আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

জনবল সংকটে সান্তাহার জংশন স্টেশন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী জংশন স্টেশনটি তীব্র জনবল সংকটে ভুগছে। মুজিবশত বর্ষ উপলক্ষে কিছুদিন আগে এই স্টেশনটির প্লার্টফরম উচুকরণ ও প্রশস্তকরণের একটি বৃহৎ প্রকল্প ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান সান্তাহার স্টেশনটি নান্দনিক, সৌন্দর্যময় রুপ ধারণ করেছে। এটি ১ম শ্রেনীর একটি জনবহুল ও জনপরিচিত ষ্টেশন।বর্তমানে সান্তাহার জংশন স্টেশনটি তীব্র জনবল সংকটে ভুগছে।

সান্তাহার স্টেশন মাস্টার কার্যালয় সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে সান্তাহার স্টেশনের পরিবহন খাতে সর্বমোট ৫৯ টি পদের মধ্যে ২৭ জন কর্মরত আছে। বাকী ৩২ জন পদে কোন লোক নেই। আবার ষ্টেশনটির বাণিজ্যিক স্টাফ পজিসনে ৫৩ টি পদের মধ্যে ১৬ জন কর্মরত আছেন। বাকী ৩৭ টি পদ ঘাটতি অবস্থায় আছে। ফলে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে  বৃহৎ এই স্টেশনে  যাত্রীসেবা দারুণ ভাবে ব্যহত হচ্ছে।

স্টেশনের স্টাফ পজিসন অনুযায়ী স্টেশন মাস্টারের গ্রেড-১ টি মজ্ঞুরী পদ শুণ্য অবস্থায় আছে। নানা গ্রেডের ১৩ টি স্টেশন মাস্টার /সহকারী স্টেশন মাষ্টার পদের বিপরীতে কর্মরত আছে ৮ জন।  এই পদে ৫জন ঘাটতি আছে। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ২ টি মজ্ঞুরী পদ আছে, সেখানে দুটি পদেই কোন লোক বা জনবল নেই। এওয়াইএফ (ইয়ার্ড ফোরম্যান) ২টি মজ্ঞুরী পদ, দুটিই শুণ্য অবস্থায় আছে। টিএনসি/১ ( ট্রান্সসিপম্যান) ২ টি পদ, ২টিই শুণ্য অবস্থায় আছে। কোন লোক নেই এই পদে। টিএনটি (ট্যান্স ক্লাক) ৩টি মজ্ঞুরী পদে ২ জন কর্মরত আছেন, ১টি পদ ঘাটতি আছে।

সান্টিং জামাদার ৪ টি মজ্ঞুরী পদে ১ জন মাত্র কর্মরত আছেন,বাকী ৩ টি পদ শুণ্য অবস্থায় আছে। টিএনসি (ট্রান্স ক্লার্ক) ৮ টি মজ্ঞুরী পদের মধ্যে কর্মরত আছে ১ জন, বাকী ৭টি পদই শুন্যে। পি-ম্যান ( পয়েন্টস ম্যান) পদে ৭টির মধ্যে ৭ জনই কর্মরত আছে এই ষ্টেশনে। জি-কে ( গেট কিপার) পদে ৬টি মজ্ঞুরী পদে ৬ জন গেট কিপারই কর্মরত আছে। সান্টিং পোটার ৬টি মজ্ঞুরী পদে ৬টিই শুন্য অবস্থায় আছে। তাই সান্তাহার স্টেশনের স্টাফ পজিশন(পরিবহন) সেক্টরে ৫৯ টি পদের মধ্যে ২৭ জন কর্মরত, বাকী ৩২ টি পদে ঘাটতি আছে। সান্তাহার স্টেশনে জিএ/১ (গুডস ক্লার্ক)  পদে ২টি মজ্ঞুরী পদে কেউ কর্মরত নেই, দুটিই ঘাটতি।

জিএ/২ পদে একজন কর্মরত আছে। ১টি শুন্যে। টিআরসি (ট্রান্সসিপমেন্ট ক্লার্ক) পদ ২টি মজ্ঞুরী, দুটিই শুন্যে। এসআর/১ পদে ১টি মজ্ঞুরীর বিপরীতে একটি পদই শুন্যে অবস্থায় আছে। পিএ/১ পদে ১টির বিপরীতে ১টি পদে কেউ কর্মরত নেই। পিএ/২ পদে একজন কর্মরত আছে। এসআর/২ পদে ১টি পদ আছে এখানে, সেই পদও শুন্যে। বিএ/১ ( বুকিং ক্লার্ক) ১ টি পদে কোন জনবল নেই।

বিএ/২ পদে মজ্ঞুরীকৃত  ৮টি পদে ৬ জন কর্মরত আছেন, ২টি পদ শুন্যে। টিসি/১ (টিকিট ক্যালেক্টর) ১ টি পদ, নেই কোন জনবল সেই পদে। টিসি/ ৫টি মজ্ঞুরীকৃত পদে ২ জন কর্মরত আছেন, ৩টি পদই শুণ্যে। টালী সহকারী ৫টি মজ্ঞুরীকৃত পদে ৫টিই ঘাটতি । ল্যাম্প ম্যান পদে ৩টি মজ্ঞুরীকৃত পদে ৩টিই শুণ্যে। পিয়ন/অফিস সহায়ক পদে ৩টি মজ্ঞুরীকৃত পদের মধ্যে ১ জন কর্মরত আছেন, বাকী ২টি পদ শুন্যে।

