আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

জানা গেল সেই ৪০০ কোটি টাকার পিয়নের পরিচয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজের বাসার কাজের লোক ৪০০ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলেও জানান তিনি। চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নিজের বাসার পিয়ন সম্পর্কে এমন তথ্য জানানোর পর অনেকের মনেই প্রশ্ন ওঠে কে সেই পিয়ন? বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় জল্পনাকল্পনা।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার পরিচয় নিয়ে কোনো ইঙ্গিত দেওয়া না হলেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সূত্র দাবি করছে, সেই পিয়নের নাম জাহাঙ্গীর আলম। তাকে নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল।

রবিবার সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাসায় কাজ করে গেছে, পিয়ন, যে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। হ্যাঁ, এটা বাস্তব কথা। তো কী করে বানাল এই টাকা! যখনই আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ডটার্ড সব সিজ করে ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা তো হয়। এটা করে। ধরা পড়লে তো এটা চোখে আসে। তা ছাড়া তো হয় না। যখন ধরা পড়ে তখন ব্যবস্থা নিই।

সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে এক সময় কর্মরত ছিলেন।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের দুই মেয়াদের পুরোটা সময় এবং প্রধানমন্ত্রীর টানা তৃতীয় মেয়াদেরও কিছু সময় ছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলে থাকার সময়ও জাহাঙ্গীর আলম তার বাসভবন সুধা সদনের ব্যক্তিগত স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে। সেই সময় তার আমন্ত্রণে সরকারের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে নোয়াখালীর চাটখিলে বিভিন্ন কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। যার কিছু ছিল জাহাঙ্গীরের ব্যক্তিগত আয়োজনের অনুষ্ঠানে। একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর আরেক পিয়ন আবদুল মান্নানকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। তবে তার বিরুদ্ধে হেলিকপ্টার ব্যবহারের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



দিল্লিতে শামীম ওসমান, দেখা মিলল নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছেলে ও রাজনৈতিক অনুসারীদের নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালালে ওসমান পরিবারের সদস্যদের আর দেখা পাওয়া যায়নি। শামীম ওসমান ও তার স্বজনরা দেশে নাকি বাইরে আছেন তা নিয়েও ছিল আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে দেখা মিলল সাবেক এ সংসদ সদস্যের।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে শামীম ওসমানকে ভারতের দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজারে দেখা গেছে।

ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আকাশ হক তাকে মাজারে দেখেছেন। রাত ৯টা ৫ মিনিটে শামীম ওসমানের ছবি তুলেছেন তিনি।

ছবিতে দেখা গেছে, শামীম ওসমান গাঢ় গোলাপি রঙের হাফ হাতা একটি শার্ট ও ছাই রঙের একটি প্যান্ট পড়ে মাজারের মূল বেদির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।

পোস্টে আকাশ লিখেছেন, শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার সামনে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরবারে দাঁড়িয়ে আছেন। ভালো মন্দ কিছু জিজ্ঞেস করবো কিনা ভাবতেছি। আবার কবে দেখা হয়- না হয় কে জানে?

এ নিয়ে আকাশ হকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দেশের একটি গণমাধ্যম।

আকাশ হক গণমাধ্যমটিকে জানান, রাতে তিনি দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করতে যান। এ সময় তিনি শামীম ওসমানকে দেখতে পান। শামীম ওসমানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। প্রমাণস্বরুপ তিনি ছবিও তুলে রেখেছেন বলে জানান।


আরও খবর



বন্যাদুর্গতদের পাশে ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। নিয়মিত কর্মীদের সঙ্গে রয়েছেন স্থানীয় ভলান্টিয়াররা। উদ্ধারকাজের সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখতে ঢাকায় খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজির নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের ১টি দল এবং ঢাকা ও বরিশাল থেকে প্রতিটিতে ১০ সদস্যবিশিষ্ট আরও ৩টি উদ্ধারকারী দল ফেনী ও বন্যাকবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুর্গত এলাকার বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া ২৬০ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার সকালে মনিটরিং সেলে বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজের বিষয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে অপর এক জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। এ সময় তিনি বন্যাদুর্গত এলাকার সার্বিক উদ্ধারকাজের খোঁজখবর নেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

এদিকে ফায়ারের উদ্ধারকারী দল ওয়াটার রেসকিউ টেন্ডার, টিভি ক্যান্টার গাড়ি, হাইয়েস মাইক্রোবাস, রেসকিউ কমান্ড ভেহিক্যাল, জেমিনি বোট, ইঞ্জিনসহ ইনফ্লোটেবল বোট, লাইফজ্যাকেট, লাইফবোট, রিং বয়া,  ডাইভিং সেট, থ্রোয়িং ব্যাগ, রেসকিউ রোপসহ বিভিন্ন উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়ে ফেনীর উদ্দেশে দুপুরে রওনা হয়েছে। এছাড়া ২৩ আগস্ট বন্যাদুর্গত এলাকার উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করতে যাবেন অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বন্যাদুর্গত এলাকার বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া ১৩৯ জন পুরুষ, ৯৯ জন নারী (যাদের মধ্যে ২ জন গর্ভবতী) ও ২২ শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণের জন্য হটলাইন নম্বর ১০২ এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫ চালু রয়েছে। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য মনিটরিং সেলের ০১৭১৩-০৩৮১৮১ মোবাইল নম্বরে বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এও কল করা যাবে। মনিটরিং সেলের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকার ফায়ার স্টেশনসমূহ এবং বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমেও সেবাগ্রহণকারী সকলেই দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা বন্যা-সংক্রান্ত দুর্যোগে উদ্ধার বিষয়ক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। ফায়ার স্টেশনগুলোকে আশ্রয়স্থল হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।


আরও খবর



হু হু করে বাড়ছে পদ্মার পানি, পাউবো জানাল আতঙ্কের কিছু নেই

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিহার ও ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির কারণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেট খুলে দেয়ায় পদ্মা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। তবে এখনও তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। এতে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়াসহ নদী তীরবর্তী বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চলে প্লাবনের আশঙ্কা করছেন নদী তীরের বাসিন্দারা।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, পানি কিছুটা বাড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সংকট মোকাবিলায় নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলাগুলোতে পদ্মার পানি বিপদসীমার এক থেকে দুই মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বাড়ায় বেশ কয়েকটি বাসাবাড়িতে বিষাক্ত সাপ ও পোকামাকড় ঢুকে পড়ছে। এ সময় স্থানীয়দের মোবাইল ফোনে সাপের ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়।

জানা যায়, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয়া হয়। ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে অতি বৃষ্টির কারণে এবারও খুলে দেয়া হয়েছে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট। এতে হু হু করে পানি বাড়ছে নদীতে।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়াসহ বেশ কয়েকটি জেলার নিচু এলাকায় বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।

নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, ঘরে ছোট সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে থাকি। কখন জানি আগ্রাসী পদ্মা আমাদের বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পানি আরও আসছে। কোনো বাঁধ না থাকায় অনেক কষ্ট হয়। এ ছাড়া বাড়িতে বিষাক্ত সাপ ও পোকামাকড়ও ঢুকে পড়ছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় বিহার ও ঝাড়খণ্ডে। এ কারণে ফারাক্কার গেট খুলে দিয়েছে ভারত। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যদি বন্যার সৃষ্টি হয়, এ নিয়ে আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে।

রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানির বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫ মিটার। মঙ্গলবার পানির উচ্চতা পাওয়া গেছে ১৬ দশমিক ৩০ মিটার।


আরও খবর



সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব হয়রানিমূলক মামলা বাতিলের দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাম্প্রতিক গণ-আন্দোলনে আহত ও নিহত সাংবাদিকসহ ছাত্র, শিক্ষক, যুবক, সাধারণ নাগরিক ও পুলিশ সদস্য যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। সেই সঙ্গে আন্দোলন ঘিরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলাসহ অতীতের সকল হয়রানিমূলক মামলা বাতিল ও প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।

গত ১০ আগস্ট সম্পাদক পরিষদের এক সভায় সাম্প্রতিক বিষয়ে আলোচনাসহ এ আহ্বান জানানো হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো সম্পাদক পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত সকল মামলাও প্রত্যাহার ও বাতিল করতে হবে। গণ-আন্দোলনের সময় সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল অফিস আক্রান্ত হয়েছে, সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনাকে সম্পাদক পরিষদ সমর্থন করে না। একই সঙ্গে পেশাদারিত্ব বাদ দিয়ে নীতিবিবর্জিত ও লেজুরবৃত্তির সাংবাদিকতা বর্জনীয় বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত সরকার বাকস্বাধীনতা, সৃজনশীলতা এবং স্বাধীন সংবাদপত্র শিল্পের কণ্ঠরোধ করতে ও নিয়ন্ত্রিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিল। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি নিবর্তনমূলক আইন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। এসব আইনের মধ্যে রয়েছে উপাত্ত সুরক্ষা আইন (খসড়া) ২০২২, ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি রেগুলেশন ২০২১ (খসড়া), গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন ২০২২ (খসড়া), জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭, দ্য প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট, ২০২২ (খসড়া)। প্রস্তাবিত এ বিশেষ আইনগুলো অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অতীতের মতো সংবাদপত্রে সরকারি ও বেসরকারি বিজ্ঞাপন প্রদানের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপের প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। সরকারি সংস্থা ডিএফপির সকল কার্যক্রম স্বচ্ছ ও প্রকাশ্য হতে হবে।

প্রেস কাউন্সিলকে পুনর্গঠন করে কার্যকর সংস্থায় পরিণত করতে হবে উল্লেখ করে সর্বোপরি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।

ডেইলি স্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপত্বি করেন ডেইলি স্টার সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম। সভায় উপস্থিত ছিলেন ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউএজ সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নুরুল কবীর, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, বণিক বার্তা সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক জাফর সোবহান, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, সমকাল সম্পাদক আলমগীর হোসেন, দেশ রূপান্তর সম্পাদক মোস্তফা মামুন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, এবং সংবাদ নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম। যোগাযোগ প্লাটফর্ম জুমে সভায় অংশ নেন দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ড. এম রমিজউদ্দিন চৌধুরী এবং সুপ্রভাত বাংলাদেশ সম্পাদক রুশো মাহমুদ।

নিউজ ট্যাগ: সম্পাদক পরিষদ

আরও খবর



গণ অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হলো আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বহু প্রাণের বিনিময়ে আলোর মুখ দেখেছে ছাত্র-জনতার বিপ্লব। বহু রক্তপাতের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়েছে সম্ভাবনাময় নতুন বাংলাদেশ। জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনে আগস্টে রূপ নেয়, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে। টিকে থাকার সব চেষ্ট ব্যর্থ হলে ৫ আগষ্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্ণ হলো আজ। ছাত্র-জনতার দাবি, কিছুটা দেরি হলেও বিজয়ের সুফল পাবে বাংলাদেশের জনগণ।

তীব্র গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন ৫ আগস্ট। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া জুড়ে তখন মুক্তির বাতাস। সবার চোখে-মুখে শুধুই প্রাপ্তির আনন্দ। পুরো দেশের একক উৎসবে রূপ নিলো ছাত্র-জনতার বিজয়। মুখের কথায় খই ফোটানো প্রভাবশালীরা অন্ধকারে মিলিয়ে গেলেন আলো নিভিয়ে। এক মাস খুবই অল্প সময়। তবুও কী কোন প্রাপ্তি দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্পর্শী?

শুরুটা কোটা সংস্কার দাবিতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে। মারমুখী সরকার, লেলিয়ে দেয়া হয় পেটুয়া বাহিনী। ধীরে ধীরে বাড়ে তীব্রতা; শাহবাগ কেন্দ্রিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আন্দোলন দমাতে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করে সরকার। পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাবের পাশাপাশি, সেনাবাহিনী নামিয়ে করা হয় সান্ধ্য আইন।

শাষকগোষ্ঠী যেন মেতে ওঠে রক্তের নেশায়। মূল্যহীন করে তোলে ছাত্র-জনতার জীবন। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষণ অথবা পাহাড়-সমতল; মুক্তির নেশায় মেতে ওঠে সবাই। জ্বলতে থাকেন দ্রোহের আগুনে। অনেকের ভাবনার জগতে ছিল না, এমনকি এখনও কেউ কেউ বিশ্বাস করতে পারেন না- পালিয়ে গেছেন নির্মম-পরাক্রমশালী হাসিনা সরকার।

পুলিশের বে-হিসেবি গুলির বিপরীতে তারুণ্যের অদম্য সাহস আর সীমাহীন মুক্তির নেশা। বন্দুকের নলের মুখে দাঁড়িয়েছে বুক চিতিয়ে। রংপুরের আবু সাঈদ হয়ে ওঠেন শত শত তরুণ-বিপ্লবী প্রাণের প্রতিচ্ছবি। এখনও কানে বাজে মুগ্ধের আহ্বান পানি লাগবে পানি

এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনেকে। তাদের বিশ্বাস, একদিন সব ঠিক হবে, মিলবে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সুফল।


আরও খবর