আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর কৌশল

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে প্রতিনিয়তই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন ফিচার। শুধু ইউটিউবে ভিডিও দেখাই নয়, আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এটি। কন্টেন্টে ক্রিয়েটররা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট আপলোড করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন ইউটিউব থেকে। তবে ইউটিউবে চ্যানেল খুলে, কন্টেন্ট দিলেই হাজার হাজার ভিউ কিংবা লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়। এজন্য ইউটিবের নিয়ম মানতে হবে। দরকার হবে ভিডিওর ভিউজের সময়। তবে ভিডিওতে ভিউজ, সাবস্ক্রাইবার না পাওয়ায় এবং নানান ভুলের কারণে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পরে চ্যানেল। ভিডিও আপলোড করে আয় করার কিছু কৌশল আছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার, ভিউ বাড়াতে পারবেন-

ইউটিউব চ্যানেল শুরুর আগে ঠিক করুন কোন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করবেন। নির্দিষ্ট বিষয়ে ভিডিও আপলোড করলে সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বেশি। কোনোভাবেই এমন কোনো বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি করবেন না যে সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা নেই।

চ্যনেলের শুরুর দিকে ইউনিক এবং ইন্টেরেস্টিং ভিডিও আপলোড করুন। এতে আপনার চ্যানেলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে ভিউজ এবং সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা।

চেষ্টা করুন একই সময়ে ভিডিও আপলোড করার। নিজের ইচ্ছামতো ভিডিও আপলোড করবেন না। আগে ঠিক করে নিন সপ্তাহে মোট কত ভিডিও আপলোড করবেন। আপলোডের দিন ও সময় নির্দিষ্ট করে নিন। প্রত্যেক দিন অথবা সপ্তাহে একই সময়ে ভিডিও আপলোড করুন। এই অভ্যাস থাকলে বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যত বেশি মানুষ লাইক করবেন আপনার ভিডিও তত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে ইউটিউব। দর্শকদের ভিডিওর নিচে কমেন্ট করতে অনুরোধ করুন। ভিডিওর মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত জানতে চান। দর্শকদের কমেন্টের রিপ্লাই করুন ইউটিউবে। এইভাবে আপনার চ্যানেলের উপরে নির্ভর করে একটি কমিউনিটি গড়ে উঠবে, যা আপনার চ্যানেলকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।

শুধু ইউটিউবে ভিডিও আপলোড দিলেই হবে না। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটি প্রচার করুন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে নিজের চ্যানেল শেয়ার করুন। চাইলে নিজের পোস্ট করা ভিডিওর লিঙ্কও শেয়ার করতে পারেন।

ভিডিও আপলোডের সময় সঠিক কি ওয়ার্ড ব্যবহার করুন। অপ্রয়োজনীয় কি-ওয়ার্ড ব্যবহার না করে ভিডিওর বিষয়ের উপরে ভিত্তি করে কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করুন। একটি আকর্ষণীয় টাইটেল দিয়ে সব ভিডিও আপলোড করুন। ডেসক্রিপশনে সেটাই লিখুন যা আপনার ভিডিওকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে বলতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: ইউটিউব

আরও খবর



জয়পুরহাটে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের বালুবোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় মাহবুব হোসেন (৩৫) এক মোটরসাইকেল আরোহী মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাঁচবিবি  উপজেলার দানেজপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহবুব হোসেন পাঁচবিবি উপজেলার দানেজপুর গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।

পাঁচবিবি থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, মাহবুব হোসেন একজন দুধ ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন এলাকার গরুর খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি উদ্দেশ্য নিয়ে যাচ্ছিলেন পথে একটি বালুবোঝাই ট্রাক্টর মোটরসাইকেলেটিকে সামনের থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা ট্রাক্টরটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় ৬০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান। এতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও শতাধিক। এছাড়া এই বন্যায় নিখোঁজ রয়েছে আরও বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসি, রয়টার্সের।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছেন এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাঘলান প্রদেশের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আরও কয়েক ডজন লোক নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার রাতে এই অঞ্চলে আরও দুটি ঝড়ের পূর্বাভাসের দেওয়া হয়েছিল। এতে করে সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানিয়ি রয়টার্সকে জানান, টানা বৃষ্টির কারণে বাঘলান প্রদেশের পাঁচটির বেশি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের জরুরি সহায়তা দরকার। দুর্গত এলাকায় সহায়তাকারী দল ও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘরের মধ্য দিয়ে স্রোত বয়ে যেতে দেখা যায়। অনেক বাড়ির আসবাবপত্রও পানিতে ভেসে যায়।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আফগানিস্তানে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টি হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বন্যায় দেশটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর



কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের রাখা নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের ওই রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।

সেইসঙ্গে বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

এর আগে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন– চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল বিচারাধীন রয়েছে।

গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

পরে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে অন্তত ৫০ অধ্যাপককে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ও সংহতি জানানোয় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ, বিক্ষোভ–সম্পর্কিত সংবাদ ও আদালতের নথি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিক্ষোভের ভিডিও চিত্র ধারণ করার কারণে অধ্যাপকদের গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতারকৃত অধ্যাপকদের কেউ কেউ পুলিশের মারধর, হয়রানি ও হেনস্তার শিকারও হয়েছেন।

গত ১৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভের সূচনা করেন। বিক্ষোভ থেকে তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েল সরকার ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্নসহ বেশ কিছু দাবি জানান।

পরে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশটির দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এছাড়া ইউরোপের অন্তত ১২টি দেশেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন। এই সময়ে আমেরিকায় আড়াই হাজারের বেশি ও ইউরোপে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এক শিক্ষার্থীকে আটক করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারলিন ফলিন। এ সময় পুলিশের পাল্টা বাধার মুখে পড়েন তিনি। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এই নারী অধ্যাপককে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছেন এক পুলিশ সদস্য। আটকের পর এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিক্ষোভের ভিডিও ধারণ করছিলেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিভ তামারি। এ সময় তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তার পর গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের মারধরে তাঁর পাঁজর ও ডান হাত ভেঙে গেছে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্প্রতি বিক্ষোভে যোগ দেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ অধ্যাপক। সেই অধ্যাপকদের একজন গ্রায়েম ব্লেয়ার। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়ার শঙ্কা নিয়েই বিক্ষোভে যোগ দেন তিনি ও তার সহকর্মীরা। সেদিন তিনি গ্রেফতার না হলেও তার অন্তত চার সহকর্মী অধ্যাপককে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের শারীরিকভাবে হেনস্তাও করেন।

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি সংগঠন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস। সংগঠনটির সেন্টার ফর দ্য ডিফেন্স অব একাডেমিক ফ্রিডমের পরিচালক আইজ্যাক কামোলা গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপকদের হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।


আরও খবর



নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহার করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমন পরস্থিতি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিজেদের করোনা টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

এতে জানানো হয়, বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের।  কিন্তু বর্তমানে মূল করোনা ভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এসব টিকা এখন অতিরিক্ত। তাই সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, কোভিশিল্ড ও ভ্যাক্সজেভরিয়া নামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা সরবরাহ করেছে অক্সফোর্ডঅ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে, এই টিকা নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ এসেছে অনেক। এই অভিযোগ মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে অনেক পরিবার।

তেমনই একজন জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা গ্রহণ করেন তিনি। পরে মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দেয়। জমাট বেঁধে যায় রক্ত। এ নিয়ে মামলা করেন তিনি।  একই অভিযোগে ব্রিটিশ হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি পাউন্ড দাবি করে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এরপরই যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে, করোনার টিকার কারণে খুব বিরল টিটিএসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।


আরও খবর