আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

হরতাল-অবরোধের কথা শুনে হনুমানও ভেংচি কাটে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ কেউ মানছে না বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ি চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মধ্যে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুই দিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের তত্ত্বাবধানে এবং ডায়মন্ড সিমেন্ট ও দৈনিক আজাদীর অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরীফ পোড়ায়, গাড়ি-ঘোড়া ও স্কুল-ঘর পোড়ায়, ওরা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক কর্মসূচিও এগুলো নয়। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, তাদের অনুকরণে বিএনপি-জামায়াত পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। রাজনীতির নামে পেট্রোলবোমা দিয়ে আগুন সন্ত্রাস দুনিয়ার কোনো জায়গায় হয়নি। আমরা যখন পাকিস্তান কিংবা পশ্চিমাদের অধীনে ছিলাম তখনও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে দিয়ে বহু মিছিল গেছে, এসেছে। এ দেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবন কিংবা জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা হয়নি। যেটি বিএনপি-জামায়াত করেছে। সুতরাং এরা দেশ-জাতি এবং সমাজের শত্রু। এরা হিংস্র হায়েনা ও জঘন্য জানোয়ারের চেয়েও হিংস্র। সুতরাং এই জানোয়ারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

আরও পড়ুন>> ইইউ না দিলেও এককভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে স্পেন

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাচ্চারা নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। এর মধ্যে একটি স্কুল ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এই বাচ্চারা কী অপরাধ করেছে? আমাদের সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে, পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে; কেউ আগুনসন্ত্রাস চালালে কিংবা কেউ চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে এ রকম জানতে পারলেও তাদের ধরিয়ে দেবেন। তাহলে এদের নির্মূল করা সম্ভব হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য গত ১৪ জুন বিএনপি-জামায়াতের মিছিল থেকে এখানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের চিত্রগুলো ভাঙচুর করা হয়। তারা ভাঙচুর করে শুধু ক্ষান্ত হয়নি, ভাঙচুর করার সময় তারা উল্লাসও করেছে। অর্থাৎ এগুলো ধ্বংস করে তারা উল্লসিত হয়েছে। আজকে আবার সেগুলোকে নতুন আঙ্গিকে স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আসলে বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কী অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করল?

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।


আরও খবর



গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৯ বগি লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি জয়দেবপুর রেল স্টেশন পার হলে কাজীপাড়ায় আউটার সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়। আহতদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এতে ট্রেনের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রেল কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

জয়দেবপুরের স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর থেকে ওই রুটে কোনো ট্রেন চলছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার। তিনি বলেন, এখন ওই রুটে ট্রেন নেই। আর শুধু জয়দেবপুরে কোনো ট্রেন যাবে না। দুপুরের পরে ওই রুট দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।

এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. শফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ভুল সিগনালের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাত্রীশূন্য ট্রেনটি ঢাকায় ফিরছিল। অন্যদিকে তেলবাহী ট্রেনটি যাচ্ছিল রংপুরে। এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনটি তেলবাহী ট্রেনের লাইনে ঢুকে পড়লে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।


আরও খবর



আবারও পেছাল রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অর্থ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ফের পেছালো। আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী নতুন দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যায়। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা। ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলাটিতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় করা মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি।


আরও খবর



আনোয়ারায় প্রসূতি মায়েদের ভরসার নাম ‘মরিয়ম বেগম’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ওষখাইন গ্রামের বাসিন্দা মোছাম্মৎ মরিয়ম বেগম (৬৫) এলাকায় তার ধাত্রী হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে। শুধু আশপাশেই নয়, পাশের কোনো গ্রামে মহিলার সন্তান জন্মের মুহূর্ত এলেই তার ডাক পড়ে। অথচ তার ডেলিভারির বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ নেই।

তিনি বলেন, আমার সহায়তায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক মহিলার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে। কারও মৃত্য হয়নি। অবস্থা জটিল দেখলে হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দিই। তবে আগে খুব বেশি ডাক পড়ত। এখন তেমন কেউ ডাকে না। কারণ এখন বেশিরভাগ মহিলার সিজারেই বাচ্চা হয়।

শুধু এই ধাত্রী নন, তার মতো অসংখ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন অপ্রশিক্ষিত অনেক ধাত্রী। ফলে কমছে না নরমাল ডেলিভারি এবং মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে সিজার বা অস্ত্রোপচারে বাচ্চা জন্মদানের প্রবণতা।

ধাত্রী শব্দটি সবারই পরিচিত। প্রসবের দিন যত এগিয়ে আসে, ততই দুশ্চিন্তা বাড়ে প্রসূতি নারীদের। অনেকে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দিতে চাইলেও বহু নারী ধাত্রীকেই একমাত্র ভরসা হিসেবে মনে করেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ প্রসূতি নারী স্বাভাবিক প্রসবে বাচ্চা জন্ম দিচ্ছেন। এতে সুনাম কুড়াচ্ছেন এসব ধাত্রীরা। তবে প্রশিক্ষিত ধাত্রীর অভাবে প্রসূতি নারীসহ বাচ্চা ঝুঁকিতে থাকছেন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহজাদা সাইমুম ইফতেখার কাজিম উদ্দীন বলেন, আমাদের সমাজে ধাত্রীদের অনেক অবদান রয়েছে। এ ধরনের মানুষ সমাজের নিঃস্বার্থ উদাহরণ। তাদেরকে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের আওতায় আনলে মানুষ উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, গত ২বছরে আনোয়ারায় কোনো ধাত্রী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তবে আনোয়ারায় কিছু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী রয়েছে, তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তারা যদি প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাহলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



চট্টগ্রামে বায়েজিদ বস্তিতে আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় একটি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে বায়েজিদের শ্যামল ছায়া এলাকায় এ আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করেছে। এরইমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে আগ্রাবাদ কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ শ্যামল ছায়া এলাকার ওই বস্তিতে প্রায় ১৫টি কাঁচা বসতঘর ছিল। দুপুরে ওই বস্তিতে আগুন জ্বলতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল অফিসার কফিল উদ্দিন বলেন,  রোববার ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এ মুহুর্তে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই বস্তিতে ১৪-১৫টি এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘর রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।


আরও খবর



মহেশপুরের দোবিলা বিল বালুখেকোদের দখলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের সরকারি বিল দোবিলা এখন বালুখেকোদের দখলে। দীর্ঘদিন ধরে এ বিল থেকে একাধিক স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি শক্তিশালী চক্র। যার ফলে ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে সে এলাকার ফসলি জমিসহ বসতভিটা। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা এর সাথে জড়িত থাকায় ধরাকে সরাজ্ঞান করছেন না ওই চক্রটি।

এদিকে প্রায় আড়াই মাস ধরে একাধিক স্থানে বালু উত্তোলনের ফলে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙন ঝুঁকিতে দিনপার করছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ সময় ধরে সরকারি বিলে বালু উত্তোলন চললেও প্রশাসন কোন হস্তক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এদিকে বালু উত্তোলনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতাদের নাম থাকায় প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না এলাকার সাধারণ মানুষ।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আজমপুর ইউনিয়নের আজমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের দোবিলা বিলে বালু উত্তোলন করছেন একই গ্রামের আশরাফুল ইসলাম। বিলের পাশেই করেছেন বিশাল বালুর স্তুপ। এর আগেও তিনি প্রায় ২২ শ ট্রাক বালু বিক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বিলের সৈয়দপুর অংশে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন জালাল উদ্দিন নামে অপর এক ব্যক্তি। একই বিলের হোগলডাঙ্গায় বালু উত্তোলন করছেন ফিরোজ আহম্মেদ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লাগামহীন ভাবে নির্ধারিত শ্রমিক দিয়ে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সৈয়দপুরে গিয়ে দেখা যায়, তিন শ্রমিক বালু উত্তোলনের কাজ করছেন। সাংবাদিকের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ড্রেজার মেশিনের শব্দ বাড়িয়ে দেন এক শ্রমিক। তাদের সাথে কথা বলতে গেলে হাত নেড়ে জানান কোন কথা শোনা যাচ্ছে না।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দোবিলা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কোন ভাবেই বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙনের ঝুকিতে রয়েছি। অবৈধ ভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুষ্ঠুন করে গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছেন অনেকে। 

বালু উত্তোলনকারী জালাল উদ্দিন বলেন, সরকারের কাছ থেকে মাছ চাষের জন্য ৪২/৪৫ লাখ টাকা দিয়ে বিল লিজ নিয়েছি। কিন্তু পানি শুকিয়ে যাওয়া আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। যে কারণে বিল থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনের পরিকল্পনা করছি। সৈয়দপুরে বালু তুলছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতার নামের দোহায় দিয়ে দোষ এড়ানোর চেষ্ঠা করেন।

অপর বালু উত্তোলনকারী আশরাফুল ইসলাম বলেন, হ্যাঁ ভাই বালু উত্তোলন করছি। তবে এসব কথাতো আর ফোনে বলা যাই না। আপনি একটু নিরিবিরি সময় করে আমার সাথে দেখা করেন।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন বলেন, যতদ্রুত সম্ভব বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।


আরও খবর