আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিতে সম্পূর্ণ আলাদা রাশিয়া ও ইউক্রেনের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সম্পর্ক বেশ জটিল ও পুরোনো। প্রায় ১১ মাস আগে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে খানিকটা আড়ালে থাকা ওই বিরোধ চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে। 

ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় ২৭ শতাংশ ভূখণ্ড দখলে নিয়েছে রাশিয়া। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ওই যুদ্ধে উভয়পক্ষের প্রায় এক লাখ করে সেনা নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের অবকাঠামো যতটা ধ্বংস হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে কয়েক দশক লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সূচকে সব দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াল কেন, এ প্রশ্ন শুরু থেকেই উঠেছে। এর অনেকগুলো উত্তর আছে। এমনই এক উত্তর খুঁজেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্র্যান্ডন জে সফটস। উত্তর খুঁজতে তিনি যতটা না ইউক্রেন, তার চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। কারণ আরও অনেকের মতো তিনিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর প্রক্সিযুদ্ধ মনে করেন। 

এশিয়া টাইমসে এক বিশ্লেষণে ব্র্যান্ডন জে সফটস লিখেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র প্রধান বিশ্বশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। তার মধ্যে এক ধরনের সামরিক ও অর্থনৈতিক গরিমা দেখা দেয়। বিশ্বের নানা প্রান্তে সে নিজের আধিপত্য বিস্তারে মনোযোগী হয়। কিন্তু খেয়াল করলে দেখা যাবে, শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিশন ব্যর্থ হতে থাকে।  বিশেষ করে, গত ৩০ বছরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তারের মিশন কখনই সফল হয়নি। বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরও এক ধরনের ইগো বা জেদের বশবর্তী হয়ে সে আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লেগেছে। তার চেয়ে বড় কথা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাবের বিস্তার ঘটেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের মিশন যে কারণে ব্যর্থ: ব্র্যান্ডন জে সফটস মনে করেন, আফগানিস্তান ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের মিশন ব্যর্থ হওয়ার একাধিক কারণ আছে। যদি কোনো একটি কারণকে এককভাবে দায়ী করতে হয়, তা হলো- বাস্তবসম্মত রাজনৈতিক লক্ষ্যের অভাব। প্রুয়েশিয়ার উনিশ শতকের আর্মি জেনারেল ও সামরিক তাত্ত্বিক কার্ল ভন ক্লজউইৎসকে উদ্ধৃত করে ব্র্যান্ডন জে সফটস লেখেন, যুদ্ধ সব সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই যুদ্ধের ফল কেমন হবে, তা সর্বদা রাজনীতি ও সমরনীতির যৌথ সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। আফগানিস্তান ও ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের সব যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামরিক সিদ্ধান্তে সমন্বয় ছিল না। ইরাকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত পুরোটাই ভুল ছিল। আফগানিস্তানে দুই ক্ষেত্রেই ত্রুটি ছিল। 

ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের একই ভুল: ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পূর্ণ এড়ানো যেত বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা ব্র্যান্ডন জে সফটস। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কারণে তা সম্ভব হয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ হামলা শুরুর প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেন নিয়ে যে কৌশল নিয়েছিল, তা বাস্তবসম্মত বলে মনে করেন ব্র্যান্ডন জে সফটস। তখন রাজধানী কিয়েভ ও পশ্চিম অঞ্চলকে রুশ অধিগ্রহণ থেকে রক্ষা করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। তা সফলও হয়। কিন্তু এরপর মার্কিন কৌশলবিদদের আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায়। তারা ক্রিমিয়াসহ পূর্ব ইউক্রেনের অধিকৃত সব অঞ্চল থেকে রুশদের তাড়ানোর ঘোষণা দেয়। শুধু তাই নয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষমতা থেকে সরানো ও রাশিয়াকে বিভক্ত করার আকাশকুসুম স্বপ্নে বিভোর হয়ে ওঠে। ব্র্যান্ডন জে সফটসের ধারণা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগলেও রাশিয়ার বিভক্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। 

ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি : যুদ্ধে ইতোমধ্যে রাশিয়া যতটা বিনিয়োগ করেছে বা জড়িয়ে পড়েছে, তাতে করে পূর্বাঞ্চলের দনবাসের অধিকাংশ ভূখণ্ড দখলে না নিয়ে ছাড়বে না মস্কো। এ অবস্থান থেকে তাদের পিছু হটার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ কিয়েভের হাতে নেই। তা এখন ওয়াশিংটনের হাতে। অবশ্য শুরু থেকে তাই ছিল। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রকেই যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। আর তা না করলে ইউক্রেনের ট্র্যাজেডি আরও গভীর হবে। তিন দশক ধরে আলোচিত বহুকেন্দ্রিক বিশ্বের অভ্যুদয় ঘটবে। মলিন হবে ওয়াশিংটনের একাধিপত্য। বুদ্ধিবৃত্তিক, সামরিক ও অর্থনীতি উভয় দিক থেকে এটা ঘটবে। 

নিউজ ট্যাগ: ইউক্রেন যুদ্ধ

আরও খবর



উত্তেজনার মধ্যেই ইরান সফরে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজাযুদ্ধ এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই ইরান সফর করছে উত্তর কোরিয়ার একটি প্রতিনিধি দল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধি দল ইরান সফর করছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দেশটির বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী ইউন জং হোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইরান সফরের উদ্দেশ্যে বিমানে করে মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং ত্যাগ করে। তবে ওই প্রতিবেদনে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।

পশ্চিমাদের সন্দেহ, উত্তর কোরিয়া এবং ইরান দীর্ঘদিন ধরে পরস্পরকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে। তাদের ধারণা, এই ধরনের বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং তৈরির বিভিন্ন উপাদান পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করছে এই দুই দেশ।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরান রাশিয়াকে বিপুল সংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদনে দাবি করে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান সরবরাহ করেছে বলেও সন্দেহ করা হয়, যদিও উভয় দেশই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি তথ্যানুযায়ী, উত্তর কোরীয় মন্ত্রী ইউন জং হো এর আগে সিরিয়ার সাথে তার দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার সাথে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান আদান-প্রদানে সক্রিয় ছিলেন। কেসিএনএ’র তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতেও মস্কো সফরে একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনি।


আরও খবর



দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণপূর্ব এশিয়াজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এ ঘটনায় দেশে দেশে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। চাপ বাড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর।

শনিবার ফিলিপাইনের শিক্ষামন্ত্রণালয় সরকারি স্কুল দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। কারণ দেশটিতে তাপপ্রবাহজনিত অসুস্থতা বেড়েছে। বিশেষে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিনে ফিলিপাইনের আবহাওয়া পৌঁছাতে পারে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ নাগরিকদের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে।

২২ এপ্রিল উত্তরের শহর লাম্পাং-এ তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এই তাপপ্রবাহ এই সপ্তাহে অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। উত্তর ও মধ্য ভিয়েতনামের বিভিন্ন অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ৪০ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। বুধবার পর্যন্ত এমন তাপপ্রবাহ থাকবে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।

মালয়েশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ রোববার ১৬টি অঞ্চলের জন্য গরম আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। এসব এলকায় গত তিন দিন ধরে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরের তাপমাত্রা গত বছরের চেয়ে বেশি হতে পারে।

অন্যদিকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ৪৮ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের কথা জানিয়েছে, যা এপ্রিলে তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।


আরও খবর



ওমরাহকারীদের ফেরার তারিখ জানালো সৌদি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আগামী ৬ জুনের মধ্যে বাইরে থেকে আসা সকল ওমরাহকারীকে সৌদি আরব ছাড়তে হবে বলে জানিয়েছে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। ওইদিন আরবি বর্ষপঞ্জিকার ১১তম মাস জিলকদের ২৯তম দিন থাকবে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, সৌদি আরব ওমরাহর জন্য যে ভিসা দিয়ে থাকে সেটির মেয়াদ থাকে ৯০ দিন। যাদের কাছে ওমরাহর ভিসা আছে তারা আগামী ১৫ জিলকদ পর্যন্ত সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পবিত্র হজের প্রস্তুতি শুরুর অংশ হিসেবে ওমরাহকারীদের সৌদি আরব ছাড়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

দেশটি জানিয়েছে, ভিসা যেদিন ইস্যু করা হয় সেদিন থেকে ৯০ দিনের হিসাব শুরু হয়। যদিও অনেকে মনে করেন যেদিন সৌদিতে প্রবেশ করবেন সেদিন থেকে ভিসার মেয়াদ শুরু হয়। তাদের এ ধারণাটি ভুল। এছাড়া ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৯০ দিনের বেশি কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না। এই ভিসা অন্য ভিসা হিসেবেও পরিবর্তন করা হবে না।

জিলক্বদ মাসের পরের মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে হজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৩ তারিখ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মুসলমান হজ করার জন্য সৌদিতে সমবেত হন।

হজযাত্রীদের একটা বড় অংশ আসা শুরু করেন জিলক্বদ মাস থেকে। হজের সময় যেন হজ যাত্রীরা নির্বিঘ্নে মক্কা ও মদিনায় পৌঁছাতে পারেন এবং সেখানে অবস্থান করতে পারেন সেজন্য ওমরাহকারীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সৌদি ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজধানী দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (০১ মে) সকালে ই-মেইলে এই হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর স্কুলগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কয়েকটি স্কুল চত্বর খালি করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড এবং দমকল বাহিনী। পুরো ঘটনায় তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সকালের দিকে দ্বারকার স্কুল, চাণক্য়পুরীর সংস্কৃতি স্কুল, নয়ডা দিল্লি পাবলিক স্কুল, ময়ূর বিহারের মাদার মেরি স্কুল, পুষ্প বিহারের অ্য়ামিটি স্কুল, ডিএভি স্কুলে মেইল আসে। এরপর থেকে প্রায় ১০০টি স্কুলেই একই উড়ো ই-মেইল আসে।

স্কুলগুলোকে তল্লাশি চালাতে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড। পরে দমকল বাহিনীকেও খবর দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো স্কুলেই বোমা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া এনডিটিভিকে বলেন, যেসব স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, আমরা সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, কারণ সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।’

পুলিশের মতে, হুমকিমূলক ই-মেলের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কে এবং কোথায় থেকে ই-মেইলটি পাঠানো হয়েছে তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



কর্ণফুলীতে ৫ কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এসিল্যান্ড অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

তিনি বলেন, এসব খাস জমিগুলো অবৈধ দখলদার কাছে ছিল। পরে জমিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এতে জমির তফসিল উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। অভিযানে ১ একর ২১ শতক জমি উদ্ধার করা হয়েছেন। যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাকা। জমিগুলো সাইনবোর্ড ও সীমানা পিলার দ্বারা চিহ্নিত দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো: শওকত জামান, বড়উঠান ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম, সিএমপি কর্ণফুলীর পুলিশের চৌকস টিম।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর