আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

জেলা প্রশাসনে তথ্য দিতে বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ লাইন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য তথ্য নিচ্ছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই বঙ্গবাজারে এনেক্সকো টাওয়ারের সামনে নিজ নিজ দোকানের তথ্য দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন শতাধিক ব্যবসায়ী। একে একে আরও ব্যবসায়ী আসছেন, লাইনও ক্রমান্বয়ে বড় হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চারদিন আগেও লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন। আজ নিঃস্ব। সরকারি সহায়তার জন্য তথ্য দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। নিজের কাছে ছোট মনে হচ্ছে, লজ্জাও লাগছে। তবুও নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

কথা হয় গুলিস্তান মার্কেটের ফাহাদ ফাহিম গার্মেন্টসের মালিক ফাহাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার তিনটি দোকান ছিল, গোডাউন ছিল। দোকানগুলো মাঝের দিকে হওয়ায় কোনো মালামাল বের করতে পারিনি। তিন দোকানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাল (টি-শার্ট) পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানের চিহ্নটুকুও নাই। আজ আমি নিঃস্ব।

একে (আব্দুল কুদ্দুস) ফ্যাশনের মালিক রিয়াদ হোসেন টিটু বলেন, আমার তিনটি দোকান এবং বড় একটি গোডাউন ছিল। ৫০ লাখ টাকার বেশি জ্যাকেট, ট্রাউজার আর রেইনকোট ছিল। আমি একটি মালও আনতে পারিনি। আগুনের খবর পেয়ে যখন আসি তৎক্ষণে সব পুড়ে ছাই। আজ জেলা প্রশাসনের লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি, জানি না কতটা সহায়তা করবে। আমরা চাই মার্কেট চালু করা হোক। আজ লাইনে দাঁড়াতে নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে। লাখপতি থেকে একেবারে শূন্য।

এদিন ব্যবসায়ীরা নিজ দোকানের নাম, জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স এবং দোকানের নাম বা দোকানের ভিজিটিং কার্ড এনেছেন অনেকেই। কারো কারো ট্রেড লাইসেন্স দোকানেই পুড়ে গেছে। তারা শুধু দোকানের ভিজিটিং কার্ড নিয়ে এসেছেন। সকাল ৯টা ২০ মিনিটোর দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসেন। সুশৃঙ্খল লাইনের ব্যবস্থা করতে সহযোগিতা করছেন পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৫০টি ইউনিট কাজ করে। তাদের সহায়তায় যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীসহ প্রায় সবগুলো বাহিনীর সদস্যরা। তবে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা ধরে জ্বলা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সবকিছু।


আরও খবর



দেশের ৫৩তম বাজেট ঘোষণা বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট উত্থাপন হতে যাচ্ছে কাল। সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার স্লোগানে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটি হবে তার প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় সংসদে তিনি প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেটের অকার হবে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম করা হয়েছে- সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার। সাধারণত বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হয়। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য করছাড় সুবিধা পেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র।

অর্থ মন্ত্রণালয় আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.nbr.gov.bd- এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পড়তে পারবেন এবং ডাউনলোডও করা যাবে। এছাড়া দেশ ও দেশের বাইরে থেকে [email protected]এ ই-মেইলের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।


আরও খবর



কোন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কত টাকা পেলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখানে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর জন্য আলাদা আলাদা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ৩৩, জাতীয় সংসদ ৩৪৭, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ৪ হাজার ৬০০, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১২২, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২৪৮, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ১ হাজার ২৩০, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৫ হাজার ৩৭৭, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ১৬৬, অর্থ বিভাগ ২ লাখ ৪৮ হাজার ২০৫, বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ২৯০, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ৩ হাজার ২১৭, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ৩ হাজার ৪১৮, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ২১ হাজার ৩০৮, পরিকল্পনা বিভাগ ৬ হাজার ৪৯২, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ১৯৫, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ৬৬২, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৯৩২, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৭২৬, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৪২ হাজার ৩১৫, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ ৪৬, আইন ও বিচার বিভাগ ২ হাজার ২২, জননিরাপত্তা বিভাগ ২৬ হাজার ৮৭৭, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ৪৫, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩৮ হাজার ৮১৯, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ৪৪ হাজার ১০৮, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ৫৭৩, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ৩০ হাজার ১২৫, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ২ হাজার ৮৭২, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ৮৬৯, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৫ হাজার ২২২, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৪৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।

অন্যদিকে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৬ হাজার ৯২৯, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১ হাজার ১০৮, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৭৭৯, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৬০২, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২ হাজার ২১২, স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪৫ হাজার ২০৬, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ১ হাজার ৩৪৬, শিল্প মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৫১০, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১ হাজার ২১৭, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৫৭৪, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ১ হাজার ৮৭, কৃষি মন্ত্রণালয় ২৭ হাজার ২১৪, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৪ হাজার ২৮৮, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২ হাজার ১৩০, ভূমি মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।

এ ছাড়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ১৯৪, খাদ্য মন্ত্রণালয় ৬ হাজার ৭৫৭, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ৩, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৩৮ হাজার ১৪৩, রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৮ হাজার ৭২, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ২৭০, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ৫ হাজার ৬৯৫, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ২ হাজার ৪২০, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৪০০, বিদ্যুৎ বিভাগ ২৯ হাজার ২৩০, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৭ হাজার ৪৭৪, দুর্নীতি দমন কমিশন ১৯১, সেতু বিভাগ ৭ হাজার ৩১৮, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ১১ হাজার ৭৮৩, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ৪ হাজার ১৩৭ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগকে ১১ হাজার ২৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার।

প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে, অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা; যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। করব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবারই প্রথম বাজেট পেশ করেছেন। এটি দেশের ৫৩তম বাজেট।


আরও খবর



তরুণ প্রজন্মই স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, তরুণ প্রজন্মই স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সত্যি খুব আনন্দিত আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এটা তারই একটি দৃষ্টান্ত। এইমাত্র যেটা উদ্বোধন করা হলো সেটা হলো স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি। এটা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে যার যার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। নিজেরা সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই পদ্ধতিটাই আমরা অনুসরণ করলাম। ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদ্বোধন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার কোনো নীতিমালা থাকুক, এটা চায়নি বিএনপি। এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুলি-বোমার শব্দ ও সেশনজট ছিল নিয়মিত বিষয়।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।


আরও খবর



সিলেটে ভূমি ধসে আটকা ৩ জনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট মহানগরের ৩৫নং ওয়ার্ডের মেজরটিলার চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় ভূমিধসে একই পরিবারের ৩ জন আটকা পড়েছেন। প্রায় ৬ ঘণ্টা হতে চললেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে তাদের উদ্ধার করা এখনো সম্ভব হয়নি। শুরু থেকে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনতা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। এবার এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি টিম। তাদের আরও দুটি টিম পথে আছে বলেও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে হাতে চালাতে হচ্ছে কার্যক্রম। যে কারণে আটকা পড়াদের উদ্ধার করতে দেরি হচ্ছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করবো- এই ৩ জনকে উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য। কারণ- দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার গলিটি অত্যন্ত সরু। যে কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিসিকের গাড়ি বা মাটি কাটার যন্ত্র ঢুকানো যাচ্ছে না। উদ্ধার তৎপরতা ম্যানুয়ালি চালানো হচ্ছে।

সোমবার ভোর ৬টার দিকে ভূমি ধসের ঘটনা ঘটে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনীও উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করে।

সকাল ১০টায় শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান, সকাল ৭টার দিকে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ভারি বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি ধসে একটি আধাপাকা ঘরের উপরে পড়েছে। এর নিচে ৩ জন লোক আটকা পড়েছেন। ঘরটি টিলার নিচেই ছিল।

সিসিকের ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভোর ৬টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এই বাসায় দুই ভাই তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভূমি ধসে ঘরের নিচে ৬ জন আটকা পড়েছিলেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আমরা এসে এক ভাই, তার স্ত্রী ও তাদের সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আরেক ভাই, তার স্ত্রী ও ১ বছরের সন্তান এখনো আটকা আছেন। বৃষ্টির কারণে উদ্ধার আভিযান কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। ফলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই হাত দিয়েই উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। সঙ্গে পুলিশ, সিসিক কর্মী ও স্থানীয়রা সহযোগিতা করছেন।

বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলতে দেখা গেছে। কিন্তু কাউকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা যায়নি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট ভূমি ধস

আরও খবর



পদ্মা সেতুর নদী শাসনে ব্যয় বাড়ল আরও ২৪৯ কোটি

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পদ্মা বহুমুখী সেতুর নদী শাসন ব্যয় আরও একদফা বাড়ানো হয়েছে। ফলে নতুন করে এ খাতে ব্যয় ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৮৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নতুন করে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ আগামীকাল (৩০ জুন) শেষ হচ্ছে। তার মানে আগামীকাল প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। নদী শাসনের কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন। তাদের কাজ সমাপ্তির তারিখ ছিল ৩০ জুন ২০২৩। ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড আছে এক বছর। তার মানে তাদের কাজ শেষ হবে আগামীকাল।

তিনি বলেন, এ সময়ে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত কিছু কাজ করতে হয়েছে। দুটি কারণে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়েছে। একটা হলো প্রকল্পের জাজিরা প্রান্তে নদী শাসন কাজের সীমানায় অবস্থিত কাঁঠালাবাড়ি ফেরি ঘাট, লঞ্চ ঘাট এবং আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ থেকে জায়গা পেতে বিলম্ব হয়েছে। এতে তিন বছরের বেশি সময় বিলম্ব হয়েছে।

দ্বিতীয় কারণ হলো, কাজ করতে যাওয়ার সময় ডিজাইন চূড়ান্ত হওয়ার পর মাওয়া প্রান্তে মূল সেতুর ওজনে নদী শাসন কাজের সীমানা বরাবর ২০১২ সালে নদীর প্রচণ্ড স্রোতে নদীভাঙন হয়ে ঠিকাদারের কাজের কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে ডিজাইন পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিজাইন তৈরিতে বিলম্ব হয়। এ কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব দাখিল করেছে জানান সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান।

পদ্মা সেতুর প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা হয় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৯৯৮-১৯৯৯ সময়ে। ২০০৩-০৫ সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করে জাপানের জাইকা। ২০০৬ সালে ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরিকল্পনা করা হয় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে। ২০০৯-১১ সময়ে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করা হয়। নিউজিল্যান্ডভিত্তিক মনসেল এইকম সেতুর পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরি করে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর জন্য অর্থায়ন করে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকার।

২০১২ সালের জুনে বিশ্বব্যাংক তাদের ঋণ বাতিল করে। একই বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৪ সালের ১৭ জুন মূল সেতু নির্মাণ কাজের জন্য চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর সেতুর মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর কাজ উদ্বোধন করেন।

এরপর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ স্প্যান বসানো হয়। আর ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন ২৬ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হয়।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। মূল সেতুর কাজ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। এর অ্যাপ্রোচ সড়ক ১২ দশমিক ১১৭ কিলোমিটার। ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৪৮ কিলোমিটার (সড়ক) এবং ৫৩২ মিটার (রেল)।

পদ্মা সেতু সংলগ্ন নদী শাসন কাজের উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত দরপত্র গ্রহণ করা হয় ২০১৪ সালের ১৯ জুন। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের নদী শাসন কাজের জন্য চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।

প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর সিনোহাইড্রো কর্পোরেশনের সঙ্গে ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর ৪৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্নের লক্ষ্যে চুক্তিপত্র সই হয়। যার চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৬ টাকা। পরে কয়েক দফায় বাড়ানো হয় সময়। এই কাজ তদারকির জন্য কন্সট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট হিসেবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস নিয়োজিত রয়েছে।

পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহান চলাচল শুরু হওয়ার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে পদ্মা বহুমুখী সেতুর নদী শাসনের ব্যয় ৮৭৭ কোটি ৫৩ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৩ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এখন দ্বিতীয় দফায় পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ব্যয় ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ টাকা বাড়ানো হলো। এতে মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়ালো ৯ হাজার ৮৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৯ টাকা।


আরও খবর