আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

হাদিসুরের মরদেহ দেশে পৌঁছাবে ১৩ বা ১৪ মার্চ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ আগামী ১৩ অথবা ১৪ মার্চ বাংলাদেশে পৌঁছাবে।

শুক্রবার (১১ মার্চ) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

ফেসবুকে প্রতিমন্ত্রী জানান, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেন থেকে মালদোভা পৌঁছেছে। আশা করছি সকাল নাগাদ রুমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছাবে। সেখানে কিছু দাপ্তরিক কাজ শেষে ১৩ অথবা ১৪ তারিখ বাংলাদেশে পৌঁছাবে।

উল্লেখ্য, ২ মার্চ ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। পরদিন ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়। ৯ মার্চ ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

ইউক্রেন থেকে ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও হাদিসুর রহমানের মরদেহ আনা সম্ভব হয়নি। তার মরদেহ ইউক্রেনে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছিল।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ২৯ জন নাবিক নিয়ে আটকা পড়েছিল বাংলার সমৃদ্ধি। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের এই জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। জাহাজটি ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর তারা আটকে পড়েছিলেন।


আরও খবর



ঢাকা-সিলেট ৬ লেন প্রকল্প: জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এগোচ্ছে না কাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-সিলেট-তামাবিল ২৬৫ কিলোমিটার সড়কের ৬ লেন প্রকল্পে গতি নেই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের মার্চে কাজ শুরু করে। কিন্তু গেল ১৪ মাসে সিলেট অংশে ১ শতাংশ জমিও বুঝে পায়নি তারা।

যদিও প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী কাজ শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষে প্রত্যাশী সংস্থাকে হস্তান্তর করতে হবে। অথচ ইতোমধ্যে পেরিয়েছে ৪০৫ দিন।

সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় জানান, জমি বুঝে না পাওয়ায় ঠিকাদার শুধু যেখানে সরকারি জমি আছে সেখানেই কাজ করছে। গত ১৪ মাসে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫ শতাংশ বলে জানান তিনি।

জমি অধিগ্রহণে ধীরগতি হওয়ায় প্রকল্প সঠিক সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সিলেট ১ আসনের সংসদ-সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, অধিগ্রহণ নিয়ে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন এটা কাম্য নয়। এ প্রকল্পে গতি আনতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নজর দিতে হবে। কারণ তিনি যেদিকে নজর দেন সেই প্রকল্পই দ্রুত ও সুন্দরভাবে শেষ হয়।

জানা যায়, ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সিলেট সফরকালে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল সড়ক ৬ লেন করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬৫ কিলোমিটার এই সড়কের ৬ লেনে উন্নীত করার প্রকল্প উদ্বোধন করেন ২০২১ সালের অক্টোবরে।

ঢাকা থেকে তামাবিল পর্যন্ত সড়কটি সাতটি জেলা অতিক্রম করবে। এই প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ অর্থায়ন করে এডিবি বাকি ২৫ শতাংশ সরকার। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ১৩৭১ একর। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ৬৯.০৯ একর, নরসিংদীতে ১৮২.২৪ একর, কিশোরগঞ্জে ১২.৩৫ একর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৭.১৯ একর, হবিগঞ্জে ৩৯২.৬৬ একর, মৌলভীবাজারে ২১.২১ একর। সবচেয়ে দীর্ঘ ৯২ কিলোমিটার সড়ক সিলেটে পড়েছে। সে কারণে এ জেলায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ৬২৪ একর।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, জেলার শেরপুর থেকে সিলেট শহর পর্যন্ত ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায়। এরমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করেছে। যেখানে সরকারি জমি রয়েছে শুধু সেখানেই কাজ করতে পারছে তারা। এক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে, অন্যটি মে থেকে। শর্ত অনুযায়ী ২৭০ দিনের মধ্যে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ১ শতাংশ ভূমিও পায়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ বিষয়ে সিলেট অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় বলেন, জমি হস্তান্তর না হওয়ায় তৃতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনো কাজ শুরু করেনি। যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে তাতে ১৪ মাস শেষে প্রকল্পের অগ্রগতি ৫ শতাংশ বলে দাবি তার।

সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত তা সমাধানের। তার মতে, এই মুহূর্তে যেসব স্থানে সরকারি জমি রয়েছে সেসব স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে তেমন অসুবিধা হবে না। তবুও কোথাও কোনো সমস্যা হলে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসনকে নিয়ে সেসব জটিলতা দূর করা হচ্ছে।

জমি অধিগ্রহণের ধীরগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ একটি জটিল প্রক্রিয়া। কারণ এক কিলোমিটারে জমির মালিকানা থাকে প্রায় ১ হাজার জনের। এদের মধ্যে কেউ আপত্তি উত্থাপন করলেই পুরোটা জটিলতায় পড়ে যায়। তবে অধিগ্রহণ দ্রুত শেষ করতে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।

অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জমি হস্তান্তর শুরু করতে আরও ৬ মাস লাগবে বলে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান।


আরও খবর



বৈশ্বিক ঋণ রেকর্ড ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে: আইএমএফ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত বছর বৈশ্বিক ঋণের ভান্ডারে আরও ১৫ ট্রিলিয়ন বা ১৫ লাখ কোটি ডলারের বেশি যোগ হয়েছে। এর ফলে মোট বৈশ্বিক ঋণ ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আইএমএফের এক ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রায় সব উন্নত দেশে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। কিন্তু সরকারের ক্রমবর্ধমান ঋণ অনেক দেশেই এখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যেভাবে সরকারের ঋণ বাড়ছে, তার প্রভাব মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মহামারি শুরু হওয়ার চার বছর পর এখন উন্নত দেশগুলোতে সরকারি ব্যয় প্রাক্ মহামারি পূর্বাভাসের চেয়ে জিডিপির ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। সরকারি ঋণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবার ওপরে আছে বিশ্বের দুই প্রধান অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। মহামারি শুরুর চার বছর পর এই দুই দেশে সরকারি ঋণ বেড়েছে যথাক্রমে ২ ও ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে। এই দুটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বৈশ্বিক অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে। চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমে গেলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্যের গতি কমে যায়। ফলে যেসব দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তারা ক্ষতির মুখে পড়ে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেজারি বন্ডের সুদহার বেড়ে গেলে সারা বিশ্বে বিনিয়োগ প্রবাহে ভাটা পড়ে।

২০২৪ সাল জুড়ে বিশ্বের অনেক দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনসংখ্যার হিসাবে এসব দেশে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের বসবাস। ইতিহাসে দেখা যায়, নির্বাচনের বছরে সরকারি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি করহার কমে যায়। নির্বাচনের বছরে দেশে দেশে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে যায়। এবারের নির্বাচনি বছরে এই ঘাটতি যেন লাগামছাড়া না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ। উদীয়মান দেশগুলোতে সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব দেশের রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে আনা জরুরি বলে মনে করে আইএমএফ।


আরও খবর



তুচ্ছ ঘটনায় মেস ম্যানেজারের সাথে ইবি শিক্ষার্থীদের মারামারি, আহত ৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি

Image

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এক মেস ম্যানেজারের সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার সন্ধ্যারাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল সংলগ্ন নুর জাহান মহিলা ছাত্রীনিবাসে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, নুর জাহান মহিলা ছাত্রীনিবাসে থাকা শিক্ষার্থী ফারিয়া খাতুনের বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বিষয়কে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মেস ম্যানেজার বকেয়া টাকাকে কেন্দ্র করে ফারিয়ার সাথে বাজে আচরণ করলে, মেয়েটি তার বন্ধু একই বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী আবু হানিফ পিয়াসকে বিষয়টি জানান। এ বিষয়ে পিয়াসের (মেয়েটির বন্ধু) সাথে মেস ম্যানেজারের কথা কাটাকাটি হয়। পরে পিয়াস তার বন্ধুদের নিয়ে পূণর্বার মেসে গেলে ঝামেলা ও ম্যানেজারকে মারধর করার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে দুই পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়।

এতে আহতরা হলেন আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবু হানিফ পিয়াস, সমাজকল্যাণ বিভাগের সাকিব আহমেদ, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের নাইম রেজা ও ইংরেজি বিভাগের হৃদয় আবির। তারা সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। আহত অন্যরা হলেন- মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস, স্থানীয় বাসিন্দা আশিক হোসেনসহ এক বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক।

ফারিহা খাতুন জানান, বিদ্যুৎ বিল চাওয়া নিয়ে মেস ম্যানেজার আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। গতকাল সন্ধ্যায় ম্যানেজারকে বিদ্যুৎ বিল দিতে গেলে তিনি আমাকে বাজে ইঙ্গিত দেন। টাকা নেওয়ার সময় ম্যানেজার আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। আমি ৫০০ টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিলের ৪১৫ টাকা কেটে নিতে বলি। কিন্তু তিনি বাজে ইঙ্গিত করায় আমি টাকাটা ছুড়ে দিলে তিনি আমার বাসার নাম্বার চান এবং বলেন, বেয়াদব মেয়ে। তুমি আজকেই মেস ছেড়ে দিবে। পরে আমি আমার বিভাগের বন্ধুকে (আবু হানিফ পিয়াস) বিষয়টি জানাই। পরে সে আমার বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার ও নিরাপত্তাকর্মী তার সঙ্গেও বাজে আচরণ করে। পরে সে তার কিছু বন্ধুদের নিয়ে আবারও ম্যানেজারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার তাকে (আবু হানিফ পিয়াস) জামার কলার ধরে বের করে দেয়। তখন হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

তবে মেয়েটি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এ বিষয়ে তাদের ডাকা ঠিক হয়নি। বিষয়টির জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করবো।

মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস জানান, গত জানুয়ারি মাসে ওই মেয়ে মেসে উঠে। এরপর সে এতদিন থেকেছে কিন্তু কোন বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। তার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় এক হাজার টাকা। আমি কয়েকবার বিল চাইতে গেলে সে বিভিন্নরকম বাহানা দিতে থাকে। সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে, আমি তার সঙ্গে কোন বাজে আচরণ করিনি। তাকে থাপ্পড় মারার কথাও বলিনি বরং ওই মেয়ে জোরে কথা বলে এমনকি দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বর রেজাউল করিম খান বলেন, "মেসের মধ্যে কোন ঝামেলা হলে বা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে তা মেসের মালিককে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু ওই মেয়েটা তা না করে বন্ধুদের দিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড বাঁধিয়েছে, যেটা ঠিক হয়নি। স্থানীয়দের উপর মারধর করা হলে তারা তো বসে থাকবে না। স্থানীয়দের সঙ্গে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হোক আমরা চাইনা। যেসব শিক্ষার্থীরা আজকে ঝামেলা করেছে তাদেরকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফারিয়ার বন্ধু আবু হানিফ পিয়াস বলেন, মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস প্রায় সময়ই আমাদের বান্ধবীদের সাথে বাজে ব্যবহার করে। এছাড়াও মেসের অন্যান্য মেয়েদের সাথেও প্রায় সময়ই খারাপ আচরণ করে। আজকেও আমার বান্ধবীর সাথে খারাপ আচরণ করলে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করতে যাই। তখন তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিবেক আমার বন্ধু নাইমকে চড় মারে। পরে আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এসময় স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমরা ৪ বন্ধু আহত হই। পরে আমরা সেখান থেকে কেটে পরি।

এই বিষয়ে শৈলকূপা থানাধীন রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই আমরা এখানে এসেছি। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। তবে কেউ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানালে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও পায়েস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

নানা ধরনের সুগন্ধি চাল উৎপাদনের জন্য দিনাজপুরের নামডাক দেশজুড়ে। এ জেলায় উৎপাদিত ধান-চাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হয়ে থাকে। এবার দিনাজপুরেই পাওয়া যাচ্ছে বাঁশফুলের চাল (দানা)। শুনতে অবাক মনে হলেও এই চাল থেকেই তৈরি হচ্ছে ভাত, পোলাও, পায়েস। এমনকি চালের আটা দিয়ে মুখরোচক পিঠাপুলিও বানানো হচ্ছে।

প্রতিবেশী এক বৃদ্ধের কাছে গল্প শুনে বাঁশফুলের বীজ থেকে এই দানা (চাল) সংগ্রহ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের পাকাপান গ্রামের যুবক সাঞ্জু রায়।

ধান থেকে উৎপাদিত চালের মতোই দেখতে বাঁশফুলের এই চাল। তুলনামূলক কম উৎপাদন আর চাহিদা বেশি থাকায় গ্রাহকদের চাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সাঞ্জু রায়।

সাঞ্জু রায় জানান, স্থানীয় এক বৃদ্ধের কাছ থেকে বাঁশফুল থেকে চাল উৎপাদনের ধারণা পান তিনি। যুদ্ধের সময় যখন চাল কিংবা ভাত অপ্রতুল ছিল, তখন স্থানীয়রা এই বাঁশের ফুল থেকে চাল ফলিয়ে রান্না করে খেতেন। সম্প্রতি এক বৃদ্ধ সাঞ্জু রায়ের এলাকায় বাঁশ ফুল দেখে চাল উৎপাদনের কথা বলেন। তার প্রেরণায়ই সাঞ্জু চাল উৎপাদনের পরিকল্পনা করেন।

প্রথমে বাঁশফুল সংগ্রহ করেন সাঞ্জু। লম্বা হওয়ায় বাঁশের ওপরের অংশ থেকে ফুল সংগ্রহ করা বেশ কষ্টকর। সংগৃহীত ফুল পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। সেই ফুল রোদে শুকিয়ে মেশিনের সাহায্যে ছোট-ছোট করে চালের মতো ভাঙানো হয়।

স্থানীয়রা জানান, বাঁশফুল থেকে চাল উৎপাদনের বিষয়টি সাঞ্জু রায়ের কাছ থেকে প্রথম দিকে শুনে বিশ্বাস হচ্ছিল না। তবে যখন সত্যিই তিনি চাল উৎপাদন করলেন, তখন সবাই অবাক হয়েছেন।

৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাঁশফুলের চাল। অনেকে চালের বিনিময়েও বাঁশফুলের চাল কিনছেন। এই চাল থেকে তৈরি পোলাও, ভাত কিংবা পায়েস বেশ সুস্বাদু বলেও জানান তারা।

বেড়ুয়া বাঁশ বা কাটা বাঁশের ফুল থেকে এই চাল উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব বাঁশের বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছর বলে জানা গেছে।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে লবণ বোঝাই ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে লবণবাহী ট্রলার ডুবে অর্ধশতাধিক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণ বুঝাই ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার আনোয়ারা উপকূলে সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ৩৪ জনকে উদ্ধার করলেও বাকিদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড।

উদ্ধার মাঝি মাল্লাদের মধ্যে ১৩ জনের নাম পাওয়া যায়, তারা হল কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী ট্রলারের মাঝি মো: মানিক, নূরুল আমিন, মো আনিস, বাঁশখালী উপজেলার আল্লার দান ট্রলারের মাঝি মো:জিয়া, মো আলী, মো মানিক, মো. সোহেল, মো. মনছুর, জাবেদ আহমদ, "বার আউলিয়া ট্রলার'র মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব। নিখোঁজ মাঝি মাল্লাদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশন।

নিখোঁজ বার আউলিয়া ট্রলারের মালিক কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমার ট্রলারটি লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিল। একই সাথে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরো ১৫-২০টি লবণবাহী ট্রলার গহিরার বারআউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। তবে আনার ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করা হয়। আমার ডুবে যাওয়া ট্রলারের মূল্য ২০ লাখ টাকা।

গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছি। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।


আরও খবর