আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

হংকংকে ছাড়িয়ে এশিয়ার শীর্ষ আর্থিক কেন্দ্র সিঙ্গাপুর

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হংকংকে ছাড়িয়ে এশিয়ার শীর্ষ আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সিঙ্গাপুর। তিন ধাপ এগিয়ে বিশ্বের শীর্ষ আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে নগররাষ্ট্রটি। এ তালিকায় নিউইয়র্ক ও লন্ডন প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। কঠোর কোভিডজনিত বিধিনিষেধ এবং প্রতিভার বহির্গমনের কারণে এ তালিকায় চতুর্থ স্থানে নেমে গিয়েছে হংকং। এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শহর সানফ্রান্সিসকো দুই ধাপ এগিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টারস ইনডেক্সে (জিএফসিআই) এ তথ্য উঠে এসেছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, শেনজেনের চায়না ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট ও লন্ডনের থিংক ট্যাংক জেড/ইয়েন পার্টনারস অর্ধবার্ষিক জিএফসিআই প্রতিবেদন তৈরি করে। ১১৯টি আর্থিক কেন্দ্রের র্যাংকিং তৈরিতে প্রতিষ্ঠান দুটি অনলাইন প্রশ্নাবলির মাধ্যমে ১১ হাজার ৩৮ জন আর্থিক পেশাদারের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করেছে। আর্থিক পেশাদাররা ব্যবসায়িক পরিবেশ, মানবসম্পদ ও খ্যাতিসহ পাঁচটি ক্ষেত্রে ১৫১টি বিষয় মূল্যায়ন করেছেন। প্রতি বছরের মার্চ ও সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এ র‌্যাংকিংয়ের ৩২তম সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে।

দুই দশক ধরে নিজেকে আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে হংকং। তবে কোভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিলে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে থাকার কারণে অবনমন হয়েছে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির। জিরো কভিড নীতি ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য কঠোর কোয়ারেন্টিন নীতিমালার কারণে আগে থেকেই এশিয়ার শীর্ষ আর্থিক কেন্দ্রের মুকুট হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। সবশেষ আড়াই বছরেরও বেশি সময় কঠোর কোভিডজনিত নীতি প্রয়োগের পর আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টিন বিধি তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে শহরটি। তবুও ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়মের আওতায় আগত যাত্রীকে তিনদিন স্ব-নিরীক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

হংকং সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, প্রতিবেদনে আর্থিক কেন্দ্রের আর্থিক শিল্প অনুশীলনকারীদের মূল্যায়ন নেয়া হয়েছে। হংকংভিত্তিক অনুশীলনকারীরা এ শহরের ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। আমরা আগামীতেও দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে প্রস্তুত আছি এবং হংকংয়ের পুঁজিবাজার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে আমাদের ভূমিকাকে একত্র ও শক্তিশালী করতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সাহসী হব।

সর্বশেষ র‌্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর। অন্যদিকে তৃতীয় স্থান থেকে চতুর্থ স্থানে নেমেছে হংকং। র‌্যাংকিংয়ের গবেষকরা বলেছেন, হংকং ও টোকিওর মতো জায়গায় ক্রমাগত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সেখানকার স্বাভাবিক ব্যবসায়িক পরিবেশ বিঘ্নিত করেছে। ফলে দুই শহরের অবস্থানই অবনমন হয়েছে। শীর্ষ ২০ আর্থিক কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবস্থান হারিয়েছে জাপানের রাজধানী শহর। সাত ধাপ নিচে নেমে টোকিওর অবস্থান এখন ১৬ নম্বরে। এছাড়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে সিডনির।

অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি ১০ ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বরে উঠে এসেছে। গত আগস্টে সিঙ্গাপুর অভ্যন্তরীণ পরিবেশেও মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করেছে। এটিই শহরটির সর্বশেষ কোভিডজনিত বিধিনিষেধ ছিল। এর মাধ্যমে শহরটি কোভিডের সঙ্গে জীবনযাপনের নীতি নিয়ে এগিয়েছে। সম্প্রতি জাপানও আগামী ১১ অক্টোবর থেকে কোভিডজনিত সীমান্ত বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে। র‌্যাংকিংয়ে সাংহাই দুই ধাপ পিছিয়ে ষষ্ঠ এবং বেইজিংয়ের অবস্থান অষ্টমে অপরিবর্তিত রয়েছে। পাশাপাশি শেনজেন এক ধাপ এগিয়ে নবম স্থানে রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: হংকং সিঙ্গাপুর

আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে রওনা করেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু ও অপর শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। তিনি টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপদেষ্টা সদস্য। সমিতিটি আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ সমিতির উপকারভোগীদের মধ্যে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা দেবেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাপদ ও সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সার্বিক সমন্বয়মূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর সফরটি সুন্দর, নিরাপদ ও সফল হবে।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজ্জাম্মেল হক টুটুল জানান, টুঙ্গিপাড়ায় এটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের শিক্ষা ও কৃষি উপকরণ এবং নগদ অর্থ প্রদান করবেন। কর্মসূচি পালন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুক্রবারই ঢাকায় ফিরবেন।


আরও খবর



পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত ১০ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে (প্রশান্ত কুমার) হালদারসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করা হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ১০ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেনএ আদেশ দেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন আনান কেমিকেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিতাভ অধিকারী এবং পরিচালক প্রীতিশ কুমার হালদার, উজ্জল কুমার নন্দী, পূর্ণিমা রানী হালদার, রতন কুমার বিশ্বাস, ওমর শরীফ ও রাজীব সোম, আইএলএফএসএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. পরিচালক সৈয়দ আবেদ হাসান, সহ-সভাপতি নাহিদা রুনাই, সহ-সভাপতি আল মামুন সোহাগ, সিনিয়র ম্যানেজার রাফসান রিয়াদ চৌধুরী ও কোম্পানির সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান, আইএলএফএসএলের পরিচালক নুরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, মো. নুরুজ্জামান, এম এ হাসেম, মো. আবুল হাশেম, জহিরুল আলম, আনোয়ারুল কবির, নওশেরুল ইসলাম ও বাসুদেব ব্যানার্জী।

২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ পি কে হালদারসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। গত ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার প্রধান আসামি পি কে হালদারকে ২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের অশোকনগর থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামি উজ্জল, রাশেদুল ও রাফসান গ্রেপ্তারের পর কারাগারে আছেন। উজ্জল ও রাশেদুল অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন। চার্জশিটে বাকি ১৯ আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আসামিরা আইএলএফএসএল থেকে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা নেন এবং ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সুদসহ ১০৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন। পি কে হালদার এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৫২টি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র জমা দেবে হামাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হামাসের জ্যেষ্ঠ এক রাজনীতিক মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, তারা ইসরাইলের সঙ্গে পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতিতে রাজি। ১৯৬৭-পূর্ব সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে স্বশস্ত্র গোষ্ঠীটি নিরস্ত্রীকরণ করবে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে রূপান্তরিত হবে। খবর সিএনএনের

কয়েক মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই বুধবার এক সাক্ষাৎকারে হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া এসব বলেন। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। দেশটি হামাসকে শেষ করে দিতে শপথবদ্ধ। আর দেশটির বর্তমান নেতৃত্ব ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার তীব্র বিরোধী।

জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আল-হাইয়া যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধিত্ব করেন। ইস্তানবুলে এপির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আল-হাইয়া বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনে প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ গ্রুপের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন লিবারেশন অরগানাইজেশনের (পিএলও) সঙ্গে যোগ দিতে চায় হামাস।

তিনি বলেন, হামাস পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা মিলে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং ইসরাইলের ১৯৬৭-পূর্ব সীমান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক রেজল্যুশনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন হামাস মেনে নেবে।

আল-হাইয়া আরো বলেন, যদি তা হয়, তবে তাদের সামরিক শাখা বিলুপ্ত হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা, অধিকার ও রাষ্ট্র পেয়ে গেলে দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করা গোষ্ঠীটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হবে। তাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী জাতীয় সেনাবাহিনীতে রূপান্তরিত হবে।


আরও খবর



মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন শিক্ষাক্রমে চলতি বছরের নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের ১৭৯ পৃষ্ঠায় আছে, কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে প্রগতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে...করে যাচ্ছে’। এটা সংশোধন করে লেখা হবে কৃত্তিম (কৃত্রিম) বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে.. করে যাচ্ছে’। আবার অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের ১৬১ পৃষ্ঠায় ৭০০৭৫০-মিলিমিটার সংশোধন করে ৭০০-৭৫০ মিলিমিটার লিখতে সুপারিশ করা হয়েছে।

এভাবে মাধ্যমিকের চার শ্রেণির ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।

বইগুলো হলো: ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবন ও জীবিকা; সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ইংলিশ ও গণিত; অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, গণিত, ইংলিশ, বিজ্ঞান (অনুশীলন বই), ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ইসলাম শিক্ষা এবং খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা; নবম শ্রেণির ইংলিশ, গণিত, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, শিল্প ও সংস্কৃতি, বাংলা, বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ), ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা ও খ্রীষ্টধর্ম শিক্ষা।

এর আগে, নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ই-মেইলে জানানোর অনুরোধ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। তাতে বলা হয়, পাঠ্যপুস্তকে কোনো ধরনের ভুল-ভ্রান্তি, ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে কিংবা পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে কোনো ধরনের পরামর্শ থাকলে নিচের ই-মেইল অথবা এনসিটিবি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের ঠিকানায় জানালে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গেল বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এ বছর সেটা করা হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এসব শ্রেণিতে প্রণয়ন করা হয়েছে পাঠ্যবই।

বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের ভুল-ত্রুটি সংশোধনে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন করে বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ভুল ধরে তারা তা এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেয়। সম্প্রতি এ কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নবম শ্রেণির ১১টি বইয়ে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে।

বানান ভুল যেমন আছে, তেমনই কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধন কিংবা বাদ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তথ্যগত ভুলও রয়েছে। এনসিটিবি জানায়, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুল-ত্রুটি ও অসংগতি বের করা হয়েছে। দুই/এক দিনের মধ্যে সংশোধনীগুলো শিক্ষা অধিদফতরগুলোর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। পরে শ্রেণিশিক্ষকরা শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে এই ভুল ও অসংগতিগুলোর সংশোধন নিশ্চিত করবেন।

জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এ বছর পাঠ্যপুস্তকে যেসব ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা প্রয়োজন, তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে তা শিক্ষা অধিদফরের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তকে সংশোধন-সংযোজন নিশ্চিত করবেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিন মামলা, রিমান্ডের আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আশ্রমে দুস্থদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি, মানবপাচার, অর্থ আত্মসাৎ, শিশুদের ওপর হামলা, টর্চার সেল গঠনের মতো গুরুতর সব অভিযোগের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এরমধ্যে প্রতারণা, মানবপাচার, নির্যাতনসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে দু‌টি মামলা করা হয়েছে মিরপুর ম‌ডেল থানায়। এর মধ্যে এক‌টি মামলার বাদী হয়েছে পু‌লিশ।

আর এসব অভিযোগে বিষয়ে আরো তথ্য বের করতে মিল্টনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে তোলা হবে দুপুর আড়াইটায়।

নিজেকে দাতব্য কাজে জড়িত থাকার প্রচারণা চালানো মিল্টনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এসব নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বুধবার রাতে তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

গ্রেপ্তারে পর তাৎক্ষণিকভাবে গোয়েন্দা প্রধান হারুন সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, এরপর রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

বরিশালের উজিরপুরের মিল্টন নিজের বাবাকে পিটিয়ে এলাকা ছাড়েন মিল্টন। ঢাকায় এসে একটি দোকানে ওষুধ বিক্রি করতেন। সেখান থেকেই তার উত্থান।

এক নার্সকে বিয়ের পর মিল্টন বৃদ্ধাশ্রমের স্বপ্ন দেখেন এবং এরপরই তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার গড়ে তোলেন বলে জানান ডিবির হারুন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মিরপুরের সেই চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের কার্যালয় থেকে আটক করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে।

মিল্টনের বিরুদ্ধে অসহায় মানুষের নামে সংগ্রহ করা অর্থ আত্মসাৎ এবং তাদের কিডনিসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এছাড়া জাল মৃত্যু সনদ তৈরি এবং জমি দখলের মতো গুরুতর সব অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রচারণার জন্য বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন মিল্টন। ফেইসবুকে তার তার দুই কোটি ফলোয়ার। প্রায় দেড় ডজন লোকবলের একটি দক্ষ টিম মিল্টনের দাতব্য কাজের গুণকীর্তন গেয়ে কনটেন্ট তৈরি করতো। আর সেসব কনটেন্ট মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সংগ্রহ করা হতো কোটি কোটি টাকার তহবিল।

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামের বৃদ্ধাশ্রম ঘিরে তার অপকর্মের ফিরিস্তি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ২৮ এপ্রিল মানবাধিকার কমিশন থেকে মিল্টনের অভিযোগের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে বলা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশু ও বৃদ্ধদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করার অভিযোগ আছে। এগুলো আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখবো।

এছাড়া তিনি যে অনুদানের টাকা পেতেন তা যথাযথভাবে খরচ করা হতো কি না, তার শেল্টার হোমে শিশু ও বৃদ্ধ যারা আশ্রিত থাকতেন তাদের অভিভাবকরা এলে তাদের যে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

একইসঙ্গে মিল্টন যে ৯০০ লাশ দাফন করার কথা প্রচার করেছিলেন এবং ডেথ সার্টিফিকেটে নিজেই সিল বানিয়ে চিকিৎসকের স্বাক্ষর দিতেন এসব অভিযোগও বিস্তারিত তদন্ত করা হবে বলে জানান হারুন।


আরও খবর