আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ই-মেইলের মাধ্যমে শিক্ষা সচিব বরাবর তারা পদত্যাগ পত্র প্রেরণ করেন। এছাড়া পদত্যাগ পত্রে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেন তারা।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২০ আগস্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর মেয়াদ শেষ হলে ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. সালাম। এছাড়া ২০২১ সালের ৩০ জুন প্রো-ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এবং ২০২১ সালের ৫ মে ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।


আরও খবর
রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার স্ত্রী সন্তানদের ব্যক্তিগত ও তাদের মালিকানাধীন সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ফিন্যান্সিয়াল)। একই স‌ঙ্গে তা‌দের হিসাবের সব ধরনের লেনদেনের তথ্য চে‌য়ে‌ছে সংস্থা‌টি।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিএফআইইউ সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএফআইইউয়ের পক্ষ থেকে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠা‌নো চি‌ঠি‌তে বলা হ‌য়ে‌ছে আসাদুজ্জামান খাঁন, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান এবং মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খানের নামে থাকা সব ধরনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাক‌বে। চিঠিতে আসাদুজ্জামান খাঁন ও তার পরিবারের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

অর্থ পাচার নিরোধসংক্রান্ত ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এ আদেশ দিয়েছে বিএফআইইউ।

প্রাথমিকভাবে আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তীদের প্রয়োজনে জব্দ রাখার সময় আরও বাড়ানো হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর
আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




২৮-৪২তম বিসিএস: ভূতাপেক্ষ নিয়োগ পেলেন বাদ পড়া ২৫৯ জন

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৮তম হতে ৪২তম বিসিএস পর্যন্ত সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে ২৫৯ জন প্রার্থীকে ভূতাপেক্ষিকভাবে ক্যাডার পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বুধবার (১৪ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

আগামী ১ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশিত বা পদায়িত কার্যালয়ে যোগদান করতে হবে। ক্যাডার নিয়োন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে পরবর্তী কোনো নির্দেশনা না পেলে উল্লিখিত তারিখেই তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগে যোগদান করবেন। নির্ধারিত তারিখে যোগদান না করলে তিনি চাকরিতে যোগদান করতে সম্মত নন মর্মে ধরে নেওয়া হবে এবং এ নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

নিয়োগের শর্তে বলা হয়, সরকারি কর্ম কমিশনের মেধাক্রম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হয় বিধায় এ নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ পাওয়াদের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে তাদের ব্যাচের নিয়োগ পাওয়াদের প্রথম যে তারিখে নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সেই তারিখ থেকে ভূতাপেক্ষিকভাবে নিয়োগ আদেশ কার্যকর হবে। তাদের মূল ব্যাচের যোগদানের তারিখ থেকে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতা বজায় থাকবে। তবে তার ফলে তারা কোনো বকেয়া আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন না।

শর্তে আরও বলা হয়, তাদের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষ করে চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সরকার যা স্থির করবে তা পেশাগত ও বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। তাদের দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে সরকার এ শিক্ষানবিশকাল অনূর্ধ্ব দুই বছর বর্ধিত করতে পারবে।

এতে বলা হয়, শিক্ষানবিশকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে। প্রশিক্ষণ সাফল্যের সাথে সমাপন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে। পরবর্তীতে নিয়োগ পাওয়া কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনোরকম বিরূপ/ভিন্নরূপ তথ্য পাওয়া গেলে তার ক্ষেত্রে এই আদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন/বাতিল করার অধিকার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।

নিয়োগে বলা হয়, যদি তিনি কোনো বিদেশি নাগরিককে বিবাহ করে থাকেন অথবা বিবাহ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে থাকেন তবে এ নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

শর্তানুযায়ী, প্রার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বা দখলে থাকা সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ সম্বলিত একটি ঘোষণাপত্র তাকে চাকরিতে যোগদানের সময় সংশ্লিষ্ট ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। এছাড়া প্রতি পাঁচ বছর পর পর ডিসেম্বর মাসে প্রদর্শিত সম্পত্তির হাস/বৃদ্ধির হিসাব বিবরণী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।


আরও খবর
আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কালিয়াকৈরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা: স্বামীকে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর তার ঘাতক স্বামীকে বেঁধে পুলিশে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। আটককৃত বাবুল হোসেন (৪০) একই এলাকার মৃত মোগর আলীর ছোট ছেলে। 

শুক্রবার সকালে উপজেলার বড়গোবিন্দপুর (সুধিনচালা) এলাকায় নিজের ঘরের বারান্দা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের মাঝে চলছে মাতম।

মৃত আখি আক্তার (৩৬) কালিয়াকৈর উপজেলার বড় গোবিন্দপুর (সুধিনচালা) এলাকার আফাজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫/১৬ বছর আগে কালিয়াকৈর উপজেলার বড়গোবিন্দপুর (সুধিনচালা) এলাকার মৃত মোগর আলীর বড় ছেলে প্রবাসী আবুল হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আখির বিয়ে হয়। তার ঘরে এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে দেবর বাবুল হোসেনের সঙ্গে আখির গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর কয়েক বছর যেতে না যেতেই ওই সম্পর্কের জেরে বাবুল ও আখি পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। পরে বাবুল কখনো রাজমিস্ত্রি কখনো মাছ ব্যবসায়ী এবং স্ত্রী আখি স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ করে সংসার চালাতেন। তাদের স্বামী-স্ত্রীর সংসারেও ৯ বছরের এক ছেলে ও পাঁচ মাসের এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু পারিবারিক কলহের জেরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মাঝেই কথাকাটকাটি থেকে ঝগড়া-বিবাধ হতো। গত বৃহস্পতিবার রাতেও টাকা-পয়সাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়।

এর জেরে শুক্রবার ভোররাতে স্ত্রী আখিকে তার স্বামী বাবুল কুড়াল দিয়ে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে করে হত্যা করে। সকালে টিউবয়েল পাড়ে আচড়ে পড়ে ও স্ট্রোক করে আখি মারা গেছেন বলেও ডাকচিৎকার করে অপপ্রচার চালায় তার স্ত্রী বাবুল। পরে নিহতের পরিবার ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আখিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে সন্দেহ হলে বাবুলকে বেঁধে পুলিশে খবর দেয়।

খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের ঘরের বারান্দা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি কুড়াল উদ্ধার করা হয়। এসময় আটককৃত ঘাতক স্বামী বাবুলকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ঘাতক স্বামী বাবুলকে আটক ও একটি কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: গাজীপুর

আরও খবর



বিসিবির কাছে জেলা ক্রিকেটারদের ১৭ দফা দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সামনে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাজির হয়েছিলেন দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বোর্ডের নতুন নেতৃত্বের কাছে তাদের ১৭ দফা দাবি পেশ করা। এসব দাবি মূলত তারা জেলা ক্রিকেটের উন্নয়ন ও ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য করছেন।

সম্প্রতি বিসিবির সভাপতি হিসেবে সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ এবং পরিচালক হিসেবে নাজমুল আবেদীন ফাহিম দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারসহ ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাদের দাবি তুলে ধরেছেন।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে একাডেমি ভবনের সামনে ৬৪ জেলার এই ক্রিকেটাররা ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন। তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বৃদ্ধি, ঢাকার প্রথম শ্রেণির লিগে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা এবং প্রত্যেক জেলার ক্রিকেটারদের জন্য আধুনিক অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। পাঠকের সুবিধার জন্য তাদের মূল দাবির কয়েকটি দেওয়া হলো।

১. জেলা পর্যায়ে ক্রিকেট লিগের জন্য স্থায়ী বাজেট বরাদ্দ করতে হবে এবং খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এতে করে ক্রিকেটারদের আর্থিক সমস্যা কমবে এবং তাদের পারফরম্যান্সের মান বৃদ্ধি পাবে।

২. ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রথম শ্রেণির, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতিন সংস্করণের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের সব ফরম্যাটে খেলার সুযোগ তৈরি করা হবে এবং তাদের পারফরম্যান্স উন্নত হবে।

৩. প্রতিটি বিভাগে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং ঢাকার বাইরেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে দেশের অন্যান্য জেলার ক্রিকেটারদের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

৪. প্রতিটি জেলায় ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে মাঠ, নেট প্র্যাকটিস এবং কোচিং সুবিধা বৃদ্ধি করা জরুরি।

৫. কোয়াব স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে হবে, যেন এটি খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে।

