আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

হাওরে সরিষা ক্ষেতে মৌচাষের সমন্বিত চাষাবাদ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শহীদুল ইসলাম, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

সুনামগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত মধ্যনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে অনেক জমি পতিত ছিল। তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই পতিত জমিতে চাষ হচ্ছে সরিষা। যেদিকে চোখ যায় শুধু সরিষা ক্ষেত। সেইসাথে সরিষা ক্ষেতে হচ্ছে মৌচাষ। এই কৃতিত্বের দাবিদার ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়।

এবারই প্রথম সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌচাষের বাক্স বসিয়েছেন মৌচাষীরা। সরিষা ফুলে ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছির দল। সংগৃহীত মধু জমা করছে মৌ বাক্সে। এতে করে মৌমাছির মাধ্যমে সরিষা ফুলের পরাগায়নের ফলে একদিকে যেমন সরিষার উৎপাদন বাড়ছে অপরদিকে মধু আহরণ করা যাচ্ছে। সমন্বিত এই চাষে সরিষা চাষী ও মৌচাষীরা উভয়েই লাভবান হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের চান্দালীপাড়া এলাকার বিস্তৃর্ণ মাঠে হলুদের সমারোহ। এ যেন হলুদ বিপ্লব। চারদিকে শুধু সরিষা ক্ষেত আর সরিষা ক্ষেত। সরিষা ক্ষেতের পাশে ১৫০টি মৌ বাক্স স্থাপন করেছেন শাহ আলম নামের এক মৌ চাষী। শাহ আলমের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলায়। তিনি মধু সংগ্রহের জন্য সেখানে এসেছেন।

শাহ আলম জানান, এ মৌসুমে এ পর্যন্ত ১৫০টি বাক্স থেকে প্রায় ৫০০ লিটার মধু পেয়েছেন। আগে সরিষা চাষীরা ক্ষেতের পাশে মৌ বাক্স স্থাপন করতে দিতনা। কিন্তু এবার কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় মৌ বাক্স স্থাপন করতে পেরেছি। এবার সরিষা চাষীরাও বেশ উৎসাহী।

সরিষা চাষীরা জানান, সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি এক ফুল থেকে আরেক ফুলে ঘুরে বেড়ায়। এতে পরাগায়ন ভালো হয়। উৎপাদও বাড়ে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মাঝে ভ্রান্ত ধারণা ছিল। কিন্তু এবার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সেই ভ্রান্ত ধারণা দূর করে দিয়েছেন।

বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়িত্বে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকমল হোসেন বলেন, এবারই প্রথম সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষের সমন্বিত চাষাবাদ শুরু হয়েছে। মৌমাছি সরিষা ফুলের ওপর বসলে ফুলের পরাগায়নে ফসলের পুষ্টি বৃদ্ধি পায়। ফলে ফলন বৃদ্ধি পায় ২০ ভাগ। সমন্বিত চাষাবাদের ফলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না জানান, এবার ধর্মপাশা ও নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় ৬৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৫২০ হেক্টর। ৪০ ভাগ সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। এতে কৃষি বিভাগ থেকে বিণামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। এবছর সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকা। এতে করে স্থানীয়ভাবে যেমন তেলের চাহিদা পূরণ হবে আবার সামগ্রিকভাবে সয়াবিনের আমদানি হ্রাস পাবে।

তিনি আরো জানান, এবারই প্রথম মধ্যনগর উপজেলায় চলতি বছর থেকে সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষ শুরু করা হয়েছে। সমন্বিত এ চাষে কৃষক ও মৌ চাষী উভয়েই লাভবান হচ্ছেন। সরিষা ও মৌ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে চাষীদের দিক নির্দেশনাসহ সরকারি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের মধ্যে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ার পর তাপমাত্রা কমলেও কমেনি ঢাকার বায়ুদূষণ। বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা।

শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা ২০মিনিটে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতের দিল্লিতে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৩৫৮ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের র্শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। ২১০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এছাড়া ১১৯ স্কোর নিয়ে তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এদিকে গতকাল শুক্রবার (৩ মে) টানা একমাস তীব্র দাবদাহে পর শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পেয়েছে ঢাকাবাসী। তবে এই স্বস্তির বৃষ্টিতে নগরবাসী কিছুটা প্রাণ ফিরে পেলেও বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম।

উল্লেখ্য, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়।

ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর



ঢাক-ঢোলে আর জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে বরাবরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে। যাত্রা শুরুর আগে প্রথমে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১৮ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে যাত্রা করে। শোভাযাত্রাটি চারুকলার সামনে থেকে শাহবাগ, ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্কের সামনে থেকে ইউটার্ন নিয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হওয়ার কথা আছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুতে ছিল র‌্যাবসহ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। এরপর ঢাক ঢোল বাজিয়ে যাচ্ছিল আরো একটি দল। তারপরে উৎসব প্রেমীরা সেই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। সহযাত্রা অংশ নেওয়ার জন্য হাতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রতিকৃতি তৈরি করেছিল বিভিন্ন চিত্রশিল্পীরা। এসবের প্রদর্শনী দেখা গেছে শোভাযাত্রায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর আগে সকাল থেকে শাহবাগ এবং চারুকলা ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করার জন্য বাঙালিয়ানা সাজে হাজারো উৎসব প্রেমী মানুষ শাহবাগ থেকে চারুকলা পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করেছেন। এছাড়া দেশের বাইরের কিছু উৎসব প্রেমীরাও অংশগ্রহণ করতে চারুকলায় এসেছেন।

উৎসব প্রেমী ছেলেদের পরনে রয়েছে সাদা পাঞ্জাবি এবং পায়জামা। সঙ্গে রয়েছে কালো সানগ্লাস। অন্যদিকে মেয়েদের পরনে রয়েছে সাদা রঙের শাড়ি ও লাল রঙের ব্লাউজ। তাদের সঙ্গে যে শিশুরা এসেছে তাদের বেশিরভাগের পরনেও দেখা গেছে পায়জামা পাঞ্জাবি।

এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এবারের শোভাযাত্রার উপজীব্য হলো অন্ধকারকে কাটিয়ে আলোর দিকে ধাবিত হওয়া। প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ দিবসটি উদযাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া করেছে। শোভাযাত্রা এটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এছাড়া বিকাল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

পহেলা বৈশাখ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, তবে নিরাপত্তার কারণে শোভাযাত্রার ভাবগাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয় সেই বিষয়টিও দেখা হবে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাস এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকবে। এছাড়া ইভটিজিং প্রতিরোধ পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিম প্রস্তুত থাকবে।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এই শোভাযাত্রায় কোনও বাণিজ্যিক প্রচারণা করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটটি বন্ধ রাখা হবে। আগত দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও মোবাইল টয়লেটের সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনও রকম ভুভুজেলা বাঁশী বাজানো ও বিক্রয় করা যাবে না।


আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




সব রেকর্ড ভেঙে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় সোমবার (৩০ এপ্রিল) ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ১৯৮৯ সালের পর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে রোববার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে ২০০৫ সালে ২ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২০১২ সালে ৪ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানা গেছে, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা ১৯ দিন তীব্র থেকে অতি তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস প্রতিষ্ঠার পর সর্বোচ্চ।

তিনি আরও বলেন, আপাতত দু-একদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বা একইরকম থাকবে।


আরও খবর



আবারও বাড়ছে স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আবারও বাড়তে যাচ্ছে সোনার দাম। এতে করে বিশ্ববাজারে সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের বাজারেও এই ধাতুটি সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। জানা গেছে, শনিবার (৬ এপ্রিল) সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে। দাম যা-ই বাড়ানো হোক ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়বে সোনা।

এর আগে গত বছরে স্বর্ণ বিশ্লেষকরা ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যাবে। তাদের সেই পূর্বাভাস সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

বাজুসের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণ করার পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে সোনার দাম না বাড়িয়ে আর বিকল্প কোনো পথ নেই। আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বুলিয়ান মার্কেটের তথ্য পর্যালোচনা করে নতুন করে সোনার দাম বাড়ানো হবে। এ লক্ষ্যে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি আজ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে।

বাজুসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এমনিতে সোনার দাম অনেক বেশি। যে কারণে ঈদের আগেও এই ব্যবসায় মন্দা দেখা যাচ্ছে। মানুষ সোনার অলঙ্কার খুব একটা কিনছে না। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে। যে কারণে বিক্রি না থাকলেও বাধ্য হয়েই ঈদের আগে সোনার দাম আরও বাড়ানো হচ্ছে।

এর আগে দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ। যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুসের নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। এখন সেই দাম বেড়ে ২ হাজার ৩২৯ ডলার হয়ে গেছে। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করার চেয়ে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্সের দাম ১৭৪ ডলার বেড়ে গেছে।

এর মধ্যে গত এক সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৯৭ দশমিক ১৪ ডলার বা ৩ দশমিক ৫২ ডলার। এ দামের মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শুক্রবারই বেড়েছে ৪০ দশমিক শূন্য ৯ ডলার বা ১ দশমিক ৭৫ ডলার। এতে সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩২৯ দশমিক ৫২ ডলার। সোনার এতো দাম আগে কখনো দেখেনি বিশ্ববাসী।

এ বিষয়ে বাজুসের এক সদস্য বলেন, বর্তমানে দেশের বাজারে সোনা রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত দাম হওয়ার কারণে মানুষ এখন সোনার অলঙ্কার খুব একটা কিনছে না। ফলে ঈদকেন্দ্রীক জুয়েলারি ব্যবসায় মন্দা চলছে। বিক্রি না থাকলেও এখন দেশের বাজারে সোনার দাম না বাড়ানোর আর কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববাজারে যে হারে দাম বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়াতে হবেই।

তিনি বলেন, ঈদকেন্দ্রীক বিক্রি ভালো না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে আমরা চেয়েছিলাম ঈদের আগে সোনার দাম আর না বাড়ানোর। যে কারণে দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্ববাজারে সোনার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও দেশের বাজারে দাম বাড়ানো হয়নি। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে ঈদের আগেই দাম বাড়াতে হচ্ছে। কারণ দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণের পর এরইমধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ২০০ ডলার বেড়ে গেছে। এখন দেশের বাজারে দাম না বাড়ালে সোনা পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজই বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং সোনার নতুন দাম নির্ধারণের লক্ষ্যে বৈঠকে বসবে। তারা আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার বিষয়টি পর্যালোচনার পাশাপাশি স্থানীয় মার্কেটের তথ্যও পর্যালোচনা করবে। সার্বিক তথ্য পর্যালোচনা করে বৈঠকের মাধ্যমে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, বিশ্ববাজারে যে হারে সোনার দাম বেড়েছে তাতে দেশের বাজারে নতুন করে দাম বাড়াতেই হবে। সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করতে আমরা আজ বৈঠক করবো। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নতুন করে দাম কত বাড়বে।


আরও খবর



শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ মৌলভীবাজার জেলা দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। এতে জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে বয়ে যায় আধা ঘণ্টার কালবৈশাখী ঝড়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া আখাউড়া-সিলেট রেলপথের একাধিক স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা।

কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার কবির আহমেদ বলেন, ঝড়ে সিলেট-শ্রীমঙ্গলের মাঝে রেললাইনের ওপর কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে। এতে বিকেল থেকে সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে আটকে আছে ও ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে ৫টা ৩৭ মিনিট থেকে আটকে আছে। গাছ অপসারণের কাজ চলছে। শিগগিরই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাঁশ ঘরের ওপরে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল শহরে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন দোকানের চাল উড়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য বড় বড় গাছ।

উল্লেখ্য, সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে রাত ১ টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের পক্ষে আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিকেল ৩টা থেকে দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলেরে উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর