আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৫১ শিক্ষার্থী এখনো কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারেনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময়সীমা শেষ হলেও পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারেনি বরিশালে জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৫১ শিক্ষার্থী। তারাসহ প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী এখন এনালগ পদ্ধতিতে কলেজে ভর্তির অপেক্ষায় আছে। তবে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীন আসন খালি আছে প্রায় ৩০ হাজার।

এনালগ পদ্ধতি বলতে বোঝানো হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতি শেষে কলেজগুলোতে আসন ফাঁকা থাকলে শিক্ষার্থীরা ভর্তি সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে নামি কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য সুপারিশের প্রয়োজন হয় বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, বোর্ডের অধীনে কলেজগুলোতে প্রায় এক লাখ আসন রয়েছে। যার বিপরীতে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৭২ শিক্ষার্থী। হিসাবে প্রায় ৩০ হাজার আসন এখনও খালি। তবে আসন এক লাখ থাকলেও এবার বোর্ডে এসএসসি পাস করেছে ৯৪ হাজার ৮৭১ জন। অর্থাৎ পাস করা শিক্ষার্থীদের চেয়ে আমাদের আসন বেশি। তাই আসন পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই শিক্ষার্থীদের।’

উদ্বেগের বিষয় হলো জিপিএ-৫ পাওয়া ৫৫১ শিক্ষার্থী এখনও কোনও কলেজে ভর্তি হতে পারেনি উল্লেখ করে ড. মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, এ কারণে গতবারও পাঁচ ধাপে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। হয়তো এবারও সেই পথে হাঁটতে হবে। সেক্ষেত্রে সভা হবে। সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বছর বরিশাল জিলা স্কুল থেকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া নাবিল রহমান আলভির বাবা আনিসুর রহমান বলেন, আমার ছেলের পছন্দ ছিল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ। ওই কলেজ পাওয়ার জন্য তিনবার আবেদন করেছিল। কিন্তু পছন্দের কলেজ না পাওয়ায় এখন এনালগ পদ্ধতির জন্য অপেক্ষা করছে।’

আনিসুর রহমান বলেন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীন যারা জিপিএ-৫ পেয়েছে তারা পছন্দের প্রথম কলেজ পাওয়ার দাবিদার। সেখানে সাড়ে ৫০০ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী পছন্দের কলেজ না পেয়ে এখন এনালগ পদ্ধতির অপেক্ষায় রয়েছে।’

এনালগ পদ্ধতিতে যদি পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়া যায়, তাহলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেন ভর্তি হওয়া যাবে না প্রশ্ন রাখেন আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, এতে মেধাবীদের মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, আর কত ভালো ফল করলে পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবো।’

শুধু আনিসুর রহমানের ছেলে নয়, পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষা বোর্ডের অধীন ছয় জেলার প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী এনালগ পদ্ধতিতে ভর্তির অপেক্ষায় আছে। তারা শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, কবে এনালগ পদ্ধতির ঘোষণা আসবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। কারণ, ভালো ফল করার পরও তারা বলতে পারছে না কোথায় ভর্তি হচ্ছে। আবার একই সমস্যায় পড়েছে অন্যান্য শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির বিভাগীয় সমন্বয়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, বিষয়টি নিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আমাকে জানিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের কলেজ বণ্টনের চতুর্থ তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা আশা করছি, ওই তালিকায় জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীরা পছন্দের কলেজ পেয়ে যাবে।’

এটি কোনও সিস্টেমের মধ্যে পড়ে না জানিয়ে এই শিক্ষক নেতা আরও বলেন, মেধাবীদের অগ্রাধিকার দিয়ে পছন্দের কলেজ দিতে হবে। তা না হলে তারা কোনোভাবেই নিশ্চয়ন করবে না, এটাই স্বাভাবিক। এ কারণে এখনও সাড়ে ৫০০ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীসহ ২৮ হাজার ভর্তি হয়নি। তাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা কোনও কলেজ পায়নি।’

মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, কোন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কলেজ দেওয়া হচ্ছে, তা আমার জানা নেই। আমি যখন বিষয়টি জানি না তখন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরাও জানে বলে মনে হয় না। আসলে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানো উচিত। ভর্তি সহজ করতে ডিজিটাল করা হলো। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অপেক্ষায় আছে এনালগ পদ্ধতিতে ভর্তি হওয়ার জন্য। তাহলে ডিজিটাল করে লাভ কি হলো?

এবার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ৬৮ জন। পাস করেছিল ৯৪ হাজার ৮৭১ শিক্ষার্থী।


আরও খবর



আইএফআইসি ব্যাংকের সিন্দুক ভেঙে ২৯ লাখ টাকা চুরি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

বগুড়া সদরে আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখায় সিন্দুক কেটে ২৯ লাখ টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (১২ জুন) দিবাগত রাতে সদরের মাটিডালি উপশাখায় দুই তলা ব্যাংক ভবনটির ছাদের গেট কেটে দুর্বৃত্তরা ওই টাকা চুরি করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ।

পুলিশ জানায়, ব্যাংকটিতে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন না। বিকেলে ব্যাংকে কর্মকর্তারা তাদের কার্যক্রম শেষ করে চলে যান। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে এসে তারা ব্যাংকের সিন্দুকটি কাটা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। প্রাথমিকভাবে ২৯ লাখ টাকা লুটের হিসাব নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগেও গত ২৬ জানুয়ারি বগুড়া সদর উপজেলার পল্লীমঙ্গল হাটে এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখার ভল্ট ভেঙে ৯ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে।

নিউজ ট্যাগ: আইএফআইসি ব্যাংক

আরও খবর



ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভৈরবের একটি কেন্দ্রের ভোট বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ব্যালট বই ও বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের ৬৩ নং কেন্দ্র মৌটুপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম আজাদ।

জানা যায়, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট বই ও বাক্স ছিনতাই করে। এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে ব্যালট বই ও বাক্স ফেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করেন।

ইসির তথ্যানুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৬ জন, জাতীয় পার্টির ২৬৫, তৃণমূল বিএনপির ১৩৫ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ৬৬ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন।


আরও খবর



কোরবানির ঈদকে ঘিরে শেরপুরে মসলার বাজার অস্থির

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে উৎসবের আমেজ আসতেই অস্থির হয়ে উঠেছে শেরপুরের মসলার বাজার।ঈদকে কেন্দ্র করে মসলা ব্যবসায়ীরা জিরা, এলাচ ও লবঙ্গের মতো মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। অথচ এসব মসলা আমদানি হয়েছে ৩-৪ মাস আগেই। ঈদের আগ মসলার দাম বড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। মসলার আকাশচুম্বী দামে পুড়ছে তাদের পকেট। হঠাৎ করেই মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই পছন্দের খাবার তৈরি করতে অসুবিধায় পড়ছেন। এ পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

শেরপুরের নয়ানী বাজারে মসলা কিনতে আসা জাকির হোসেন বলেন, সব মসলার দাম বেশী, এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ কোথায় গিয়ে দাড়াবে?

এনজিও কর্মী ইমন জানান প্রতি কেজি মসলা ১০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চাল-ডাল-আটাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা। অথচ ধানের মূল্য কম।

মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে এলাচ, জিরা, লবঙ্গ, পিয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, হলুদ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন প্রকারের মসলা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরাতে ছোট এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, গতসপ্তাহে এলাচ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। ভালো মানের বড় এলাজ প্রতি কেজি ৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়, লবঙ্গের দাম বেড়েছে প্রায় ১ হাজার টাকা। প্রতি কেজি জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০০/৯০০ টাকায়। গোলমরিচ প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়াও দারচিনি ৭০০ টাকা, হলুদ ৩৫০ টাকা,কালিজিরা ৪০০ টাকা, কিসমিস ৮০০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা, সাদা সরিষা ৩০০ টাকা, এ সবের কেজি প্রতি ৮০- ১০০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট ও ডলারের দাম বাড়ায় মসলার দাম বেড়েছে। তাদের দাবি মসলার দাম বাড়ছে ২কারণে। প্রথমত. দেশে চলছে ডলার সংকট, ডলারের অভাবে এলসি করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত. আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম বেড়েছে। প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও। অথচ কোরবানির মসলা ২-৩ মাস আগে থেকেই মজুত করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভোক্তাগণ।

ঝিনাইগাতি মসলার বাজারের ক্রেতা আলহাজ শাহজাহান আকন্দ ও আলহাজ সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, প্রতিবছরই কোরবানির আগে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা আয়ের জন্য মসলার দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা জানেই কোরবানীর ঈদে মসলা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। কোরবানির গোশত খাওয়ার জন্য সবাইকে মসলা কিনতেই হবে। তারা সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা করছে। সিজনাল সময়গুলোয় চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম রাখা উচিত। অথচ তারা করছে উল্টো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মসলা ব্যবসায়ী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু মসলার দাম বেড়েছে। মসলাকে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ পণ্য আমদানিতে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয় মহাজনদের। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ায় মসলার বাজার চড়া। এ কারণে এলাচসহ সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। আমরা অল্প করে মসলা কিনে আনি। অল্প লাভেই বিক্রি করি। দাম বাড়ে পাইকারি কিনতে গিয়ে। মসলা বিক্রেতারা বলেন, এই মসলা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও মৌলভীবাজার থেকে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার ব্যবসায়ীরা ডলারসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। তাই বেশি দামে কিনে-বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কোরবনীর ঈদে পর্যাপ্ত মসলার প্রয়োজন হয় ও আমদানি করা হয়। ভারত থেকে জিরা ও এলাচ এবং ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভিয়েতনাম ও গুয়েতেমালা থেকে লবঙ্গ ও দারচিনি আমদানি করা হয়।

এব্যাপারে অনেক ক্রেতা বলেন, ঈদের চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

পূর্বে এসব দেশে উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাত দেয়া হলেও বর্তমানে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এ সমস্যায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কজন ক্রেতা বলেন, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

নিউজ ট্যাগ: মসলা

আরও খবর



হাসিনা-মোদির শীর্ষ বৈঠক আজ

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে নয়াদিল্লি আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের সূচি অনুযায়ী, শনিবার (২২ জুন) ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন তিনি ও তার সফর সঙ্গীরা। পরে মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।

বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ বিবৃতি দেবেন। পরে হায়দরাবাদ হাউসে শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের কার্যালয়ে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি পুনরায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। সেখানে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করবেন। নয়াদিল্লি সময় বিকেল ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল পৌনে ৫টায় সফর সঙ্গীদের নিয়ে পালাম বিমানবন্দরে পা রাখেন শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্র ও পরিবেশবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।

বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল তাজ প্যালেসে যান। বিমানবন্দর থেকে তাজ প্যালেসে যাওয়ার রাস্তার দুপাশ বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পতাকা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি ও প্ল্যাকার্ড দিয়ে সাজানো হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে বিভিন্ন উদ্ধৃতির প্ল্যাকার্ড দেখা যায় রাস্তার দুপাশে।

এর আগে দুপুর ২টা ৮ মিনিটে নয়াদিল্লির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি।

টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের পর নয়াদিল্লিতে এটিই কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। এর আগে নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ৯ জুন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও যোগ দেন শেখ হাসিনা।


আরও খবর



তিস্তা প্রকল্প নিয়ে দু’দেশই প্রস্তাব দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন-ভারত দুদেশই প্রস্তাব দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিস্তার পানি বণ্টন নয়; মহাপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ভারতের সঙ্গে। তবে যাদের প্রস্তাব লাভজনক হবে, সেই প্রস্তাবই গ্রহণ করবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণভবনে ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তিনি।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা এগিয়ে যাব। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় তারা যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, সেটা দেশকে উন্নয়ন করার। আমার কাছে সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে যে, আমার দেশের মানুষের কল্যাণে বিশেষ করে দেশের উন্নয়নে যার সঙ্গে যতটুকু সম্পর্ক রাখা দরকার, সেটা করে যাচ্ছি। ভারত আমাদের চরম দুঃসময়ের বন্ধু, তারা রক্ত দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে; কাজেই তাদের গুরুত্বটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আবার চীন যেভাবে নিজেকে উন্নত করেছে, সেখান থেকে আমাদের শেখার আছে। সব কিছু ভেবেই আমরা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রস্তাব তো অনেক আসে, তবে যেখান থেকে যে প্রস্তাবই আসুক না কেন, সেই প্রস্তাবটা আমার দেশের জন্য কতটুকু প্রযোজ্য হবে এবং কল্যাণকর হবে সেটা ভেবেই গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেলপথ ব্যবহারের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা নিয়ে কেন সমালোচনা হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। ইউরোপে তো এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের কোনো বর্ডার নেই, তারা কী বিক্রি হয়ে গেছে? এতে বরং তাদের যোগাযোগ সুবিধা বেড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে। আমাদেরও বাড়বে। রেলপথ ব্যবহারের ফলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হচ্ছে। ওইসব এলাকার মানুষের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হচ্ছে। ইউরোপে তো বর্ডারই নেই, তারা কী তাহলে বিক্রি করে দিচ্ছে? প্রত্যেকটা দেশই তো স্বাধীন দেশ, তারা তো বিক্রি হয়নি। তাহলে সাউথ এশিয়ায় কেন এটা বাঁধা হয়ে থাকবে এমন পাল্টা প্রশ্ন রাখেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বলে দেশে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারা বলুক বিক্রিটা কিসের মাপে হচ্ছে? মাপটা কিসের মাধ্যমে হয়, বাংলাদেশে স্বাধীন দেশ, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। সারা বিশ্বে একটিমাত্র মিত্র শক্তি ভারত। যারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে স্বাধীন করে দিয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই কোন দেশ যুদ্ধে সহযোগিতা করতে এলে, তারা সেখানেই থেকে যায়। বিজয়ী হওয়ার পরও তারা দেশ ছাড়ে না। এরকম অসংখ্য নজির আমরা দেখেছি। অথচ ভারত আমাদের মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করেছে এবং জাতির পিতার আহ্বানে আবার তারা ফিরেও গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন দেশ করেছি। তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে বিক্রি হয়? আমি বলবো যারাই বলছে দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারাই বরং দেশকে বিক্রি করতে চেয়েছে। আমি দেখেছি, যখন মিলিটারি শাসন এসেছে জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া তারা উপরে উপরে ভারত বিরোধী কথা বলেছেন। আর সেখানে গিয়ে পা ধরে বসে থেকেছেন। এগুলো আমার নিজের দেখা ও জানা। কাজেই এ ধরনের কথা বলার কোনো অর্থ হয় না। আমাদের দেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, যতই ছোট হোক, এটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। সেই সার্বভৌম রক্ষা এবং সক্রিয়তা বজায় রেখেই এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রেখেই কাজ করছি। এখন যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই মুক্তিযদ্ধের সময় পাকিস্তানের দালালি করেছে।’

তিনি আরও বলেন, এ যে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুলে দেয়া হলো, সব থেকে লাভবান তো আমার দেশের মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত হবে, ব্যবসার ক্ষেত্রটাও উন্মুক্ত হবে। দেশ বিক্রি আমরা করি না, যারা কথা বলে তারা বিক্রি করা জন্য অথবা ইউজ মি মানে ব্যবহার করুন আমাকে, এ নিয়ে বসেই থাকে; এটা হলো ব্যস্তবতা। শেখ হাসিনা এই দেশকে বিক্রি করে না। কারণ এই স্বাধীন করেছে আওয়ামী লীগ।’

একটা সময় ছিল নোম্যান্স ল্যান্ড যা আমরা ইউরোপ সফরে দেখেছি। এক জায়গাতে গাড়ি গিয়ে থামত। গাড়ি থেকে নেমে সেখানে থেকে আবার পাঁয়ে হেঁটে গিয়ে কাস্টমস চেক করিয়ে আবার পাঁয়ে হেঁটে গিয়ে গাড়িতে উঠতে হতো। এখন কিন্তু সেসব কিছুই নেই। এখন সব উঠে গেছে। কিন্তু প্রতিটি দেশ স্বাধীন দেশ। কোথাও কেউ কাউকে তো বিক্রি করে নাই। আমাদের দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাটাই আমাদের প্রধান কাজ বলেন শেখ হাসিনা।


আরও খবর