আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

হজের নিবন্ধন শুরু ১৫ নভেম্বর

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে যাচ্ছে হজের নিবন্ধন। নিবন্ধনের টাকা জমা নেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত প্রাক নিবন্ধিত হজযাত্রীরা আগামী বছর হজের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। রবিবার (১২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আগামী বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি কোটায় ১ লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা ১৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন। নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে।

সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ হবে। বিশেষ হজ প্যাকেজের ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা খরচ হবে। সরকারি হজ প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। প্রাক-নিবন্ধনের সময় নেওয়া ২৯ হাজার টাকা বাদে প্যাকেজের বাকি টাকা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। হজযাত্রীরা নিবন্ধনের আগে হজ প্যাকেজ সম্পর্কে অবহিত হয়ে নিবন্ধন করবেন, নিবন্ধনের পর প্যাকেজ পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না।

হজের খরচ কোনো কারণে বাড়লে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে তা পরিশোধ করতে হবে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। হজযাত্রীর সুযোগ-সুবিধা উল্লেখ করে হজ এজেন্সি হজযাত্রীর সঙ্গে লিখিত চুক্তি করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে হুইল চেয়ার ব্যবহারের প্রয়োজন হলে নিজ উদ্যোগে হুইল চেয়ার সংগ্রহ করতে হবে। বিমান টিকিট পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজ দায়িত্বে টিকিট পরিবর্তন করতে হবে। সব হজযাত্রীর জন্য বিমানের ইকোনমি ক্লাসের টিকিট সরবরাহ করা হবে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৪ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত, আহত ৪

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের শার্লট শহরে বন্দুক হামলায় ৪ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় এ বন্দুক হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে এক ব্যক্তিকে আটক করতে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের শার্লটে ওয়ারেন্ট বাস্তবায়নের সময় ৪ জন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় অন্য আরও ৪ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় দুই বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন। আহত অফিসাররা ইউএস মার্শাল সার্ভিসের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সের অংশ।

শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ প্রধান জনি জেনিংস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অফিসাররা সামনের উঠানে একজন আততায়ীর দিকে গুলি চালায়, তারপর বাড়ির ভেতরে থেকে তাদের ওপর পাল্টা গুলি চালানো হয়।

পুলিশ প্রধান বলেন, আজ আমরা কিছু বীরকে হারালাম যারা আমাদের সবাইকে নিরাপদে রাখতে কাজ করছিল।

তিনি আরও বলেন, এটি তার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে পুলিশ অফিসারদের ওপর সবচেয়ে খারাপ হামলা।

শার্লট শহরের মেয়র ভি লাইলস এক বিবৃতিতে বলেছেন, আজকে শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ অফিসার এবং ইউএস মার্শালদের ওপর গুলির ঘটনায় তিনি গভীরভাবে দুঃখিত।


আরও খবর



৯ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ, খোলা থাকবে হল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন থেকে এসেছে শিক্ষার্থীরা। এর পর আগামী ১১ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এই সময়ে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর প্রাণহানি হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকে শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত বুধবার ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চুয়েটের মূল ফটকের সামনে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এরপর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসচালককে গ্রেপ্তার করার দাবি ছিল। সেই দাবি পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে, যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন। তাছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়কটি প্রশস্ত করার কাজও দ্রুত শুরু করা হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে আশ্বাস পেয়েছেন তারা। এসব দাবি পূরণ কিংবা আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলেছে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। গোলাগুলি, সংঘর্ষ, ভোটগ্রহণ স্থগিত, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আটকসহ নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন।

তবে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোটাদের উপস্থিতি কম ছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম। 

ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে আমাদের মাঠ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে। একেক জায়গায় একেকরকম ভোট পড়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রকৃত হার আরো পরে পাব।

এবারের নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম (আনারস) ও মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর (কাপ পিরিচ) সর্মথকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এছাড়া নির্বাচন চলাকালীন পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।

এছাড়া সাংবাদিক মারধরের ঘটনা ঘটেছে সিলেটের সদর উপজেলায়। সদরের ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে এক যুবক আটক হলে তাকে ছাড়িয়ে নিতে না পেরে ছবি সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা। তবে গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে কিছুটা ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়।

টাঙ্গাইলে মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রার্থীদের মধ্যে কোন্দল দেখা দেয়। মধুপুর উপ‌জেলার গাংগাইর আহম্মদ আলী মেমো‌রিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কে‌ন্দ্রে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ দুই উপজেলায় আতঙ্ক ও বৃ‌ষ্টির কার‌ণে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপ‌স্থি‌তি অনেক কম ছিল।

সুনামগঞ্জের শাল্লার চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের সামনে ঘোড়া ও আনারস প্রতীকের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সর্মথকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হন। এর আগে সোমবার (৭ মে) রাত ২টার দিকে একই কেন্দ্রের সামনে থেকে অন্য কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।

ভোটে অনিয়মের অভিযোগে বগুড়ার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া কুসুমকলি কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দুজন আটক হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের জাল ভোট দিতে না দেওয়ায় পোলিং অফিসারকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এদিন বেলা ১১টায় উপজেলার রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার সদর উপজেলায় চৌপল্ডী দক্ষিণ রাখাইন পাড়া সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আবছারের পক্ষে মাসুদ পারভেজ নাম এক এজেন্টকে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণকালে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নির্বাচন চলাকালীন সময়ে একটি ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে মীর রেজাউল ইসলাম বাবু নামে এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে আটক করেছে বিজিবি টিম।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ নূর উদ্দিন নামের এক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।

জয়পুরহাট ও দিনাজপুরের ৩ উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেই কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করায় সাময়িক সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম ও বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এর মধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, ৫ উপজেলার ৮ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী।

উপজেলাগুলো হলো, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলা ও মাদারীপুর জেলার শিবচর।

এছাড়া যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য কিছু উপজেলায় মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



হিটস্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

হিটস্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ -১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে ওঠা, যা সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয়। হিটস্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।

হিটস্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী : ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিটস্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল : কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী।

হিটস্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল : সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা। মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিটস্ট্রোকে করণীয় : শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


আরও খবর



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জিসান আহম্মেদ নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হলের কর্মচারী মো. নজরুল ইসলামের মেজো ছেলে৷

সোমবার (৬ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সালাম বরকত ও তাজউদ্দিন হলগামী সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি গাছে একজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। পরে পুলিশে খবর দিলে আশুলিয়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

আল-বেরুনী হলের কর্মচারীদের সূত্রে জানা গেছে, জিসান পরিবারের সঙ্গে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কলাবাগান এলাকায় আনসার ক্যাম্পের পেছনে থাকতেন। তাদের পৈত্রিক নিবাস শেরপুর জেলার সদর থানায়। স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে তিনি একটা গরুর খামার দেখাশুনা করতেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মৃতের পিতা নজরুল ইসলাম বলেন, সে সন্ধ্যার সময় বাসা থেকে বেরিয়েছিল এবং আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় ফেরে। তার মা তাকে বলছিল, এতো রাতে কোথায় ছিলি, গরুগুলোকে এখনো পানি খাওয়ানো হয়নি। এনিয়ে তার মায়ের সঙ্গে একটু রাগারাগি হয় এবং সে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে রাতে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হলেও কোথাও পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ ছেলে কোনো ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল না, নেহাত ভদ্র ছেলে। কিন্তু এ রকম কেনো করলো, তারা বুঝতে পারছে না।

ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, এই ছেলেকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি। সে খুবই ভদ্র ছেলে। মায়ের সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। পরে তার খোঁজ করেও পাওয়া যায় নি। এখানে তার পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ নেই। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নিয়ে লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, আনসার ক্যাম্পের পিছনে ঘটনাস্থল হওয়ায় তাদের এখানে থেকে সরাসরি দেখা যায়। আমি এসে দেখে পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ থেকে মরদেহ নামায়।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিএম আসলামুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে। পরিবার ও এলাকাবাসীর কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর