গুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই আমাদের দশগুণ বেশি পরিশ্রম করতে হবে গুজব মোকাবিলায়।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অন্য সব দলের থেকে এগিয়ে আছে চিন্তাভাবনায় ও মননশীলতায়। আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যাদের থিংক ট্যাঙ্ক আছে। আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সহ উন্নত বিশ্বের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোতে থিংক ট্যাংক থাকে। আওয়ামী লীগের একটি অফিশিয়াল থিংক ট্যাংক আছে, সিআরআই। এই যে উদ্যোগ গুলো সময়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে গ্রহণ করেছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে যে যুদ্ধ। এখানে যে প্রতিযোগিতা মিথ্যাচার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই। সেখানে আওয়ামী লীগ আধুনিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে। কর্মীদের প্রস্তুত করে আওয়ামী লীগ সেইখানে লড়াইয়ে থাকবে। কারণ আওয়ামী লীগ যদি এই যুদ্ধে বিজয়ী হয় সত্য বিজয়ী হবে। আওয়ামী লীগ যদি বিজয়ী হয় মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ী হবে। আওয়ামী লীগ যদি হেরে যায় তাহলে বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশ থাকবে না, আফগানিস্তান-পাকিস্তান হবে।

আওয়ামী লীগ ওয়েব টিমের সমন্বয়ক ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ বলেন, প্রশিক্ষকদের এই কর্মশালায় আমরা শেখাবো, প্রশিক্ষকেরা যখন সারা দেশে যাবেন তখন কোন কোন বিষয়ে শেখাবেন, এর মাধ্যমে আমরা কোন বিষয়গুলো অর্জন করতে চাচ্ছি। যেটা আরাফাত ভাই এবং কবির বিন আনোয়ার ভাই বলেছেন, আমাদের সুবিধা হলো, আমরা সত্যটা বলতে চাই। মিথ্যা ও গুজবকে প্রতিহত করতে চাই। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নের জন্য দেশের অর্জন এবং উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো সকলের সামনে তুলে ধরতে চাই আমরা। সঠিক তথ্য, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় কিভাবে সকলের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়, এ বিষয়ে আমরা জানাবো এখানে থাকা প্রশিক্ষকদের। তারা জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। এর পাশাপাশি ঐ এলাকার সমস্যাগুলো নিয়ে একটা ফিডব্যাক তারা নিয়ে আসবেন, যাতে আমারা সেগুলো সমাধান করতে পারি।

২২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষকদের কর্মশালা 'দ্য ড্রিল' শেষ হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। এই দুইদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিবিধ ব্যবহারের পাশাপাশি খুঁটিনাটি আরও বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।


আরও খবর



দুবাইয়ে ধনকুবেরদের গোপন সম্পদ, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিলাসবহুল জীবনযাপনের শহর দুবাই। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষের বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে পলাতক ব্যক্তি, অর্থপাচারকারী এবং অপরাধীরা সেখানে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। এসব সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রকল্প দুবাই আনলকড-এ। এই তালিকায় রয়েছেন ৩৯৪ বাংলাদেশি।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি) ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোরের নেতৃত্বে এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এতে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা দীর্ঘ ৬ মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুবাই আনলকড শিরোনামে প্রতিবেদনটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ওসিসিআরপি। সেখানে উঠে এসেছে, কীভাবে দুবাই সারা বিশ্বের ধনীদের জন্য শীর্ষ পছন্দের শহর হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শহরটিতে ১২.৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ গড়েছেন কিছু পাকিস্তানি নাগরিক। দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির তিন সন্তান, প্রয়াত জেনারেল পারভেজ মোশাররফ, এমনকি পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলের মতো লোকেরা এই তালিকায় রয়েছেন। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। আর্থিক সাহায্যের দাবিতে দৌড়াদৌড়ি চলছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের রাজনীতিবিদ এবং সামরিক নেতাদের নগদ অর্থের সংকট নেই।

তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথিতে ১৭ হাজার পাকিস্তানি নাগরিক দুইবাইয়ে তালিকাভুক্ত সম্পদের মালিক। শহরটিতে আবাসিক সম্পত্তির পাকিস্তানি মালিকের প্রকৃত সংখ্যা ২২ হাজার। এটি পাকিস্তানের এমন পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে- যখন দরিদ্ররা আকাশচুম্বী মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ধনীরা অভিনব অ্যাপার্টমেন্টগুলো নিয়ে উচ্চ জীবন উপভোগ করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দুবাই বর্তমানে ধনীদের পছন্দের শীর্ষে পরিণত হয়েছে। অপরাধী, পলাতক ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বৈধ ব্যক্তিরাও সেখানে অর্থ লুকিয়ে রাখতে চাইছে। প্রকৃতপক্ষে দুবাইয়ের এসব মালিকদের অনেকেই অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং মাদক সম্রাট।

উদাহরণস্বরূপ, প্রাক্তন আফগান সরকারি কর্মকর্তা এবং অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী আসাদুল্লাহ খালিদ দুবাইকে বাড়ি বানিয়েছেন। তাছাড়া বাশার আল-আসাদের চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ ও তার ভাই ইহাবও সেখানে সম্পত্তির মালিক। উরুগুয়ের গ্যাং স্টার সেবাস্তিয়ান মার্সেত, যাকে দক্ষিণ আমেরিকাজুড়ে মাদক পাচারের জন্য খোঁজা হচ্ছে- তিনিও দুবাইয়ে বাড়ির মালিক।

এছাড়া মাদক পাচারের অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ৩২ বছর বয়সী জোসেফ জোহানেস লিজডেকার্স, যিনি 'নিটোল জোস' নামেও পরিচিত- তারও দুবাইয়ে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জের গ্র্যান্ডিউর রেসিডেন্সে একটি বাড়ি রয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে আবাসিক সম্পত্তির হওয়ার দিক দিয়ে ভারতীয়রা তালিকার শীর্ষে রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। এই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সামরিক নেতা থেকে শুরু করে আমলারাও রয়েছেন।

দুবাইয়ে গোপন সম্পদের বিষয়ে ফাঁস হওয়া তথ্যে ৩৯৪ বাংলাদেশির তালিকা থাকলেও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। রিপোর্ট বলছে, শহরে গোপনে সম্পদ গড়েছেন অন্তত ৩৯৪ জন বাংলাদেশি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় রয়েছে ৬৪১টি সম্পত্তি। বাংলাদেশিদের মালিকানায় থাকা এসব সম্পত্তির মূল্য ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারেরও বেশি।

দুবাইয়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবের ও তাদের সম্পদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়- ভারতের মুকেশ আম্বানির রয়েছে ১১ হাজার ২০ কোটি ডলারের সম্পদ, ভারতের এম এ ইউসুফ আলী ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৭৮০ কোটি ডলার, ভারতের শামশীর ভায়ালিলের রয়েছে ৩৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, ওমানের সুহাইল বাহওয়ানের আছে ১৯০ কোটি ডলারের সম্পদ, রাশিয়ার আন্দ্রেই মলচানভ ও তার পরিবারের ১৩০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের বিনোদ আদানির ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদ, কানাডার চ্যাংপেং ঝাওয়ের ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদ, যুক্তরাজ্যের সকেট বর্মনের ১৫০ কোটি ডলারের সম্পদ, সাইপ্রাসের নাগরিক ইগোর মাকারোভের ২১০ কোটি ডলারের সম্পদ এবং মিসরের নাগরিক নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের ৩৮০ কোটি ডলার পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ধনকুব দুবাই

আরও খবর



পটুয়াখালীতে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান মৃধাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান মৃধাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে মনির রহমান মৃধাকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেনি।

উল্লেখ, আগামী ২৮ এপ্রিল পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৫ নং কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মনির রহমান মৃধা।


আরও খবর



মার্কিন রণতরীতে হুথি বিদ্রোহীদের হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুটি মার্কিন ডেস্ট্রোয়ার (রণতরী) এবং আরও দুটি জাহাজে হামলার দাবি করেছে ইমেয়েনে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। সোমবার (২৯ এপ্রিল) লোহিত সাগর এবং ভারত মহাসাগরে এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন হুথির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া।

তিনি জানান, তারা যে দুটি জাহাজে হামলা করেছেন, সেগুলো হল- সাইক্ল্যাডেস এবং এমএসসি ওরিয়ন।

ভারত মহাসাগরে এমএসসি ওরিয়ন কন্টেইনারটির ওপর ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। পর্তুগালের পতাকাবাহী এই জাহাজটি পুর্তগাল ও ওমানের মধ্যে চলাচল করছিল। এর মালিক জোডিয়াক ম্যারিটাইম। এর আংশিক অংশীদার ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ফায়াল ওফার। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি কোম্পানিটি।

ব্রিটিশ ম্যারিটাইম সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান আমব্রে সোমবার জানায়, মাল্টার পতাকাধারী কন্টেইনার সাইক্ল্যাডেস-এর ওপর হামলা চালানোর কারণ হল ইসরায়েলের সাথে এর বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকা। এটি জিবুতি থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা যাচ্ছিল।


আরও খবর



ডিমের হালি ৫৫ টাকা, কমেনি সবজির দামও

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে ডিমের হালি হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। পাড়া-মহল্লার দোকানেও ৬০ টাকা হালি ডিম বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা, আর দুই সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। কমেনি সবজির দামও।

এখন মাছ-মাংসের দাম বেশি, এমন সময় নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ভরসা ডিম। তবে এই পণ্যের দাম হঠাৎ করে অস্থির হয়ে যাওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করছেন অনেকে।