পোর্টার পদে ৫টি মজ্ঞুরীকৃত পদে ৩ জন কর্মরত আছেন, বাকী ২টি পদ শূণ্যে। ওয়েটিং রুম আয়া পদে ৩টি মজ্ঞুরীকৃত পদে  ৩টি পদই শুণ্যে। ওয়েটিং রুম বেয়ারার ৩টি মজ্ঞুরীকৃত পদে একজনও কর্মরত নেই,সবগুলি শুণ্যে। ফলে এই স্টেশনের বিশ্রামাগারগুলি অধিকাংশ সময়ে বন্ধ থাকে। আরআর বেয়ারার ২টি মজ্ঞুরীকৃত পদে ১ জন কর্মরত আছে, ১টি পদ ঘাটতি আছে।

বাবুর্চি পদে মজ্ঞুরীকৃত পদের ২টি পদে কেই কর্মরত নেই। ফলে ২টি শুন্যে। সিলম্যান ২টি পদে ১ জন কর্মরত আছে, ১টি ঘাটতি আছে। অফিস সহকারী (স্টেশন ক্লার্ক) ১টি পদ, ১টি ঘাটতি। ফলে সান্তাহার স্টেশনে স্টাফ পজিশন ( বাণিজ্যিক) শাখায় ৫৩ পদের মধ্যে মাত্র ১৬ জন কর্মরত আছে, বাকী ৩৭ টি পদই শুন্যে।

সান্তাহার জংশন স্টেশনের বর্তমান স্টেশন মাষ্টার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাবিবুর রহমান এক সঙ্গে ৩টি স্টেশনের দায়িত্ব পালন করছেন। তীব্র সংকটের মুখে সান্তাহার স্টেশনের যাত্রীসেবা ভেঙে পড়েছে।

তিনি জানান, অচিরেই এই জনবল সংকট নিরসন হবে। অনেকে নতুন নিযুক্ত ব্যাক্তিরা প্রশিক্ষণে আছে। তারা এসে কাজে যোগদান করলে এই সমস্যা থাকবে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ( পশ্চিম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, অনেক নতুন নিয়োগ হয়েছে রেলওয়েতে। আশা করছি, এই সমস্যাও দুর হবে।

আজকের দর্পণ/এমদাদুল হক/বগুড়া


আরও খবর



শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদে বুধবার (১ মে) বেলা ১১টায় রাজশাহী বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাজশাহী বাস টার্মিনালের সামনের প্রধান সড়ক বাস ও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। যানবাহন চলাচলেও দেওয়া হয় বাঁধা।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশা দিলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ উঠিয়ে নেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল আলম সাজু জানান, রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। তার কাছে শ্রমিকদের পাওনা রয়েছে ৪ কোটি টাকারও বেশি। তাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকদের অর্থ ফেরত না দেওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ তারা আজকের এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।


আরও খবর



পাসের হারে শীর্ষে যশোর, সর্বনিম্ন সিলেটে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে।

যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফলাফল দেখবেন যেভাবে

পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএনর (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে।

এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর



আজ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানতে হবে নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহে বন্ধ থাকার পর সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ রবিবার (৫ মে)। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।

শনিবার (৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের। তিনি বলেছেন, রবিবার (৫ মে) থেকে ক্লাস শুরু হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুসরণ করতে হবে কিছু নির্দেশনা।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা;

২. শ্রেণিকক্ষের বাইরের শিক্ষাকার্যক্রম সীমিত করা;

৩. শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা;

৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়েও অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখা।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

পরদিন সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।

পরে শুক্রবার (৩ মে) আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে ঢাকাসহ ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার (৪ মে) বন্ধ থাকবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




আরব আমিরাতের বন্দরে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে। সোমালি দস্যুদের কবল থেকে মুক্তির পর ২৩ নাবিককে রিসিভ করতে যাওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভেড়ানো হয়। এরপর শুরু হবে কয়লা খালাস পর্ব। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দিনের বেলা খালাস শুরু হবে। সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হওয়ার ৯ দিনের মাথায় তীরের দেখা পেলেন জাহাজটির ২৩ নাবিক।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত পৌনে ১০টায় আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানো হয়েছে। এরপর শুরু হবে কয়লা খালাসের পর্ব।

এদিকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি হামরিয়ায় ভেড়ানোর সময় বন্দর জেটিতে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে কেএসআরএম গ্রুপের একটি দল উপস্থিত ছিল।

উল্লেখ্য, জিম্মিদশার পর ১৩ মার্চ দিবাগত রাতে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এর পরই জাহাজটি আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। ৯ দিনের মাথায় বন্দরে পৌঁছাল জাহাজটি।

জাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ২১ জন জাহাজে আর দুজন বিমানে চট্টগ্রামে ফিরবেন বলে জানান মালিকপক্ষের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়েছিল।


আরও খবর