আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ভিন্ন চিত্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের ফলে ক্যাম্পাসে ফিরেছে শৃঙ্খলা, ফলে স্বস্তিতে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে পরীক্ষার আবেদনে বিষয়ভিত্তিক গ্রেড বাড়ানোর কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এবছরের ভর্তি পরীক্ষায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরীক্ষা চলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছাড়া অন্য কোন রিকশা চলাচল করতে দেখা যায় নি। ছাত্রী হল থেকে আসা রিকশাগুলো তারামন বিবি হলের সামনে এসে থামতে দেখা যায়। এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে শিট ও ব‌ই বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল এবং অস্থায়ী খাবারের দোকানপাট ও ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালা দের তেমন দেখা যায় নি।

পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটির প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়।এছাড়াও পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) চালু রাখা হয়েছিল।

এছাড়াও গত বছরের তুলনায় এবার ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে ২১ শতাংশ। গতবছর ভর্তি পরীক্ষায় একই সংখ্যক আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৭ টি। এবার আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫১টি। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ কম। গত বছর আসন প্রতি প্রতিযোগী ছিল ১৩৪ জন। যা এবার কমে হয়েছে ১০৮ জনে।

মানিকগঞ্জ থেকে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী রবিউল হাসান বলেন, ফাস্ট টাইমে পছন্দের সাবজেক্ট না আসায় আমি দ্বিতীয়বারের মতো ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছি। গত বছর এখানে শিট বিক্রেতাদের উপস্থিতি আমাদের বিরক্ত করেছিল কিন্তু এবছর শৃঙ্খলা দেখতে পেয়েছি।

সার্বিক বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক এবং প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। মাঝে মাঝে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়। এবার তেমন ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা শুরু থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছি ।

এদিকে প্রথম শিফটের পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, সুন্দর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপস্থিতির হার ৭০-৮০ শতাংশ। আমরা এ বছর ভাসমান কোনো দোকান বসতে দিইনি। সে জন্য ভিড়ও কম আছে। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ৯ মে দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, ফারুক আব্বাসী,আদনান সিদ্দিকী, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

সবশেষ ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।


আরও খবর



কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টার দিকে তিনি কারাগারের প্রধান ফটক থেকে বের হন। এসময় কারা ফটকের সামনে হেফাজত ইসলামের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।

তিনি জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।


আরও খবর



সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতে আসছে ‘মিস এআই’

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার এআই বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ। ধীরে ধীরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটির ব্যবহার শুরু হচ্ছে। এবার এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি নারীদের নিয়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। মূলত বিশ্বব্যাপী এআই ক্রিয়েটরদের সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।

পুরস্কার হিসেবে মিস এআই বিজয়ীকে দেয়া হবে নগদ ৫ হাজার ডলার। প্রতিযোগিতায় সব মিলিয়ে মোট ২০ হাজার ডলারের পুরস্কার থাকছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার বিতরণের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি এখনও। তবে ১০ মে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার দিনই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মিস এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন। বিশ্বের কোনো দেশের ক্রিয়েটররা তাদের এআই মডেলের নাম লেখাতে পারবেন মিস এআই প্রতিযোগিতায়। তবে অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি থাকতে হবে।

জানা গেছে, ফোবর্স দ্বারা হাইলাইট করা মিস এআই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস। ফ্যাশন বৈচিত্র্য এবং এআই উৎপাদিত পুরুষ মডেলের মতো বিভিন্ন থিম থাকছে। তবে এআই জেনারেটেড নারী মডেলদের উপরই বিশেষভাবে ফোকাস করা হয়েছে। এআই টুলের মাধ্যমে তৈরি মডেল হতে হবে। সফটওয়্যার ব্যবহারে কোনো বিধিনিষেধ নেই। জনপ্রিয় টুলগুলোর মধ্যে ওপেনএআই এর ডাল-ই ৩ মিডজার্নি এবং কপিলট ডিজাইনার অন্তর্ভুক্ত।

তবে প্রতিযোগীদের ৩টি গুণের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সৌন্দর্য, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সামাজিক প্রভাব। সৌন্দর্যের মধ্যে ব্যবহার, বাগ্মিতা এবং কঠিন প্রশ্নের ঝটপট উত্তর দেওয়ার মতো দক্ষতা আছে কি না দেখা হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রম্পট থেকে আউটপুট তৈরির ক্ষমতা সহ এআই ব্যবহারের নির্মাতাদের দক্ষতা বিচার করবেন বিচারকরা।

সামাজিক প্রভাব ডিজিটাল বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। নির্মাতারা কতটা দর্শক টানতে পারেন, তাদের ব্যস্ততার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে তাদের উপস্থিতি দেখা হবে। এই বিভাগগুলোতে পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে সামগ্রিক স্কোর পাবেন প্রতিযোগীরা।

প্রতিযোগিতায় চারজন বিচারক থাকছেন। এর মধ্যে রয়েছেন এআই ইনফ্লুয়েন্সার আইতানা লোপেজ ও এমিলি পেলেগ্রিনি-র সঙ্গে উদ্যোক্তা অ্যান্ড্রু ব্লচ এবং সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিচারক স্যালি-অ্যান ফসেট।


আরও খবর



রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকালে ইরানি সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস ও মেহের নিউজ’সহ স্থানীয় আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।

এদিকে, দুর্ঘটনার শিকার হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইসি ও আব্দুল্লাহিয়ান বেল-২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টারে ছিলেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা-এর বরাতে এ খবর দিয়েছে রয়টার্স। হেলিকপ্টারটি ছিল মাঝারি আকারের। এতে পাইলটসহ ১৫ জন বসতে পারেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরেও এমন দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা বেল-২১২ মডেলের। তবে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের কাছে এমন কোনও হেলিকপ্টার বিক্রি করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।

পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।

ব্যাপক তল্লাশির পর অবশেষে সোমবার তুরস্কের ড্রোন থেকে তোলা ছবিতে শনাক্ত করা হয় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ। পরে সেখানে গিয়ে পৌঁছান উদ্ধারকারী দল।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে আরও বলা হয়েছে, মূলত বৈরী আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স


আরও খবর



রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর সর্বসাধারণ বিশেষ করে স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজের সূচনা করেছেন রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। এর আগে ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর এখানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর ভাষাসৈনিক প্রয়াত অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু।

শনিবার বেলা ১১ টায় নগরীর পুরাতন সার্ভে ইন্সটিটিউটের জায়গায় পূর্ব নির্ধারিত স্থানে রাজশাহীর শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্ধারিত স্থানে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুল হক বকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুবুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুশান্ত সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বদিউজ্জামান খায়ের, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুর রশিদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পাকিস্তানী প্রেতাত্মাদের চক্রান্তে ঘাতকের হাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যবৃন্দ এবং জাতীয় চার নেতাসহ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু: রেজা হাসান।

এসময় বক্তারা বলেন, রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক বছর আগে ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু যেস্থানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, সেখানেই এর নির্মাণকাজ শুরু হলো। ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর সংগ্রামী জীবনের অংশ হিসেবে এই কাজটিও আমাদের মাঝে চির অমর হয়ে থাকবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণকাজের শুভ সূচনার মধ্য দিয়ে আজ রাজশাহীবাসী ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এদেশের মুক্তিসংগ্রামের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি মানুষের প্রতি অবনত মস্তকে শ্রদ্ধা জানালো।       

তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে চলেছেন, তখনও তাঁর বিরুদ্ধে দেশি বিদেশি চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সেগুলো মোকাবিলা করেই তিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের। একথা আজ প্রতিষ্ঠিত যে, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে গেলেই ঘাপটি মেরে থাকা পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা চক্রান্ত করতে থাকে। এতো বছর পর রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হতে যাচ্ছে, এটা নিয়েও হয়তো সেই একই গোষ্ঠী ও তাদের দোসররা নানা চক্রান্ত করতে পারে। কিন্তু আমরা তা কোনোক্রমেই সফল হতে দেবো না।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাসিক কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, রাজশাহী জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে মাইনুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, তফিকুল ইসলাম, দীলিপ কুমার সরকার, জনাব আলী, আবু জাফর প্রাং, মহিদুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মাসুদ, শিউলী রানী সাহা, সুলতানা পারভীন রিনা, মোসা. সাজেদা বেগম প্রমূখ।

উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে পুরাতন সার্ভে ইন্সটিটিউটের প্রায় ১ একর জায়গাজুড়ে প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নির্মিত হচ্ছে।


আরও খবর