আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ঝুঁকিতে অনেক হেভিওয়েট!

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভেতরে-বাইরে বহুমুখী চাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

হাইকমান্ডের মতে, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী। ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারবে না। কিন্তু গত পনেরো বছরে ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় বিভিন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য, নিজের অবস্থান শক্ত করতে অন্য দলের লোক ভিড়ানো এবং তাদের দলীয় পদ-পদবি পাইয়ে দেয়ার মতো ছোটখাটো অনেক ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি ও স্থানীয় নেতাদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং তৈরি হয়েছে তাতে শতাধিক নির্বাচনী আসনে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

এমন পেক্ষাপটে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে গেলে আওয়ামী লীগকে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডকে এটিই ভাবাচ্ছে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। সম্ভাব্য সব চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই যোগ্য প্রার্থী খুঁজছে ক্ষমতাসীন দলটি। এরইমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জরিপ কাজও শেষ হয়েছে।

আরও পড়ুন<< বিদেশিরা বিএনপিকে সায় দেয়নি: সালমান এফ রহমান

বর্তমান সংসদ সদস্যদের পারফরম্যান্স ও তাদের কৃতকর্মের আমলনামা যুক্ত করে জরিপের রিপোর্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিয়েছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। আরো একটি জরিপের কাজ চলমান রয়েছে।

সম্পন্ন হওয়া জরিপের অনেকের বিষয়ে খুব ভালো ফল আসেনি বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। বিশেষ করে দলের মধ্যে গ্রুপিং ও কোন্দল সৃষ্টিকারী, নিজ দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি, নানা ধরনের অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বেশ কিছু এমপি ও মন্ত্রী ঝুঁকির তালিকাতে পড়ে গেছেন। জরিপে মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যসহ প্রায় এক-তৃৃতীয়াংশ এমপির রিপোর্ট সন্তোষজনক নয় বলে জানা গেছে। এদের অনেকের কপালে দলীয় মনোনয়ন না-ও জুটতে পারে। এলাকার মানুষের মধ্যে ভালো অবস্থান না থাকা ও দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করার কারণে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন এক প্রভাবশালী প্রার্থী। এই ধারাবাহিকতা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করা যাবে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন<< বিএনপি সংঘাত তৈরি করার অজুহাত খুঁজছে: তথ্যমন্ত্রী

গত ৫ জুন গণভবনে কয়েকটি জেলা ও উপজেলার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় মনোনয়নের প্রসঙ্গে বলেছেন, জরিপে যাদের রিপোর্ট ভালো আসবে কেবল তাদেরই মনোনয়ন দেয়া হবে।

এছাড়া, বিগত যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে- এমন কথা দলীয় ফোরাম ও সংসদীয় দলের সভায় এমপি ও শীর্ষনেতাদের জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে। সে জন্য অনেক আগেই দলীয় এমপিদের এলাকামুখী হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় প্রধান। সেই সঙ্গে সরকারের উন্নয়ন কাজ ও সাফল্য প্রচারে জোর দেয়া হয়েছে। তবে অধিকাংশ এমপি এই নির্দেশনা মানছেন না। উল্টো নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করছেন। এ অবস্থায় আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রাথী মনোনয়ন দিতে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রতি ছয় মাস পর পর বিভিন্ন সংস্থা ও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব টিম জরিপ করছে। এসব জরিপের ভিত্তিতেই প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে আগামী সংসদ নির্বাচনে। বর্তমান সংসদে থাকা অনেক হেভিওয়েট মন্ত্রী-এমপি এ তালিকায় আছেন বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি শেষ হওয়া ৫ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের মধ্যে দিয়ে দলের ভেতর এক ধরনের মেরুকরণকে ইঙ্গিত করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন<< রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার নিয়ে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

এবারের মনোনয়নের লক্ষণীয় বিষয় হল যে, যারা দলের পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি। নতুন মুখের প্রতি আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

৫ সিটিতে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগ মূলত দলীয় নেতাকর্মীদের চার ধরনের বার্তা দিলো, বলে মনে করছেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। তারা বলছেন, প্রথম বার্তা হলো-দল থেকে বহিষ্কারের পর আবার দলে নেয়া হলেও তাদের মনোনয়ন অনিশ্চিত। দ্বিতীয় বার্তা হলো- নতুন প্রার্থীদের বিষয়েও আওয়ামী লীগের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। তাই মনোনয়ন আমিই পাবো এই ধারণা থেকে সবাইকে সরে আসতে হবে। তৃতীয় বার্তা হলো- যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকারের পাশাপাশি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিজের জনপ্রিয়তা অটুট রাখতে পারছেন তাদের আবারো মূল্যায়ন করা হবে। সর্বশেষ বার্তা হলো- যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে ও বিতর্কিত কাজ করে দলকে প্রশ্নের মুখে ফেলবেন তারা মনোনয়ন পাবেন না। আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বিশ্লেষণ করলে খুব সহজেই এই বার্তাগুলো পাওয়া যায়। এই বার্তা শুধু সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই নয় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্যও প্রযোজ্য।

আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ সিটির নির্বাচন নিয়ে তুমুল ব্যস্ততার মধ্যেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ চলছে কেন্দ্রে। দলীয় প্রধানের নির্দেশে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পাশাপাশি দলের বর্তমান এমপিদের আমলনামা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যেসব জনপ্রতিনিধি এলাকাবিচ্ছিন্ন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে, ত্যাগী নেতাদের দূরে রেখে যারা ব্যক্তিবলয় তৈরি করেছে- তাদের তালিকা তৈরি কাজও শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য এমপিরা আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ পড়তে পারেন। এ ছাড়া যারা নানা ইস্যুতে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন, তারাও মনোনয়নবঞ্চিত হতে পারেন। নির্বাচনের আট মাস বাকি থাকতে এসব বিষয় ঠিক করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা।

সূত্রমতে, কোনো কোনো সংসদ সদস্য এলাকায় গেলেও দলীয় নেতাকর্মী বাদ দিয়ে নিজস্ব বলয় নিয়ে চলাফেরা করেন। আওয়ামী লীগকে পাশ কাটিয়ে নিজের পছন্দের লোকদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। এসব এমপির বিরুদ্ধে মুখ খোলা শুরু করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কোনো কোনো এমপির বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। কেউ কেউ লিখিত অভিযোগ করছেন দলীয় প্রধানের কাছে। অনেকে গণভবনে এসে সরাসরি নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অভিযোগ তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া জলমহাল, সরকারি খাস পুকুর, বাড়িঘর দখলসহ নানা অভিযোগ উঠছে কোনো কোনো এমপির বিরুদ্ধে। আবার নির্বাচনী এলাকায় স্কুল, কলেজসহ হাটবাজারের নিয়ন্ত্রণ এমপিদের আত্মীয়স্বজনের কব্জায় চলে গেছে- এমন অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি নিয়োগবাণিজ্যসহ নানা অভিযোগের স্তূপ জমা পড়ছে কেন্দ্রে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই এমন অভিযোগ বাড়ছে।

সর্বশেষ গত ২২ জুন অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করার আগে আরেকটি অর্থাৎ শেষ জরিপ চালানো হচ্ছে। এই জরিপের ফলাফল মনোনয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বৈঠকে শেখ হাসিনা জানান, ইতোমধ্যে ১৭টির মতো জরিপ চালানো হয়েছে।

ওই বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়ানো নেতাদের পাশে আমিও থাকব। জনবিচ্ছিন্ন কাউকে টেনে তোলার কোনো সুযোগ আর নেই। বর্তমান সংসদ সদস্যদের (এমপি) মধ্যে যাদের আমলনামা ভালো, তারা উত্তীর্ণ হবেন। যাদের খারাপ, তারা বাদ পড়বেন।

দলের সভাপতি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য জরিপ করেছেন। তার কাছে জরিপ রিপোর্ট রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী যারা ভালো কাজ করেছেন, যারা জনগণের কাছে যান, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা বলেন, ভোট চান, জনগণের সুযোগ-সুবিধা দেখেন এবং জনগণ যাদের চায় তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে।

গণভবন সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন, তা নিশ্চিত করতে ৩০০ আসনেই বাছাইয়ের কাজ চলছে। সরকারের বিশেষ কয়েকটি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চালানো হয়েছে জরিপ কার্যক্রম।

আগামী নির্বাচনে প্রতিপক্ষের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাদের দিয়ে হতে পারে, পৃথকভাবে তাদের তালিকা করা হচ্ছে। যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের তালিকাও তৈরি করছে দলটি। বিএনপি নির্বাচনে এলে একরকম আবার না এলে আরেক ধরনের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।

এ কারণে শাসক দলটি এখনই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা করবে না। তবে পৃথকভাবে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয়দের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান আওয়ামী লীগের একজন নীতিনির্ধারক। তার মতে, প্রার্থী তালিকার ব্যাপারে চূড়ান্ত মতামত দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, দলের বেশকিছু এমপির বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। অনেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। অনেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছেন। দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হবে। আগামী নির্বাচনে যাতে ভালো মানুষ দলীয় মনোনয়ন পান, সেই চেষ্টা থাকবে। যোগ্যতার বিচারে যারা টিকবেন না, তারা বাদ পড়বেন। যারা ভালো প্রার্থী, তারা মনোনয়ন পাবেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দলীয় কোনো এমপি যদি কোনো ধরনের অনিয়ম বা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে দলীয় প্রধান হিসাবে অবশ্যই তিনি (শেখ হাসিনা) ব্যবস্থা নেবেন।

জরিপ পরিচালনা কাজে যুক্ত এমন একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে প্রতিপক্ষের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাদের দিয়ে হতে পারে, পৃথকভাবে তাদের তালিকা করা হচ্ছে। যারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের তালিকাও তৈরি করছে দলটি। বিএনপি নির্বাচনে এলে একরকম আবার না এলে আরেক ধরনের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ। এ কারণে শাসক দলটি এখনই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা করবে না। তবে পৃথকভাবে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয়দের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান আওয়ামী লীগের একজন নীতিনির্ধারক। তার মতে, প্রার্থী তালিকার ব্যাপারে চূড়ান্ত মতামত দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন<< দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষ কিছুটা দুঃখ-কষ্টে আছে : কাদের

এই টিমের একটি সূত্র জানিয়েছে, দলীয় প্রধানের নির্দেশে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের আমলনামা নিয়ে তারা কাজ করছেন। তারা যে তথ্য পাবেন, তা-ই দলের হাইকমান্ডে পাঠানো হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবন সূত্র জানিয়েছে, বিতর্কিত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং জনবিচ্ছিন্ন এমপিদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড দলীয় কার্যালয়ে জমা হওয়া অভিযোগ এবং ইতোপূর্বে পরিচালিত জরিপ টিমগুলোর প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করছে। অক্টোবর নাগাদ এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রস্তুত হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, আমাদের দলীয় সভাপতি জরিপের যে কথা বলেছেন, তা চলমান রয়েছে। প্রতিবারই দলীয় প্রার্থীদের ওপর এই জরিপ করা হয়। এই জরিপের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো দেখা হয় তা হচ্ছে- দলীয় এমপিদের এলাকায় জনপ্রিয়তার অবস্থা কেমন। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেমন। দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা। কোনো ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত কি না, বা এলাকায় কোনো ধরনের বদনাম আছে কি না। কোভিডের সময় কীভাবে জনগণের পাশে ছিল, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছিল কি না। এর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় থাকলে জরিপের রিপোর্টে তা উল্লেখ করা থাকে। অতীতের স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ বিভিন্ন সময় দলীয় এমপিদের কার কী ভূমিকা ছিল, সেটা রিপোর্টের মধ্যে উল্লেখ করা থাকে।


আরও খবর



এবার মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

এবার মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। একটি গবেষণায় পরীক্ষা করা সব শুক্রাণুর নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় প্রজননের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা করা জরুরি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দশক ধরেই পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ (স্পার্ম কাউন্ট) কমেছে। ৪০ শতাংশ স্পার্ম কাউন্ট কমার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। রাসায়নিক দূষণ এটির কারণ হতে পারে বলে অনেক গবেষণায় ইংগিত দেওয়া হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চীনের জিনানে ৪০ জন সুস্থ পুরুষের শুক্রাণুর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। ইতালিতে আরেক গবেষণায় ১০ জন পুরুষের থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চীনের অপর এক গবেষণায় ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় অর্ধেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে।

সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে ইঁদুরের স্পার্ম কাউন্ট কমে গিয়েছে। এছাড়া এটির কারণে অস্বাভাবিক আচরণ ও হরমোনে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।

বর্তমানে মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। এতে সবত্রই মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের প্রমাণ মিলছে। গত মে মাসে চালানো এক পরীক্ষায় ২৩টি পুরুষ অন্ডকোষের নমুনায় এ পরীক্ষা চালানো হয়। এতে সবকটিতেই এ ক্ষতিকর কণার উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

এর আগে মানুষের রক্ত, প্লাসেন্টা ও বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব মেলে। এ সব গবেষণার ফলাফলে মানবদেহে সর্বত্র ক্ষতিকর এ কণার উপস্থিতির ইংগিত মিলে। তবে স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব এখন জানা যায়নি। গবেষণাগারে দেখা গেছে, মানবদেহের কোষের ক্ষতি করে মাইক্রোপ্লাস্টিক।

প্রতিবছর লাখ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যার একটি অংশ সৃষ্টিজগতের খাবার থেকে শুরু করে মানুষের শরীরে গিয়ে মিশছে। এভারেস্ট পর্বতের চূড়া থেকে সমুদ্রের তলদেশেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের দূষিত কণা পৌঁছে গেছে।

চীনের কিংদাও ইউনিভার্সিটির গবেষক নিং লি ও তার সহকর্মীরা জানান, মানব স্বাস্থ্যের ওপর মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে বলে গবেষণা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছে প্রজননের ওপর এটির সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তারা।


আরও খবর



এসএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল নিয়ে যারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি, তাদের বোর্ড চ্যালেঞ্জ বা পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ১২৭ জন। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৪৪ জন। মোট ফল পরিবর্তন হয়েছে ২ হাজার ৭২৩ জনের। মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে সব বোর্ডের পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার এই বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন ৭০ হাজার ১২৯ জন। তারা মোট ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৮টি পত্রের ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৭২৩ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।

সদ্য প্রকাশিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। প্রকাশিত ফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষাবোর্ডগুলো। গত ১৩ মে থেকে এ কার্যক্রম চলে ১৯ মে পর্যন্ত।

ঢাকা শিক্ষাবোর্ড থেকে জানা গেছে, পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তাদের কলেজে ভর্তির সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। তার পরিবর্তিত ফল অনুযায়ী তার কলেজ ভর্তির সুযোগ পাবে।

শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনঃনিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের ৪টি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনঃনিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এই ৪টি জায়গা কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।


আরও খবর



মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এমপক্স বা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় একজন মারা গেছেন। মাঙ্কিপক্স সংক্রমণে আফ্রিকার এই দেশটিতে এটিই প্রথম মৃত্যু। এছাড়া দেশটিতে চলতি বছর আরও কয়েকজনের শরীরে এই রোগ শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এমপক্সে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। মন্ত্রী জো ফাহলা বলেছেন, তিন দিন আগে গাউতেংপ্রদেশের একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে গত সোমবার ৩৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মারা যান।

জো ফাহলা বলছেন, এই বছর দেশে পাঁচজন এমপক্সে সংক্রমিত হয়েছেন, যার মধ্যে গাউতেংয়ের আরও এক ব্যক্তি রয়েছেন। এছাড়া অন্য তিনজন কোয়াজুলু-নাটালের বাসিন্দা।

তিনি বলেন, সংক্রমিত সকলেই ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী পুরুষ। তারা প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হওয়া অন্য কোনও দেশে যাননি। ফলে এই রোগটি স্থানীয়ভাবে মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এমপক্স রোগটি আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল এবং ২০২২ সালের প্রথমার্ধে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরপর একই বছরের জুলাই মাসে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। কিন্তু তারপর থেকে এই রোগে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এর প্রায় এক বছরের মাথায় এই সংক্রমণকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

