আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাবিতে আন্দোলন অব্যাহত, আজও প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো নতুন প্রশাসনিক ভবন প্রতীকি অবরোধ করে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা সহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে বেলা ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নিয়ে আগামীকাল আবারও কঠোর পদক্ষেপের হুশিয়ারি দেন তারা।

আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- অছাত্রদের বের করে গণরুম বিলুপ্ত করা; নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা; যৌন নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তিসহ ক্যাম্পাসে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা; ধর্ষণের ঘটনায় প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত করা এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা দিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে 'নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের' ব্যানারে অবরোধ লেখা সম্বলিত ব্যানার ও প্লাকার্ড ঝুলিয়ে দেন তারা। এতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম সহ প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা-ব্যক্তিদের কাওকে দেখা যায়নি।

অবরোধ চলাকালে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন,'সন্ত্রাস ও মাদক কারবারের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অছাত্রদের বের করে দেয়ার জন্য সিন্ডকেটে নেয়া সিদ্ধান্তের পাঁচ কর্মদিবস পার হয়ে গেলেও আমরা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি। অছাত্রদের বের না করে বরং প্রশাসন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে। নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিশ্চিত সহ তাকে সহায়তাকারী প্রক্টরের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে যাবো। প্রশাসন দায় এড়িয়ে যেতে পারবেনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মাদকমুক্ত করতে হবে, যারা অছাত্র রয়েছেন, তাদের সরিয়ে দিতে হবে। প্রশাসন আমাদের বলেছিল, পাঁচ কর্মদিবসে অছাত্রদের বের করে দেবে। কিন্তু তারা সেটা পারেনি। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ঢাকায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এখানে হল প্রশাসন যদি কাজ করে, তাহলে কিন্তু সমাধান হয়। কিন্তু তারা কেউ কাজ করছেন না।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে যে ঘটনাগুলো কলুষিত করেছে, কলঙ্কিত করেছে, সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে, সে সম্মান উদ্ধারে উপাচার্যের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। র‍্যাবের ব্রিফিং থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন যে পাশবিক ঘটনাগুলো ঘটছিল, তা এই অছাত্ররা করছিল। প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে, তারা এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, আমরা যে পাঁচটি দাবিতে মাঠে নেমেছি, কোন শিক্ষার্থী কি বলতে পারবে যে আমরা কোন ভূল কথা বলেছি। তারপরও আমরা রাস্তায় দাড়িয়েছি। আমরা দাবি জানিয়েছি মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করতে। এমন আর একটি বিশ্ববিদ্যালয় দেখান যেখানে পচিশশো মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী হলে আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এবং তার প্রমাণ থাকা সত্বেও দেড় ধরে তাকে সাময়িক বহিস্কার পর্যন্ত করা হয়নি। নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর জনি এতো শক্তি কোথায় পায়?তিনি শক্তি পান উপাচার্যের কাছে, প্রক্টরের কাছে, ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের কাছে। নয়তো এত প্রমাণ থাকা সত্বেও কেন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো না?

এর আগে, গতকাল সোমবার সকালে একই দাবিতে প্রশাসনিক ভবন প্রতীকি অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারীরা নির্ধারিত পাঁচ কর্মদিবস পার হলেও প্রশাসন থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ায় লাগাতার কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করেছেন গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্মঘট স্থগিত করেন নেতারা।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মুছা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের ক্ষতিপূরণ এবং বাসে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তারসহ চার দফা দাবিতে শনিবার (২৭ এপ্রিল) এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

আজ সকালে ধর্মঘট শুরু হলেও বিকেলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নেতা মঞ্জুর আলম চৌধুরী ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ মুছা বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় দাবি দাওয়ার ব্যাপারে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের ওপর যেন হামলা না হয়, সেটির ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন। সবকিছু বিবেচনায় আমরা ধর্মঘট স্থগিত করেছি।


আরও খবর



ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত ৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল ও তারাকান্দা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এসব প্রাণহানি ঘটে।

দুপুরে সদর উপজেলার ল্যাংড়াবাজার এলাকায় টাঙ্গাইলগামী বাসের ধাক্কায় মাহেন্দ্র থ্রি হুইলারের তিন যাত্রী নিহত হয়। তারা তিনজনই একই পরিবারের। নিহতরা হলেন, লুৎফর রহমান (৩০) তার স্ত্রী শাহনাজ (২৫) এবং শিশু সন্তান মাহিত (২)। ঘটনাস্থলে শিশু মাহিত এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাকি দুইজন মারা যান। আহত অবস্থায় আরও একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, নিহতরা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা। স্বামী-স্ত্রী ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে সন্তানসহ তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।

এছাড়াও ত্রিশালের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাদানি সিএনজি পাম্পের সামনে একটি যাত্রীবাহী পিকআপ ইউটার্ন নেওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে মারুফের (১৮) বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ এবং আপেল মিয়ার (৩০) বাড়ি নান্দাইল উপজেলায়।

এছাড়া ত্রিশালের বালিপাড়ায় ত্রিশাল-নান্দাইল সড়কে আরেকটি দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় ২ অটোরিকশাযাত্রীর মৃত্যু হয়। এদের একজন নাসিমা (৩৫), তার বাড়ি একই উপজেলার কাজিরকান্দা গ্রামে এবং অপর আরেকজনের পরিচয় সনাক্তকরণে কাজ চলছে বলে জানান, ত্রিশাল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. চাঁদ মিয়া।

অপরদিকে, একই দিন সকালে তারাকান্দা উপজেলায় বাসের ধাক্কায় আবুল বাশার (৬০) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী।


আরও খবর



হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার হরিতলা নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মাধবপুর থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম খান জানান, রাত দেড়টার দিকে হরিতলা নামক জায়গায় একটি ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারেরে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রাইভেটকার থেকে এক নারীসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্বার করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহগুলো হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, সিলেট থেকে মাজার জিয়ারত শেষে ৫ জন ঢাকায় ফিরছিলেন।পথে সিলেটগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হয়েছেন।


আরও খবর



মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবি, নিহত ৫৮

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে একটি যাত্রীবাহী নৌকা (ফেরি) ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। ধারণক্ষমতার অতিরিক্তি যাত্রী বহন করা এই নৌকাটিতে প্রায় ৩০০ আরোহী ছিলেন। তাদের প্রায় সবাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌযানটিতে থাকা ৩০০ জনের বেশিরভাগই গত শুক্রবার একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন এবং পথিমধ্যে এটি ডুবে যায়।

বিবিসি বলছে, রাজধানী বাঙ্গুইয়ের কাছে এমপোকো নদীতে নৌকাডুবি ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নৌকাডুবির পর লোকেরা নদীর তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী ফরাসি ভাষার সম্প্রচারকারী আরএফআইকে বলেছেন, এইমাত্র যা ঘটেছে তা ছিল ভয়ঙ্কর। আমি এমন একটি পরিবারকে চিনি যারা এই ট্র্যাজেডিতে সাতজন আত্মীয়কে হারিয়েছেন।

নাগরিক সুরক্ষা প্রধান থমাস ডিজিমাসে বলেন, উদ্ধারকারীরা পানি থেকে ৫৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পানির নিচে থাকা মোট লোকের সংখ্যা আমরা জানি না।

অবশ্য নৌকা দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া বহু মানুষ বাঙ্গুইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নৌকাডুবির জেরে এমন বিপর্যয়ের ঘটনা নতুন কিছু নয়।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখ : পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই শুরু হয়েছে বর্ষবরণ। এদিন ভোর থেকে রমনার বটমূল থেকে গান, কবিতায় বরণ করা শুরু হয় বাংলা নতুন বছর ১৪৩১।

এদিকে সকালে সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বেরোয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ তৈরি করেছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের প্রথম দিন সকালে রাজধানী শাহবাগ মোড়কে কেন্দ্র করে বাংলামোটর, মৎস ভবন মোড়, টিএসসি রোড এবং কাটাবনের দিকে যাওয়ার প্রতিটি প্রধান সড়কের বাইরে পাশের রোডগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রোডগুলোতে দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা দিতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। র‍্যাবকেও দৃশ্যমান টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড়ে প্রায় শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য বলেন, সার্বিক বিষয় নিরাপত্তা দিতেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হবে। প্রধান অনুষ্ঠান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা বটমূল, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবির ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে, এরইমধ্যে এসব কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে।


আরও খবর