আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

হারিয়ে যাচ্ছে সুরের ফেরিওয়ালা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একটা সময় ঢাকায় ব্যান্ড পার্টি ছাড়া বিয়েই হতো না। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষের বিয়েতেই থাকতো ব্যান্ড পার্টি। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই চিত্র পাল্টে গেছে। এখন ব্যান্ড পার্টির দেখা খুব একটা যায় না। বিয়েবাড়িতে নেই ব্যান্ড পার্টির সেই প্যাঁ পো আওয়াজ। ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ড পার্টির এমন উৎসব থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে সুরের ফেরিওয়ালারা। কালেভদ্রে দু'একজায়গায় ব্যান্ড পার্টির দেখা মিললেও এখন বেশিরভাগই জায়গা পেয়েছে সাউন্ড সিস্টেম, ডিজে।

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। যখন রাজধানীতে বিয়ের আয়োজনে বাদ্য-বাজনা আর ঢাক ঢোলের আওয়াজ থাকতো। ব্যান্ড পার্টির সদস্যদের মাথায় থাকতো রং বেরঙের টুপি। গায়ে ঝলমলে রাজকীয় পোশাক। হাতে একেক ধরনের বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সাজানো বহর। যেকোনো উৎসবে নজর কাড়তো এরা। শুধু বিয়ে নয়ই নয়, কারও জন্মদিনে, মাজারে সিন্নির দিনে, আকিকা, সুন্নতে খাৎনাসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে সবার আগে ডাক পড়তো ব্যান্ড পার্টির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সুরের এ ধ্বনি তরঙ্গ। ডিজিটাল যুগে এসে কেউ ব্যান্ড দল ভাড়া করতে চায় না। ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে ডিজে ছাড়া পুরনো ব্যান্ড পার্টি কেউ নিতে চায় না বিয়ে বাড়িতে। এর ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ছে এই পেশার সঙ্গে যুক্তরা।

ব্যান্ড দল বিয়েবাড়ি'র সদস্য ভৈরব চন্দ্র রায়। ১৯৬০ সাল থেকেই ব্যান্ড দলের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। তাঁর বাবাও ছিলেন এ পেশায় ৷ ১৫ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন তিনি। সেখান থেকে আস্তে আস্তে হয়ে যান ব্যান্ড দলের সদস্য। এখন তাঁর বয়স ৮০র কাছাকাছি। এখনোও যুক্ত আছেন ব্যান্ড দলের সঙ্গে। আগের মতো কাজ করতে না পারলেও ভালোবাসার পেশাটাকে কখনো ছাড়তে পারেননি।

ভৈরব চন্দ্র বলেন, মানুষ যত বড়ই হোক না কেন তাঁর শেকড় যেন ভুলে না যায়। আমি জীবনের প্রায় ৬০ বছর মানুষকে আনন্দ দিয়ে পার করেছি। যতদিন বেঁচে আছি ততদিন মানুষকে আনন্দ দিতে চাই। যখন কারও বিয়ে হয় আর আমি সানাই বাজাই তখন আমার খুব ভালো লাগে। আমি কাজকে কখনো ছোট করে দেখিনি। দুই বেলা পরিবার নিয়ে খেতে পেয়েছি এটিই আমার জন্য যথেষ্ট ছিল। আগে অনেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম। কিন্তু এখন সেভাবে ডাক পাইনা। বয়সও এখন বড় বাধা। তবুও মাঝেমধ্যে সানাই বাজাই। ঢোল তবলায় সুরের মুর্ছনা তুলি। মানুষকে আনন্দ বিলিয়ে বেড়াই।

ব্যান্ড পার্টির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই এখন জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় চলে গেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেখানে আগে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪টা অনুষ্ঠানে ডাক পড়ত, সেখানে এখন মাসে একবারও ডাক পড়ে না। তাই বাধ্য হয়েই অনেকেই অন্য পেশায় নিজেকে জড়িয়েছেন। অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সবচেয়ে চাহিদা থাকতো তাদের। অনেক সময় সিরিয়ালও পাওয়া যেতো না। আর এখন উৎসবের ভরা মৌসুমেও ডাক পড়ে না! তবুও অনেকেই এখনো এই ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ড পার্টিকেই শেষ সম্বল হিসেবে আকড়ে ধরে রেখেছেন। কারণ তাদের পুর্বপুরুষেরাও এই পেশার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। বাপ দাদার এই পেশাকে ছাড়তে নারাজ অনেকেই। তাই অনেক কম রোজগারের ফলেও কেউ কেউ আগলে ধরে আছেন ঐতিহ্যবাহী পেশাটিকে।

পুরান ঢাকায় এখনো কিছু ব্যান্ড দল রয়েছে। তবে, আগের মতো কাজ না থাকায় অধিকাংশ সদস্য ব্যান্ড দল ছেড়ে অন্য কাজ করেন। কোনো অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেলে সকল কাজ ফেলে আবার একত্রিত হয় দলের সবাই। অনুষ্ঠানে ডাক পেলে তবেই সবাই একত্রিত হয়ে অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ করে।

পুরান ঢাকার ব্যান্ড পার্টি সুরের মেলা। এর মালিক নির্মল গুহ। তিনিই এখন সুরের মেলা পরিচালনা করেন। ১৯৫০ সাল থেকে নির্মলের দাদা শঙ্কর গুহ সর্বপ্রথম এই ব্যান্ডটি চালু করেন। পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার থেকে শুরু হয় এই ব্যান্ডের যাত্রা। এরপর শঙ্করের মৃত্যু হলে নির্মল গুহের বাবা হরিদাস গুহের কাঁধে এসে পড়ে ব্যান্ডের দায়িত্ব। এভাবেই এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাঁধে এসে পড়ছে ব্যান্ডের দায়িত্ব।

নির্মল গুহ জানান, আমাদের এই ব্যান্ড অনেক পুরনো। আমার বাপ দাদাসহ অনেকেই ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমিও পারিবারিক ব্যান্ডের দায়িত্ব নিয়ে পরিচালনা করছি।  আগে ব্যান্ডের অনেক প্রচলন ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগেও আমাদের এত পরিমাণ কাজ আসতো যে আমরা সব অনুষ্ঠান করতে পারতাম না। কিন্তু এখন সপ্তাহে একটা বা মাসে দুয়েকটা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাই। ব্যান্ডের এই দুর্দশায় রোজগারের পরিমাণ কমে গেছে। তাই অনেকেই বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে ডাক পেলে সকলে একত্রিত হই।

সনাতন ধর্মাবলম্বী এক মেয়ের বাবা তার মেয়ের বিয়েতে একটি ব্যান্ড দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিয়ের আয়োজন নিয়ে বলেন, আমার একমাত্র মেয়ে- তাই ধুমধাম করেছি। ব্যান্ড দলকে আনা হয়েছে দুই দিনের জন্য। তারা দুই দিন টানা ঢোল, বাঁশির সুরে সবাইকে মুগ্ধ রাখবে এই ছিল চিন্তা।

আগেরকার বিয়েগুলো এমনই হতো জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সময় যখন বিয়ে হয়েছে তখন ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, সানাই বাজিয়ে হৈ-হুল্লোড়ের মধ্যে বিয়ে হয়েছে। যেগুলো এখনো মনে পড়লে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে। আগেরকার দিনের বিয়ে মানে ছিল অন্য রকম উত্তেজনা। কিন্তু এখন আর সেসবের দেখা মেলে না। এখন সবাই চায় চুপচাপ কোনো হৈ-হুল্লোড় ছাড়াই বিয়ের কাজটা সেরে ফেলতে। কিন্তু মানুষ একবারই বিয়ে করে আর সেটি যদি ব্যান্ডের তালে তালে উৎসবমুখর না হয় তাহলে তো কোনো আনন্দই থাকবে না। তাই আমার মেয়ের বিয়েতে আমি ব্যান্ড দল ভাড়া করে এনেছি। যেন বিয়েটা জমজমাটভাবে হয়। আমার নাতি-নাতনিরা যেন বলতে পারে আমার বাবা মায়ের বিয়ে কেমন ধুমধাম করে হয়েছিল।

১৫ বছরের মধ্যেই পাল্টে গেলো ব্যান্ড পার্টির স্বর্ণযুগ। ২০০০ সনের পরেও বেশ জনপ্রিয় ছিল এই দলগুলো। কেউ বাবা-কাকাকে দেখে হাতে তুলে নিয়েছিলো ট্রাম্পেট, ক্ল্যারিনেট, স্যাক্সোফোন, সানাই, ড্রাম বা ঝুনঝুনি। অথচ সেই যন্ত্রগুলো সময়ের স্রোতে বড় ভারি লাগে অনেকের কাছে! এই ভারি লাগার কারণ গুরুত্ব কমে যাওয়া, আয় কমে যাওয়া।

জোহর উদ্দিন এখন আর সানাই বাজান না। সুর তোলেন না। তবে ভালোবাসার কমতি নেই। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সানাই বাজানো ছেড়েছি আরেও পাঁচ বছর আগে। বাবা-চাচারা যে শিক্ষা দিয়েছিল অনেকদিন সেই সুর তুলেছি এখন আর সাউন্ড সিস্টেমের কাছে এই সুর ভালো লাগে না। তাই ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করছি। সময় যাচ্ছে বয়ে। পরিবর্তন আসছে জগৎ সংসারে। এর মধ্যে কতো কিছু যুক্ত হয়ে আবার কতো কিছু নীরবেই হারিয়ে যায়। ব্যান্ড পার্টি এখন অনেকের কাছে সোনালি অতীতের মতো...।

নিউজ ট্যাগ: ব্যান্ড পার্টি

আরও খবর



সিআইপি কার্ড পেলেন চট্টগ্রামের ১২ ব্যবসায়ী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দেশের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৪০ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত করেছে সরকার। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১২ ব্যবসায়ী রয়েছেন। অন্যদিকে পদাধিকার বলে ট্রেড ক্যাটাগরি থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪৪ পরিচালকও পেয়েছেন সিআইপি মর্যাদা।

দুই ধরনের সিআইপি মিলিয়ে ২০২২ সালের জন্য মোট ১৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকার ওয়াটার গার্ডেনে ১৮৪ ব্যবসায়ীর হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান ও এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।

চট্টগ্রামের নির্বাচিত ১২ সিআইপি হলেন, কৃষিজাত দ্রব্য একক ক্যাটাগরিতে (একক) নগরীর আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের মেসার্স এস আর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ফোরকান, এগ্রোপ্রসেসিং (একক) ক্যাটাগরিতে আগ্রাবাদ কিষোয়ান স্ন্যাকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, নীটওয়্যার (একক) ক্যাটাগরিতে ডবলমুরিং এলাকার ডিভাইন ইন্টিমেটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাওহার সিরাজ জামিল, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে নাসিরাবাদ শিল্প এলাাকর কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, নীটওয়্যার গার্মেন্টস (গ্রুপ) ক্যাটাগরিতে বায়েজিদ কুলগাঁও জালালাবাদের রিটজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা মো. জামশেদ আলী, টেঙটাইল (ফেব্রিঙ) একক ক্যাটাগরিতে পটিয়ার কালারপুল এলাকার ফোর এইচ ডাইং এন্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিস সাহারা চৌধুরী, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সাগরিকা রোড বিসিক শিল্প এলাকার মেরিন সেফটি সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা অংশীদার গাজী মোকাররম আলী চৌধুরী, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে নগরীর সদরঘাট রোডের বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হুসাইন, বিবিধ (একক) ক্যাটাগরিতে পাহাড়তলী সরাইপাড়া সাগরিকা রোডের মনির ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন, ইপিজেডভুক্ত সি (একক) ক্যাটাগরিতে সিইপিজেড প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর এবং ইপিজেডভুক্ত সি (একক) ক্যাটাগরিতে সিইপিজেডের ইউনিটি স্টাইল এন্ড এঙেসরিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অহীদ সিরাজ চৌধুরী। অন্যদিকে সিআইপি ট্রেডে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি এবং এফবিসিসিআই পরিচালক মোহাম্মদ নুরুন নেওয়াজ।

উল্লেখ্য, নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র গাড়ির স্টিকার পাবেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন ইস্যু করবে। সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। একইসঙ্গে বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে কাউকে প্রদত্ত সিআইপি সুবিধা প্রত্যাহার করার ক্ষমতা সরকার সংরক্ষণ করে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

অব্যাহত অতি তীব্র তাপদাহে স্বস্তি নেই চুয়াডাঙ্গায়। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।

চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভূট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।


আরও খবর



নাশকতার তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নাশকতার তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এই আদেশ দেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল জানিয়েছেন, বুধবার মতিঝিল থানার মামলা ১৪(৫)১৩, পল্টন থানার মামলা ৮(৪)২১, পল্টন থানার মামলা ২৮(৪)২১ সহ তিনটি মামলায় মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত।

নথি থেকে জানা গেছে, মাওলানা মামুনুল হক গত ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছরের বেশি সময় জেল হাজতে আটক আছেন।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, নদীবন্দরে সতর্কসংকেত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুপুর ১টার মধ্যে সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৮ মে) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, বরিশাল এবং কুমিল্লা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এর আগে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া অপর এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




বঙ্গোপসাগরে লবণ বোঝাই ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে লবণবাহী ট্রলার ডুবে অর্ধশতাধিক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণ বুঝাই ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার আনোয়ারা উপকূলে সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ৩৪ জনকে উদ্ধার করলেও বাকিদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড।

উদ্ধার মাঝি মাল্লাদের মধ্যে ১৩ জনের নাম পাওয়া যায়, তারা হল কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী ট্রলারের মাঝি মো: মানিক, নূরুল আমিন, মো আনিস, বাঁশখালী উপজেলার আল্লার দান ট্রলারের মাঝি মো:জিয়া, মো আলী, মো মানিক, মো. সোহেল, মো. মনছুর, জাবেদ আহমদ, "বার আউলিয়া ট্রলার'র মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব। নিখোঁজ মাঝি মাল্লাদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশন।

নিখোঁজ বার আউলিয়া ট্রলারের মালিক কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমার ট্রলারটি লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিল। একই সাথে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরো ১৫-২০টি লবণবাহী ট্রলার গহিরার বারআউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। তবে আনার ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করা হয়। আমার ডুবে যাওয়া ট্রলারের মূল্য ২০ লাখ টাকা।

গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছি। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।


আরও খবর