উল্লেখ্য, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসজনিত অসুখ। স্মলপক্স ভাইরাস শ্রেণির একটি ভাইরাস এ রোগের জন্য দায়ী। ভাইরাসটির দু’টি রূপান্তরিত ধরন রয়েছে— মধ্য আফ্রিকান ও পশ্চিম আফ্রিকান।

রোগটির বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘেমে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, মাংসপেশির টান ও অবসাদ। প্রথম পর্যায়ে রোগীর জ্বর আসে, পাশাপাশি শরীরে দেখা দেয় ফোস্কা ও অধিকাংশ ঘটনায় শুরুতে মুখে ফুসকুড়ি ওঠে। পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে; বিশেষ করে হাত ও পায়ের তালুতে।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার মতে, এই ভাইরাল সংক্রমণের সাথে গুটিবসন্তের সম্পর্ক আছে। তবে সংক্রমণ সাধারণত মৃদু হয়। বিশেষ করে পশ্চিম আফ্রিকান ভাইরাসের প্রজাতিটি মৃদু ধরনের; যা যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছিল। এই প্রজাতিতে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার প্রায় ১ শতাংশ। বেশিরভাগ মানুষ দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।


আরও খবর



নারীদের জন্য জিপিএইচ ইস্পাতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড কুমিরাস্থ প্ল্যান্টে কর্মরত নারী ও পুরুষ কর্মকর্তাদের পরিবারের নারী সদস্যদের জন্য সম্প্রতি দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জিপিএইচ ইস্পাতের সিওও টি মোহন বাবু এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জিপিএইচ নারীদের জন্য এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে।

এতে নারীদের সেবা দেন অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাবিনা ইয়াসমিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের ডা. অনামিকা দত্ত।  

জিপিএইচ ইস্পাতের চিফ পিপল অফিসার শারমিন সুলতান বলেন, পরিবারের নারী সদস্যরা সুস্থ থাকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুশ্চিন্তাহীন থাকবেন এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবেন।

জিপিএইচ ইস্পাতের মিডিয়া অ্যাডভাইজার অভীক ওসমান বলেন, মানুষের সেবায় সবসময়ই জিপিএইচ কাজ করে চলেছে। অতীতে করোনাকালীন জিপিএইচ ফ্রি অক্সিজেন সেবা ছাড়াও বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সেবায় হেলথ চেকআপ, বিশেষায়িত চিকিৎসা হেলথটক, চক্ষু শিবির, ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং, শিশু স্বাস্থ্যসেবা ও খৎনা সম্পন্ন করেছে।

নিউজ ট্যাগ: জিপিএইচ ইস্পাত

আরও খবর



পাকিস্তানে তীব্র তাপপ্রবাহ, ছয় দিনে ৫ শতাধিক মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে গত ছয়দিনে পাকিস্তানে ৫ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে একদিনেই প্রায় দেড়শো জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দেশটির অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র করাচি শহরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, সেখানে অনুভূত তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পাকিস্তানের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সংস্থা বলছে, তারা করাচি শহরের মর্গে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনের লাশ নিয়ে যায়। তবে গত ছয় দিনে তারা প্রায় ৫৬৮ টি লাশ সংগ্রহ করেছে। গত মঙ্গলবারই তারা সংগ্রহ করেছে ১৪১টি লাশ।

করাচির সিভিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান ডা. ইমরান সারওয়ার শেখ সংবাদবাদ মাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, হাসপাতালটিতে গত রোববার থেকে বুধবারের মধ্যে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ২৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন। মারা যাওয়া অধিকাংশের বয়স ৬০ বা ৭০ এর কোটায়। 

এদিকে উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে করাচির বাসিন্দারা কার্যত লড়াই করছে। শহরটিতে নিয়মিত লোডশেডিংয়ের ফলে নগরবাসীর জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। 

করাচি ছাড়াও গত মাসে পুরো সিন্ধ প্রদেশে প্রায় রেকর্ড ৫২.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা নথিভুক্ত করা হয়।

পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও অতিমাত্রার তাপপ্রবাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত মে মাস থেকে সেখানে প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে আবার কখনও কখনও তা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ধরনের চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো নিয়মিত এবং তীব্র হয়ে উঠছে। করাচির এই তীব্র তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও খবর