আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

জান্নাতে নবিজির সান্নিধ্য পাবেন যারা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জান্নাতে প্রিয় নবি (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করা একজন মুমিনের জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়। নবিজির সাহাবিরা জান্নাতে তাঁর সান্নিধ্য লাভের গভীর আগ্রহ লালন করতেন। মাঝে মধ্যে নবি (সা.) নিজেই জান্নাতে তাঁর সঙ্গ ও সাহচর্য লাভের উপায় বলে দিতেন। জান্নাতে নবিজির সান্নিধ্য পাবেন যারা তাদের পরিচয় তুলে ধরা হলো-

নবিজির ভালোবাসা

আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। এক যাযাবর রাসূল (সা.)কে প্রশ্ন করল-কিয়ামত কবে হবে? রাসূল (সা.) তাকে বললেন, তুমি কিয়ামতের জন্য কি পাথেয় প্রস্তুত করেছ? সে বলল, আমি বেশি কিছু প্রস্তুত করতে পারিনি। তবে আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালোবাসি। তিনি বললেন, তুমি তারই সাথি হবে যাকে তুমি ভালোবাস। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬৩৯)।

সিজদা ও নামাজ

রাবিআহ ইবনু কাব আল আসলামী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা.)-এর সঙ্গে রাত যাপন করছিলাম। আমি তার ওজুর পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস এনে দিতাম। তিনি আমাকে বললেন, কিছু চাও! আমি বললাম, জান্নাতে আপনার সাহচর্য প্রার্থনা করছি। তিনি বললেন, এছাড়া আরও কিছু আছে কী? আমি বললাম, এটাই আমার আবেদন। তিনি বললেন, তাহলে তুমি অধিক পরিমাণে সিজদা করে তোমার নিজের স্বার্থেই আমাকে সাহায্য কর। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৮৯)।

নবিজির আনুগত্য

ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবি (সা.)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি। আপনাকে স্মরণ করি। আপনাকে না দেখলে প্রাণ বের হওয়ার উপক্রম হয়। আমি জান্নাতে প্রবেশ করলেও মর্যাদায় আপনার নিচে থাকব। তখন আপনাকে না দেখে থাকা আমার জন্য ভীষণ কষ্টকর হবে। আমি জান্নাতে আপনার সঙ্গে থাকতে চাই। রাসূল (সা.) তার কথার কোনো উত্তর দেননি। অতঃপর এ আয়াত অবতীর্ণ হলো। আর যারা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করে তারা তাদের সঙ্গে থাকবে, আল্লাহ যাদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন নবি, সিদ্দিক, শহিদ ও সৎকর্মশীলদের মধ্য থেকে। আর সঙ্গী হিসাবে তারা হবে উত্তম। (সূরা নিসা, আয়াত : ৬৯) (আল মুজামুল কবির, তাবরানি, হাদিস : ১২৫৫৯)।

উত্তম আচরণ

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.) তোমাদের যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সর্বোত্তম তোমাদের মধ্যে সে-ই আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় এবং কিয়ামত দিবসেও আমার খুবই কাছে থাকবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২০১৮)।

এতিম লালন-পালন

সাহল (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেছেন, আমি ও এতিমের প্রতিপালনকারী জান্নাতে এমনিভাবে কাছে থাকবে। এ বলে তিনি শাহাদত ও মধ্যমা আঙুল দুটি দ্বারা ইঙ্গিত করলেন এবং এ দুটির মাঝে কিঞ্চিত ফাঁক রাখলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৩০৪)।

কন্যাশিশুর লালন-পালন

আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল বলেছেন, যে ব্যক্তি দুটি মেয়ে সন্তানকে সাবালক হওয়া পর্যন্ত প্রতিপালন করে, কিয়ামতের দিনে সে ও আমি এমন পাশাপাশি অবস্থায় থাকব, এ বলে তিনি তার হাতের আঙুলগুলো মিলিয়ে দিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৬৩১)।

অধিক দরুদ পাঠ

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর অধিক সালাত (দরুদ) পাঠ করে, কিয়ামতের দিন সে-ই আমার অধিকতর কাছে থাকবে (তিরমিজি, হাদিস : ৪৮৪)।

তাকওয়া অবলম্বন

মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) যখন তাকে ইয়েমেনে পাঠান তখন তিনি তাকে বিদায় দিতে বের হন। মুয়াজ (রা.) সওয়ারিতে চলছেন, রাসূল (সা.) হাঁটছেন আর অসিয়ত করছেন। অসিয়ত করা শেষ হলে রাসূল (সা.) বললেন, হে মুয়াজ! সম্ভবত এ বছরের পর আমার সঙ্গে তোমার আর দেখা হবে না। হয়তো তুমি আমার মসজিদের পাশ দিয়ে হাঁটবে, আমার কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে! (কিন্তু আমার দেখা পাবে না)। এ কথা শুনে রাসূল (সা.)-এর আসন্ন বিচ্ছেদ-বিরহে মুয়াজ (রা.) অঝোরে কাঁদতে শুরু করলেন। এরপর রাসূল (সা.) মদিনার দিকে ফিরে তাকালেন এবং বললেন, আমার পরিবারের এ লোকেরা মনে করে, তারা আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ। অথচ বিষয়টি এমন না; আমার সর্বাধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত হলো ওই ব্যক্তি, যে আল্লাহভীতির জীবন অবলম্বন করে। সে যে কেউই হোক এবং যেখানেই অবস্থান করুক। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২২০৫২)।

দোয়া করা

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, এক রাতে আমি কয়েক রাকাত নফল নামাজ পড়লাম। নামাজের শেষে আল্লাহতায়ালার হামদ-ছানা আদায় করলাম। নবি কারিম (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করলাম। এরপর দোয়া করতে শুরু করলাম। তখন রাসূল (সা.) আমার অগোচরে বলতে থাকেন-তুমি (আল্লাহর কাছে) চাও, তোমাকে দেওয়া হবে। তুমি দোয়া কর, তোমার দোয়া কবুল করা হবে।

ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি দোয়া করলাম। এরপর মসজিদ থেকে বাড়িতে চলে এলাম। ভোর হলে আবু বকর সিদ্দিক (রা.) আমার বাড়িতে আসেন এবং জিজ্ঞেস করেন, আপনি আজ রাতে কী দোয়া করেছেন? আমি বললাম, আমি এই দোয়া করেছি-হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এমন ইমান চাই, যার পর কুফরের দিকে প্রত্যাবর্তন হবে না। এমন নিয়ামত চাই, যা কখনো ফুরাবে না। আর আমার (পরম) চাওয়া, চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রিয়নবির (সা.)-এর সঙ্গ লাভ। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৪৩৪০)।


আরও খবর



মেঘনায় কার্গোর ধাক্কায় ট্রলারডুবি, জেলের মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভোলা প্রতিনিধি

Image

ভোলায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে হারুন মাঝি (৫০) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (১০ মে) ভোরে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের কাঠিরমাথা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হারুন মাঝি একই উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের কালিকা নগরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ওই ট্রলারে থাকা বাকি দুই জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হারুন মাঝিসহ তার তিন ছেলে ধনিয়া কাঠিরমাথা মৎস্য ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। শুক্রবার ভোরের দিকে একটি কার্গো জাহাজ এসে তাদের ট্রলারটিকে ধাক্কায় দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় জেলেদের চিৎকারে স্থানীয় জেলেরা ছুটে এসে দু’জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলেও হারুন মাঝি নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। দু’ঘণ্টা পর অপর এক জেলের জালের সঙ্গে হারুন মাঝির মরদেহ নদীর পানিতে ভেসে ওঠে।

ভোলা নৌপুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। নিখোঁজ জেলের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিমান অবতরণ: অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন বিমানের ২০০ যাত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

এবার যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট।

আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট জি ৯৫২৬-এ ১৯১ জন যাত্রী ও সাতজন ক্রু ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে আসছিল। এর মধ্যে সেখানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফ্লাইটের ত্রুটির সংকেত পাঠানো হয় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমে। এরপর পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

তাসলিম আহমেদ বলেন, সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ত্রুটি নিয়ে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে ছিল। সেখানে ১৯১ জন যাত্রীসহ সাতজন ক্রু ছিল।


আরও খবর



মমেক হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে রোগীদের বসবাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০০০-৩২০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে। চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের।

এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সাদিক হোসেন বলেন- এই যদি হাসপাতালে অবস্থা হয় কুকুর এবং মানুষ কি একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাতো একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: জাকিরুল ইসলামকে গতকাল রবিবার রাত ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবিতে তলব

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য-উপাত্ত পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গতকাল চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে সবাইকে পর্যায়ক্রমে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরদিন রোববার চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা।

যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এসেছে। এছাড়া বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তারাই সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন।


আরও খবর



শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের প্রায় ৫০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

এর আগে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে।

তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তিন তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।


আরও খবর