আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

জামিন পেলেন ফখরুল-আব্বাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নাশকতার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তাদের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের জামিনের আদেশ দেন।

আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনিরুজ্জামান মনির।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনায় পল্টন মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তার ৪৫০ জনের মধ্যে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। রিজভী, অ্যানিসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ১৪ আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

এরপর ৮ ডিসেম্বর মধ‌্য রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ। এরপর ৮ ডিসেম্বর দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার দেখায় ডিবি পুলিশ। বিকেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কয়েকদফা তাদের রিমান্ড নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে আরও দুই দফা তাদের জামিন নামঞ্জুর হয়।

এরপর তারা যান ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে। ২১ ডিসেম্বর ওই আদালতও তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করেন।

বিচারিক আদালতে চার দফায় জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর সোমবার (২ জানুয়ারী) হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতা।


আরও খবর



তিন দিনের জাতীয় রবীন্দ্র উৎসব শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজুক প্রাণে বজ্রভেরী/অকূল প্রাণের সে উৎসবে স্লোগান ধারণ করে আজ বৃহস্পতিবার বৃষ্টিস্নান্ত সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে তিন দিনের জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা আয়োজনে এই উৎসবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের রবীন্দ্রশিল্পীদের মেলবন্ধন ঘটেছে।

১৬৩তম রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমদিনেই ছিল জমকালো উদ্বোধন। অতীতের সব আয়োজন ছাপিয়ে এবারের ৩৫তম আসর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।  কারণ উৎসব জুড়ে রয়েছে দুজন কিংবদন্তি। এদের একজন হলেন, কলিম শরাফী, অন্যজন সাদি মহম্মদ। উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয় কলিম শরাফীর শততম জন্মদিন। উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে অকাল প্রয়াত সাদি মহম্মদ স্মরণে।

নাচ-গান-আবৃত্তিতে মোড়ানো জন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি হবে তিন দিনের অনুষ্ঠানে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী সংস্থার নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ ও সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পীযুষ বড়ুয়া।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এবারের আয়োজনে দেড় শতাধিক শিল্পী অংশ নিচ্ছেন। তিন দিনের উৎসবটি সাজানো হয়েছে চারটি অধিবেশনে। যেখানে অংশ নিচ্ছেন বরেণ্য শিল্পীদের পাশাপাশি সংস্থার নিয়মিত শিল্পীরা। পরিবেশনার পরতে পরতে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন পর্যায়ের গান ও কবিতা। আছে দলীয় নৃত্য। আছে জনপ্রিয় বাকশিল্পীদের পরিবেশনা রাবীন্দ্রিক পরিবেশনা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের লবিতে বিকেল সাড়ে ৫টায় উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠে উৎসবের। শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নৃত্যানন্দের শিল্পীরা পরিবেশন করে বৃন্দ নৃত্য। নৃত্যের সঙ্গে সমবেত সঙ্গীত  আকাশ ভরা সূর্য তারাবিপুল তরঙ্গ রে পরিবেশন করে সংস্থার শিল্পীরা। এরপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় মিলনায়তনে। সন্ধ্যায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতজন রামেন্দু মজুমদার। দুই গুণী কলিম শরাফী ও সাদি মহম্মদ সম্পর্কে আলোচনা করেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সহ সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও লেখক-আলোকচিত্রী এম এ তাহের। স্বাগতকথনে অংশ নেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সঙ্গীত শিল্পী পীযুষ বড়ুয়া।

 উৎসব সম্পর্কে চুম্বকীয় অংশতুলে ধরেন সংস্থার নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ। এদিন মিলনায়তনের বাইরে বৃন্দ নাচ ও গান শেষে মূল মঞ্চে ঐতিহ্য মেনে পরিবেশন করা হয় জাতীয় সঙ্গীত। এর পর পরিবেশন করা হয় বেদ শ্লোক গচ্ছধ্বং সং বদধ্বং সং বো মনাংসি জানতাম্। এর আগে লবীতে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানো হয়। এই পর্বে সমবেত গান আনন্দালোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর  হে নূতন দেখা দিক আর-বার পরিবেশন করা হয়।

 পরে উদ্বোধনী কথনে অংশ নেন অতিথিরা। আলোচনা শেষে শুরু হয় প্রথম দিনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এদিন শিল্পীরা ছিলেন রফিকুল আলম, চঞ্চল খান, জাফর আহমেদ, অনন্ত বাঁধন, লিটন চন্দ্র বৈদ্য, মিলন দেব, সত্যম দেবনাথ, কুশল রায়, গায়ত্রী আচার্য্য, রবিউল হাসান, সুদীপ্ত চক্রবর্তী, শর্মিলা চক্রবর্তী, বিলু সিদ্দিকী, ফারহানা খান পুরবী, মৌমিতা মমী, নেহরীন হুদা, রায়ান খালিদ  স্যান্দ্রা, রিদওয়ানা আফরিন সুমি, স্মৃতি কণা পাল, তাসনিতা মাহবুব নরিন, উৎপলা দাস পম্পা,  শবরী মজুমদার, ড. বর্ণালী চক্রবর্তী, সুস্মিত শাফি ইসলাম (খুলনা), ফারহানা রহমান কান্তা (ফরিদপুর) সহ আরো অনেকে।

শিল্পীদের কণ্ঠে  শোনা গেলো কেহ কারো মন বুঝে না, হার মানা হার, প্রথম আদি তব শাক্তি, সখী ভাবনারে কারে কয়, মহারাজ একী সাজে, তাই তোমার আনন্দ, সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, নয়ন তোমারে পায় না, লাবণ্য পূর্ণ প্রাণ সহ আরু অনেক গান।

তিন দিনব্যাপী উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদি মহম্মদের পুণ্য স্মৃতির উদ্দেশে। তাই উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল তারই অনুজ বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পীশিবলী মহম্মদ ও শামীম আরা নীপার নেতৃত্বে ছিল নৃত্যাঞ্চলের শ্রদ্ধা নিবেদন।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার একই স্থানে দ্বিতীয় অধিবেশন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবে সুরের ধারা, রবিরাগ, সঙ্গীত ভবন, বাফা, বৈতালিক, সুরতীর্থ ও বিশ্ববীণার শিল্পীরা। কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে একই স্থানে তৃতীয় অধিবেশনের সূচনা হবে সংস্থার রীতি অনুযায়ী দুটি কোরাসের মধ্য দিয়ে। এদিন সংস্থার শিল্পীরা পর পর পরিবেশন করবেন ওই মহামানব আসেবৈশাখ হে, মৌনী তাপস,  কোন্ অতলের বাণী। তৃতীয় ও  কাল শনিবার বিকাল ৫টায় সমাপনী আয়োজন শুরম্ন হবে। থাকবে সংস্থার শিল্পীদের একক ও দলীয় পরিবেশনা।

সমাপনী অধিবেশনের সূচনা হবে পর পর জগৎজুড়ে উদার সুরে/আনন্দগান বাজেআলোকের এই ঝর্নাধারায় গানের মধ্য দিয়ে। পরে নিয়মিত পর্বে অংশ নেবেন সংস্থার শিল্পীদের পাশাপাশি আমন্ত্রিত শিল্পীরা। তিন দিনের আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা, নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

মঙ্গলবার জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র : জ্যামাইকা অবজার্ভার এবং আলজাজিরা

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা।

গত মার্চের শেষ সপ্তাহে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় ইউরোপের চার দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও মাল্টার প্রধানমন্ত্রীরা জানান, তাদের দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। তারা সে সময় বলেন, যুদ্ধকবলিত এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের একমাত্র উপায় এটি।


আরও খবর



এসএসসিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা, কারণ খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ছাত্রদের চেয়ে গড় পাসে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। আজ প্রকাশিত ফলে দেখা যায় ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। কেন ছেলেরা পিছিয়ে সেটির কারণ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (১২ মে) সকালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এসময় প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কথা বলেন। শিক্ষায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি, ফলেও মেয়েরা এগিয়ে, এটি যেমন সুখবর। একইভাবে কেন ছেলেরা পিছিয়ে সেটির কারণ খুঁজে বের করতে হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানদের তিনি বলেন, যার যার বোর্ডে আপনারা খবর নেন, কী কারণে ছেলেরা পিছিয়ে। ইদানীং কিশোর গ্যাং দেখছি। এগুলো তো আমরা দেখতে চাই না। সেখান থেকে তাদের বিরত করা, একটা সুষ্ঠু পরিবেশে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব। আমরা বিবিএসকেও বলবো দেখতে।’

আজ প্রকাশিত এ ফলাফলের মধ্যে রয়েছে ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন’র (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ এমপি আনোয়ারুল আজিম

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার। গত কয়েক দিন ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

আনোয়ারুল আজিম আনারের সন্ধানে গত শনিবার ভারতে গেছেন তার ভাতিজা সাইমনসহ আরও তিনজন। কিন্তু আজ রবিবার পর্যন্ত তারা কোনো খোঁজ পাননি। তাকে খুঁজে বের করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।

এ বিষয়ে এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফ বলেন, গত ১২ মে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বর্ডার হয়ে চিকিৎসার জন্য ভারত যান আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গের নিউ টাউন এলাকায় বন্ধু গোপালের বাসায় ওঠেন। ১৩ মে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয় সংসদ সদস্যের। পরের দিন ১৪ মে একবার কথা হওয়ার পর তার মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে আর যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবারের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতারা।

আবদুর রউফ আরও বলেন, আনোয়ারুল আজিম আনার নিখোঁজ থাকার বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেছেন। নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ খোঁজ নিতে শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু বলেন, আমরা এই বিষয়টা জানতে পারিনি। তবে ঘটনা সত্য হলে তা খুবই উদ্বেগ ও দুঃখজনক বিষয়। বিষয়টি দল ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু বলেন, বিষয়টি আনারের পরিবার আজকেই আমাকে জানিয়েছে। আমি দলীয় সকল স্থানে জানিয়েছি।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ বলেন, এমপি নিখোঁজ থাকার খবর লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।

এ বিষয়ে ভারতের কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি রমজান সেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানার পর বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারাও খোঁজ করেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হয়।


আরও খবর



ভাঙ্গুড়ায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় খোলায় ধান পরিস্কারের সময় ফ্যানের সঙ্গে লুঙ্গি পেঁচিয়ে আহত জহির সরদার (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার তাকে উন্নত চিকিৎসার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত জহির সরদারের ছোট ভাই আ: মজিদ সরদার।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে জনৈক মহসিন হাজীর বাড়ীর সামনে ধানের খোলায়। নিহত জহির ওই গ্রামের মো: আবু বক্কার সরদারের ছেলে। পেশায় তিনি কৃষক ও তিন সন্তানের জনক।

জানা গেছে, এ বছর জহির তার নিজের কৃষি জমিতে বোরো ধান রোপন করেন। বুধবার ধান কেটে তা মাড়াই করেন। এরপর বিকালে সেই ধান ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে জনৈক ব্যক্তির ধানের খোলায় ইঞ্জিন চালিত পাওয়ার টিলারের সাথে স্টিলের বড় (খাঁচা ছাড়া) ফ্যান লাগিয়ে বাতাস দিয়ে পরিস্কার করছিলেন। এ সময় অসাবধানতায় তার পরনের লুঙ্গি ফ্যানের সাথে পেঁচিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা জহিরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর