আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সভা শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনধিক ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সকল দলের মতামত আমলে নিয়েই নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১৫০টি এবং সর্বনিম্ন একটি আসনেও ইভিএম ব্যবহার হতে পারে।

ভোট গ্রহণের এই যন্ত্রটি ব্যবহারে অনেক রাজনৈতিক দলই সংলাপসহ বিভিন্ন সময় বিরূপ মন্তব্য করেছে। সেসব উপেক্ষা করেই জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত। সবকিছু বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে ইসির ইভিএম ব্যবহারের সক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সক্ষমতা রয়েছে। যদি ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে হয় তাহলে নতুন করে মেশিন কেনার প্রয়োজন হতে পারে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



কোরবানির হাট: বদ্দা গরু হতো অয়্যি

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

পশুর হাট থেকে গরু কিনে বাসায় যাচ্ছে মোহাম্মদ নুরুল কাদের। পথে অনেকেই তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করছেন, বদ্দা গরু হতো অয়্যি (ভাই গরুর দাম কত)। কোরবানির ঈদ আসলেই সবচেয়ে সুপরিচিত প্রশ্ন, ভাই গরুর দাম কত বা কত নিল?

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে জমে ওঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এরই মধ্যে অনেকেই গরু কিনতে হাটে এসেছেন। কিনছেনও অনেকে। তবে গরু কিনে বাড়ি ফেরার সময় দাম নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে মধুর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।

সরেজমিনে পরৈকোড়া ছত্তার হাটে দেখা যায়, হাট থেকে মাঝারি সাইজের একটি গরু কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন শাহজাদা মিরু নামে এক ক্রেতা। গরু দেখে আরেক ক্রেতা তাকে জিজ্ঞাসা করেন,ওয়া বদ্দা গরু হতো অয়্যি (ভাই কত দিয়ে কিনলেন)।

এ প্রসঙ্গে শাহজাদা মিরু বলেন, কোরবানির ঈদ এলেই এই মধুর সমস্যায় পড়তে হয়। গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জনে জনে ডেকে দাম জিজ্ঞেস করে। বিষয়টি মজার হলেও অনেক সময়ই দাম বলতে বলতে হাঁপিয়ে উঠতে হয়।

শাহজাদা মিরু মতো একই মধুর সমস্যায় পড়েছে মোহাম্মদ নুরুল কাদের ও। তাকেও মানুষ ডেকে ডেকে জিজ্ঞেস করছে, গরুর দাম কত?

উত্তরে নুরুল কাদের হাসি মুখে বলছে গরুর দাম। সে জানায়, গরু নিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে বেশ কয়েকজনকে বলতে হয়েছে দাম। মজাই লাগছে।

এদিকে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে উপজেলায় ১২টি পশুর হাট বসে। এসব হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন প্রতারিত হতে না পারে, সেজন্য মোবাইল কোর্ট টহলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইশতিয়াক ইমন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় শেখ হাসিনা অনন্য অসাধারণ: শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা। আইলা, বুলবুল যত দুর্যোগ আসছে সব দুর্যোগ মোকাবেলা করে তিনি রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তাই আমরা সংক্ষেপে বলি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় শেখ হাসিনা অনন্য অসাধারণ।

সংসদ সদস্য আজ শনিবার সদর উপজেলা অডিটরিয়ামে অসচ্ছলদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার  বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, মনে রাখবেন এদেশের স্বাধীনতা দিয়েছে নৌকা, এদেশের মানুষের অধিকার দিয়েছে নৌকা, ভুমিহীন বিপর্যস্ত মানুষদের জমিসহ ঘর দিয়েছেন নৌকা, দুস্থদের খাদ্য উপহার দিয়েছে নৌকা, করোনার সময় যে সাহায্য দিয়েছে নৌকা। অর্থাৎ নৌকা, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হসিনা অবিচ্ছেদ্য। এই স্রোতের বাইরে কেউ যাবেন না।

এমপি আরও বলেন, অতীতেও তো খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান, এরশাদ সরকারে ছিলেন। তারা তো এভাবে সহয়তা প্রদান করেননি। আর আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগে একটা মানুষকে না খেয়ে মারা যেতে দেয়নি। করোনার সময় একটা মানুষের কাছ থেকে টিকা দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হয় নাই। বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌছে দেওয়া হয়েছে। এ সবই সম্ভব হয়েছে একজনের কারণে। তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা থাকলে নির্ভয়ে আপনারা দিন যাপন করতে পারেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, আরিফ মোর্শেদ মিশুর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম বায়েজীদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আক্তরুজ্জামান ফুলু প্রমূখ।

এদিন পিরোজপুর সদর উপজেলার ১ হাজার দরিদ্র মানুষকে ঈদ উপহার হিসেবে ৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়।


আরও খবর



সাতসকালে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজল রাজধানী

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিকে সাপ্তাহিক ছুটি অন্যদিকে ঈদের ছুটির আমেজ। এমন অবস্থায় শনিবার (২২ জুন) সকালে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি। এতে কাজের প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসী পড়েছেন ভোগান্তিতে। বিশেষ করে রাতে দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় ফেরা মানুষ বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চঘাটে আটকে পড়েছেন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই জানানো হয়েছিল, শনিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে ভারি বর্ষণ হবে। ভোর থেকেই থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এতে বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি।

এরমধ্যে সকাল ৮টার আগেই ঢাকায় নামে ঝুম বৃষ্টি। এতে বাইরে থাকা মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। বিশেষ করে, যারা রাতের বেলা দেশের বিভিন্ন গন্তেব্য থেকে ঢাকায় ফিরেছেন তারা আটকে পড়েছেন বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চঘাটে।

এছাড়া অফিসগামী বা শ্রমজীবীরা অধিকাংশ মানুষ বের হননি। কারণ ঈদের রেশ এখনও কাটেনি। অধিকাংশ সরকারি অফিস আগামীকাল থেকে পুরোদমে শুরু হবে। যদিও কিছু কিছু বেসরকারি অফিস আজ খোলা থাকায় কর্মজীবীদের কেউ কেউ বিড়ম্বনায় পড়েছেন।

তাদের কাউকে কাউকে ছাতা মাথায় নিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে। কেউবা আবার ভিজে ভিজেই গন্তেব্যের পথে যাত্রা করেছেন। ঝুম বৃষ্টির কারণে ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে।

শনিবারের আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি বা ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। তবে শনিবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চুয়েটের দুই ছাত্রের পরিবার পেলো ২০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, গত ২২ এপ্রিল বিকেলে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন সত্যপীরের মাজার সংলগ্ন সড়কে বাসের সাথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্র নিহত ও অপর ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সড়কে অকাল মৃত্যু আমরা কখনো কামনা করি না। এর পরেও দুর্ঘটনা থেমে নেই।

সড়ক দুর্ঘটনায় কারও অকাল মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এর পরেও সরকার, জেলা প্রশাসন ও বাস মালিক সমিতিক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। সড়ক পরিবহণ আইন মেনে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কম থাকে। বাইক চালালে লাইসেন্স ও হেলমেট পরিধান বাধ্যতামূলক। লাইসেন্স ও ডকুমেন্টবিহীন গাড়ি চালানো যাবেনা।

দুর্ঘটনায় চুয়েটের নিহত দুই ছাত্র-যথাক্রমে শান্ত সাহা ও তাওফিক হোসেনের পরিবার ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা এবং আহত ছাত্র মোঃ জাকারিয়া হাসান হিমু ৩ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। আজ ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চুয়েটের দুইজন ছাত্রের পরিবার ও আহত ছাত্রের অনুকূলে মঞ্জুরিকৃত অর্থের চেক হস্তান্তর ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ঐদিন (২২ এপ্রিল) দুর্ঘটনার পর ছাত্রদের পক্ষ থেকে এ সড়ক প্রশস্তকরণ, নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর দাবি ছিল। আমরা সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা নিহত দুই ছাত্রের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ ও আহত শিক্ষার্থীর জন্য ১ লাখ টাকা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক নহায়তা হিসেবে ৩ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ ও আহত ছাত্রকে ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ ও আহত ছাত্রকে ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে চুয়েটের সড়কটি প্রশস্তকরণ করা হবে। নিহত দুই ছাত্র শান্ত সাহা ও তৌফিকুর রহমানের নামে এ সড়কের নামকরণ করার বিষয়ে নিহত ছাত্রদ্বয়ের অভিভাবকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগকে প্রস্তাবনা পাঠাবো। দুর্ঘটনায় যে দুইজন ছাত্র মারা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের নামে কোন ভবন বা চত্ত¡র নামকরণ করা যায় কি না জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপনসহ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

ডিসি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় চুয়েটের দুইজন ছাত্র নিহত হয়েছেন। একজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলেন। তিনি আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। 

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, দুই ছাত্র নিহত ও একজন ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন। এসময় আমাদের ছাত্ররা বেশকিছু দাবি উত্থাপন করে। তিনি তাদের দাবিগুলো পূরণের অঙ্গিকার করেন। তিনি কথা রেখেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা মর্মাহত। যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। আমাদের দুই ছাত্র নিহত ও একজন ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যার কারণে পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূলে চলে আসে। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানেবক্তব্য রাখেন চুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে পুত্রের মৃত্যুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহত ছাত্র শান্ত সাহার পিতা কাজল সাহা ও মৃত তাওফিক হোসেনের পিতা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন আহত ছাত্র মোঃ জাকারিয়া হাসান হিমু। রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থী, নিহত ও আহত ছাত্রদেও পরিবারের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন ।

উল্লেখ্য যে, গত ২২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। রাঙ্গুনিয়া থানার সত্য পীরের মাজার গেইট সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তাওফিক হোসেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোঃ জাকারিয়া হাসান হিমু।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



যে কারণে বাজেটে নজর থাকবে সাধারণ মানুষের

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আয়-ব্যয়ের বিপুল ঘাটতির তোয়াক্কা না করে প্রতি বছরই বাড়ছে হুড়হুড় করে বাড়ছে বাজেটের আকার। যার প্রভাব পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ঘোষণা হবে বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বাজেটের প্রভাব পড়ে।

সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশের চলতি বছরের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়লেও মানুষের বেতন সে অনুপাতে বাড়ছে না। কিন্তু হিসাবনিকাশ বলছে নতুন বাজেটে সাধারণ মানুষের উপর আবারও বাড়তে পারে করের বোঝা। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির ফলে নতুন করে দারিদ্র্যতা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আব্দুল বায়েস বলেছেন, যারা গরীব তাদের জন্য এটা কষ্টদায়ক। মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে হতদরিদ্রদের ওপর।

মূল্যস্ফীতি বাড়লেও বিপরীতে কমছে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। এর প্রভাব নতুন বাজেটে পড়তে পারে বলে ধারণা দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

আব্দুল বায়েস বলেন, অর্থনীতির এই জটিল হিসাবনিকাশ সাধারণ মানুষরা বোঝেন না। তারা বোঝেন প্রতি বার বাজেট মানেই ব্যয়ের নতুন নতুন খাত তৈরি হওয়া।

বাজেটের আগে বিবিসি বাংলার সঙ্গে আলাপকালে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী বলেন, আমাদের কাছে বাজেট মানেই এক দফায় দাম বৃদ্ধি। বাজেট আসলেই আমাদের চিন্তা করতে হয় কোন খরচ বাদ দিয়ে কোন খরচ মেটাবো।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতি বছর বাজেটের পরই জিনিসপত্রের দাম বাড়লে বেশি চাপে পড়েন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। আসছে বাজেটের পর নতুন করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে।

অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বিবিসি বাংলাকে বলেন, জনগণের প্রতিনিধিদের বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত। যে কারণে তাদের চাহিদার তেমন কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না বাজেটে। তবে কর আরোপ, কর্মসংস্থান, করমুক্ত আয়সীমা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের মতো বিষয়গুলোর কারণে বাজেটে নজর থাকে সাধারণ মানুষের।

বিবিসি বাংলাকে ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমলে বাজারে এই ধরনের পণ্যের দাম কমতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, করের শুল্ক সরকার কমালেও অনেক সময় খুচরা পর্যায়ে তার প্রভাব দেখা যায় না নানা কারণে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের সঠিক তদারকি না থাকার কারণে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যে কারণে বাজেটে কম আয়ের মানুষের আয় ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে পড়ে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

নিউজ ট্যাগ: বাজেট

আরও খবর