৬. ঢাকার প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেট লিগে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই খেলার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. জাতীয় ক্রিকেটারদের জন্য টিভি সম্প্রচার এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় আরও ম্যাচ প্রচার করতে হবে, যাতে দর্শকদের মধ্যে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

৮. ঢাকার দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগে নিয়মিত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে, যা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

৯. সব জেলায় ক্রিকেট একাডেমি তৈরি করতে হবে এবং সেখানকার ক্রিকেটারদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও কোচিং দেওয়া হবে, যাতে তাদের দক্ষতা আরও উন্নত হয়।

১০. জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটারদের জন্য উন্নত ম্যাচ ফি নিশ্চিত করতে হবে এবং এই ফি পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করতে হবে, যেন তারা আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে।

১১. প্রত্যেক বিভাগে স্থায়ীভাবে অনুশীলনের সুবিধা বাড়াতে হবে এবং সেই সঙ্গে কোচদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে তরুণ ক্রিকেটাররা পেশাদার স্তরে পৌঁছাতে পারবে।

১২. ঢাকায় ক্রিকেট একাডেমির পাশাপাশি জেলাতেও অনুশীলন ও কোচিং সুবিধা উন্নত করতে হবে।

১৩. বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়োজনে বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে এবং বাংলাদেশের স্থানীয় খেলোয়াড়দের সেসব টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ দিতে হবে।

১৪. জেলাভিত্তিক এবং বিভাগভিত্তিক টুর্নামেন্টে পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে, যা তরুণ ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়াবে এবং তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে।

১৫. বিসিবির রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের মাধ্যমে সব ক্রিকেটারদের সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তাদের দক্ষতা ও কার্যক্রম মূল্যায়ন করা যায়।

১৬. বিপিএল এবং অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে স্থানীয় ক্রিকেটারদের আরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

১৭. সব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় স্থানীয় ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে, যাতে দেশের ক্রিকেট অবকাঠামো আরও উন্নত হয়।

পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ক্রিকেটাররা জানান তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিসিবি, অনেক দিন ধরেই অনিয়ম হয়ে আসছে। যদি বিসিবি আশাবাদ ব্যক্ত করে, তাহলে আমরা আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াব পুনর্গঠনের দাবি জানান তারা, আমরা চাই কোয়াবকে নতুন করে পুনর্গঠন করা হোক। এই কোয়াব আসলে ক্রিকেটারদের অনেক কিছুই জানে না। আমাদের সঙ্গে কখনো কথাও বলেনি। আমরা যখন আমাদের সমস্যাগুলো কোয়াবকে জানিয়ে এসেছি, তারা কোনো উদ্যোগ নিত না। আমরা ৬৪ জেলার যারা এসেছি, সবার একই দাবি, কোয়াব পুনর্গঠন করা হোক।

বিসিবির নতুন পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, যিনি নিজেও একজন বরেণ্য কোচ ও ক্রিকেট সংগঠক, ক্রিকেটারদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করে তাদের দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

ফাহিমের আশ্বাসে ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা আশাবাদী যে, তাদের দাবি পূরণ হলে দেশের ক্রিকেটের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটবে এবং জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটারদের যথাযথ মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে।

নিউজ ট্যাগ: বিসিবি

আরও খবর



ভারতে পালাতে গিয়ে নিজাম হাজারীর পিএস মানিক আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পিএস মো.ফরিদ মানিক সোমবার (১২ আগস্ট) আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়া হয়। ফেনী জেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক ও নিজাম হাজারীর এ পিএস ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকার মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে।

একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলার সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো.কামাল উদ্দিন জানান, বহু অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল মানিক। গত ০৪ আগস্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণে জড়িত ছিল। ওই হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়। আরও ৩০/৪০ জন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মো. ফরিদ মানিক নামে ফেনীর এক ব্যক্তি ভারতে যাওয়ার জন্য আখাউড়া স্থলবন্দরে আসেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ নিশ্চিত হন যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপর তাকে ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়। সে নিজাম হাজারীর ঘনিষ্ঠজন ও পিএস হিসেবেই পরিচিত।

আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. খায়রুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তির নামে কোনো মামলা নেই। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর