আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

জেলের ভয় নিয়েও ‘পাঠান’ দেখছে পাকিস্তানিরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে ঝড় তুলেছে পাঠান। ভারত ও ভারতের বাইরে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ছবিটি। থামাথামির কোনো নামগন্ধ নেই। অনেক আগে থেকেই পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে বলিউডের সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধ। এর জেরে পাঠানও নিষিদ্ধ দেশটিতে। তারপরও অবৈধ পন্থায় ছবিটি দেখছে পাকিস্তানের দর্শক।

পাকিস্তানে শাহরুখ খানের ভক্ত সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। সারাবিশ্বের মতো পাঠান জাদুতে কাবু তারাও। তাই তো বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবেই দেখানো হচ্ছে ছবিটি। আর জেলের ভয় পরোয়া না করেই তা দেখছেন পাকিস্তানের মানুষজন। শোনা যাচ্ছে, করাচির ডিফেন্স হাউজিং অথরিটিতে এভাবেই পাঠান দেখানো হয়েছে। ফায়ারওয়ার্ক ইভেন্টস নামের এক সংস্থা এই অবৈধ স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করছিল।

যদিও পাঠান-এর মুক্তির সাত দিন পর সিন্ধ বোর্ড অব ফিল্ম সেন্সর কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়েছিল, অবৈধভাবে ছবির স্ক্রিনিং করা যাবে না। সকল ব্যক্তি বা সংস্থাকেও বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের সিনেমা দেখাতে বা দেখতে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু কীসের কী? পাঠান দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে পাকিস্তানি দর্শকেরা। অনেকে আবার অবৈধভাবে ডাউনলোডের আশ্রয় নিচ্ছেন। তারপরও পাঠান দেখা চাই-ই চাই!

উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত পাঠান। বিশ্লেষকদের ধারণা, অচিরেই ১০০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলবে ছবিটি। এতে শাহরুখ ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন, জন আব্রাহাম, ডিম্পল কাপাডিয়া, আশুতোষ রানা প্রমুখ। অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সালমান খান।


আরও খবর



কক্সবাজারের যে সৈকতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে উদ্বোধন হয়েছে নতুন একটি সমুদ্রসৈকত। যেটির নাম বোরি বিচ। এই বিচ থাকবে প্লাস্টিকমুক্ত ও শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। শুধু জীববৈচিত্র্যের নিরাপদ আবাসস্থল হবে এই সৈকত। তাই বোরি বিচে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেতে পারবেন না স্থানীয় বাসিন্দারাও।

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুখালসংলগ্ন উখিয়ার সোনারপাড়ায় এই সমুদ্রসৈকতের উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।

মূলত এই সমুদ্রসৈকত বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। এজন্য মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়ার ২ দশমিক ৯১ কিলোমিটার সৈকত বোরিকে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এখন থেকে এই সৈকতের দেখভাল করবে বোরি। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীরা সৈকতেই চালাবেন গবেষণা।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ বলেন, এই সমুদ্রসৈকত কেবল গবেষণার কাজে আমরা মডেল হিসেবে ব্যবহার করবো। আমাদের পর্যটনের সঙ্গে কোনও কনফ্লিক্ট (দ্বন্দ্ব) নেই। এই সৈকত শুধু জীববৈচিত্র্যের নিরাপদ আবাসস্থল হবে। এখানে কেউ এসে তাদের বিরক্ত করবে না। সৈকতটি থাকবে শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং প্লাস্টিকমুক্ত। এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে বোরির।সৈকতের পাশে যে মানুষরা বসবাস করেন, তারাও এতে উপকৃত হবেন। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও এখানে সম্পৃক্ত করা হবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন বলেন, বোরি বিচ সমুদ্রবিষয়ক গবেষণার একটি মডেল হবে। এখানে কীভাবে গবেষণার কাজ চলবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সে সম্পর্কে ধারণা দিতে মহড়ার আয়োজন করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিন অ্যাফেয়ারস ইউনিটের সচিব খুরশেদ আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে, বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান ড. আফতাব আলী, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



আনোয়ারায় অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সড়কের পাশে নালা থেকে অজ্ঞাত(২৫) যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

বুধবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বারশত ইউনিয়নের পারকি গ্রামের দুধকুমড়া এলাকায় যাত্রী ছাউনির পাশে নালা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনা আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



নৌকাডুবিতে ৭২ জনের প্রাণহানির পর সেই ঘাটে নির্মাণ হচ্ছে সেতু

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রেদওয়ানুল হক মিলন, পঞ্চগড় থেকে ফিরে:

পঞ্চগড়ে বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ৭২ জনের প্রাণহানির পর নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন নান্দনিক ডিজাইনের ওয়াই আকৃতির সেতু। এ সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বোদা উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দের আমেজ। নির্মাণ কাজ শেষ হলেই এ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে দুই ইউনিয়নের মানুষ।

জানা গেছে, বোদা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে দুইটি ইউনিয়ন করতোয়ার অপরপ্রান্তে। একটি বড়শশী, অপরটি কালিয়াগঞ্জ। এ দুটি ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক মানুষের উপজেলা শহরে যেতে নদী পারাপার হতে নৌকাই ভরসা। যাতায়াত নির্বিঘ্নে করতে দীর্ঘদিন ধরেই এ উপজেলার মানুষরা দাবি করে আসছেন করতোয়া নদীর এই ঘাটে সেতু নির্মাণের।

গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব দূর্গাপূজার আগে মহালয়ায় অংশ নিতে বড়শশী ইউনিয়নের বোদেশ্বরী শক্তিপীঠ মন্দিরে যেতে মাড়েয়া ঘাটে একটি সেলো ইঞ্জিন চালিত নৌকায় উঠেছিলেন ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী। এতে করে নৌকাটি মাঝপথে গিয়ে ডুবে গেলে প্রাণহানি ঘটে নারী-শিশুসহ ৭২ জনের। নৌকাডুবির এ ঘটনার পর মাড়েয়া ঘাটে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলপথমন্ত্রী এডভোকেট মো.নুরুল ইসলাম সুজন (এমপি) সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।

সেই প্রতিশ্রুতির দুই বছরের মাথায় মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়াঘাটে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছর ১৮ অক্টোবর ৮৯১ মিটার পিসি গার্ডার ওয়াই আকৃতির সেতুর ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন সাবেক রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এর মধ্য দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর থেকে নদীর ওপর দৃশ্যমান হয় সেতু নির্মাণ। সেতু নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে সেতুর ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। সেতুটির শুরুর অংশ মাড়েয়ার দিকে থাকবে এবং অপর দুই অংশের একটি বড়শশী ও অপরটি কালিয়াগঞ্জের দিকে থাকবে।

স্থানীয়রা বলছেন, সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ভাগ্য খুলে যাবে। দুটি ইউনিয়নের মানুষদের শহরে যেতে নদী পার হতে ভরসা করতে হয় নৌকার। এতে করে ঘাটে নৌকা পার হতে যেমন বিরম্বনায় পড়তে হয় তেমনি দীর্ঘকাল ধরে ভোগান্তি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া দুটি ইউনিয়নের মানুষ নদীর তিনপারের মানুষ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে একই সঙ্গে চলাচল করতে পারবেন। এর আগে তারা যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় কৃষি ও চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে শিক্ষাসহ সব সেবা থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। এ সেতু নির্মাণের ফলে তারা কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় সহজীকরণে তারা অনেক সুফল ভোগ করবেন। এ সেতু বাস্তবায়ন হচ্ছে আউলিয়াঘাটে নৌকা ডুবিতে প্রায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু দিয়ে।

এই আউলিয়া ঘাটেই নৌকা ডুবিতে দুই স্বজন হারানো চন্দ্র্রমোহন বর্মন বলেন, সেদিন মহালয়ায় যাওয়ার সময় নৌকা ডুবিতে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আমার ভাতিজা ও তার স্ত্রী তিন সন্তান রেখে নৌকা ডুবিতে মারা গেছে। তা ভুলতে পারছি না। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই মাড়েয়া ঘাটে করতোয়া নদীতে ব্রীজ নির্মাণের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে নৌকা ডুবির ঘটনার পর সেতুটি নির্মান হচ্ছে।