রামপুরার হাজিপাড়া বউবাজারে আসা গৃহকর্মী ফাতেমা খাতুন বলেন, বাচ্চাকাচ্চাকে মাছ-মাংস খাওয়াতে পারি না। ঝোলভাত খাওয়ার জেদ করলে এক হালি ডিম কিনে রান্না করে দিলে খুশি হতো। এখন সেটাও কিনতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বউবাজারসহ রাজধানীর রামপুরা-মালিবাগ বাজারের ডিম বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ডিমের উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন আগেও প্রচণ্ড গরমের কারণে খামারে অনেক মুরগি মারা গেছে। ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ হুট করে কমে গেছে।

ঢাকায় ডিমের বড় দুটি পাইকারি বাজার আছে। এর একটি কারওয়ান বাজারসংলগ্ন তেজগাঁও রেলস্টেশন পাইকারি ডিমের বাজার। অন্যটি পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজার। এই দুই বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার পাইকারিতে ১০০ বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৮০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

যদিও প্রান্তিক খামারিরা ডিমের দাম কমা বাড়া নিয়ে তেজগাঁও আড়তমালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, কিছুদিন আগে ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমিয়ে দেন আড়তমালিকরা। যে সময় সারাদেশে ডিম হিমাগারে মজুত হয়েছে। এখন দাম বাড়িয়ে তারা মুনাফা করছে।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, সারাদেশে মেসেজের মাধ্যমে তারা (তেজগাঁও আড়তমালিকরা) ডিমের দাম নির্ধারণ করে। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে এ সিন্ডিকেট মুনাফা লুটছে।

তিনি বলেন, ঢাকার আড়তগুলোতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ ডিম বিক্রি হলেও তারা সারাদেশে বিক্রিত ৪ কোটি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে। প্রতিদিন তারা মেসেজ দিয়ে বাজারদর জানিয়ে দেয় সারাদেশে থাকা আড়তদারদের। তারা এখন ডিমের বাজারে সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট।

এদিকে, বাজারে সবজির চড়া দাম প্রায় তিন-চার সপ্তাহ ধরে। এক কেজি বেগুনের দাম এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কাকরোল-বরবটিরও এমন দর। এমনকি সস্তা দামে পরিচিত পেঁপের কেজিও এখন ৮০ টাকা।

সবজির বাজার ছাড়াও বাড়তি উত্তাপ দেখা গেছে সব ধরনের মাছ, সোনালি মুরগি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের দামে। অন্যান্য পণ্যও চড়াদামে আটকে রয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়তে দেখা গেছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা, যা আগের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। এছাড়া আদা কিংবা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকার নিচে মিলছে না।

অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগির দামে ততটা হেরফের না হলেও সোনালি মুরগির দাম বেশ বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪২০ টাকা। যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৮০ টাকা বেশি। তবে ব্রয়লার ২২০-২৩০ টাকার মধ্যে কেনা যাচ্ছে।


আরও খবর



ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গত রাতে বাগদাদের পূর্বাঞ্চলীয় জাইউনা জেলায় নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। টিকটকে তার হাজার হাজার অনুসারি রয়েছে। খবর আল জাজিরা

নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার রাতে কালো পোশাক ও হেলমেট পরা একদল লোক মোটরবাইকে করে এসে কিছুটা পথ হেটে একটি কালো রংয়ের এসইউভি গাড়িতে গুলি চালায়। ওই গাড়িতেই টিকটক তারকা ওম ফাহাদ বসে ছিলেন।

ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওম ফাহাদের প্রকৃত নাম গুফরান সায়াদি, টিকটকে তার অর্ধ মিলিয়ন অনুসারি রয়েছে। পপ মিউজিকের সঙ্গে নেচে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো টিকটিকে শেয়ার করতেন তিনি। তার তৈরি ভিডিওতে শালীনতা নষ্ট করে এমন বক্তব্য এবং জনসাধারণের নৈতিকতা ভঙ্গের দায়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। যদিও তার ভিডিওগুরো ১০ লাখের অধিক ভিউ হয়েছে।

ওই সময়ে পাঁচ কনটেন্ট ক্রিয়েটরকেও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। ওম ফাহাদের ওই ধরনের অশালীন ভিডিও তৈরি ইরাকি সমাজ এবং পারিবারিক সংস্কৃতিতে কতটা প্রভাব পড়ে তা জানার জন্য ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি কদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওম ফাহাদের মতো ইনফ্লুয়েঞ্জারকে হত্যার মতো ঘটনা এটাই প্রথম নয়, দেশটিতে অনলাইনে মুক্তমত প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক কঠোরতা রয়েছে। এটি দিন দিন বাড়ছে। এর আগেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২৩ বছর বয়সী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ২০২৮ সালে ২২ বছর বয়সী মডেল ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার তারা ফারেজকেও বন্দুকধারীরা হত্যা করে।

ইরাকে অনার কিলিং (সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) এর মতোও ঘটনা রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে ২২ বছর বয়সী ইউটিউবার তিবা আল আলীকে তার বাবা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর