আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইতিহাসে আজকের এই দিনে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

১৭৫৬ - লর্ড রবার্ট কাইভ মাদ্রাজ থেকে ৫টি যুদ্ধজাহাজে ৯০০ সৈন্য নিয়ে কলকাতা দখলের জন্য যাত্রা করে।

১৯০২ - হল্যান্ডের হেগ শহরে আন্তর্জাতিক আদালতের প্রথম বৈঠক বা এজলাস অনুষ্ঠিত হয়।

১৯১১ - চীনে দু হাজার বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে।

১৯১৩ - পানামা খালের গাম্বোয়া বাধ ভেঙে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগর একাকার হয়ে যায়।

১৯১৭ - জার্মানির বিরুদ্ধে ব্রাজিল যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯১৯ - পানামা খাল খনন শেষ হয় এবং একে উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

১৯৩২ - সোভিয়েত ইউনিয়নের নেভা নদীর উপর লেনিন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়।

১৯৪২ - কবি কাজী নজরুল ইসলাম মস্তিক ব্যাধিতে আক্রান্ত (মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি আর সুস্থ হননি) হন।

১৯৪৩ - চিয়াং কাই শেক চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

১৯৫৬ - মাদ্রাজ থেকে লর্ড ক্রাইভের কলকাতা দখল অভিযানের যাত্রা শুরু হয়।

১৯৫৯ - আজেন্টিনায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৬৪ - এশিয়ার প্রথম টোকিও অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৬৭ - প্রায় ১০০ দেশের মধ্যে মহাশূন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

১৯৭০ - দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপ দেশ ফিজি দ্বীপপুঞ্জ ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৭১ সালেই এই দিনে দিনাজপুরের চড়ারহাট গ্রামে হানাদার বাহিনী মেতে ওঠে হত্যাযজ্ঞে। প্রায় শতাধিক মানুষকে গভীর রাতে ঘুম থেকে তুলে একত্রিত করে নির্মমভাবে হত্যা করে তারা। তাদের মধ্য থেকে গুলিবিদ্ধ ১১ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় সেখানে। পাশের আন্দোল গ্রামটিও রেহাই পায়নি হানাদারদের হাত থেকে।

১৯৭২ - বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বশান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি পদক প্রদান করা হয়।

১৯৮৬ - সালভাদের ভুমিকম্পে দুই সহস্রাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে।

১৯৯২ - থেকে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হচ্ছে।

১৯৯৭ - ফ্রান্সের ৪০ জাতি শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়।

জন্ম:

১৪৬৫ - প্রথম সেলিম, তিনি ছিলেন উসমানীয় খলিফা ও নবম উসমানীয় সুলতান।

১৬৮৪ - জাঁ-আন্টইনে ওয়াটেয়াউ, তিনি ছিলেন ফরাসি চিত্রশিল্পী।

১৭৩১ - হেনরি ক্যাভেন্ডিস, তিনি ছিলেন ফরাসি ইংরেজি রসায়নবিদ, পদার্থবিদ ও দার্শনিক।

১৮১৩ - জুসেপ্পে ভের্দি, তিনি ছিলেন ইতালীয় সুরকার।

১৮২৫ - পল ক্রুগার, তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিবিদ ও ৫ম প্রেসিডেন্ট।

১৮৩০ - দ্বিতীয় ইসাবেলা, তিনি ছিলেন স্পেনের রানী।

১৮৪৪ - বদরুদ্দিন ত্যাবজী, তিনি ছিলেন অবিভক্ত ভারতের খ্যাতনামা বিচারপতি।

১৮৬১ - ফ্রিডটজফ নান্সেন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নরওয়েজিয়ান এক্সপ্লোরার ও বিজ্ঞানী।

১৯০০ - হেলেন হায়েজ, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেত্রী।

১৯০১ - আলবার্তো গিয়াকোমেটি, তিনি ছিলেন সুইস ভাস্কর ও চিত্রকর।

১৯০৬ - আর. কে. নারায়ণ, তিনি ছিলেন ভারতীয় লেখক।

১৯০৮ - সবুর খান, তিনি ছিলেন রাজনৈতিক পার্লামেন্টারিয়ান।

১৯১২ - অনিল মুখার্জি, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী লেখক ও রাজনীতিবিদ।

১৯১৩ - ক্লাউডে সাইমন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালাগাসি ফরাসি লেখক।

১৯১৬ - সমর সেন, তিনি ছিলেন ভারতীয় বাঙালি কবি ও সাংবাদিক।

১৯২৪ - এড উড, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৩০ - হ্যারল্ড পিন্টার, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও নাট্যকার।

১৯৩০ - ইভস চাউভিন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।

১৯৩৫ - খলিল আল-ওয়াজির, তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা।

১৯৩৬ - গেরহার্ড এরটল, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ।

১৯৩৭ - সিরাজুল ইসলাম, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী মঞ্চ, বেতার ও টিভির সুপরিচিত অভিনেতা।

১৯৪১ - কেন সারো-ওয়িওা, তিনি ছিলেন নাইজেরিয়া লেখক ও সমাজ কর্মী।

১৯৫৪ - ফার্নান্দো সান্টস, তিনি সাবেক পর্তুগিজ ফুটবলার ও ম্যানেজার।

১৯৫৭ - রুমিকো তিনি তাকাহাশি, তিনি জাপানি লেখক ও অঙ্কনশিল্পী।

১৯৬৬ - টনি আলেকজান্ডার অ্যডামস, তিনি সাবেক ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।

১৯৭৪ - জুলিও রিকার্ডো ক্রুজ, তিনি সাবেক আর্জেন্টিনার ফুটবলার।

১৯৭৯ - নিকোলাস মাসু, তিনি চিলির টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৮২ - ইয়াসির আল-কাহতানি, তিনি সৌদি আরব ফুটবল।

১৯৮৬ - এজেকিয়েল গারাই, তিনি আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার।

১৯৯১ - জারদান শাকিরি, তিনি সুইস ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৯৪ - বায় সূজী, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার গায়ক, ড্যান্সার ও অভিনেত্রী।

মৃত্যু:

০০১৯ - গেরমানিকুস, তিনি ছিলেন রোমান জেনারেল।

০৬৪৪ - পলিনুস, তিনি ছিলেন ইয়র্কের আর্চবিশপ।

০৬৮০ - আল-হোসেইন ইবন আলী ইবন আবি তালিব, তিনি ছিলেন ফাতিমা জাহরা-এর পুত্র ও হাসান ইবন আলী-এর কনিষ্ঠ ভ্রাতা।

১৫৩৯ - নানক, তিনি ছিলেন প্রথম শিখগুরু।

১৬৫৯ - আবেল তাসমান, তিনি ছিলেন ডাচ বণিক ও এক্সপ্লোরার।

১৮২৭ - উগো ফস্কল, তিনি ছিলেন ইতালীয় লেখক ও কবি।

১৮৩৭ - চার্লস ফুরিয়ার, তিনি ছিলেন ফরাসি দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ।

১৮৭২ - উইলিয়াম এইচ. সেওারড, তিনি ছিলেন আমেরিকান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ২৪ তম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

১৯১৩ - জাপান কাতসুরা তারো, তিনি ছিলেন জাপানি রাজনীতিবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।

১৯৬৩ - এডিথ পিয়াফ, তিনি ছিলেন ফরাসি গায়ক, গীতিকার ও অভিনেত্রী।

১৯৭১ - সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, তিনি ছিলেন একজন বাঙালি কথাশিল্পী।

১৯৮৪ - আবদুল করিম আমিরি ফিরুজকুহি, তিনি ছিলেন ইরানের প্রখ্যাত কবি, গবেষক ও অধ্যাপক।

১৯৮৪ - আয়াতুল্লাহ মীর্যা খলিল কামারেহয়ী, তিনি ছিলেন বিখ্যাত মুফাসসির ও অধ্যাপক।