সেতু নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এনডিই লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো.ওয়াসিম জানান, সেতু নির্মাণের কাজ হাই লেভেলে চলছে। ইতিমধ্যে আমাদের ৩০ শতাংশের বেশি কাজ এগিয়েছে।

পঞ্চগড় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান সাংবাদিকদের বলেন, সেতুটি দ্রুত নির্মাণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওয়াই আকৃতির সেতু নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর মাঝ পথ থেকে দুই অংশে বিভক্ত হয়েছে। এক অংশ ৫৪৫ মিটার, আরেক অংশ হবে ৩৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য। আশা করছি আগামী দুবছরের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত হবে।

এদিকে আউলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় নৌ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলায় ঘাট ইজারাদার আবদুল জব্বার (৫৮) ও নৌকার মাঝি বাচ্চু মিয়াকে (৫২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে আছেন। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নৌ অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) আদালত-২ও ভারপ্রাপ্ত নৌ আদালতে আউলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।


আরও খবর



স্বরূপকাঠিতে বাস চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। রবিবার (৯ জুন) সকালে স্বরূপকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের কুনিয়ারি প্রাইমারি স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মো. সাইফুল (৩৭) ও শরিফুল ইসলাম সাকিল (২৬)।

নিহত সাইফুল উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগন্নাথকাঠি গ্রামের মো. ফজলুল করিমের ছেলে এবং সাকিল একই এলকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. শাহিদুল ইসলামের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাকিল ও সাইফুল মোটরসাইকেলে করে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তাঁরা বাসটি দেখে ধীরগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে কুনিয়ারি প্রাইমারি স্কুলের সামনে আসলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা শুভেচ্ছা নামের একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁদের চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা হাত ইশারা দিয়ে ড্রাইভারকে থামতে বললেও তা না শুনে তাদের চাপা দিয়ে মোটরসাইকেলসহ অনেক দূর নিয়ে যায়।

শাকিল ও সাইফুলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. শাহারুখ মল্লিক।

নেছারাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. পনির খান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বাসটির চালক ও তাঁর সহকারীকে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেনে বাড়ির পথে ঈদ যাত্রীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে তৃতীয় দিনের মত শুরু হয়েছে ট্রেনে ঈদযাত্রা। এই যাত্রায় আজ শুক্রবার সকালে সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি নেই বললেই চলে। নির্দিষ্ট সময় মেনেই দূরপাল্লার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

এদিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস, তূর্না এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন শিডিউল মতো ছেড়ে গেছে।

পূর্বের ঈদযাত্রার মতো এবারও প্ল্যাটফর্মে যেন টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্লাটফর্ম এলাকায় প্রবেশের মুখে ‍তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি পার হয়ে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

এদিকে সড়ক আর নৌপথের মতো ট্রেনেও উপচেপড়া ভিড়। গত ৪ জুন যারা অগ্রিম টিকিট ক্রয় করেছিলেন তারা আজ ভ্রমণ করতে পারছেন। এছাড়া ট্রেনের সাধারণ শ্রেণির মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট স্টেশন থেকে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত বুধবার থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। যারা গত ২ জুন টিকিট ক্রয় করেছিলেন তারা সেদিন ভ্রমণ করতে পেরেছিলেন। এবার টিকিটবিহীন যাত্রী ঠেকাতে কমলাপুর রেলস্টেশনে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী মো.জিল্লুল হাকিম বলেন, আমরা সফলতার সঙ্গে গতকাল বুধবার যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছি। যা সম্ভব হয়েছে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায়। আমরা চেষ্টা করছি যে সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেই যাত্রীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সব প্রস্তুতি আছে। ঢাকা থেকে প্রতিদিন ৬৪টি ট্রেন ছেড়ে যায়। আজ দু-একটা ট্রেন বাদে ৩০টা ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেছে। নিরাপদ ঈদযাত্রার লক্ষ্যে রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে।


আরও খবর