১৯৮৫ - ইয়ুল বরয়নের, তিনি ছিলেন রাশিয়ান অভিনেতা।

১৯৮৫ - জর্জ অরসন ওয়েলস, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৯৪ - শেখ মোহাম্মদ সুলতান (এস এম সুলতান), তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী।

২০০০ - সিরিমাভো বন্দরনায়েকে, তিনি ছিলেন শ্রীলঙ্কার ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ।

২০০৪ - ক্রিস্টোফার রীভ, তিনি সুপারম্যান চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন।

২০০৫ - মিল্টন অবোটে, তিনি ছিলেন উগান্ডা রাজনীতিবিদ ও ২য় প্রেসিডেন্ট।

২০১০ - জোয়ান সুথেরলান্ড, তিনি ছিলেন অস্ট্রেলীয় সুইস সরু ও অভিনেত্রী।

২০১১ - জগজিৎ সিং, তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম গজল গায়ক।

২০১৫ - রিচার্ড এফ. হেক, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ।


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপদাহ, হিট এলার্ট জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। গত দুইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে গরম অনুভূত হচ্ছে। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। বেলা ১১টায় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি ১৪৪৫ সালের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে হজ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওইদিন প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩৩০১ বিমানটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে। একই দিন দুপুর ১টায় সৌদি আরবের ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজী হজ পালন করবেন।


আরও খবর



আজ ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য আজ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী এলাকার সকল শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত হলে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত হলে তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টিসিবির কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রশ্নে ড. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিসিবিতে যে লোকবল আছে সেটা দিয়ে আমরা মানুষের যে সেবা করে যাচ্ছি সেটাই যথেষ্ট। আর সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। হ্যাঁ, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। যার প্রভাব আছে। বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের তাদের জন্য কষ্ট হচ্ছে। তবে গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের জন্য খুব একটা কষ্ট নেই। হাহাকারও নেই। তারপরও আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা যে দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে যথাযথভাবে যে যে পণ্যের প্রয়োজন সেটা দেশে যেমন উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছি, পাশাপাশি আমদানিও করে যাচ্ছি। তাতে যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি। যার ফলে আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। মানুষের কল্যাণ আমাদের সব থেকে বড় কথা, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং জনসাধারণ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সুফল ভোগ করতে পারছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের কয়েকটি পণ্য যেমন জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গম, সারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বাড়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ পরিস্থিতেও আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। টাকার বিনিময় হারের সাম্প্রতিক পতন অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনতে শিগগির ক্রলিং পেগ ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় নীতি গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত করিডোরভিত্তিক এ ব্যবস্থা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন রোধ করবে বলে আশা করা যায়। ফলে এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির ওপর বাহ্যিক প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিলাস দ্রব্য বা অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যে এলসি সহজ করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুর রউফের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনাধীন।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপের বিষয়ে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের ট্রাফিক পুলিশ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে। তাদের ঈদ বা ঝড়-বৃষ্টি-রোদ বলে কিছু নেই। তারা তাদের কর্তব্য পালন করে যান। কিন্তু মানুষের সচেতনতা না এলে কী করবেন? হেলপার যদি গাড়ি চালায় বা যার লাইসেন্স নেই সে কখন যে কোন গাড়িতে বসে চালাতে শুরু করে এটা তো বোঝাও দুষ্কর। আর এভাবে গাড়ি চালাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। এরা নিজেও মরে, যাত্রীদেরও মারে।

দেশে ব্যক্তিগত গাড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। আমরাও গাড়ি কেনার সুযোগ দিয়েছি মানুষকে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সুযোগ দিয়েছি। এখন আমাদের গাড়ির সংখ্যা এত বেশি কিন্তু সেই তুলনায় ড্রাইভারের সংখ্যা খুব কম। আমরা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নিচ্ছি। এখন শুধু হাতে কলমেই ট্রেনিং নয়, একেবারে কম্পিউটারাইজড। এটা ডিজিটাল সিস্টেমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যাতে লাইসেন্স দেওয়া হয় সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই প্রশিক্ষণটা নেওয়া.. আর যাদের ভারী গাড়ি চালানোর কোনো লাইসেন্স নেই তারা যেন সেটা চালাতে না যান। এটা করতে গেলে তা হবে আত্মঘাতী। এই আত্মঘাতী ব্যবস্থা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সবাই সচেতন ও স্বোচ্চার হলে এটা অনেকটা কমবে। তারপরও বলবো দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। এটা আমাদের দেশ বলে নয়, সারা বিশ্বে অন্য দেশে যান কী পরিমাণ মানুষ দুর্ঘটনায় মারা যায়? এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা সুনির্দিষ্ট করে দুর্ঘটনামুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। যার জন্য অনেক এলাকায় দুর্ঘটনা হচ্ছে না। এই ড্রাইভারের ব্যাপারটা নিয়ে সমস্যা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চালকদের দীর্ঘ সময় যাতে একটানা গাড়ি চালাতে না হয়- এজন্য আমরা বিশ্রাম করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এজন্য অনেকগুলো বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। এটা হলে চালকরা কিছু স্বস্তি পাবেন। আর সবাইকে বলবো আপনারা চালকদের দিয়ে গাড়ি চালান। সে সময়মতো গেলো কি না, বিশ্রাম নিতে পারলো কি না? অনেকে সেটা করেন না। আপনারা গাড়ি চালাতে বলে দেন। গাড়ি চলতেই থাকে। আপনি পার্টি করে আসেন, দাওয়াত খেয়ে আসেন কিন্তু ড্রাইভার খেলো কি না সে খবরটা রাখেন না।

আরও খবর



২ বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বাফেলো শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় উত্তাল নায়াগ্রা ফলসখ্যাত বাফেলো শহর। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়েন বাফেলো শহরের মেয়র ও পুলিশ কমিশনার।

স্থানীয় সময় দুপুরে নামাজের পর হাজারো মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে জড়ো হন বাফেলো মুসলিম সেন্টারে। বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

এ সময় স্থানীয় বাফেলো শহরের মেয়র বায়রন ব্রাউন ও পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জনতার তোপের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

ঘটনার একদিন পর সন্দেহভাজন বন্দুকধারী দুর্বৃত্তের ছবি প্রকাশ করলেও তার নাম পরিচয় জানাতে পারেনি বাফেলো পুলিশ। অপরাধীকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে নিহত বাবুল মিয়ার পাঁচ মাসের অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রীর আহাজারিতে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের আকাশ-বাতাস যেন ভারী হয়ে ওঠেছে। অভিবাসন নিয়ে বছর খানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন নুসরাত জাহান। স্বামীকে হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা। এই পৃথিবীতে নিকট আত্মীয় বলে তার আর কেউ রইল না। কিভাবে সন্তানকে মানুষ করবেন তিনি? গর্ভের সন্তানের ভবিষ্যত-ই বা কী হবে?

বাবুল মিয়ার স্ত্রী নুসরাত জাহান বলেন, আজকে আমি এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে আমি আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না। আমার স্বামীকে যারা এই নৃশংসভাবে বিদায় করে দিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

থমথমে পরিবেশ গুলিতে নিহত অপর বাংলাদেশি আবু সালেহ ইউসূফের বাড়িতে। জনশূন্য মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে থাকবেন বলে মাত্র সাত মাস আগে ইউসূফও এসেছিলেন নিউইয়র্কের বাফেলোতে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হতে হলো তাকে। ইউসূফের স্ত্রী এখন সন্তানদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বপ্নের যুক্তরাষ্ট্র যেন দিনদিন দু:স্বপ্ন হয়ে উঠছে অভিবাসীদের জন্য।

নিহত আবু সালে ইউসূফের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কোনো অপরাধ করেনি। যারা আমার সন্তানদের এতিম করলো আমি তাদের বিচার চাই। আমেরিকান সরকারের কাছে আমারদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই।


আরও খবর